মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৩

কম্পিউটার নিরাপদ রাখার আট উপায়


কম্পিউটার নিরাপদ রাখার আট উপায়

সাইবার অপরাধ, হ্যাকার, ভাইরাস এসবের কারণে প্রায়ই ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের। বিশ্বের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ এখন সমস্যাগুলো নিয়ে বিরক্ত। অনেক ব্যবহারকারীরই অজানা, ঠিক কীভাবে নিরাপদে রাখা যাবে কম্পিউটারটি। নিরাপদে কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য রয়েছে বেশ কিছু উপায়। সম্প্রতি প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকনিউজ ডেইলি এক প্রতিবেদনে নিরাপদে কম্পিউটার ব্যবহারের বিশেষ কিছু উপায় জানিয়েছে।

ব্যবহার করুন অ্যান্টিভাইরাস
কম্পিউটার নিরাপত্তার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের ব্যবহার। যদি আপনার কম্পিউটারে সফটওয়্যারটি কার্যকর থাকে, তাহলে বলা যায় কম্পিউটারের নিরাপত্তা প্রশ্নে এক ধাপ এগিয়ে আছেন আপনি। তবে অবশ্যই উচিত হবে উন্নতমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা। কারণ প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন ভাইরাস। উন্নতমানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে নিজস্ব ডেটাবেস থেকে নতুন ভাইরাসের খোঁজ নেওয়া এবং সেগুলো থেকে আপনার কম্পিউটারকে রক্ষা করা। আর তাই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি আপডেট চাইলে অবশ্যই ‘ইয়েস’ চেকবক্সে টিক দিতে ভুলবেন না।

ভিন্ন সাইটে ব্যবহার করুন আলাদা পাসওয়ার্ড
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাসওয়ার্ডের আকৃতি নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কিন্তু একই পাসওয়ার্ড সব জায়গায় ব্যবহারেই বাড়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি। এ জন্য তারা পরামর্শ দেন, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহারের। একই পাসওয়ার্ড একাধিক স্থানে ব্যবহার করলে হ্যাকার সহজেই হ্যাক করতে পারে। যদি আপনিও সব ক্ষেত্রে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, তাহলে এখনই তা কম্পিউটারের নিরাপত্তার জন্য বদলে ফেলুন।

অদৃশ্য রাখুন ব্যক্তিগত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক
স্ক্যানার কিংবা ল্যাপটপের সাহায্যে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় আপনার বাসার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক। অনেকেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তাতে অনাকাক্সিক্ষত অনুপ্রবেশ বন্ধ করে। তবে এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না নেটওয়ার্কের। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যক্তিগত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক অদৃশ্য করে রাখার। ফলে নিশ্চিত হবে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কটির পূর্ণ নিরাপত্তা।

নিরাপদ চিহ্নের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
ইন্টারনেটের এ যুগে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে অসংখ্য ওয়েবসাইট। সব সাইট নিরাপদ নাও হতে পারে। সাইটগুলোতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই হ্যাক করা হতে পারে আপনার মূল্যবান আইডি ও পাসওয়ার্ড। বিশেষজ্ঞরা জানান, বেশকিছু চিহ্ন রয়েছে নিরাপদ সাইট চেনার। নিরাপত্তা অবলম্বন করতে ব্যবহারকারীর উচিত এ চিহ্নগুলো জেনে রাখা। এ রকম একটি চিহ্ন হচ্ছে ‘এইচটিটিপিএস’, যা সাইটটি নিরাপদ বলে নিশ্চয়তা দেয়। ব্যবহারকারীরা এ রকম সাইটে প্রবেশ করলে নিরাপদে থাকবে তার কম্পিউটার।

আপডেট রাখুন জাভা
বেশ কিছুদিন আগেই জাভা সফটওয়্যারটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জাভার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা রয়েছে কম্পিউটারের। আর তাই আপডেটেড জাভা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তাদের মতে, আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করতে না পারলে জাভার ব্যবহার বন্ধ করাই শ্রেয়।

