শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

বিদ্যুৎ জমা করবে টি-শার্ট

বিদ্যুৎ জমা করবে টি-শার্ট

সাধারণ একটি টি-শার্টে বিদ্যুৎশক্তি জমা করে রাখার অভিনব এক উপায় আবিষ্কার করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলিনার বিজ্ঞানীরা। নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মতো ডিভাইসগুলো চার্জ করা যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে গুটিয়ে রাখার উপযোগী স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ। এই গ্যাজেটগুলোর বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন পড়বে নমনীয় এনার্জি স্টোরেজ বা ব্যাটারির। আর এ সমস্যা সমাধান করতেই টি-শার্টে বিদ্যুৎশক্তি জমা করার প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী প্রফেসর জিয়াওডং লি এবং লিহং বাও।

বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এ প্রক্রিয়ায় সাধারণ একটি টি-শার্টকে ফ্লুওরাইড সল্যুশন-এ ভিজানো হয়। তারপর টি-শার্টটি অক্সিজেন শূন্য পরিবেশে উচ্চ তাপমাত্রায় শুকানো হয়। এর ফলে টি-শার্টটির তন্তুগুলো সেলুলোজ থেকে অ্যাকটিভেটেড কার্বন-এ পরিণত হলেও আগের মতোই নমনীয় থেকে যায়। এরপর টি-শার্টটির কয়েকটি সুতো ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহার করে এটিকে ক্যাপাসিটরে পরিণত করেন বিজ্ঞানীরা। এরপর টি-শার্টটির সুতোগুলোয় ম্যাংগানিজ অক্সাইডের প্রলেপ দেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে টি-শার্টটি একটি স্থিতিশীল সুপারক্যাপাসিটরে পরিণত হয় বলে জানান প্রফেসর লি।

প্রফেসর লি বলেন, ‘হাইব্রিড সুপারক্যাপাসিটরটি এর কার্যক্ষমতাও প্রমাণ করেছে। হাজারেরও বেশিবার ইলেকট্রিসিটি চার্জ এবং ডিসচার্জ করা হলেও এটির কার্যক্ষমতা মাত্র ৫ শতাংশ কমেছে। আর এই সুপারক্যাপাসিটরগুলোকে একত্রিত করে মোবাইল ফোনের মতো পোর্টেবল ইলেকট্রিক ডিভাইস চার্জ করা সম্ভব হবে।’



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস

প্লুটোর পঞ্চম চাঁদের সন্ধান পেলো হাবল

প্লুটোর পঞ্চম চাঁদের সন্ধান পেলো হাবল

বামন গ্রহ প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ ‘পি-ফাইভ’-এর সন্ধান পেলো নাসার হাবল টেলিস্কোপ। ছোট্ট একটি গ্রহের চারপাশে ৫টি উপগ্রহের এমন জটিল সন্নিবেশ বেশ অবাক করেছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। খবর বিবিসির।

প্লুটোর উপগ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ‘চারোন’ আবিষ্কার হয় ১৯৭৮ সালে। এরপর ২০০৬ সালে চারোনের তুলনায় ছোট আরো দুটি উপগ্রহ খুঁজে পায় নাসার হাবল টেলিস্কোপ। এ দু’টির নাম দেয়া হয় নিক্স এবং হাইড্রা। ২০১১ সালে প্লুটোর চতুর্থ উপগ্রহ পি-ফোরও হাবল টেলিস্কোপেরই আবিষ্কার।

প্লুটো এতোটাই ছোট এবং দূরে যে, হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও বামন গ্রহটির পরিষ্কার ছবি তোলা খুবই কঠিন। পি-ফাইভ উপগ্রহটি হাবল টেলিস্কোপের তোলা ছবিতে ধরা পড়লেও এটির আকার আকৃতি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে তারা বলছেন, পি-ফাইভের গঠন অন্যান্য উপগ্রহ থেকে ভিন্ন এবং এটির আকার হতে পারে ১০ কিলোমিটার থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে।

