বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১২

এসিএম-আইসিপিসি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডিসেম্বরে

এসিএম-আইসিপিসি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডিসেম্বরে

এশিয়া অঞ্চলের (ঢাকা সাইট) আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ কম্পিউটিং মেশিনারিজ-ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট-২০১২ (এসিএম-আইসিপিসি) ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে হবে। প্রতিযোগিতাটির এবারের আয়োজক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

এ বিষয়ে সম্প্রতি ‘মিট দি প্রেস’-এ প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পরিচালক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পরিচালক (বিচারক) শাহরিয়ার মনজুর, এসিএম কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক আবুল এল হক এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক নাদিও বিন আলী।

এসিএম-আইসিপিসি ২০১২ (ঢাকা অঞ্চল)-এ এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দল অংশগ্রহণ করবে। এসিএম-আইসিপিসি দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দল অংশগ্রহণ করে এবং সেখান থেকে বিজয়ী দল মূল পর্বে ‘ওয়ার্ল্ড ফাইনালে’ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশে এই প্রথম আন্তজার্তিক ভেন্যুতে ঢাকা আঞ্চলিক কম্পিউটিং ইভেন্ট এসিএম-আইসিপিসি ২০১২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ ইউনিভার্সিটিতে ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ২০১৩ এর মূলপর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।

প্রতিযোগিতার প্রিলিমিনারি রাউন্ড হবে অনলাইনে। প্রিলিমিনারী রাউন্ডের রেজিস্ট্রেশন চলবে ৭ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রতিযোগিতায় ভারত, চীন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মালয়েশিয়া থেকে বিভিন্ন দল অংশ নিবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এতো বড় পরিসরে এ প্রতিযোগিতা হচ্ছে।

এসিএম-আইসিপিসি ঢাকা রিজিওনাল ২০১২ সালের বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির শাহরিয়ার মনজুর এবং মুক্ত সফটওয়ার লিমিটেডের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।

প্রতিযোগিতার তথ্য পাওয়া যাবে
http://www.daffodilvarsity.edu.bd/icpcdhaka2012 ওয়েবসাইটে।

বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

ড্রাইভিংয়ের সময় মেসেজিং ঠেকাবে অ্যাপ

ড্রাইভিংয়ের সময় মেসেজিং ঠেকাবে অ্যাপ

গাড়ি চালানোর সময় চালকের মোবাইল ফোনের টেক্সট মেসেজ ব্যবহার ঠেকাতে নতুন অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েছে ১১ বছর বয়সি সফটওয়্যার ডেভেলপার ভিক্টোরিয়া ওয়াকার। এটিঅ্যান্ডটির ‘ইট ক্যান ওয়েট’ কনটেস্টে পুরস্কার জিতে নিয়েছে ‘রোড ডগ’ নামের অ্যাপ্লিকেশনটি। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

ড্রাইভিংয়ের সময় চালককে টেক্সট মেসেজ করা থেকে বিরত রাখবে এমন একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রতিযোগিতা ‘ইট ক্যান ওয়েট’ আয়োজন করেছিলো এটিঅ্যান্ডটি। ওই প্রতিযোগিতায় ২০ হাজার ডলারের পুরস্কার জিতে নিয়েছে ভিক্টোরিয়া ওয়াকারের রোড ডগ অ্যাপ্লিকেশনটি।

চালক গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে টেক্সট মেসেজ করতে গেলেই চালু হয়ে যাবে রোড ডগ অ্যাপ্লিকেশনটি। চালক মোবাইল ফোনটি হাত থেকে নামিয়ে না রাখা পর্যন্ত কর্কশ সুরে ‘ঘেউ ঘেউ’ আওয়াজ করতেই থাকবে অ্যাপ্লিকেশনটি।

এছাড়া বন্ধুদের মধ্যে দলবদ্ধভাবেও ব্যবহার করা যাবে সফটওয়্যারটি। গাড়ি চালানোর সময় টেক্সট মেসেজ করছে বন্ধুদের কেউ, এমন সন্দেহ হলেই ওই বন্ধুকে ঠেকাবার জন্য ‘রোড ডগ’ অ্যাপটিকে নির্দেশ দিতে পারবে অন্য বন্ধুরা।

অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলবে রোড ডগ। এ বছরের শেষদিকে বাজারে আসবে অ্যাপ্লিকেশনটি।

২০৩০ সালের মধ্যে কমবে ক্যান্সারে মৃত্যু

২০৩০ সালের মধ্যে কমবে ক্যান্সারে মৃত্যু

২০৩০ সালের মধ্যে নাটকীয়ভাবে হ্রাস পাবে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর হার। আগামী দু’দশকের মধ্যে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর হার কমার পেছনে কারণ হিসেবে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাস এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতিকে চিহ্নিত করেছেন ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের গবেষকরা। খবর বিবিসির।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কমে আসবে ফুসফুস, বাওয়েল, ব্রেস্ট এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারে মৃত্যুর হার। গবেষকদের মতে, সবচেয়ে বেশি বা প্রায় ৪৩ শতাংশ কমবে ওভারিয়ান ক্যান্সারে মৃত্যুর হার।

