রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

ফেসবুকের ভুয়া বন্ধু!

ফেসবুকের ভুয়া বন্ধু!

ফেসবুকে নজরদারি বাড়াতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট করছে পুলিশবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ফেসবুকে অচেনা-অজানা কাউকে বন্ধু বানাবেন না। কারণ ফেসবুকে ছদ্মবেশী অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার ওপর নজরদারি করা হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এখন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বন্ধুর ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন। সিএনএন এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের একজন বিচারক গত সপ্তাহে রুল জারি করেছেন, এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে সন্দেহভাজন লোকজনের বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবে। সন্দেহভাজন লোকজনের সঙ্গে এসব সাইটে বন্ধু হতে পারবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা অন্যান্য সাইটে তাঁর পোস্ট করা কনটেন্ট আদালতে উপস্থাপন করতে পারবেন।
ডিস্ট্রিক্ট জাজ উইলিয়াম মার্টিনির যুক্তি হচ্ছে, যেহেতু সন্দেহভাজন ব্যক্তি পুলিশ অফিসারকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন এবং তখনই তিনি তাঁর অ্যাকাউন্টের ছবি বা অন্য তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের কাছে সোপর্দ করেন, তাই এ ধরনের তথ্য সংগ্রহের জন্য আলাদা করে আর সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করার দরকার নেই।
গত বছর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের হার বাড়িয়েছেন, যা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইট কর্তৃপক্ষকে সমস্যায় ফেলছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এখন গভীর সমস্যায় পড়েছে, কারণ ভুয়া অ্যাকাউন্টকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করলেই ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে আইনসম্মত সার্চের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে।
ফেসবুকের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জো সুলিভান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ছদ্মবেশী এই কার্যকলাপ ফেসবুক ব্যবহারকারীর সততাকে হুমকির মুখে ফেলবে। ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অন্যের ওপর নজরদারি করা হলে বিশ্বাস নষ্ট হবে এবং ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ব্যবহার করতে অনিরাপদ ও অস্বস্তি বোধ করবেন।’

এই নারী ফেসবুক ফ্রেন্ড হলে মুছে দিন!

এই নারী ফেসবুক ফ্রেন্ড হলে মুছে দিন!

মধু শাহের সব ফেসবুক প্রোফাইল ভুয়াঅনেকের সঙ্গে আপনার ফেসবুক বন্ধুত্ব থাকতে পারে। তবে সেই বন্ধু তালিকায় ভুয়া ফ্রেন্ড কেউ আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখুন। সম্প্রতি ফেসবুকে একজন নারীর নামে খোলা একটি ফেসবুক প্রোফাইল দ্রুত ছড়াচ্ছে। ওই ফেসবুক প্রোফাইলের নাম ‘মধু শাহ’। ওই নামে ৩৪ টির বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং সবগুলোই ভুয়া প্রোফাইল। ওই প্রোফাইলের ছবিগুলো এক হলেও স্থান ও প্রোফাইলের তথ্য ভিন্ন ভিন্ন।
ওই ভুয়া অ্যাকাউন্টটি থেকে স্প্যাম ছড়ানো ও ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে। যদি মধু শাহ নামের অপরিচিত কেউ আপনার ফেসবুক বন্ধু তালিকায় থাকে দ্রুত তাকে আনফ্রেন্ড করে দিতে পারেন।
এরকম অনেক ভুয়া প্রোফাইল ফেসবুক জুড়ে রয়েছে। ফেসবুকের যে আইডিগুলোতে ব্যবহারকারী তার নাম, পরিচয়, লিঙ্গ, ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য, কর্মক্ষেত্র, পড়াশোনার স্থানসহ কোনো কোনো ব্যক্তিগত বিষয়ে ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে, সেগুলোকে ফেক আইডি বলা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকে ভুয়া আইডি খোলা ও অন্যকে প্রতারণা করাটা ব্যবহারকারীর খারাপ দিক; এটি ফেসবুকের খারাপ দিক নয়। ভুয়া আইডির বিড়ম্বনা থেকে স্বস্তি পেতে বন্ধুত্বের অনুরোধগুলো ভালো করে যাচাই-বাছাই করে দেখা উচিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ফেসবুকে অচেনা-অজানা কাউকে বন্ধু বানাবেন না। কারণ ফেসবুকে ছদ্মবেশী অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার ওপর নজরদারি করা হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এখন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বন্ধুর ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন:

সেলফির ভালো-মন্দ


.যাঁরা নিয়মিত সেলফি তোলেন, তাঁরা নিজেদের সম্পর্কে অতিমূল্যায়ন করেন। অর্থাৎ আসলে যতটা আকর্ষণীয়, তার চেয়েও বেশি সুন্দর মনে করেন নিজেদের। কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ কথা জানিয়েছেন।
স্মার্টফোনের ক্যামেরায় নিজেই নিজের ছবি তোলার নাম সেলফি। সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমের বদৌলতে এখন এ রকম ছবির ছড়াছড়ি বিশ্বজুড়ে। নিজেদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক অন্যদের জানিয়ে দেওয়ার কাজে সেলফি খুবই কার্যকর। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকেরা সেখানকার ১৯৮ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর একটি জরিপ চালান, যাঁদের ১০০ জন নিয়মিত সেলফি তোলেন। তাঁদের সবাইকে একটি করে সেলফি তুলতে বলেন গবেষকেরা, তারপর বলেন প্রতিটি ছবিকে মূল্যায়ন করতে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করলে সেই সেলফি অন্যরা কতটা পছন্দ করবে, সেটাও জিজ্ঞেস করা হয়। ওই ১৯৮ জনের বাইরে আরও ১৭৮ জনের কাছে ছবিগুলো সম্পর্কে নিরপেক্ষ মতামত চাওয়া হয়। এতে দেখা যায়, সেলফিতে আসক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের বেশি আকর্ষণীয় মনে করেন। ছবিতে তাঁদের চেহারা অন্যদের চেয়ে পছন্দনীয় দেখায় বলে তাঁরা মত দেন।
এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল রে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সোশ্যাল সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড পারসোনালিটি সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, সেলফিপ্রিয় মানুষেরা সাধারণত নিজেদের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দেন। তাঁরা মনে করেন, সেলফিতে তাঁদের বেশি আকর্ষণীয় দেখায়—অন্য কারও তুলে দেওয়া ছবির চেয়ে। কিন্তু নিরপেক্ষ মতামত বলছে, এসব সেলফির চেয়ে অন্যদের তুলে দেওয়া ছবিতেই তাঁদের বেশি ভালো দেখায়।