সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১২

খাওয়া যাবে আইফোনের কেসিং!

খাওয়া যাবে আইফোনের কেসিং!

ফোনে কথা বলতে বলতে বেশি ক্ষুধা লেগে গেলে আইফোনটির কেসিং খেয়ে ফেললেও শরীরের কোনো ক্ষতি হবে না। জাপানি এক নির্মাতা আইফোন ফাইভের জন্য খাদ্য উপকরণ দিয়ে তৈরি ৮১ ডলারের এ কেসটি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

‘সারভাইভাল সেনবিই রাইস ক্র্যাকার আইফোন ফাইভ কেইস’ নামের কেসিংটি বাজারে ছেড়েছে টোকিওর গ্যাজেট বিক্রেতা সাইট জাপান ট্রেন্ড শপ। তারা জানিয়েছে, এটি তৈরিতে বাদামী চাল ও লবণ ব্যবহার করা হয়েছে। বাস্তবে এটি খাদ্য ও ফোন হিসেবে কাজ করবে। জরুরি প্রয়োজনে খাবারের অভাবে বিপদে পড়লে আপনি এটি কাজে লাগাতে পারবেন। শুকনো খাবারের মতোই মচমচ করে কেসিংটি খাওয়া যাবে।

জাপানি ভোক্তাবান্ধব খাবারের প্রতীক হিসেবে মোবাইলের কভারটিকে তুলে ধরেছে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইনে অর্ডার দেয়ার পর হাতে তৈরি পণ্যটি ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে মাসখানেকও লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিক্রেতা।

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১২

সফটওয়্যার গুরু ম্যাকাফি গুয়াতেমালায়

সফটওয়্যার গুরু ম্যাকাফি গুয়াতেমালায়

মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজ-এর পুলিশের তালিকায় খুনের সন্দেহভাজন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুরু জন ম্যাকাফি পালিয়ে গুয়াতেমালায় পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, গুয়াতেমালায় আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। খবর রয়টার্স-এর।

গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বেলিজ-এর পুলিশের হাত থেকে ম্যাকাফি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ একটি খুনের দায়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। আর ম্যাকাফি বলছেন, তাকে হাতে পেলে বেলিজ পুলিশ তাকে মেরে ফেলবে।

গুয়াতেমালার রাজধানী ‘গুয়াতেমালা সিটি’র পথে সোমবার তিনি ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি একটি হোটেলে ছিলেন বলে সর্বশেষ খবরে রয়টার্স জানিয়েছে।

গুয়াতেমালার সুপ্রিম কোর্ট থেকে রয়টার্সকে টেলিফোনে ম্যাকাফি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। দু’টি কারণে আমি গুয়াতেমালায় এসেছি। এই দেশটির বেলিজের সঙ্গে সীমান্ত আছে এবং বেলিজের দুর্নীতি বিষয়ে এরা বুঝবে।’

ম্যাকাফি খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি সেখানে আর ফিরে যাবেন না। তার ব্লগ www.whoismcafee.com -এ তিনি তার পলাতক অবস্থার নিয়মিত বর্ণনা দিচ্ছেন। ম্যাকাফি আশা করছেন, গুয়াতেমালায় তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় পাবেন এবং সেখান থেকে মুক্ত ও নিরাপদভাবে কথা বলতে পারবেন।

নমনীয় স্ক্রিনযুক্ত স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং

নমনীয় স্ক্রিনযুক্ত স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং

আয়ের দিক দিয়ে পৃথিবীর প্রধান টেকনোলজি কোম্পানি স্যামসাং, তাদের নতুন গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের উৎপাদন প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে আনছে। নতুন গ্যালাক্সি এস ফোর স্মার্টফোনে নমনীয় অভঙ্গুর স্ক্রিন যুক্ত করার জন্য জন্য স্যামসাং পুরোদমে কাজ করছে। খবর রয়টার্স-এর।

টেকনোলজি ব্লগ ও বিশ্লেষক সূত্রে জানা গেছে ‘প্রজেক্ট জে’ কোড নামের নতুন গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের জন্য জেকে শিন-এর নেতৃত্বে কাজ চলছে। আগামী এপ্রিলেই বাজারে আনার জন্য পুরোদমে কাজ চলছে গ্যালাক্সি এস ফোর-এর।

অভঙ্গুর স্ক্রিন ছাড়াও নতুন স্মার্টফোনটিতে থাকছে বড় ও উন্নতমানের ডিসপ্লে, শক্তিশালী কোয়াড কোর প্রসেসর ও ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এতে প্রতি ইঞ্চিতে ৪৪১ পিক্সেল থাকবে। গ্যালাক্সি এস থ্রি-র ৩০৬ পিক্সেল ও আইফোন ফাইভ-এর ৩২৬ পিক্সেলের তুলনায় এটি ভোক্তাদের নজর কাড়বে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

স্মার্টফোনের জন্য অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড (ওএলইডি) ডিসপ্লেযুক্ত নমনীয় ও অভঙ্গুর স্ক্রিন উন্নয়নে বহুদিন ধরেই সহায়তা করছে স্যামসাং। এতে মোবাইলের স্ক্রিনগুলো গ্লাসের বদলে প্লাস্টিকে তৈরি হবে, যা স্মার্টফোনের ২০ হাজার কোটি ডলারের বাজার দখলে স্যামসাংকে সাহায্য করবে বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/ওএস/এইচবি

শিশু পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ ৪৮ দেশ

শিশু পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ ৪৮ দেশ

শিশু পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালানোর জন্য ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স’ ব্যানারে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে জোটবদ্ধ হবার ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ ৪৮টি দেশ। খবর বিবিসির।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও ওই জোটে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, জাপান, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, নাইজেরিয়া, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও ইউক্রেইন।

এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের তথ্য থেকে জানা যায়, কমপক্ষে ১০ লাখ শিশু পর্নোগ্রাফির ছবি ইন্টারনেটে আছে এবং এর সঙ্গে ৫০ হাজার প্রতি বছর যোগ হচ্ছে।

শিশু পর্নোগ্রাফি প্রতিরোধে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন দেশ অভিযান চালিয়ে ডজনখানেক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেও এখনো এ বিষয়ে অনেক কিছু করতে হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

এ নেটওয়ার্কের কাজের মধ্যে রয়েছে শিশু পর্নোগ্রাফির শিকারদের নির্ধারণ ও রক্ষা করা, এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান ও আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, শিশুদের অনলাইনের বিপদ সম্পর্কে জানানো ও শিশু পর্নোগ্রাফি অনলাইন থেকে কমানো।

আগামী বছরের জানুয়ারিতে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দি হেগ-এ কার্যক্রম শুরু করছে ‘দি ইউরোপিয়ান সাইবার ক্রাইম সেন্টার’। সেখান থেকেও শুরু হবে শিশু পর্নোগ্রাফিবিরোধী অভিযান।

সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১২