রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

এরর ৫৩ বিপাকে আইফোন মালিকরা

নতুন সফটওয়্যারে আপগ্রেডের সময় অসংখ্য আইফোন ব্যবহারকারীকে ‘এরর ৫৩’ নামের একটি মেসেজ দেখানো হয়েছে। মেসেজ দেখানোর পাশাপাশি ওই আইফোনটির যাবতীয় ডেটাসহ সম্পূর্ণ ডিভাইসটিকেই ‘লক’ করে দেওয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে অ্যাপলের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এরর ৫৩ মেসেজটির মানে হচ্ছে, ঢিভাইসের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর হয় নষ্ট হয়ে গেছে নাহলে পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, অ্যাপল স্টোর বাদে তৃতীয় পক্ষ থেকে আইফোন ঠিক করানোর কারণে অথবা ভুলভাবে স্ক্রিন পরিবর্তন করায় এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আর এরর ৫৩ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে অ্যাপল জানিয়েছে, “আমরাগ্রাহকদের নিরাপত্তাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়ে থাকি এবং এরর ৫৩ হচ্ছে গ্রাহকদের ডিভাইস নিরাপদ রয়েছে কিনা সে বিষয়ে ডিজাইন করা একটি নিরাপত্তা পরীক্ষা। অ্যাপল আরও জানিয়েছে, তাদের এই নিরাপত্তা পরীক্ষায় ডিভাইসের অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর মিলছে কিনা সে বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হয়। পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়া মাত্র টাচ আইডি থেকে শুরু করে অ্যাপল পে ইউজ ডিজঅ্যাবল করে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ইলেকট্রনিক্স-রিপেয়ার সাইট আইফিক্সইট ডটকম প্রধান কাইল ওয়েইনস এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এরর ৫৩ ইতোমধ্যেই আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ বড় ধরনের একটি ইসু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে আইফোন ঠিক করালে অধিকাংশ সময়ই তারা স্ক্রিন বা হোম বাটন ঠিক করার সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বা এর ছোট কেবল পরিবর্তন করে দেয় বলেই জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এ বিষয়ে ওয়ায়েনস এর ভাষ্য হচ্ছে, শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর পরিবর্তন করার কারণে এভাবে আইফোন বন্ধ করে দেওয়াটা নিষ্ঠুর নীতি, কারণ পরিবর্তন করে যে সেন্সরগুলো ডিভাইসে দেওয়া

কৃষ্ণগহ্বরে মিটবে বিদ্যুৎ চাহিদা: হকিং


ছোট একটি কৃষ্ণ গহ্বরের বিশাল ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বিদ্যুত সরবরাহে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, এমনটাই মত দিয়েছেন অধ্যাপক স্টিফেন হকিং।

ব্রিটিশ এই পদার্থবিদ জানিয়েছেন, পর্বতাকৃতির একটি কৃষ্ণ গহ্বর থেকে যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া সম্ভব, তা পুরো মানবজাতির জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা উৎপাদনে পর্যাপ্ত।

ভালো কিছু করতে গেলে থাকে কিছু হারানোর আশঙ্কাও, হকিং-ও এ ধারণার বাইরে নন। বিশাল ক্ষমতার সঙ্গে বিশাল ঝুঁকিও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদি আমরা কৃষ্ণ গহ্বরের 'ভয়ঙ্কর' ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হই, তাহলে এটি পৃথিবীর মাঝে ডুবে যেতে পারে। এর ফলশ্রুতিতে এটি মানবজাতি, আমাদের এই গ্রহ আর ধীরে ধীরে পুরো সৌরজগতকেই নিঃশেষ করা শুরু করবে —বলেছেন ৭৪ বছর বয়ষ্ক এই তারকা পদার্থবিদ।

কৃষ্ণ গহ্ববর থেকে 'হকিং রেডিয়েশন' নিঃসরণ হয় বলে ধারণা করা হয়। স্টিফেন হকিং প্রথম এই নিঃসরণ মতবাদ ব্যক্ত করেন।

বড় কৃষ্ণ গহ্ববগুলোর চেয়ে ছোটগুলো থেকে বেশি তেজস্ক্রিয়তা নিঃসরণ হয়, যার মানে হচ্ছে তারা এগুলোর নষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়া আসলে শেষ আর এগুলো বড়গুলো থেকে অনেক দ্রুত হারে নিঃসরণ ঘটায়।

সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণ গহ্বরের উপকারিতা নিয়ে 'ভবিষ্যৎদ্রষ্টা' হিসেবে খ্যাত এই অধ্যাপক ভালোই আশাবাদী বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর। সম্প্রতি বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে সামনের ১শ' বছরের মধ্যে মানব সম্প্রদায় ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে মত দেন তিনি।

তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট করে হয়ত বলা সম্ভব নয় ঠিক কোন বছরে পৃথিবীতে এমন দুর্যোগ আসবে। তবে এই আশঙ্কা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কাছাকাছি নিশ্চিতভাবে বলতে গেলে হাজার বা দশ হাজার বছরের মধ্যে এটা হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের মহাশূন্যে আর অন্যান্য গ্রহে ছড়িয়ে পড়তে হবে, যাতে পৃথিবী দুর্যোগ আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানব সভ্যতা শেষ না হয়ে যায়। যাই হোক, অন্তত সামনের শত বছরের মধ্যে আমরা মহাশূন্যে স্বনির্ভর বসতি স্থাপন করতে পারব না, তাই এই সময়টা আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

চলে গেলেন চাঁদে অবতরণকারী ৬ষ্ঠ মানব



অ্যাপোলো ১৪ মিশনের তিনসদস্য। এডগার মিচেল (বায়ে), অ্যালান শেপার্ড (মাঝে) স্টুয়ার্ট রোসা এবং । ছবি: নাসা

অ্যাপোলো ১৪ মিশনের তিনসদস্য। এডগার মিচেল (বায়ে), অ্যালান শেপার্ড (মাঝে) স্টুয়ার্ট রোসা এবং । ছবি: নাসা


চাঁদে অবতরণকারী ষষ্ঠ মানব যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারী এডগার মিচেল মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

পরিবারের সদস্যদের বরাতে বিবিসি বলছে, তিনি ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচের হাসপাতালে মারা গেছেন।

১৯৭১ সালে অ্যাপোলো ১৪ মিশনের সদস্য হিসেবে চাঁদে যান মিচেল। চাঁদের পৃষ্ঠে তিনি নয়ঘণ্টা সময় কাটান।

চাঁদে এডগার মিচেল। ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১। ছবি: রয়টার্স

চাঁদে এডগার মিচেল। ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১। ছবি: রয়টার্স
এই নভোচারী পরবর্তী সময়ে মন এবং মনের অজ্ঞাত বিষয়াদি সম্পর্কে পড়াশোনায় নিয়োজিত হন। তিনি বলতেন, তার বিশ্বাস ভিনগ্রহবাসীরা পৃথিবী এসেছিল।

১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস মহাকাশ সংস্থা নাসা ত্যাগ করেন মিচেল।

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৬

মহাকাশে পানি দিয়ে পিং পং খেলা!

টবেলায় পিং পং বল দিয়ে খেলেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। কিন্তু কেউ যদি পানির বল দিয়ে এই পিং পং খেলার কথা বলে? না মোটেই রসিকতা নয়, সত্যিই এ কাজ করা হয়েছে। আর অনেকের কাছে 'অসাধ্য' মনে হওয়া এই কাজটি করেছেন নভোচারী স্কট কেলি।
https://youtu.be/TLbhrMCM4_0

মহাকাশে নিজের ৩০০তম দিন উদযাপনে এ কাজ করেন তিনি। প্রচলিত রাবারযুক্ত কাঠের ব্যাটের জায়গায় এক্ষেত্রে ‘সুপার-হাইড্রোফোবিক পলিকার্বনেট পিং পং প্যাডল’ ব্যবহার করেন তিনি।

অনলাইনে এ খেলার একটি ৪কে ভিডিও পোস্ট করেন কেলি। তিনি বলেন, “আমি এই প্যাডলগুলো দিয়ে ছোট একটি প্রদর্শনী করতে চেয়েছি, এগুলোকে হাইড্রোফোবিক প্যাডেল বলা হয় আর এগুলো রেইন কোটের মতো পানিকে প্রতিরোধ করে। আর স্পেস স্টেশনে এগুলোর সাহায্যে আপনি একটি পানির বল নিয়ে পিং পং খেলতে পারবেন। এটা ভালোই চমৎকার।”

নিজের ৩০০তম দিনে কয়েকটি বিজ্ঞানবিষয়ক পরীক্ষা চালান কেলি। সেদিন তিনি মহাকশের লেটুস খান বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ওয়্যারড।

এই প্যাডলগুলো কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে নাসা জানায়, পানির ফোঁটা যত ছোট হবে তা তত শক্তভাবে প্যাডেলে আঘাত করতে পারবে। কিন্তু পানির ফোঁটা যত বড় হবে তা ততই কম বল প্রয়োগ করবে, আর এট ভাঙবে না। নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়, “প্যাডলগুলোতে শক্ত পৃষ্ঠ আর আর অসিক্ত থাকার ক্ষমতার সমন্বয়ে একটি হাইড্রোফোবিক পৃষ্ঠ উৎপন্ন হয় যা শক্তিশালী প্রক্রিয়ায় পানি লেগে থাকা প্রতিরোধ করে।”