বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

৬০০ কোটি ছাড়ালো মোবাইল সিম সংখ্যা

৬০০ কোটি ছাড়ালো মোবাইল সিম সংখ্যা

পুরো পৃথিবীর মানুষের সংখ্যার প্রায় সমান এখন অ্যাকটিভ মোবাইল সংখ্যা। জাতিসংঘের টেলিকম এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১১ সালের শেষ দিক পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে অ্যাকটিভ মোবাইল ডিভাইসের সংখ্যা ৬০০ কোটি। খবর বিবিসির।

বিশ্বের ১৫৫টি দেশের টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থার ওপর গবেষণা চালিয়ে ‘মেজারিং দি ইনফরমেশন সোসাইটি ২০১২’ নামে প্রতিবেদনটি তৈরি করে আইটিইউ। আইটিইউ-এর হেড অফ ডেটা ডিভিশন সুসান টেলশার এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা সিমকার্ডের সংখ্যা গুনেছি; ব্যবহারকারী বা ডিভাইস নয়। তাই একজন ব্যক্তির যদি ডুয়াল সিম ব্যবহারযোগ্য মোবাইলে দু’টি সিম কার্ড থাকে তবে আমরা দু’টি সাবস্ক্রিপশন হিসেব করেছি।’

সুসান আরো জানান, আইটিইউ-এর প্রতিবেদনে যোগ করা হয়নি ট্যাবলেট পিসি এবং ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করা সিমগুলোর সংখ্যা।

ওই প্রতিবেদনে আইটিইউ আরো জানিয়েছে, উন্নত দেশগুলোতে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই হার মাত্র ২৪ শতাংশ। শুধু তাই নয়, ফিক্সড ব্রডব্যান্ড লাইনের তুলনায় মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের সংখ্যা দ্বিগুণ।

আইটিইউ-এর টেলিকমিউনিকেশন ব্যুরোর পরিচালক ব্রাহিমা সানোউ বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের সংখ্যা বাড়ায় নতুন অনেক ব্যবহারকারীর কাছেই পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট সুবিধা। তবে ব্যবহার বাড়লেও উন্নয়নশীল অনেক দেশেই মোবাইল ও ইন্টারনেটের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।’

১৪ অক্টোবর দুবাইয়ে ‘আইটিইউ টেলিকমিউনিকেশন ওয়ার্ল্ড ২০১২’ ইভেন্টে একত্রিত হবে টেলিকমিউনিকেশন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। কনফারেন্সে থাকবেন প্রায় তিনশ’ বিশ্বনেতা। এছাড়া সিসকো, ভেরাইজন, ক্যাসপারস্কি ল্যাব, হুয়াউই, কোয়ালকম এবং এরিকসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরাও থাকবেন।


সুর বদলে গান গাইতে পারে ইঁদুর!

সুর বদলে গান গাইতে পারে ইঁদুর!


কেবল চিঁ-চিঁ আওয়াজ করেই ক্ষান্ত হয়না ইঁদুররা। আল্ট্রাসনিক সুরে গাইতে পারে গান। এমনকি নিজের গলার সুরও বদলে ফেলতে পারে ওরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ইঁদুরদের এই গানের প্রতিভা আবিষ্কার করেছেন নিউরোবায়োলজিস্টরা। খবর লাইভসায়েন্স-এর।


নতুন নতুন সুর শিখতে পারে, মানুষ ছাড়া প্রাণীজগতে এমন প্রাণীর সংখ্যা হাতে গোনা। এতোদিন কেবল ডলফিন এবং তোতা পাখির মতো কিছু গায়ক পাখির নতুন সুর শিখতে পারার ক্ষমতার কথা জানা ছিলো বিজ্ঞানীদের। কিন্তু ইঁদুরদের মধ্যেও একই প্রতিভা আবিষ্কার করে বেশ অবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

লাইভসায়েন্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডিউক ইউনিভার্সিটির নিউরোবায়োলজিস্ট ড. এরিক জারভিস বলেন, ‘ইঁদুরদের মধ্যে গলার আওয়াজ আওয়াজ ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপনের উপায়টি আমরা যতোটা আদিম ভেবেছিলাম, আদতে তা নয়। বরং মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে ওদের।’

ইঁদুরদের এই গানের প্রতিভা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে নানা পরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। প্রথমে তারা কয়েকটি ইঁদুরের কণ্ঠনালীর মাংশপেশী নিয়ন্ত্রণকারী মস্তিষ্কের মোটর কন্ট্রোল সিস্টেমটি নষ্ট করে দেন। তারপর তারা দেখেন, আগের মতো আর গান গাইতে পারছে না ইঁদুরগুলো।

এরপর তারা দু’টি সুস্থ পুরুষ ইঁদুরকে মেয়ে ইঁদুরদের সঙ্গে একই খাঁচায় রাখেন। মেয়ে ইঁদুরদের আকৃষ্ট করতে পুরুষ ইঁদুরদের গান গাবার স্বভাব বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন আগেই। শুরুতে পুরুষ ইঁদুর দু’টির গলার স্বর ছিলো পুরো আলাদা। কিন্তু আট সপ্তাহ পর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, গলার সুর বদলে পুরুষ ইঁদুর দু’টি একই সুরে গলা মিলিয়ে গান গাইছে!

