শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১২

শব্দ দিয়েই নেভানো যাবে আগুন!

শব্দ দিয়েই নেভানো যাবে আগুন!

শব্দ ব্যবহার করে আগুন নেভানোর অভিনব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রোজেক্ট এজেন্সি (ডারপা)-র বিজ্ঞানীরা। দ্রুত আগুন নেভানোর নতুন কোনো উপায়ের খোঁজে ২০০৮ সালে ইনস্ট্যান্ট ফায়ার সাপ্রেশন প্রোগ্রাম-এর আওতায় গবেষণা শুরু করেছিলেন ডারপার বিজ্ঞানীরা। তারই সূত্র ধরে শব্দ ব্যবহার করে আগুন নেভানোর নতুন প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেছেন তারা। খবর বিবিসির।

প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করতে যেয়ে ডারপা বিজ্ঞানীরা পুরো ব্যপারটিকে বিবেচনা করেন রসায়নবিদ্যার বদলে পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে। গবেষণায় স্পিকারের নির্দিষ্ট কিছু ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে আগুন নেভাতে সফল হন তারা।

ডারপার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞানীরা জানান, ‘স্পিকারের শব্দতরঙ্গ বাতাসের গতি বাড়িয়ে দেয়। ফলে পাতলা হয়ে যায় আগুনের চারপাশের বাতাসের ঘনত্ব। এতে প্রয়োজনীয় বাতাসের অভাবে নিভে যায় আগুন।’

প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে ল্যাবরেটরিতে আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও, মাঠ পর্যায়ে এই প্রযুক্তি কতোটা সফল হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে প্রযুক্তিটি নিয়ে আরো গবেষণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী একটি পন্থা খুঁজে পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন তারা।

৫৩ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চীনের

৫৩ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চীনের

চীনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৩ কোটি ৮০ লাখ।  আর এ সংখ্যা বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। ওয়্যারলেস ওয়েব সার্ফিয়ের ফলে বর্তমানে চীনে বিশ্বের সর্বাধিক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে বলে দেশটির ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (আইএনআইসি) জানায়। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

আইএনআইসি জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ১১ ভাগ। বর্তমানে চীনের প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ওয়্যারলেস ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা থাকায় মোবাইলেও ইন্টারনেট ব্যবহার গোটা বিশ্বের মতো চীনেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, চীনের কমিউনিস্ট সরকার দেশটিতে শিক্ষা ও বাণিজ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করায় শিক্ষা ও শিল্প-বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে।

আইএনআইসি জানিয়েছে, বর্হিঃবাণিজ্যে চীন ইতোমধ্যে নিজেদের অবস্থান গড়তে সক্ষম হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে। ব্যবসায়ীক যোগাযোগে ইন্টারনেট নির্ভরশীলতা বাড়ায় দেশটির অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।


২৬ অক্টোবর আসছে উইন্ডোজ ৮

২৬ অক্টোবর আসছে উইন্ডোজ ৮

অক্টোবরের ২৬ তারিখে বাজারে আসছে মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮। সব ধরনের কম্পিউটারের উপযোগী হলেও মূলত টাচ স্ত্রিন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারের ব্যবহারের জন্যই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সনটি বানিয়েছে মাইক্রোসফট। খবর ইয়াহু নিউজের।

উইন্ডোজ ৮ অক্টোবর মাসে বাজারে আসবে তা বেশ আগে থেকেই বলছিলো মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ। বুধবার স্যান ফ্রান্সিসকোতে অ্যানুয়াল সেলস মিটিং এবং ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে উইন্ডোজ ৮ বাজারে আসার তারিখটি নিশ্চিত করে জানিয়ে দেয় মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।

উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট থেকে সফটওয়্যার আপডেট হিসেবে ডাউনলোড করতে পারবেন অপারেটিং সিস্টেমটির নতুন ভার্সন। একই দিনে বিক্রি শুরু হবে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে চালিত পিসি এবং ল্যাপটপ।

উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা এবং ৭-কে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে আপগ্রেড করতে খরচ হবে ৪০ ডলার। তবে যারা এ বছরের ২ জুন তারিখের পরে উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটার কিনেছেন, উইন্ডোজ ৮-এর জন্য তাদের খরচ করতে হবে ১৫ ডলার।



অ্যাপল ওয়েবসাইটে ঝুলবে স্যামসাং প্রচারণা!

