সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মহাকাশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার নতুন রূপ

‘কার্ডবোর্ড’ ছাড়াই গুগলের ভিআর হেডসেট



গুগলের নতুন ভিআর হেডসেট উন্মোচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির নতুন গ্যাজেটের কারণে ভিআর পণ্যের জগতে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে।
বহুল প্রতিক্ষিত অকুলাস-রিফট হেডসেট হাতে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন প্রযুক্তি-ভক্ত অনেকেই। এই খাতে সনি, এইচটিসি আর স্যামসাংয়ের বিনিয়োগের পরিমাণও নেহাত কম নয়।
অন্যদিকে মাইক্রোসফট কাজ করছে ‘হলোলেন্স’ হেডসেট নিয়ে। ব্যবহারকারীর বাস্তব জগতের দৃষ্টিসীমার মধ্যে থ্রিডি ছবি জুড়ে দিতে পারবে ‘হলোলেন্স’। অন্যদিকে অ্যাপলও গোপনে ভিআর প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার জন্য বিশেষজ্ঞদের দল গঠন করছে--শোনা যাচ্ছে এমনটাও।
ভিআর প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, কম্পিউটার ব্যবহারের ধরনটাই পাল্টে দিতে পারে ভিআর প্রযুক্তি। এমনকি পাল্টে যেতে পারে পারস্পারিক যোগাযোগের পন্থাও।
স্যামসাং গিয়ার ভিআর হেডসেট বিক্রি করা শুরু করেছে গেল বছর, ৯৯ ডলার দামে বিক্রি হচ্ছে হেডসেটগুলো। এর মধ্যে অবশ্য হেডসেটটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় স্মার্টফোনের দাম ধরা হয়নি। বাজারে অকুলাস রিফটের দাম ৫৯৯ ডলার। এইচটিসি ভাইভ আর প্লেস্টেশন ভিআরের দামও হবে প্রায় একই রকমেরই। এর মধ্যে ব্যবহারকারীরা কোন ডিভাইসটি বেছে নেন--এখন সেটাই দেখার বিষয় বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।
নতুন ভিআর হেডসেট ইসু নিয়ে এখন কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি গুগল

মহাকাশে পানি দিয়ে পিং পং খেলা!


মহাকাশে নিজের ৩০০তম দিন উদযাপনে এ কাজ করেন তিনি। প্রচলিত রাবারযুক্ত কাঠের ব্যাটের জায়গায় এক্ষেত্রে ‘সুপার-হাইড্রোফোবিক পলিকার্বনেট পিং পং প্যাডল’ ব্যবহার করেন তিনি।
অনলাইনে এ খেলার একটি ৪কে ভিডিও পোস্ট করেন কেলি। তিনি বলেন, “আমি এই প্যাডলগুলো দিয়ে ছোট একটি প্রদর্শনী করতে চেয়েছি, এগুলোকে হাইড্রোফোবিক প্যাডেল বলা হয় আর এগুলো রেইন কোটের মতো পানিকে প্রতিরোধ করে। আর স্পেস স্টেশনে এগুলোর সাহায্যে আপনি একটি পানির বল নিয়ে পিং পং খেলতে পারবেন। এটা ভালোই চমৎকার।”
নিজের ৩০০তম দিনে কয়েকটি বিজ্ঞানবিষয়ক পরীক্ষা চালান কেলি। সেদিন তিনি মহাকশের লেটুস খান বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ওয়্যারড।
এই প্যাডলগুলো কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে নাসা জানায়, পানির ফোঁটা যত ছোট হবে তা তত শক্তভাবে প্যাডেলে আঘাত করতে পারবে। কিন্তু পানির ফোঁটা যত বড় হবে তা ততই কম বল প্রয়োগ করবে, আর এট ভাঙবে না। নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়, “প্যাডলগুলোতে শক্ত পৃষ্ঠ আর আর অসিক্ত থাকার ক্ষমতার সমন্ব

রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

লন্ডনে যাচ্ছে গুগলের চালকবিহীন গাড়ি



অদূর ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে নিজেদের চালকবিহীন গাড়ির পরীক্ষা শুরু করতে পারে টেক জায়ান্ট গুগল।

লন্ডনে এই পরীক্ষা চালানো হলে, এটিই হতে পারে মার্কিন
 যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে চালকবিহীন গাড়ি নিয়ে চালানো প্রতিষ্ঠানটির প্রথম পরীক্ষা।

প্রস্তাবিত এই প্রকল্প নিয়ে ইতোমধ্যে লন্ডনের যোগাযোগবিষয়ক ডেপুটি মেয়র ইসাবেল ডেডরিং গুগলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।

