সমস্যা তুলে ধরা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো হলেও, যেসব কর্মচারী অন্যের ভুল ধরেন তারা এই পন্থায় নিজেদেরই ক্ষতি করতে পারেন।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই ফলাফল পাওয়া গেছে।
দেখা গেছে, নেতিবাচক মনোভাবের কর্মচারীরা সাধারণত মানসিকভাবে
বিষাদগ্রস্ত হয় আর আত্মরক্ষামূলক আচরণ করে। এবং চাকরিচ্যুত হওয়ার অভিজ্ঞতার
সম্মুখিন হয়।
“পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, যখন মানুষ বিষাদগ্রস্ত হয় তখন তারা সমস্যা তুলে
ধরতে খুব কমই পছন্দ করেন।” বলেন এই গবেষণার সহকারী রচয়ীতা মিশিগান স্টেট
ইউনিভার্সিটির ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক রাসেল জোহানসন।
তিনি আরও বলেন, “উপরন্তু, এই ধরনের মানুষরা নিজেদের কাজের মান নিয়ে
দুঃশ্চিন্তায় থাকে, সহজে সহযোগিতা এবং সাহায্য করতে চায় না। এমনকি খুবই বাজে
ব্যবহারও করে। যেমন মৌখিকভাবে অন্যকে অবনামনা করা বা অন্যের কাজ চুরি করা।”
এই গবেষণার জন্য দুই ধরনের জরিপে প্রায় ৩শ’র উপর বিভিন্ন পেশার মানুষ
যেমন- হিসাবরক্ষক, খুচরা ব্যবসায়ের কর্মচারী, উৎপাদন এবং স্বাস্থ্যকর্মী যুক্ত করা
হয়।
জোহানসন জানান, যেসব কর্মচারী নিয়মিত অন্যের ভুল ধরেন তারা
মানসিকভাবে বিষাগ্রস্ত থাকতে পারে। প্রায়ই সহকর্মীদের ভুল ধরার কারণে নিজেদের
সম্পর্কের মধ্যে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।
তিনি আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সচেতন না
থাকাটা আমাদের গবেষণার উদ্দেশ্য নয়, কারণ এটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবসময়
নেতিবাচক বিষয়ে কথা বললে একক ব্যক্তির উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।”
গবেষণাটি অনলাইনে জার্নাল অব অ্যাপলাইড সাইকোলজি’তে প্রকাশিত হয়।