অ্যাপল ওয়েবসাইটে ঝুলবে স্যামসাং প্রচারণা!

স্যামসাংয়ের পক্ষে প্রচারণা চালাবে অ্যাপল! অ্যাপল বনাম স্যামসাংয়ের পেটেন্ট লড়াই নতুন দিকে মোড় নেয়ায় এমন ঘটনাই এবার ঘটতে পারে। আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করে স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি ট্যাবলেট ডিভাইস বানিয়েছে দাবি করে বৃটেনের আদালতে মামলা করেছিলো অ্যাপল। কিন্তু আদালতে সে দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্যামসাং আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করেনি-এমন প্রচারণা চালানোর নির্দেশই অ্যাপলকে দিয়েছে আদালত। খবর বিবিসির।

মামলার রায় অনুযায়ী ‘স্যামসাং আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করেনি’-এমন একটি নোটিশ আগামী ছয় মাস থাকতে হবে অ্যাপলের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। শুধু তাই নয়, খবরের কাগজ ও ম্যাগাজিনের মতো অন্যান্য প্রচারমাধ্যমেও এ সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য অ্যাপলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অ্যাপলের মামলায় স্যামসাংয়ের সুনাম যে ক্ষতির মুখে পড়েছে সেটি পুরণ করতেই বৃটিশ আদালত ওই আদেশ দিয়েছে।

তবে এ বিষয়ে এখনও মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য এ রায়ের পর ডিজাইন নকল করার দাবি অ্যাপল যেন আর করতে না পারে, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানায় স্যামসাং। স্যামসাংয়ের এ দাবি নাকচ করে আদালত জানায়, আদালত ‘ভুল’ রায় দিয়েছে এমন মতামত অ্যাপল কর্তৃপক্ষের থাকতেই পারে।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/

শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

বছরে ৩২০ টন স্বর্ণ যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে!

বছরে ৩২০ টন স্বর্ণ যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে!

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে ৩২০ টন সোনা, যার বাজার মূল্য ১ হাজার কোটি বৃটিশ পাউন্ডেরও বেশি। আর এই সোনার সামান্যই আবার আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে। বিস্ময়কর এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ঘানার আক্রায় ই-ওয়েস্ট একাডেমির মিটিংয়ে। খবর অরেঞ্জ নিউজের।

ই-ওয়েস্ট একাডেমির মিটিংয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতি বছর ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তৈরিতে যে পরিমাণ সোনা ব্যবহার করা হচ্ছে, তার শতকরা ৮৫ শতাংশই হারিয়ে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে। এর মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশ পুনরায় আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে। টেকনোলজি কোম্পানিগুলো সোনার পাশাপাশি প্রতিবছর ব্যবহার করছে ৭ হাজার ৫০০ টন রুপা।

বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, বর্তমানে পৃথিবীর মাটির নিচের খনিগুলোতে যে পরিমাণ মূল্যবান আকরিক ধাতু রয়েছে, তার চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বেশি ধাতু রয়েছে ইলেকট্রিক গ্যাজেট ওয়েস্টে। গত বছরে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩২০ টন সোনা যা পুরো পৃথিবীর সোনার যোগানের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

এ ব্যাপারে গ্লোবাল ই-সাসটেইনেবিলিটি ইনিসিয়েটিভ-এর চেয়ারম্যান লুইস নেভস বলেন, ‘ভোক্তারা স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারের মতো হাইটেক ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের সুবিধা বহাল রাখতে চাইলে ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থ রিসাইকেল করে মূল্যবান ধাতুগুলো সংগ্রহ করার একটি পদ্ধতি দাঁড় করানো জরুরি হয়ে পড়েছে।’