চালু রাখুন অটোমেটিক উইন্ডোজ আপডেট
মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময়ই গ্রাহকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। কিন্তু ব্যবহারকারী যদি অটোমেটিক আপডেট বন্ধ রাখেন, তাহলে মাইক্রোসফটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাজ করতে পারে না। এ জন্য অটোমেটিক উইন্ডোজ ইনস্টল আপডেট কম্পিউটারের নিরাপত্তার জন্য চালু রাখা খুবই জরুরি। ব্যবহারকারীরা ‘কন্ট্রোল প্যানেল’ থেকে ‘উইন্ডোজ আপডেট’-এ গিয়ে চালু করতে পারবেন এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ইনস্টল করুন ফায়ারওয়াল
অধিকাংশ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গেই দেওয়া থাকে ফায়ারওয়াল। ফায়ারওয়ালের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, কোনো কম্পিউটারের অনুপ্রবেশকারী সম্পর্কে এটি জানিয়ে দেয়। অপারেটিং সিস্টেমের উপর নির্ভর করে ফায়ারওয়ালের অবস্থান। উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমটিতে ফায়ারওয়াল পাওয়া যাবে কন্ট্রোল প্যানেলে। ফায়ারওয়াল চালু করে সহজেই কম্পিউটার নিরাপদে রাখতে পারবেন ব্যবহারকারী।

দূরে থাকুন পপ-আপ বিজ্ঞাপন ও অনাকাক্সিক্ষত মেইল অ্যাটাচমেন্ট থেকে
ইন্টারনেট ব্রাউজের সময় আসা পপ-আপ বিজ্ঞাপন কিংবা ইমেইলে আসা অনাকাক্সিক্ষত অ্যাটাচমেন্টে থাকতে পারে বিভিন্ন ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। এসব ম্যালওয়্যার আপনার কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়ে ক্ষতি করতে পারে।


শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৩

৩৩ হাজার বছর আগের পোষা কুকুরের জীবাশ্ম উদ্ধার


রাশিয়ার সাইবেরিয়ার একটি পাহাড়ে পাওয়া গেছে পোষ মানা সবচেয়ে পুরনো কুকুরের ফসিল। বিজ্ঞান সাময়িকী লাইভ সায়েন্স জানিয়েছে, পাওয়া নিদর্শন থেকে বিজ্ঞানীদের ধারণা এটি ৩৩,০০০ বছর আগের।



     
বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করা জীবাশ্ম থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিলো, এটি নেকড়ের হবে। সন্দেহ দূর করতে এটি নিয়ে রাশান একাডেমি অফ সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা প্রাণীটির হাড়, চোয়াল ও দাঁত নিয়ে গবেষণা করেন। ডিএনএ পরীক্ষা করার পর বিভিন্ন প্রজাতির ৭২টি কুকুর, ৩০টি নেকড়ে, চারটি উত্তর ও পশ্চিম আমেরিকার নেকড়ে এবং ৩৫টি প্রাচীন প্রজাতির সঙ্গে তুলনা করেছেন গবেষকরা। তাতে দেখা গেছে, ফসিলটি পোষা কুকুরের এবং এটি ৩৩ হাজার বছর আগের।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৪ হাজার বছর আগেও জার্মানিতে পোষা কুকুরের প্রচলন ছিলো। তখন মারা যাওয়ার পর মানুষ ও কুকুরকে একসঙ্গে সমাহিত করা হতো।  নমুনা দেখে বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি এ যাবৎকালের পাওয়া সবচেয়ে পুরনো পোষ মানানো কুকুরদের মধ্যে একটি।
গবেষণাগারে কুকুরটির দেহের গঠন সম্পর্কে গবেষণা করা হয়। এর মাথার খুলি থেকে জানা যায়, এটা নেকড়ে থেকে আলাদা। তারা দেখেছেন, এ সময়কার পোষা কুকুরের সঙ্গে এর অনেক মিল রয়েছে।
 বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ডুয়াল কোর অ্যাটম প্রসেসর আনলো ইনটেল


খবর >

ডুয়াল কোর অ্যাটম প্রসেসর আনলো ইনটেল


1 / 1
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইলেক্ট্রনিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইনটেল নতুন প্রজন্মের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য ডুয়াল কোর অ্যাটম প্রসেসর এনেছে। প্রসেসরটির কোড নাম ‘ক্লোভারট্রেইল প্লাস’। এর সিস্টেম অন চিপ (এসওসি) পূর্ববর্তী প্রজন্মের মিডফিল্ড এবং ক্লোভারট্রেইল প্রসেসরের চেয়ে লক্ষ্যণীয়ভাবে আলাদা হবে বলে জানিয়েছে জিএসএম এরিনা।