ড. জারভিস এ ঘটনার ব্যাখ্যা দেন এভাবে, ‘এক কথায় বলতে গেলে, ইঁদুর দু’টি নিজেদের গলার স্বর বদলে ফেলেছে যাতে মেয়েদের কাছে ওদের দু’জনের গলা একই শোনায়।’

ভবিষ্যতে ইঁদুরদের গানের প্রতিভার সঙ্গে জড়িত জিনগুলো নিয়ে গবেষণা করতে চান ড. জারভিস।

স্যামসাং আনছে গ্যালাক্সি এসথ্রি মিনি

স্যামসাং আনছে গ্যালাক্সি এসথ্রি মিনি

গ্যালাক্সি এসথ্রি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের মিনি ভার্সন বাজারে আনছে স্যামসাং। খবর গার্ডিয়ান-এর।

অ্যাপলের আইফোন ফাইভের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্যামসাং নিয়ে আসছে গ্যালাক্সি এসথ্রি মিনি। বৃহস্পতিবার ডিভাইসটি ইউরোপের বাজারে ছাড়বে বলে জানিয়েছে স্যামসাং।

দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামসাংয়ের হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে স্যামসাং একথা জানায়। নতুন ডিভাইসটির বাজার সম্ভাবনার কথা বলেন কোম্পানির হেড অফ মোবাইল কমিউনিকেশন জেকে শিন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপের বাজারে চার ইঞ্চি স্ক্রিনের স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক। বাজার চাহিদার প্রেক্ষিতে গ্যালাক্সি এসথ্রি মিনি ডিভাইস আনা হচ্ছে। অনেকে একে এন্ট্রি লেভেলের ডিভাইস নামেও চেনেন। আমরা একে বলছি গ্যালাক্সি এসথ্রি মিনি ডিভাইস।’

স্মার্টফোনের সবধরনের ডিভাইসের বাজার ধরতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে স্যামসাং। গত মাসে অ্যাপল আইফোন ফাইভ বাজারে ছাড়ে। তারই প্রেক্ষিতে স্যামসাং মে মাসে বাজারে নিয়ে আসা গ্যালাক্সি এসথ্রি ৪.৮ ইঞ্চি স্ক্রিনের ডিভাইসের মিনি ভার্সন বাজারে ছাড়বে বলে জানিয়েছে।

নোকিয়ার লুমিয়া সিরিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্যামসাং মাইক্রোসফটের নতুন উইন্ডোজ ফোন ৮ সিস্টেমচালিত কয়েকটি ডিভাইস বাজারে ছাড়ছে। তার মধ্যে আছে ট্যাবলেট গ্যালাক্সি নোট টু।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

৩ লাখ ৭৫ হাজার রুপী নিয়ে চম্পট বিয়ের কনে!

৩ লাখ ৭৫ হাজার রূপী নিয়ে ভেগে গেছে বিয়ের কনে। প্রায় ৫০ জন বরযাত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে কনের আর কোনো হদিস পায়নি।

ভারতের রাজস্থানে জয়পুর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দূরের বারমার শহরে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ে ঠিক করতে বরপক্ষের কাছ থেকে ওই রূপী নিয়েছিল দুই ঘটক বীর সিং ও জেথা রাম।

২৮ অগাস্টে জোধপুরের হিরাদেসার গ্রামের বাসিন্দা অর্জুনরাম ৫০ জন বরযাত্রী নিয়ে বারমারে বিয়ে করতে ওই কনের বাড়িতে গিয়ে দেখে দরজায় তালা ঝুলছে। কনে এমনকি তার পরিবারশুদ্ধ লাপাত্তা।

সারারাত অপেক্ষা করেও কারো দেখা না পেয়ে পরে সবাই বুঝতে পারে যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে।

দুই ঘটকের একজনকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বারমারে এখনো অবস্থান করছে অর্জুনরামসহ কয়েকজন গ্রামবাসী।

প্রাথমিক তদন্তে ওই কনে ও দুই ঘটক বিয়ের নামে প্রতারণাকারী একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএফ/এলকিউ/২১১৪ঘ.

রক্তে আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে হাজির হলেন মার্কিন শিল্পী

 
নিউ ইয়র্ক, অক্টোবর ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রক্ত, ঘাম ও অশ্রু দিয়ে ছবি আঁকার দাবি করেছেন অনেক শিল্পী। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ক্যাস্টিগলিয়া তা করে দেখিয়েছেন। নিজের রক্তে আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে আয়োজন করেছেন প্রদর্শনী।

ভিনসেন্ট ক্যাস্টিগলিয়ার চিত্রকর্ম নিয়ে বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে একটি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ‘পুনরুত্থান’ শিরোনামের এ প্রদর্শনী চলবে পুরো অক্টোবর জুড়ে। এতে স্থান পেয়েছে গত ১০ বছর ধরে শিল্পীর আঁকা সব চিত্রকর্ম। রঙের জায়গায় রক্ত দিয়ে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ চিত্রকর্মগুলো।

চলতি সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে ক্যাস্টিগলিয়া বলেন, ‘চিত্রকর্মের সঙ্গে সর্বোচ্চ মাত্রার আন্তরিকতা গড়ে তুলতে’ রক্ত দিয়ে চিত্র আঁকা শুরু করেন তিনি।

এর আগে এ কাজের ব্যাপারে খুব ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তবে অনেকেই রক্ত দিয়ে ছবি আঁকায় চমকে উঠেছেন।

তার চিত্রকর্মের দিকে তাকালেই কী দিয়ে সেগুলো আঁকা হয়েছে তা বোঝা যাবে বলে জানান তিনি।

জীবন ও মৃত্যুর মাঝে মানুষের মানবিকতা ও সম্প্রীতির বিষয়টি ক্যাস্টিগলিয়া তার এ চিত্রগুলোতে তুলে ধরেছেন। প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া বড় চিত্রকর্মগুলোর প্রতিটি শেষ করতে তিন মাসেরও বেশি সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাড়ে নয়শ’ থেকে ২৬ হাজার ডলারের মধ্যে তার এ চিত্রকর্মগুলোর দাম ধরা হয়েছে।