মেয়র ইসাবেল বলেন, "এটি বড় শহরগুলোতে চলতে যাচ্ছে, তা আমরা কেন এখন পরীক্ষা শুরু করব না? গুগল জানিয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রে জোর দিচ্ছে, কিন্তু তারা অন্যান্য জায়গার বিষয়েও ভাবতে শুরু করেছে, তাই আমরা এ নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছি।"

অন্য কোনো দেশে পরীক্ষা চালাতে গুগল প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লন্ডনে এ পরীক্ষা চালানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তিকে পছন্দের সঙ্গেই দেখছে যুক্তরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, দেশটির যোগাযোগ সচিব ম্যাকলাফলিন চালকবিহীন গাড়ি চলতে সহায়তা করতে অবকাঠামো উন্নয়নে ২ কোটি পাউন্ড বরাদ্দ করার ঘোষণা দেন।

২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায়, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া আর টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে চালকবিহীন গাড়ি ১৪ লাখ মাইল পাড়ি দিয়েছে।

২০১৫ সালের জুলাইয়ে ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৪ বার দূর্ঘটনার কবলে পড়ে চালকবিহীন গাড়ি, আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই দূর্ঘটনাগুলো ঘটে চালক হিসেবে থাকা মানুষদের কারণে।

চলতি বছর জানুয়ারিতে লন্ডনের রাস্তায় প্রথমবারের মতো পরীক্ষার জন্য বানানো চালকবিহীন গাড়ি উন্মোচন করা হয়। লন্ডনের ‘গ্রিনিচ অটোমেটেড ট্রান্সপোর্ট এনভায়রনমেন্ট (গেইটওয়ে)’--এর পাশাপাশি ব্রিস্টল, কোভেন্ট্রি এবং মিল্টন কেইন্সে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে ওই গাড়ি। চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তি আর এ নিয়ে জনগণের মতামত জানতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে ৮০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড বিনিয়োগ করা হয়েছে।

চলতি বছরের জুলাই মাসে গ্রিনিচ পেনিনসুলার রাস্তায় ৭টি গাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে।

ইলেকট্রিক গাড়ির পর এখন ইলেকট্রিক প্লেন!


এবার বুঝি উলম্ব টেকঅফ এবং ল্যান্ডিংয়ে সক্ষম ইলেকট্রিক প্লেন নির্মাণ প্রকল্পের দিকে ঝুঁকছেন ইলন মাস্ক। সম্প্রতি ‘হাইপারলুপ পড’ ডিজাইন নিয়ে আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় দেওয়া এক প্রশ্নের উত্তরে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন অনলাইন পেমেন্ট সেবা পেপাল, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা আর মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স-এর এই শীর্ষ নির্বাহী।

দ্রুতগতির পরিবহন ব্যবস্থা হাইপারলুপের জন্য ‘হাইপালুপ পড’-এর ডিজাইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় হঠাৎ করেই হাজির হয়েছিলেন মাস্ক। সেই প্রতিযোগিতায় মাস্কের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয় তার পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে। আর সে প্রশ্নের উত্তরে ইলেকট্রিক প্লেন নির্মাণের ইঙ্গিত দেন তিনি।

“উল্লম্ব টেকঅফ ও ল্যান্ডিং করতে সক্ষম ইলেকট্রিক জেট নিয়ে ভাবছিলাম আমি। আমার মনে হয় আমার হাতে কাজ করার মতো কিছু আছে। ধারণাটি বেশ লোভনীয় লাগছে আমার কাছে।”--প্রশ্নের উত্তরে বলেন মাস্ক।

সিলিকন ভ্যালির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশলীদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় মাস্ককে। এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলেকট্রিক প্লেন নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। “একটা ইলেকট্রিক প্লেন কোম্পানির আইডিয়া আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। উলম্ব টেকঅফ ও ল্যান্ডিং করতে সক্ষম ইলেকট্রিক জেট প্লেন নির্মাণ করলে তা বেশ ইন্টারেস্টিং হবে। আমার মাথায় এর একটা ডিজাইনও আছে।”-- সেবার এভাবেই নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়েছিলেন মাস্ক।

মাস্কের ইলেকট্রিক জেট প্লেন এখনও ‘আইডিয়া’ পর্যায়ে থাকলেও তার ‘হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন’ প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে এটা বাস্তবে পরিণত করা সম্ভব হবে। সাধারণ মানুষ আর পুরো বিশ্ব যে নতুন কিছু চায় সেটা পরিষ্কার। আপনারাই এটা (হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন) তাদের কাছে পৌঁছে দেবেন।”