শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১২

আইফোন ফাইভে ইন-সেল প্রযুক্তি!

আইফোন ফাইভে ইন-সেল প্রযুক্তি!

আইফোনের পরবর্তী মডেলের স্ক্রিনটি আরো পাতলা করতে অ্যাপল ব্যবহার করবে ইন-সেল প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন তৈরিতে একাধিক কোম্পানি কাজ করছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

একাধিক গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, বর্তমানে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন তৈরিতে কাজ করছে তিনটি কোম্পানি- শার্প, এলজি এবং জাপান ডিসপ্লে। আর আইফোন ফাইভ নিয়ে গুজবগুলোর একটি হচ্ছে আইফোন ফোর-এর ৪ ইঞ্চি স্ক্রিনের তুলনায় বড় হবে আইফোন ফাইভের স্ক্রিন।

ইন-সেল টেকনোলজিতে এলসিডি স্ক্রিনের মধ্যেই টাচ স্ক্রিনের সেন্সর বসানো থাকবে, ফলে নতুন আইফোনের স্ক্রিনটি হবে আরো পাতলা।

তবে আইফোন ফাইভ নিয়ে এরকম গুজব নতুন নয়। নতুন আইফোনের স্ক্রিন আরো বড় হবে কিনা বা আরো পাতলা হবে কিনা, এ ব্যাপারগুলো বরাবরের মতো এখনও গোপন রেখেছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

স্কাইপ থাকছে অফিস ২০১৩ স্যুটে

স্কাইপ থাকছে অফিস ২০১৩ স্যুটে

মাইক্রোসফট অফিসের নতুন ভার্সনে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট এবং আউটলুক ছাড়াও নতুন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে যোগ হচ্ছে স্কাইপ, ইয়ামার এবং ক্লাউড কানেক্টিভিটি। মূলত ট্যাবলেট পিসির টাচ স্ক্রিনে ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি হলেও ল্যাপটপ ও ডেস্কটপসহ সবধরনের কম্পিউটারে ব্যবহার করা যাবে অফিস-এর এ ভার্সনটি। খবর এবিসি নিউজ-এর।

১৬ জুলাই স্যান ফ্রান্সিসকোতে এক কনফারেন্সে অফিস ২০১৩-এর প্রিভিউ দেখায় মাইক্রোসফট। এ ব্যাপারে মাইক্রোসফট সিইও স্টিভ বলমার বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফট অফিসের সবচেয়ে উচ্চাকাক্সক্ষী ভার্সন হতে যাচ্ছে এটি।’

সব ধরণের কম্পিউটারে ব্যবহার করার উপযোগী হলেও মূলত ট্যাবলেট কম্পিউটারে ব্যবহারের ব্যাপারটি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩। নতুন ফিচারগুলোর কয়েকটি নিয়ে বিস্তারিত জানান বলমার। এর মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট আউটলুক ব্যবহার করে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং-এর সুবিধা এবং পাওয়ার পয়েন্টের প্রেজেন্টার প্রিভিউ। যার মাধ্যমে প্রেজেন্টেশনের সময় প্রেজেন্টার তার নোটগুলো দেখে নিতে পারবেন বড় পর্দায় না দেখিয়েই।

নতুন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে হিসেবে অফিসে যোগ হচ্ছে স্কাইপ এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সোশাল নেটওয়ার্ক ইয়ামার। তবে নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ক্লাউড কানেক্টিভিটি। ফলে মাইক্রোসফটের অনলাইন স্টোরেজ স্পেস স্কাইড্রাইভ ব্যবহার করে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো নামিয়ে নিতে পারবেন ব্যবহারকারী। এআরএম প্রসেসরের জন্য বিশেষভাবে তৈরি উইন্ডোজ আরটিতেও চলবে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩।

স্যান ফ্রান্সিকোতে অফিস ২০১৩-এর প্রিভিউ দেখালেও কবে বাজারে আসবে তা এখনও জানায়নি মাইক্রোসফট। এ বছরের অক্টোবর মাসেই উইন্ডোজ ৮-এর সঙ্গে একই সময়ে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে মাইক্রোসফট অফিসের নতুন এ ভার্সনটি।


মেয়েদের জন্য মেয়েদের বানানো স্মার্টঘড়ি

মেয়েদের জন্য মেয়েদের বানানো স্মার্টঘড়ি

বিশেষভাবে মেয়েদের জন্য তৈরি ঘড়ি তৈরি করেছেন শেরিল কেলোন্ড এবং সিলভিয়া মারিনো নামে দুই নারী। তাদের মতে, বর্তমান বাজারে মেয়েদের জন্য যেসব গ্যাজেট রয়েছে সেগুলোর চেয়ে সুবিধাজনক এবং ব্যবহারযোগ্য গ্যাজেট এটি। খবর এবিসি নিউজ-এর।

বাজারে সহজলভ্য জিপিএস ডিভাইসের সাহায্যে যেকোনো জায়গা বা স্থান নির্ধারণ বেশ সময়সাপেক্ষ। এ ছাড়াও মেয়েদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফিচার প্যানিক বাটনও এসব ডিভাইসে থাকে না। প্যানিক বাটনের সাহায্যে একা চলাফেরার সময় কোনো সমস্যা হলে সাহায্যের জন্য কোনো বন্ধু বা ভালোবাসার মানুষের কাছে সংকেত পাঠানো যায়।

