বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

হিমবাহ ধ্বংস দ্রুত করে কার্বন ডাই-অক্সাইড

হিমবাহ ধ্বংস দ্রুত করে কার্বন ডাই-অক্সাইড

মেরু অঞ্চলের হিমবাহের ভাঙনের হার আরো দ্রুত করছে কার্বন ডাই-অক্সাইড। সম্প্রতি হিমবাহের ওপর গ্রিনহাউজ গ্যাসটির প্রভাব নিয়ে গবেষণার জন্য তৈরি কম্পিউটার মডেল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ খবর জানিয়েছেন দুই এমআইটি গবেষক। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

মেরু অঞ্চলের হিমবাহের ওপর কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব নিয়ে গবেষণার জন্য কম্পিউটার মডেলটি বানিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষক প্রফেসর মার্কাস বিউহলার এবং ঝাও কুইন।

প্রথমে বিশুদ্ধ জলের হিমবাহের একটি কম্পিউটার মডেল বানান তারা। তারপর সেখানে ছোট একটি ফাটল তৈরি করে সেখানে কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়। বিউহলার ও কুইন আবিষ্কার করেন, হিমবাহের জলের কণার হাইড্রোজেন বন্ধনীগুলো ভেঙে দিচ্ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড। ফলে ক্রমশ বড় হচ্ছে ফাটলটি।

বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, হিমবাহে ২ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকলে তা শতকরা ৩৮ ভাগ দুর্বল হয়ে পড়ে।

তবে এমআইটি গবেষকদের আবিষ্কার থেকে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত টানছেন না বিজ্ঞানীরা। এমআইটি গবেষকরা তাদের কম্পিউটার মডেলটি তৈরি করেছিলেন বিশুদ্ধ বরফের হিমবাহের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু আদতে হিমবাহ কখনোই বিশুদ্ধ বরফ দিয়ে হয় না। হিমবাহ জমাট বাধার সময় এতে আটকা পড়ে ধুলো-বালি, আগ্নেয়গিরির ছাই ও পাথর, এমনকি উল্কাপিণ্ডও পাওয়া যায় হিমবাহে।

এ ছাড়াও হিমবাহে বরফের গঠন কতোটা শক্তিশালী হয়, সে তথ্যও গবেষকরা কম্পিউটার মডেলে যোগ করেননি। এ কারণে গবেষকদের কম্পিউটার মডেল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখনই কোনো উপসংহার টানতে নারাজ অনেক বিজ্ঞানী।

ঘরে ফিরলো স্পেস শাটল এনডেভার

ঘরে ফিরলো স্পেস শাটল এনডেভার

অসংখ্য মানুষের উল্লসিত চিৎকার আর ক্যামেরার ফ্ল্যাশের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে স্পেস শাটল এনডেভার ক্যালিফোর্নিয়া সায়েন্স সেন্টারে পৌঁছায় রোববার রাতে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

মহাকাশে লাখ লাখ মাইল পাড়ি দিয়ে আসার পর, পৃথিবীর মাটিতে হয়তো এনডেভারের মতো স্পেস শাটলের যাত্রা আরও নির্ঝঞ্ঝাট হতে পারতো। কিন্তু নানা বাধায় এনডেভার তার শেষ গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় ১৭ ঘণ্টা দেরি করে।

সায়েন্স সেন্টারের এক কর্মীর ভাষায়, ‘এ যেন স্বপ্ন সত্যি হবার মতো। আমরা অনেকদিন ধরে এর আসার প্রতীক্ষায় ছিলাম’। পথে মানুষের ভীড়, গাছপালা আর ল্যাম্পপোস্টের ঝামেলা সামলে আসার পর সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয়, যখন এর ক্যারিয়ারের ইঞ্জিন থেকে তেল লিক করতে শুরু করে। এনডেভারের স্থানান্তরে বাজেট ছিলো প্রায় এক কোটি ডলার, যা সায়েন্স সেন্টার আর বিভিন্ন দাতারা বহন করেছে। এজন্য রাস্তা থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে প্রায় ৪শ’ গাছ।

ইঙ্গেল উড আর লস এঞ্জেলসবাসীদের আবেগটা ছিলো অন্যরকম। তাদের ঘরের সামনে দিয়েই গিয়েছে এনডেভার।

অবসরের আগ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৭শ’ বার পৃথিবী আবর্তনকারী এ কিংবদন্তী শাটলটি অক্টোবরের ৩০ তারিখ থেকে দর্শকদের জন্য প্রদর্শিত হবে সায়েন্স সেন্টারের যাদুঘরে।


সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সাইবার আক্রমণ প্রতিহত করতে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১১ সেপ্টেম্বরের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে সাইবার আক্রমণে, জানালেন য্ক্তুরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিওন পেনেট্টা। খবর বিবিসির।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের শনাক্ত করতে ও হুমকি দ্রুত মোকাবেলার জন্য উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অপারেশন চালানোর জন্য তৈরি হচ্ছে দেশটির সাইবার স্ট্রাইক ফোর্স। আক্রমণকারীকে দ্রুত চিহ্নিত করতে ও ঠেকাতে ডেভেলপ করা হচ্ছে বিভিন্ন টুলস।