 তিনটি ভিন্ন মোড়কে চিপটি বাজারজাত করা হবে। সবচেয়ে দ্রুতগতির চিপটি হচ্ছে অ্যাটম জি২৫৮০। এর পরে রয়েছে জি ২৫৬০ এবং জি২৫২০।

নতুন ক্লোভারট্রেইল-এ বাড়তি সল্টওয়েল সিপিইউ কোর সংযুক্ত করা হয়েছে, যার মূল শক্তি  ৩২এনএম প্রসেসসিং। হাইপার থ্রেডিং পরিচালনায় থাকছে চারটি থ্রেডস। জি২৫৮০ চিপটির ক্লক স্পিড পৌঁছাবে ২.০ গিগাহার্টজে। জি২৫৬০ এবং ২৫২০-এ ক্লক স্পিড থাকবে ১.৬ গিগাহার্টজ এবং ১.২ গিগাহার্টজ। মিডফিল্ড চিপের ফলে সিপিইউ আগের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে কাজ করবে বলেও জানিয়েছে ইনটেল।
সূত্র জানিয়েছে, অ্যাপলের তৃতীয় প্রজন্মের ডিভাইস রেটিনা ডিসপ্লে আইপ্যাডে ব্যবহৃত প্রসেসরের এ৫এক্স-এর চেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে ইনটেল। দ্রুতগতির জিপিইউ ব্যবহারে পর্দার রেজুলিউশনও ১০২৪ বাই ৭৬৮ থেকে ১৯২০ বাই ১২০০ তে উন্নীত হবে।

রবিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৩

কিশোর বয়সে ধূমপানে অল্প বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকি

কিশোর বয়সে ধূমপান করলে অল্পবয়সেই হৃদরোগে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় বলে পাওয়া গেছে এক গবেষণায়। এমনকি পরবর্তীতে ধূমপান সম্পূর্ণ ছেড়ে দিলেও এ আশঙ্কা থেকেই যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

যারা কিশোর বয়সে ধূমপান শুরু করে সারাজীবন তা ধরে রাখে, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অধূমপায়ীদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বলেওজানিয়েছেন গবেষকরা।

জার্নাল অব দি আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক ডেভিড ব্যাটি বলেন, এ ঝুঁকি সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে, তবে যতো শিগগির ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দেয়া যায় ততোই মঙ্গল।

এর আগেও কমবয়সে ধূমপানের সঙ্গে ভবিষ্যতে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্ক নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। তবে মধ্যবয়সী ব্যক্তিরা কতো বেশি ধূমপান করছেন তার উপর নির্ভর করে করা এসব গবেষণা খুব বেশি নির্ভরযোগ্য নয় বলে মনে করেন গবেষকরা।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণাটিতে তরুণ বয়সীরা কী পরিমাণ ধূমপান করছেন সে উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করা হয়।

এতে ১৯১৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ম্যাসাচুসেটসের হাভার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যপরীক্ষায় ধূমপানের পরিমাণ বিষয়ে দেয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়। পরে ’৬০, ’৭০ ও ’৮০’র দশকে ওই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জরিপ চালানো হয়।

এ গবেষণায় ২৮ হাজারের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যতথ্য অন্তর্ভূক্ত করা হয় যাদের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার জন স্কুলে থাকতে ধূমপান করতেন। এসব ধূমপায়ীদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক গড়ে ৫৩ বছর বয়সের আগেই মারা যান।

হাভার্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শিক্ষাজীবনের পড়েও ধূমপান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে যারা কিশোর বয়সে ধূমপান করতেন, তবে পরবর্তীতে ছেড়ে দেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ২৯ শতাংশ।

মৃত্যুর কারণের মধ্যে ধূমপানজনিত হৃদরোগ ও ক্যান্সারই বেশি বলে জানান গবেষকরা।

বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক মাইকেল সিগেল জানান, এ গবেষণা চলার সময়ের মধ্যে যারা ধূমপান ছেড়ে দেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসতে দেখা গেছে। তবে কমলেও তা অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশিই থেকে যায়।