শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

আর্সেনিক নির্ভর ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারের দাবি ভুল

আর্সেনিক নির্ভর ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারের দাবি ভুল

২০১০ সালে মাইক্রো অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট ফেলিশা উলফসিমন গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছিলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার মোনো লেকে তারা এমন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছেন, যা আর্সেনিকের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি উলফসিমনের ওই দাবি ভুল প্রমাণ করেছেন বিজ্ঞানীদের দু’টি দল। মোনো লেকের ওই ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত আর্সেনিক নয়, বরং ফসফরাসের ওপর নির্ভর করেই বাঁচে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খবর এবিসি নিউজের।

বিষাক্ত আর্সেনিকের ওপর নির্ভর করে জিএফএজে-১ ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকতে পারে দাবি করে বিজ্ঞান জগতকে একরকম চমকে দিয়েছিলেন উলফসিমন। তার ওই দাবি সঠিক প্রমাণিত হলে প্রাণীজগতের জীবনধারণের অনেক দিক নিয়েই বিজ্ঞানীদের নতুন করে ভাবতে হতো। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের দু’টি দল মোনো লেকের ব্যাকটেরিয়ার ওপর বিষদ গবেষণায় আবিষ্কার করেছেন, আর্সেনিক নয় বরং ব্যাকটেরিয়াগুলো নির্ভর করছিলো ফসফরাসের ওপর।

এ ব্যাপারে জুরিখের মাইক্রোবায়োলজিস্ট টোবিয়াজ আরব জানান, ‘আমরা এটা নিশ্চিত করেছি যে, মোনো লেকের জিএফএজে-১ ব্যাকটেরিয়া আর্সেনিক নয় বরং ফসফরাসের ওপর নির্ভর করেই বাঁচে।’

২০১০ সালে উলফসিমনের প্রতিবেদনটি বিজ্ঞান জগতে একরকম বিস্ফোরণই ঘটিয়েছিলো। তার মতবাদের বিপক্ষেও কথা বলেছিলেন অনেক বিজ্ঞানী। নিজের মতবাদের পেছনে কোনো শক্ত প্রমাণ উলফসিমন দিতে পারেননি বলেছিলেন, কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ বৃটিশ কলম্বিয়ার বিজ্ঞানী রোজি রেডফিল্ড।

সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদন দু’টির একটির সহ-লেখক ছিলেন রোজি রেডফিল্ড। ওই প্রতিবেদনে রেডফিল্ড এবং তার সহকর্মীরা জানান, জিএফএজে-১’-এর ডিএনএতে খুব সামান্য পরিমাণে আর্সেনিকের উপস্থিতি থাকলেও, ব্যাকটেরিয়াগুলো জীবন ধারণের জন্য আর্সেনিকের ওপরই নির্ভরশীল, এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি।

তবে এতো সহজে নিজের গবেষণা যে ভুল, তা মেনে নিতে রাজি নন উলফসিমন। বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণা প্রতিবেদন দু’টিতে তার মতবাদ ভুল প্রমাণ করার মতো কোনো তথ্য নেই বলে এক ইমেইল বার্তায় দাবি করেছেন তিনি।



ম্যালওয়্যার সমস্যা সমাধান করবে ম্যাকাফি

ম্যালওয়্যার সমস্যা সমাধান করবে ম্যাকাফি

ম্যালওয়্যার সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলো অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা ম্যাকাফি। সোমবার বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ৭০ হাজার কম্পিউটার ইন্টারনেট সার্ভিস থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে ম্যালওয়্যারের আক্রমণে। ব্যবহারকারীদের এই দুর্ভোগ থেকে বাঁচাতে ফ্রি ডিএনএস চেকার পেইজ চালু করেছে ম্যাকাফি। খবর টেকট্রির।

ম্যালওয়্যারটির আক্রমণ থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করতে ফ্রি সার্ভিস চালু করেছে অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি। যেসব ব্যবহারকারী তাদের পিসিতে ম্যালওয়্যারটি আছে কি নেইএ বিষয়ে সন্ধিহান তাদের সহযোগিতা করতে ম্যাকাফি চালু করেছে একটি ফ্রি ডিএনএস চেকার পেইজ।

ম্যাকাফির ডিএনএস চেকার পেইজটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা জানতে পারবেন তাদের পিসিতে ওই ম্যালওয়্যারটি আছে নাকি নেই। আর ম্যালওয়্যারটি থাকলেও এটির কারণে বদলে যাওয়া ইন্টারনেট সেটিংসগুলো ঠিক করে দেবে ম্যাকাফির এই ফ্রি সার্ভিস।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারটি ছড়ায় একদল আন্তর্জাতিক হ্যাকার। সারা বিশ্বে ৫ লাখেরও বেশি কম্পিউটার ম্যালওয়্যারটির আক্রমণের শিকার হয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর হস্তক্ষেপে অনেক ব্যবহারকারী ম্যালওয়্যারটির শিকার থেকে রক্ষা পেলেও, সোমবার এফবিআই ম্যালওয়্যারটির আক্রমণ থামাতে চালু করা সার্ভার দু’টি বন্ধ করে দিচ্ছে। এর ফলে যাদের কম্পিউটারে এখনও ম্যালওয়্যারটি রয়ে গেছে, এফবিআই সার্ভার বন্ধ হয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই ম্যালওয়্যার আক্রমণে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারেন তারা।