সম্প্রতি পেনেট্টা বলেন, ‘সাইবার আক্রমণের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করতে আমরা পূর্ব পদক্ষেপ নিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বিদেশি কেউ দেশটির যোগাযোগ, শিল্প বাণিজ্য ও পরিবহন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনার টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে। একটি জাতি বা আগ্রাসী চরমপন্থী দল অনলাইনে সুইচ নিয়ন্ত্রণ করে যাত্রীবাহী ট্রেন বা রাসায়নিকবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত করতে পারে। যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।’

পেনেট্টা এই ধরনের আক্রমণকে সম্ভাব্য ‘সাইবার পার্ল হারবার’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

এ ছাড়াও আক্রমণকারীরা বড় শহরগুলোর পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় আঘাত হানতে পারে বা দেশের বড় অংশের পাওয়ার গ্রিড সিস্টেম বন্ধ করে দিতে পারে। এই ধরনের সন্ত্রাসী সাইবার কার্যক্রম পুরো জাতিকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় ছোট স্কেলে সাইবার আক্রমণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বলেও জানান পেনেট্টা।

গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলোয় সাইবার আক্রমণের ফলে বিপুল ডেটা বেহাত হয়ে যায়। তারও আগে কাতার এবং সৌদি আরবের তেল কোম্পানিগুলো সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এতে প্রায় ৩০,০০০ ডিভাইস আক্রান্ত হয়েছিল।

অ্যান্ড্রয়েড ফোন ম্যালওয়ারের আখড়া: এফবিআই

অ্যান্ড্রয়েড ফোন ম্যালওয়ারের আখড়া: এফবিআই

মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি ম্যালওয়্যারের আখড়া অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনগুলো। স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং মোবাইল ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ নিয়ে তদন্তের পর এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

এফবিআইয়ের ইন্টারনেট ক্রাইম কন্ট্রোল সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিনফিশার এবং লুজফনের মতো ম্যালওয়্যারগুলোর মূল লক্ষ্যই ছিলো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন। স্মার্টফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে ইন্টারনেটে অপরাধীরা বানিয়েছে বিভিন্ন রকমের ম্যালওয়্যার। কোনোটির কাজ স্মার্টফোন অ্যাড্রেসবুকের তথ্য চুরি করা, আবার কোনোটির কাজ স্মার্টফোনটির নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয়া।

স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পাস কোড ব্যবহার এবং বিশ্বস্ত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে এফবিআই। স্মার্টফোনটিকে সব সময় আপডেট রাখা এবং জেইলব্রেকিং এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

ডিভাইসটি কেনার আগে রিভিউগুলো পড়ে নেবার কথাও বলেছে এফবিআই। আর কেনার পর ডিভাইস এনক্রিপশন আর অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করাও জরুরি। এ ছাড়াও কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড বা কেনার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

দি সুপারসনিক ম্যান: ফেলিক্স বমগার্টনার

দি সুপারসনিক ম্যান: ফেলিক্স বমগার্টনার

ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন অস্ট্রিয়ান ‘ডেয়ারডেভিল’ ফেলিক্স বমগার্টনার। ১৪ অক্টোবর মাটি থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ১০০ ফিট উপরের একটি স্পেস ক্যাপসুল থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে পড়েন বমগার্টনার। পতনের গতি ছাড়িয়ে যায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৩৩.৯ মাইল। শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে পতনের পর প্যারাসুটের সাহায্যে মাটিতে নামেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর রসওয়েলে। সবচেয়ে উচ্চতম স্কাইডাইভিংয়ে আগের রেকর্ডটি ভেঙে গড়েন নতুন রেকর্ড। সাউন্ড ব্যারিয়ার ভেঙে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক ম্যান হিসেবে। খবর বিবিসির।

ইতিহাস গড়া স্কাইডাইভিংয়ের জন্য বমগার্টনারকে পেরিয়ে আসতে হয়েছে অনেক বাধা বিপত্তি। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দীর্ঘদিন। প্রথমে স্কাইডাইভিংয়ের দিন স্থির করা হয়েছিলো ৮ অক্টোবর। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বারবার পিছিয়ে যায় বহু প্রতীক্ষিত দিনটি। শেষে ১৪ অক্টোবর জীবনের ঝুঁকি ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়েন মহাশূন্যে। পৃথিবীর মাটিতে পা দিয়ে গড়েন ইতিহাস।

কিন্তু আরেকটু হলেই শেষ মুহুর্তে বমগার্টনারকে বাতিল করতে হতো স্কাইডাইভ। কাজ করছিলো না তার স্পেস স্যুটটির হিটার। ফলে প্রতিবার নিশ্বাস ফেললেই ঘোলা হয়ে যাচ্ছিলো ভাইজরটি।