আর প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ পি-ফাইভ-এর সন্ধান মেলে জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে হাবল টেলিস্কোপের ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরায় তোলা ছবিতে। নাসার স্পেসক্র্যাফট ‘নিউ হরাইজন’ এখন রয়েছে প্লুটোর পথে। ২০১৫ সালে প্লুটোর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে মহাকাশযানটি। নিউ হরাইজন প্লুটোর কাছে পৌঁছালে এর মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো বামন গ্রহটি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করার সুযোগ পাবেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।


আর্সেনিক নির্ভর ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারের দাবি ভুল

আর্সেনিক নির্ভর ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারের দাবি ভুল

২০১০ সালে মাইক্রো অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট ফেলিশা উলফসিমন গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছিলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার মোনো লেকে তারা এমন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছেন, যা আর্সেনিকের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি উলফসিমনের ওই দাবি ভুল প্রমাণ করেছেন বিজ্ঞানীদের দু’টি দল। মোনো লেকের ওই ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত আর্সেনিক নয়, বরং ফসফরাসের ওপর নির্ভর করেই বাঁচে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খবর এবিসি নিউজের।

বিষাক্ত আর্সেনিকের ওপর নির্ভর করে জিএফএজে-১ ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকতে পারে দাবি করে বিজ্ঞান জগতকে একরকম চমকে দিয়েছিলেন উলফসিমন। তার ওই দাবি সঠিক প্রমাণিত হলে প্রাণীজগতের জীবনধারণের অনেক দিক নিয়েই বিজ্ঞানীদের নতুন করে ভাবতে হতো। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের দু’টি দল মোনো লেকের ব্যাকটেরিয়ার ওপর বিষদ গবেষণায় আবিষ্কার করেছেন, আর্সেনিক নয় বরং ব্যাকটেরিয়াগুলো নির্ভর করছিলো ফসফরাসের ওপর।

এ ব্যাপারে জুরিখের মাইক্রোবায়োলজিস্ট টোবিয়াজ আরব জানান, ‘আমরা এটা নিশ্চিত করেছি যে, মোনো লেকের জিএফএজে-১ ব্যাকটেরিয়া আর্সেনিক নয় বরং ফসফরাসের ওপর নির্ভর করেই বাঁচে।’

২০১০ সালে উলফসিমনের প্রতিবেদনটি বিজ্ঞান জগতে একরকম বিস্ফোরণই ঘটিয়েছিলো। তার মতবাদের বিপক্ষেও কথা বলেছিলেন অনেক বিজ্ঞানী। নিজের মতবাদের পেছনে কোনো শক্ত প্রমাণ উলফসিমন দিতে পারেননি বলেছিলেন, কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ বৃটিশ কলম্বিয়ার বিজ্ঞানী রোজি রেডফিল্ড।

সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদন দু’টির একটির সহ-লেখক ছিলেন রোজি রেডফিল্ড। ওই প্রতিবেদনে রেডফিল্ড এবং তার সহকর্মীরা জানান, জিএফএজে-১’-এর ডিএনএতে খুব সামান্য পরিমাণে আর্সেনিকের উপস্থিতি থাকলেও, ব্যাকটেরিয়াগুলো জীবন ধারণের জন্য আর্সেনিকের ওপরই নির্ভরশীল, এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি।

তবে এতো সহজে নিজের গবেষণা যে ভুল, তা মেনে নিতে রাজি নন উলফসিমন। বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণা প্রতিবেদন দু’টিতে তার মতবাদ ভুল প্রমাণ করার মতো কোনো তথ্য নেই বলে এক ইমেইল বার্তায় দাবি করেছেন তিনি।



ম্যালওয়্যার সমস্যা সমাধান করবে ম্যাকাফি

ম্যালওয়্যার সমস্যা সমাধান করবে ম্যাকাফি

ম্যালওয়্যার সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলো অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা ম্যাকাফি। সোমবার বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ৭০ হাজার কম্পিউটার ইন্টারনেট সার্ভিস থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে ম্যালওয়্যারের আক্রমণে। ব্যবহারকারীদের এই দুর্ভোগ থেকে বাঁচাতে ফ্রি ডিএনএস চেকার পেইজ চালু করেছে ম্যাকাফি। খবর টেকট্রির।