কেলোন্ড বলেন, ‘ঘড়িটির সঙ্গে যুক্ত প্যানিক বাটনটি এটিকে অন্যান্য গ্যাজেট থেকে আলাদা করেছে। আমরা অনেক মেয়ের সঙ্গে তাদের সারাদিনের রুটিন নিয়ে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, কাজে যাবার আগে বাইরে দৌঁড়াতে পছন্দ করলেও অন্ধকারে বাইরে বের হবার ক্ষেত্রে স্বামী বা মা চিন্তিত থাকেন।’

মেয়েদের এসব সমস্যা সমাধানে বানানো ঘড়িটি আকারে শুধু ছোটোই নয়, এটি বানানো হয়েছে মেয়েদের প্রিয় গোলাপি রঙে এবং এর নিয়োপ্রেন ব্যান্ডটি হাতে অস্বস্তি আনে না। এ ঘড়িটির মাধ্যমে অন্যান্য ফিটনেস গ্যাজেটের মতো হার্টবিট, ক্যালরি খরচের পরিমাণ এবং কতোটুকু দূরত্ব অতিক্রম করা হয়েছে, তা মাপা যাবে।

কেলোন্ড আরো জানান, ছেলেদের জন্যও একই ধরনের ঘড়ি শীঘ্রই বাজারে আসবে।


লেগো দিয়ে তৈরি হলো রোলস-রয়েস ইঞ্জিন

লেগো দিয়ে তৈরি হলো রোলস-রয়েস ইঞ্জিন

বাচ্চাদের খেলার লেগো দিয়ে তৈরি হলো বোয়িং ৭৮৭-এ ব্যবহৃত রোলস-রয়েস ট্রেন্ট-১০০০ জেট ইঞ্জিনের হুবহু নকল বা রেপ্লিকা। রোলস-রয়েস ইঞ্জিনটির আদলে রেপ্লিকাটি বানিয়েছেন পেশাদারী লেগো নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্রাইট ব্রিকস। খবর বিবিসির।

তরুণদের ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় উৎসাহী করার জন্য রেপ্লিকা ইঞ্জিনটি বানিয়েছেন তারা। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, রোলস-রয়েস ইঞ্জিনটির রেপ্লিকা বানাবার বুদ্ধিটি তারা পেয়েছিলেন ৫ বছর বয়সি এক শিশুর কাছ থেকে।

এ ব্যাপারে রোলস-রয়েসের ব্র্যান্ড ম্যানেজার সারাহ মার্টিন বলেন, ‘বাবার সহযোগিতা নিয়ে লেগো দিয়েই ছোট্ট একটি রোলস রয়েস ইঞ্জিনের রেপ্লিকা বানয়েছিলো শিশুটি। আর রেপ্লিকাটি পাঠিয়ে দিয়েছিলো আমাদের কাছে। সেখান থেকেই আইডিয়াটি পাই আমরা।’

রোলস-রয়েস ট্রেন্ট ১০০০ জেট ইঞ্জিনটি ব্যবহার করা হয় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার অ্যারোপ্লেনে। লেগো দিয়ে বানানো রেপ্লিকা ইঞ্জিনটি লম্বায় প্রায় সাড়ে ছয় ফিট। ১৬০টি ভিন্ন ইঞ্জিন কম্পোনেন্ট তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৫৫টি লেগো ব্রিক।

ব্রাইট ব্রিকসের চারজন লেগো বিল্ডার ৮ সপ্তাহে শেষ করেছেন রেপ্লিকাটি তৈরির কাজ। আর হুবহু আসলটির মতোই দেখতে হয়েছে ইঞ্জিনটি।




বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

শব্দ দিয়েই নেভানো যাবে আগুন!

শব্দ দিয়েই নেভানো যাবে আগুন!

শব্দ ব্যবহার করে আগুন নেভানোর অভিনব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রোজেক্ট এজেন্সি (ডারপা)-র বিজ্ঞানীরা। দ্রুত আগুন নেভানোর নতুন কোনো উপায়ের খোঁজে ২০০৮ সালে ইনস্ট্যান্ট ফায়ার সাপ্রেশন প্রোগ্রাম-এর আওতায় গবেষণা শুরু করেছিলেন ডারপার বিজ্ঞানীরা। তারই সূত্র ধরে শব্দ ব্যবহার করে আগুন নেভানোর নতুন প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেছেন তারা। খবর বিবিসির।

প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করতে যেয়ে ডারপা বিজ্ঞানীরা পুরো ব্যপারটিকে বিবেচনা করেন রসায়নবিদ্যার বদলে পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে। গবেষণায় স্পিকারের নির্দিষ্ট কিছু ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে আগুন নেভাতে সফল হন তারা।

ডারপার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞানীরা জানান, ‘স্পিকারের শব্দতরঙ্গ বাতাসের গতি বাড়িয়ে দেয়। ফলে পাতলা হয়ে যায় আগুনের চারপাশের বাতাসের ঘনত্ব। এতে প্রয়োজনীয় বাতাসের অভাবে নিভে যায় আগুন।’

প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে ল্যাবরেটরিতে আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও, মাঠ পর্যায়ে এই প্রযুক্তি কতোটা সফল হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে প্রযুক্তিটি নিয়ে আরো গবেষণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী একটি পন্থা খুঁজে পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন তারা।