স্পেস ক্যাপসুল থেকে লাফ দেবার পর বমগার্টনার মাটিতে নেমে আসেন ৯ মিনিট ৩ সেকেন্ডে। একেবারে মাটির কাছাকাছি এসেই খুলে দেন নিজের প্যারাসুট। অবতরণের পর হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন মাটিতে, হাত দুটো আকাশ পানে ছুঁড়ে করেন বিজয় উল্লাস। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অভিনন্দন জানাতে সেখানে পৌঁছে যায় রিকভারি হেলিকপ্টার।


এর পরপরই এক প্রেস কনফারেন্সে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বমগার্টনার বলেন, ‘আমি যখন পৃথিবীর উপরে স্পেস ক্যাপসুলটিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম, নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র মনে হচ্ছিলো তখন। ভুলে গিয়েছিলাম বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার কথা। কেবল জীবন্ত পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার কথাই ভাবছিলাম বারবার।’
শুরুতেই নিজের রেড বুল স্ট্র্যাটোস টিমের সদস্য আর দর্শক, সাংবাদিকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন বমগার্টনার। পতনের শুরুতে মাথা নিচে, দু’ হাত ছড়িয়ে দিয়ে তার থাকার কথা ছিলো ডেল্টা পজিশনে। কিন্তু লাফিয়ে পড়ার পরই বায়ুমণ্ডলে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিলেন বমগার্টনার। শেষপর্যন্ত দীর্ঘদিনের বেইজ জাম্পিং এবং স্কাইডাইভিংয়ের অভিজ্ঞতাই তাকে বাঁচিয়ে দেয় মৃত্যুর হাত থেকে। নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান নিজের ওপর। ফিরে আসেন ডেল্টা পজিশনে।

কিন্তু নাটকীয়তার শুরু আরো আগেই। মিশন শুরু হবার আগেই একদম শেষ মুহূর্তের ইকুইপমেন্ট চেকে ধরা পড়ে, নষ্ট হয়ে গেছে বমগার্টনারের স্পেস স্যুটের হিটারটি। ফলে বমগার্টনার শ্বাস ফেললেই ঘোলা হয়ে যাচ্ছিলো তার ভাইজরটি। ছোট ত্রুটি মনে হলেও, ওই নষ্ট হিটারটির জন্য তার মৃত্যু হতে পারতো।


তবুও আর পিছপা হতে রাজি ছিলেন না বমগার্টনার। ঘোলাটে দৃষ্টিসীমার কারণে আছড়ে পড়তে পারতেন পৃথিবীতে। পুরো দলের সঙ্গে আলোচনা করে মিশন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ফেলিক্সের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন আরেক কিংবদন্তী মার্কিন এয়ারফোর্স কর্ণেল জো কিটেনগার। বিশ্বের উচ্চতম স্কাইডাইভিংয়ের রেকর্ডটির মালিক এতোদিন ছিলেন কিটেনগার। সেই রেকর্ডের পাঁচ দশক পর নতুন রেকর্ড গড়ে যেন গুরুর নাম রাখলেন শিষ্য ফেলিক্স।

শুরু থেকেই ফেলিক্সের সঙ্গে ছিলেন কিটেনগার। যখনই হতাশ হয়ে পড়েছেন বমগার্টনার, নিজের দক্ষতাকে  প্রশ্ন করেছেন, তখনই উৎসাহ জুগিয়েছেন কিটেনগার। দিয়েছেন সাহস ও অনুপ্রেরণা। ফেলিক্স মাটিতে অবতরণ করার পর জ্যেষ্ঠ এই কিংবদন্তী বলেন, ‘ফেলিক্স খুবই সাহসিকতার সঙ্গে কাজটি করেছে। ওর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।’


২০০৫ সালে প্রথম এই স্কাইডাইভিংয়ের কথা মাথায় আসে বমগার্টনারের। এরপর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেন তিনি। ১৪ অক্টোবর নিউ মেক্সিকোর আকাশে বাতাসের চাপ ছিলো মাত্র ২ শতাংশ। বমগার্টনারকে মহাকাশে পৌঁছে দিতে নভোচারীদের স্পেস ক্যাপসুলের ডিজাইন অনুকরণ করে বানানো হয়েছিলো একটি বিশেষ ক্যাপসুল। হিলিয়াম বেলুন ক্যাপসুলটিকে উড়িয়ে নিয়ে যায় মাটি থেকে প্রায় ২৪ মাইল উপরে। স্পেস স্যুটটিও বানানো হয়  নভোচারীদের স্পেস স্যুটের আদলে।

বমগার্টনারের এই ইতিহাস গড়া স্কাইডাইভিংয়ের বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও কিন্তু কম নয়। দ্রুতগতিতে মহাকাশ থেকে পতন সম্পর্কে নানা তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা কাজে আসবে ভবিষ্যৎ স্পেস মিশনে। মিশনে বমগার্টনারকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছিলো নাসাও।

বমগার্টনারের মিশনটি নিয়ে বিবিসি এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বানাচ্ছে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম। নভেম্বর মাসে দেখানো হতে পারে ডকুমেন্টারিটি।