ম্যালওয়্যারটির আক্রমণ থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করতে ফ্রি সার্ভিস চালু করেছে অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি। যেসব ব্যবহারকারী তাদের পিসিতে ম্যালওয়্যারটি আছে কি নেইএ বিষয়ে সন্ধিহান তাদের সহযোগিতা করতে ম্যাকাফি চালু করেছে একটি ফ্রি ডিএনএস চেকার পেইজ।

ম্যাকাফির ডিএনএস চেকার পেইজটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা জানতে পারবেন তাদের পিসিতে ওই ম্যালওয়্যারটি আছে নাকি নেই। আর ম্যালওয়্যারটি থাকলেও এটির কারণে বদলে যাওয়া ইন্টারনেট সেটিংসগুলো ঠিক করে দেবে ম্যাকাফির এই ফ্রি সার্ভিস।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারটি ছড়ায় একদল আন্তর্জাতিক হ্যাকার। সারা বিশ্বে ৫ লাখেরও বেশি কম্পিউটার ম্যালওয়্যারটির আক্রমণের শিকার হয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর হস্তক্ষেপে অনেক ব্যবহারকারী ম্যালওয়্যারটির শিকার থেকে রক্ষা পেলেও, সোমবার এফবিআই ম্যালওয়্যারটির আক্রমণ থামাতে চালু করা সার্ভার দু’টি বন্ধ করে দিচ্ছে। এর ফলে যাদের কম্পিউটারে এখনও ম্যালওয়্যারটি রয়ে গেছে, এফবিআই সার্ভার বন্ধ হয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই ম্যালওয়্যার আক্রমণে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারেন তারা।

হাত ঠাণ্ডা রাখবে সাইক্লোন মাউস

হাত ঠাণ্ডা রাখবে সাইক্লোন মাউস

প্রফেশনাল গেইমারদের জন্য চাপের মধ্যেও শান্ত থাকা খুবই জরুরি। এ কাজে গেইমারদের সাহায্য করতে থার্মালটেক তৈরি করেছে ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউস। মাউসটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হচ্ছে, এর ডিটাচেবল ফ্যান যা ঠাণ্ডা রাখবে গেইমারদের হাত। খবর গিজম্যাগ-এর।

ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউসটির ডিটাচেবল ফ্যানটি নিজেদের প্রয়োজনমতো লাগাতে বা খুলে রাখতে পারবেন গেইমাররা। মাত্র ৩০ মিলিমিটার আকারের ফ্যানটি ঘুরবে ৬০০০ আরপিএম গতিতে। এর পরও ২১.৭ ডিবি মাত্রার সামান্যই শব্দ তৈরি করে সাইক্লোনের ফ্যানটি, জানিয়েছে নির্মাতা থার্মালটেক।

তবে ডিটাচেবল ফ্যানটিই একমাত্র উল্লেখযোগ্য ফিচার নয় সাইক্লোনের। আরগোনমিক ডিজাইন আর ইজি গ্রিপ রাবার কোটিং ছাড়াও রয়েছে এর ওজন কমানো বাড়ানোর সুবিধা। গেইমার তার পছন্দমতো বাড়তি ওজন যোগ করতে পারবেন মাউসটিতে। চাইলে কমিয়েও ফেলতে পারবেন গেইমিং মাউসটির ওজন।

এছাড়াও ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউসে রয়েছে ৬,৫০০ ডিপিআই লেসার সেন্সর এবং নয়টি কাস্টোমাইজড ম্যাক্রো কি।

থার্মালটেক ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউসটি কবে বাজারে আসবে, বা এর দাম কতো হবে তা নিয়ে এখনও কোনো তথ্য দেয়নি থার্মালটেক।