হাত ঠাণ্ডা রাখবে সাইক্লোন মাউস

হাত ঠাণ্ডা রাখবে সাইক্লোন মাউস

প্রফেশনাল গেইমারদের জন্য চাপের মধ্যেও শান্ত থাকা খুবই জরুরি। এ কাজে গেইমারদের সাহায্য করতে থার্মালটেক তৈরি করেছে ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউস। মাউসটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হচ্ছে, এর ডিটাচেবল ফ্যান যা ঠাণ্ডা রাখবে গেইমারদের হাত। খবর গিজম্যাগ-এর।

ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউসটির ডিটাচেবল ফ্যানটি নিজেদের প্রয়োজনমতো লাগাতে বা খুলে রাখতে পারবেন গেইমাররা। মাত্র ৩০ মিলিমিটার আকারের ফ্যানটি ঘুরবে ৬০০০ আরপিএম গতিতে। এর পরও ২১.৭ ডিবি মাত্রার সামান্যই শব্দ তৈরি করে সাইক্লোনের ফ্যানটি, জানিয়েছে নির্মাতা থার্মালটেক।

তবে ডিটাচেবল ফ্যানটিই একমাত্র উল্লেখযোগ্য ফিচার নয় সাইক্লোনের। আরগোনমিক ডিজাইন আর ইজি গ্রিপ রাবার কোটিং ছাড়াও রয়েছে এর ওজন কমানো বাড়ানোর সুবিধা। গেইমার তার পছন্দমতো বাড়তি ওজন যোগ করতে পারবেন মাউসটিতে। চাইলে কমিয়েও ফেলতে পারবেন গেইমিং মাউসটির ওজন।

এছাড়াও ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউসে রয়েছে ৬,৫০০ ডিপিআই লেসার সেন্সর এবং নয়টি কাস্টোমাইজড ম্যাক্রো কি।

থার্মালটেক ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউসটি কবে বাজারে আসবে, বা এর দাম কতো হবে তা নিয়ে এখনও কোনো তথ্য দেয়নি থার্মালটেক।

ক্র্যাশ করলো বিবিসির ওয়েবসাইট

ক্র্যাশ করলো বিবিসির ওয়েবসাইট

বুধবার সন্ধায় ক্র্যাশ করেছিলো বৃটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি)-এর নিজস্ব ওয়েবসাইট। বিবিসি অনলাইনের মেইন পেইজ এবং নিউজ পেইজগুলো চালু হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে আইপ্লেয়ার সার্ভিস। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

বিবিসির ওয়েবসাইটটি ক্র্যাশ করে গত বুধবার বৃটিশ সময় রাত ৮টার পর। এ সময় পাঠকরা বিবিসির অনলাইন পেইজগুলোতে ঢুকতে ব্যর্থ হন। এক ঘণ্টার মধ্যেই বিবিসির ইঞ্জিনিয়াররা বিবিসি ডট কো ডট ইউকে, বিবিসি নিউজ এবং টেক পেইজগুলো চালু করতে পারলেও ফ্রন্ট পেইজটি চালু করতে বেশ বেগ পেতে হয় ইঞ্জিনিয়ারদের।

এ ব্যাপারে বিবিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ক্র্যাশ করেছিলো বিবিসি অনলাইন। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পাঠকদের জন্য বেশিরভাগ পেইজ চালু করা সম্ভব হয়। আমরা ওয়েবসাইটটি যতো তাড়াতারি সম্ভব পুরোপুরি ঠিক করার চেষ্টা করছি এবং ক্র্যাশ করার কারণ তদন্ত করে দেখছি।’

বিবিসির ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করার কথা এক টুইটার বার্তায় নিশ্চিত করেন বিবিসি নিউজ ওয়েবসাইটের সম্পাদক স্টিভ হারমান।

বিবিসি ওয়েবসাইটটি চালু হলেও এখনও চালু হয়নি আইপ্লেয়ার সার্ভিস। সার্ভিসটি যতো দ্রুত সম্ভব চালু করার জন্য ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন বলেই জানিয়েছে বিবিসি কর্তৃপক্ষ।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

অপরাধী চেনাবে মাইন্ড রিডিং হেলমেট

অপরাধী চেনাবে মাইন্ড রিডিং হেলমেট

মার্কিন টেকনোলজিকাল কোম্পানি ভেরিটাস সায়েন্টিফিক তৈরি করছে মাইন্ড রিডিং হেলমেট। ব্রেইন ওয়েভ মনিটর করে অপরাধ করার আগেই বিপজ্জনক ব্যক্তিকে শনাক্ত করাই মাইন্ড রিডিং হেলমেট তৈরির মূল উদ্দেশ্য। খবর গ্লোবাল ডেইলি ক্রনিকল-এর।

ভেরিটাস সায়েন্টিফিকের তৈরি মাইন্ড রিডিং হেলমেটটি দেখতে মোটরসাইকেল আরোহীর হেলমেটের মতোই হবে। আর হেলমেটটির ভেতরে থাকবে মেটাল ব্রাশ সেন্সর। হেলমেট পরা ব্যক্তির সামনে দেখানো হবে বিভিন্ন ছবি। হেলেমেটের সেন্সরগুলো ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফ বা ইইজির মাধ্যমে ব্রেইন ওয়েভ মনিটর করে ডেটা সংগ্রহ করবে। আর ওই ডেটা বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে ব্যক্তিটি বিপজ্জনক বা অপরাধপ্রবণ মানসিকতার কি-না।

আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর কাজ মাইন্ড রিডিং হেলমেট অনেকটাই সহজ করে দেবে বলে জানান, ভেরিটাস সায়েন্টিফিকের সিইও এরিক এলবট। তবে হাত ফসকে অপরাধীদের হাতে এই প্রযুক্তিটি পৌঁছে গেলে অথবা প্রযুক্তিটির ব্যবহার কতিপয় মানুষের হাতে সীমাবদ্ধ হলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে সতর্ক করেছেন এলবট।