এ ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের প্রফেসর পিটার সাসিয়েনি বলেন, ‘আমাদের হিসেব অনুযায়ী, আগামী কয়েক দশকে নাটকীয়ভাবে কমে আসবে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর হার।’

তবে এই সময়ের মধ্যে পাকস্থলী এবং মুখের ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর হার আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আপডেট আনলো মাইক্রোসফট

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আপডেট আনলো মাইক্রোসফট

ওয়েবব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁত সাময়িকভাবে ঠিক করতে সফটওয়ার আপডেট ইস্যু করেছে মাইক্রোসফট। ব্যবহারকারী পিসিতে ‘পয়জন আইভি’ ট্রোজান ভাইরাস ইনস্টল করতে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের বাগটি ব্যবহার করছিলো সাইবার ক্রিমিনালরা। খবর বিবিসির।

পয়জন আইভি দিয়ে চাইলেই ব্যবহারকারীর পিসির গোপন সব তথ্য চুরি করতে এবং পুরো পিসির নিয়ন্ত্রণ দখল করে নিতে পারবে একজন হ্যাকার।

এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ সফটওয়্যার আপডেটটি নিয়ে জানায়, ‘এটা খুবই সহজ, ওয়ান ক্লিক সলিউশন। তবে কম্পিউটারের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এটি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যাবে না।’

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ছাড়া ওয়েব ব্রাউজারটির সবগুলো ভার্সনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছে ‘জিরো-ডে’ সমস্যা। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুঁতটি আবিষ্কার করেন লুক্সেবার্গ ভিত্তিক সিকিউরিটি এক্সপার্ট এরিক রোমাং।

শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

৪ বছরেই গলবে আর্কটিক বরফ!

৪ বছরেই গলবে আর্কটিক বরফ!

২০১৬ সালের মধ্যে গলে যাবে আর্কটিক বরফ, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আর্কটিক কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ প্রফেসর পিটার ওয়াডহাম। এই বিজ্ঞানীর আশঙ্কা সত্যি হলে, পৃথিবীর বুকে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। খবর গার্ডিয়ান-এর।

দীর্ঘদিন যাবত মেরুঅঞ্চলের বরফের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে গবেষণা করছেন প্রফেসর ওয়াডহাম। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আর্কটিক বিশেষজ্ঞদের একজন হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। ২০০৭ সালে গ্রীষ্মকালে সামুদ্রিক বরফে ভাঙ্গনের ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন তিনি।

বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে প্রতিবছর কমতে থাকা মেরুর বরফ গলা ঠেকাতে যতো দ্রুত সম্ভব, নতুন পদক্ষেপ নেবার আবেদন জানিয়েছেন প্রফেসর ওয়াডহাম। গার্ডিয়ানকে পাঠানো এক ইমেইলে প্রফেসর ওয়াডহাম বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এখন এমন এক বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, এর বিরুপ প্রভাব ঠেকাতে কয়েক দশক ধরে ধীরে ধীরে কাজ করার মতো সুযোগ আর নেই। এখন শুধু কার্বন ডাই-অক্সাইডের নির্গমনের হার নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে না, বৈশ্বিক উষ্ণতা ঠেকাতে আমরা যে জিওইঞ্জিনিয়ারিং আইডিয়াগুলো দিয়েছি, সেগুলোও কাজে লাগাতে হবে।’

প্রফেসর ওয়াডহামের প্রস্তাবিত আইডিয়াগুলোর মধ্যে আছে সূর্যের আলো মহাকাশে প্রতিফলিত করা, মেঘ আরো সাদা করা এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, এমন মিনারেল সমুদ্রে ছড়িয়ে দেয়া।

২০১২ সালের আগ পর্যন্ত মেরুঅঞ্চলে গ্রীষ্মকালে রেকর্ড করা সবচেয়ে কম সামুদ্রিক বরফের পরিমান ছিলো ৪১ দশমিক ৭ লাখ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু এ বছর আর্কটিক বরফের আকার কমে ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটারে নেমে এসছে। প্রফেসর ওয়াডহাম আশঙ্কা করছেন, ২০১৫-১৬ সালের মধ্যে আর্কটিক অঞ্চলের সামুদ্রিক বরফ সম্পূর্ণ গলে যাবে। এমনটা হলে পৃথিবীর বুকে নেমে আসবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

আরো বিপজ্জনক ব্যাপার হচ্ছে, আর্কটিক সাগরের নিচে সমুদ্রের তলদেশে আটকা পড়ে আছে বরফ যুগের মিথেন গ্যাস। আর্কটিক সাগরের সব বরফ গলে গেলে ওই গ্যাস বেরিয়ে আসবে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা আরো বাড়িয়ে দেবে।