বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১২

প্রথম দেখাতেই ভালো লাগার ব্যাখা দিলেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম দেখাতেই ভালো লাগার ব্যাখা দিলেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাবার পুরো ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। বিপরীত লিঙ্গের কাউকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাওয়ার পেছনের মূল ‘কালপ্রিট’ মস্তিষ্কেরই একটা অংশ। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এজন্য দায়ী, মস্তিষ্কের সামনের দিকে অবস্থিত মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্স। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

নতুন মুখ দেখার কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যে ওই ব্যক্তিটি ‘মিস্টার বা মি রাইট’ কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্সের কয়েকটি অংশ। পছন্দের মানুষটির খোঁজে মস্তিষ্কের এই চমকপ্রদ ভূমিকার ব্যাপারটি আবিষ্কার করেছেন আইরিশ বিজ্ঞানীরা।

গবেষণার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের ৭৮ জন নারী এবং ৭৩ জন পুরুষ শিক্ষার্থীকে নিয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। তাদের নিয়ে বিজ্ঞানীরা আয়োজন করেন এক স্পিড-ডেটিং ইভেন্ট। ওই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা পাঁচ মিনিট করে সময় কাটান বিপরীত লিঙ্গের প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে।

আর ইভেন্টটির আগে ৩৯ জন অংশগ্রহনকারীর ব্রেইন স্ক্যান করে ফাংশনাল এমআরআই (এফএমআইরআই) মেশিন দিয়ে মস্তিষ্কের ছবি তোলেন বিজ্ঞানীরা। এফএমআরআই মেশিন দিয়ে ছবি তোলার সময় স্বেচ্ছাসেবকদের বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের ছবি দেখিয়ে কাদের সঙ্গে ডেটে যেতে ইচ্ছুক, তা চিহ্নিত করতে বলেন বিজ্ঞানীরা।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এফএমআরআইয়ে পরীক্ষায় নেয়া স্বেচ্ছাসেবকরা ছবি দেখে যাদের পছন্দ করেছিলেন, স্পিড ডেটিং ইভেন্টে তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ ব্যক্তিকে পছন্দ করেন।

পছন্দের মানুষকে চিহ্নিত করার সঙ্গে মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্সের একটি বিশেষ অঞ্চল প্যারাসিঙ্গুলেট করটেক্সের সম্পর্ক খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। ছবির মানুষটিকে দেখে পছন্দ হলেও গাণিতিক হারে বেড়ে যাচ্ছিলো প্যারাসিঙ্গুলেট করটেক্সের কার্যক্রম।

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১২

গাড়ি চালানোয় রোবটকে হারিয়ে জিতলো মানুষ

গাড়ি চালানোয় রোবটকে হারিয়ে জিতলো মানুষ

ক্যালিফোর্নিয়ার থান্ডারহিল রেসওয়েতে রোবট আর মানুষের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক রেসে সামান্য ব্যবধানে জিতে গেলো মানুষ । খবর বিবিসির।

প্রতিযোগী রোবট গাড়িটি স্ট্যানফোর্ড  ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অটোমোটিভ রিসার্চ-এর গবেষকরা তৈরি করেন। শেলি নামের স্বয়ংক্রিয় গাড়িটি রাস্তায় নিজের অবস্থান, টায়ারের অবস্থান, এসব বুঝে ওই রাস্তায় সবচেয়ে ভাল রুটটা খুঁজে নেয়। প্রতিযোগিতায় গাড়িটির প্রতিদ্বন্দ্বী চালক ওই রুটটা খুব ভাল করেই চিনতেন। তবুও চালকবিহীন গাড়িটির সঙ্গে খুব বেশি ব্যবধান তৈরি করতে পারেননি তিনি।

গবেষকরা বলেন, তাদের প্রধান লক্ষ্য গাড়িগুলোকে এভাবেই একজন ভাল ড্রাইভারের মতো দক্ষ করে তোলা, যেন তারা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।


পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফেইসবুকে লগ ইন!

পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফেইসবুকে লগ ইন!

সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটির কারণে পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগ ইন করা যাচ্ছিলো বেশকিছু ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে। তবে হ্যাকার নিউজ ওয়েবসাইটে ফেইসবুক সিকিউরিটির ওই ফাঁকের কথা ফাঁস হবার সঙ্গে সঙ্গেই বাগটি ঠিক করে ফেলেছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

হ্যাকার নিউজ ওয়েবসাইটে একটি সার্চ স্ট্রিং পোস্ট করা হয়েছিলো। গুগলে সার্চ স্ট্রিংটি ব্যবহার করলেই সার্চ রেজাল্টে ১৩ দশমিক ২ লাখ ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের লিংক চলে আসে। ওই লিংকগুলোর মধ্যে অনেকগুলোতে ক্লিক করেই সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢোকা যাচ্ছিলো।

ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে স্ট্যাটাস আপডেট এবং নোটিফিকেশন সম্পর্কিত যে মেইলগুলো যেতো, তার অনেগুলোইতেই একটি কুইক অ্যাক্সেস লিংক দেয়া থাকতো, যেখানে ক্লিক করে সরাসরি ফেইসবুকে ঢুকতে পারতেন ব্যবহারকারীরা। বাস্তবে ওই লিংকগুলোই ফাঁস হয়ে গেছে অনলাইনে।

ফেইসবুক সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার ম্যাট জোনস জানান, ‘একমাত্র ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কাছেই ওই লিংকগুলো পাঠানো হয়। আর লিংকগুলো ব্যবহার করা যায় একবারই। সার্চ ইঞ্জিনে ওই লিংকগুলো পেতে হলে ইমেইলের কনটেন্ট অনলাইনে পোস্ট করতে হবে।’

জোনস সন্দেহ করছেন, মেইল সাইটগুলো নিজেদের আর্কাইভে থাকা মেইল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায়ই ফাঁস হয়ে গেছে লিংকগুলো।

ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, লিংকগুলো কেবল ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্টেই পাঠানো হয়েছিলো। অন্য কোথাও কখনোই ফাঁস করা হয়নি লিংকগুলো। ওই বিবৃতিতে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ আরো জানান, ‘আমরা সবসময়ই ওই লিংকগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। ফাঁস হওয়া লিংকগুলোও বন্ধ করে দিয়েছি আমরা।’

ক্যালোরি কমাতে পারে হরর মুভি!

ক্যালোরি কমাতে পারে হরর মুভি!

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, হরর ফিল্ম দেখার সময় দর্শকের শরীর থেকে একটা চকলেট বারের সমান ক্যালোরি পুড়ে যায়। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

দর্শক যখন ৯০ মিনিটের মতো এমন ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান, তখন প্রায় ১১৩ ক্যালোরি পুড়ে যায়, যা আধ ঘণ্টা হাঁটলে যে পরিমাণ ক্যালোরি ক্ষয় হবে, তার প্রায় সমান।

ক্যালোরি পোড়ানো এমন ভয়ংকর মুভিগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘দি শাইনিং’ (১৯৮০), যেটা দেখে প্রায় ১৮৪ ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব। এর পরের স্থান দখল করেছে ‘জস’, যেটা দর্শকদের ১৬১ ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম এবং তৃতীয় স্থানে আছে ‘দি একসরসিস্ট’, ১৫৮ ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম।

গবেষকরা হরর মুভি দেখার সময় দর্শকদের হার্ট বিট, অক্সিজেন নেয়া এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করার হার, এবং ওই সময় ব্যবহৃত ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি রেকর্ড করেন। তারা বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়, যখন দর্শকরা মুভি দেখতে দেখতে ভয়ে লাফ দিয়ে ওঠেন।

যারা শরীরের ক্যালোরি কমাতে ইচ্ছুক কিন্তু কোন ডায়েট বা এক্সারসাইজ করার সময় পান না, তাদের জন্য ব্যাপারটা বেশ কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দর্শককে অবশ্যই ভয় পেতে হবে।

এক অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েই শীর্ষে কিশোর প্রোগ্রামার

এক অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েই শীর্ষে কিশোর প্রোগ্রামার

পাঠকের কাছে সংবাদ সংস্থার খবরগুলোর সারসংক্ষেপ তুলে ধরার স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে অ্যাপল অ্যাপস্টোরের শীর্ষ ১০ অ্যাপের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন ব্রিটিশ কিশোর নিক ডিআলোইসিও। অ্যাপস্টোরে মুক্তি পাবার দু’ঘণ্টার মধ্যেই শীর্ষ ১০ বিক্রিত অ্যাপের তালিকার ৯ নাম্বারে জায়গা করে নেয় ডিআলোইনিওর তৈরি অ্যাপ ‘সামলি’। খবর বিবিসির।

‘সামলি’ অ্যাপটি বানাতে বেশ কিছুদিন স্কুলে যাওয়াই বন্ধ রেখেছিলেন ১৭ বছর বয়সি আলোইসিও। ইন্টারনেটে প্রকাশিত খবরগুলো সারসংক্ষেপ আকারে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে সামলি। এতে হাজার শব্দের লেখা না পড়ে সারসংক্ষেপ থেকেই মূল খবরটি জেনে নিতে পারেন পাঠক। আর সারসংক্ষেপ পড়ার পর পুরো লেখাটিও চাইলেই পড়তে পারবেন পাঠক।

ডিআলোইসিও এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা আইফোনের অন্যসব ইন্টারফেস থেকে আলাদা একটি ইন্টারফেস তৈরি করতে অনেক শ্রম দিয়েছি। কঠিন সব অ্যালগরিদমকে আমরা এক করেছি চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের সঙ্গে।’

ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০ লাখ ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে ডিআলোইসিওর সামলি। অ্যাপস্টোর থেকে বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যাচ্ছে সামলি।