শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

কন্ডোম ছাড়াই এক বছর নিশ্চিন্ত। পুরুষদের জন্য সুখবর

কন্ডোম ছাড়াই এক বছর নিশ্চিন্ত। পুরুষদের জন্য সুখবর!


sexমাত্র একটা ইনজেকশন। তাহলেই একবছরের জন্য কন্ডোম ব্যবহারের ঝামেলা থেকে মুক্তি।
শিকাগোর ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মিলে ‘ভ্যাসালজেল’ নামে পুরুষদের জন্য একটি বিশেষ গর্ভনিরোধক তৈরি করেছেন। তাঁদের দাবি,
একবার এই গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নিয়ে নিলেই তা পরবর্তী এক বছর কাজ করবে। অর্থাৎ পরবর্তী এক বছর কন্ডোম না পরে সঙ্গম করলেও পার্টনারের গর্ভধারণের কোনও সম্ভাবনা নেই।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু খরগোশের উপরে এই গর্ভনিরোধকটির প্রাথমিক পরীক্ষা সফল হয়েছে। গবেষক দলের প্রধান ডোনাল্ড ওয়ালার-এর দাবি, পরীক্ষায় প্রত্যাশার থেকেও বেশি ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে। শরীরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘ভ্যাসালজেল’ গর্ভনিরোধক হিসেবে দ্রুত কাজ করতে শুরু করে বলেই গবেষকরা জানিয়েছেন। খুব শিগগিরই মানুষের শরীরে এই ‘ভ্যাসালজেল’-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে।
এই পর্যায়টি সফল হলে সারা পৃথিবীর নারী-পুরুষই একটি বড় চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন। মেয়েদেরও গর্ভনিরোধক পিল খেতে হবে না। এই পিলগুলির বহু সাইড এফেক্ট রয়েছে এবং এ থেকে গর্ভাশয়ে ক্যানসারও হতে পারে। অবাঞ্ছিত গর্ভপাতের সংখ্যাও কমে যাবে।

সন্তানকে বড় করতে গিয়ে এই ৯ ভুল আপনিও করছেন নাতো

সন্তানকে বড় করতে গিয়ে এই ৯ ভুল আপনিও করছেন নাতো?

সন্তান লালন-পালনে বাবা-মায়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু অনেক বাবা-মা এ ব্যাপারটিকে জটিল করে ফেলেন। তাদের নানা ভুলের কারণে সন্তান বিপথগামী হয়ে পড়তে পারে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কয়েকটি ভুল। বিজনেস ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।
১) স্বাধীন হতে উৎসাহ না দেওয়া
সন্তানকে স্বাধীন হতে উৎসাহ দেওয়া উচিত প্রত্যেক বাবা-মায়েরই। কিন্তু তারা যদি এ কাজটি না করে বরং আবেগগতভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন তাহলে তা তাদের ওপর নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
২) বকাঝকা
শিশুকে বকাঝকা করা, শিশুর সামনে চিৎকার, চেঁচামেচি কিংবা অন্য কোনো উপায়ে রাগ প্রকাশ করেন অনেকেই। ২০১৩ সালের ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের এক গবেষণায় এ ধরনের আচরণে শিশুর নানা ধরনের ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আর এ ধরনের শিশুরা প্রায়ই আচরণগত কিংবা বিষণ্ণতাজনিত মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
৩) সংযুক্ত বনাম অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের পার্থক্য বোঝা
সন্তানের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার অর্থ এই নয় যে, আপনি তার সব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করবেন। সন্তানের সব বিষয়ে সংযুক্ত থাকার পরেও তাকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত নয়। যে বাবা-মায়েরা সন্তানকে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাদের সন্তানেরা পরবর্তীতে বিগড়ে যান এবং নানা অযাচিত কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হয়ে পড়েন।
৪) অনিয়মিত ঘুম
সন্তানের অনিয়মিত ঘুম তার আচরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ কারণে বাবা-মায়ের সর্বদা শিশুর ঘুম যেন নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময়ে হয় সেজন্য লক্ষ্য রাখা উচিত।
৫) অতিরিক্ত টিভি দেখা
যে শিশুরা তিন বছর বয়সের আগে অতিরিক্ত টিভি দেখে তারা কথা শিখতে দেরি করে। এছাড়া যে শিশুরা ছোট থাকতেই সারাক্ষণ টিভি দেখা রপ্ত করে তারা স্কুলে সমস্যায় পড়ে এবং নানা সামাজিক ও আচরণগত সমস্যায় পড়ে।
৬) স্বৈরাচারী বাবা-মায়ের সন্তান
মনোবিদ ডায়ানা বাউমরাইড ১৯৬০ সালেই জানিয়েছিলেন স্বৈরাচারি বাবা-মায়ের সন্তানেরা নানা সমস্যার মাঝে পড়েন। এ কারণে সন্তান যেন বাবা-মাকে স্বৈরাচারি মনে না করেন এ বিষয়টি পরিষ্কার করা জরুরি।
৭) অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বাবা-মা
যে বাবা-মায়েরা সন্তানের সামনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তারা নিজেদের মানসিক চাপ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেন। আর এ মানসিক চাপ তাদের সন্তানের মাঝেও সঞ্চারিত হয়। এ কারণে স্মার্টফোন ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
৮) সন্তানের সঙ্গে দূরত্ব
যে বাবা-মায়েরা সন্তানের সঙ্গে মানসিকভাবে কাছাকাছি থাকেন না তাদের ক্ষেত্রে প্রায়ই বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়। এতে সন্তান পিতা-মাতার সঙ্গে আবেগগতভাবে সংযুক্ত হতে পারে না এবং কোনো পারিবারিক বন্ধনও বোধ করে না। ফলে এ ধরনের সন্তান প্রায়ই বিপথগামী হয়ে যায়।
৯) শারীরিক শাস্তি
সন্তানকে শারীরিক শাস্তি দেওয়া কখনোই উচিত নয়। শারীরিক শাস্তি দিলে তা শিশুর মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণাতে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে

আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার জন্য ওভার পজেসিভ কিনা জানুন এই ৮ লক্ষনে

আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার জন্য ওভার পজেসিভ কিনা জানুন এই ৮ লক্ষনে

তিন বছর হয়ে গিয়েছে ঋক আর তানিয়ার সম্পর্কের। সকলের চোখে তারা বেশ স্টেডি কাপল। কিন্তু ঋকের কেমন যেন আজকাল বেসুরো ঠেকছে সব কিছু। কোথাও যেন একটা তাল কাটছে। প্রথম দিকে যা তানিয়ার ভালবাসা বলে মনে হত, এখন সেগুলোই কেমন দমবন্ধ ঠেকে। তানিয়া কি একটু বেশি পজেসিভ? আপনারও কি এমনটাই মনে হয়? জেনে নিন ৮ লক্ষণ।Signs Of An Over-Possessive Girlfriend
১। ফোন না ধরলেই কি ক্ষেপে ওঠেন উনি? সে আপনি মিটিং-এই ব্যস্ত থাকুন আর যাই হোক সব কারণই তখন তুচ্ছ।
২।আপনার কোনও মেয়ে বন্ধুকেই কি ওঁর পছন্দ নয়? যেদিন থেকে সম্পর্কে জড়িয়েছেন ধীরে ধীরে সব মেয়ে বন্ধুদেরই বিদায় জানাতে হয়েছে?
৩।পরিবারের সঙ্গে আপনি সময় কাটালেই উনি মনে করেন আপনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না?
৪।আর মেসেজের উত্তর দিতে দেরি হলে? এরপর কী হতে চলেছে ভেবেই ভয় কাঁপতে থাকেন আপনি
৫।নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে ভুলেই গেছেন। দিনের ২৪ ঘণ্টাই কি ওঁকেই সময় দিতে হয়? সে সামনসামনি হোক, ফোন বা টেক্সট যে ভাবেই হোক না কেন।
৬।সব সময়ই কি উনি চান আপনি সকলের সামনে ভালবাসা প্রকাশ করবেন? যাকে বলে পাবলিক ডিসপ্লে অফ অ্যাফেকশন? তাতে আপনি বিশেষ স্বচ্ছন্দ না হলেই উনি মনে করেন আপনি ভালবাসেন না?
৭।উনি কি সারাক্ষণ আপনাকে চোখে চোখে রাখতে চান? সব কিছু নিয়ে প্রশ্ন করেন? ফোন নিয়ে ঘাঁটতে থাকেন?
৮।বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালেই উনি অশান্তি শুরু করেন? বয়েজ নাইট আউটের প্ল্যান করেও শেষমেষ ওঁর সঙ্গেই ডেটে যেতে হয়?

ভালবাসার সম্পর্কে যেসব কারণে ফাটল ধরে

ভালবাসার সম্পর্কে যেসব কারণে ফাটল ধরে

সুখী ও সুন্দর একটা জীবনের জন্য একটা সুন্দর সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো সবাই নিজেদের সম্পর্কগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী করতে চায়। সম্পর্কে পরিপূর্ণতা থাকলে দীর্ঘকালের সম্পর্কে ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে না।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ভিন্ন কথা, বহুকালের সম্পর্কও ভেঙে যেতে পারে। আর এর পেছনে বিশেষ কিছু কারণ বিদ্যামান থাকে। এ সম্পর্কগুলো ভাঙার পেছনের কারণগুলো জেনে নিন।
– আর্থিক অবস্থা সম্পর্ক ভাঙনের অন্যতম কারণ হতে পারে। দাম্পত্য জীবনে একেক জনের অর্থ বিষয়ে একেক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। এতে খুব বেশি অমিল হলে ভাঙার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
– হয়ত সম্পর্কে আগেই খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে দুজনই একসঙ্গে আছেন। এভাবে বেশিদিন জীবন চালানো যায় না। এ সম্পর্ক সন্তানের জন্যে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে যেকোনো সময় বিচ্ছেদ ঘটতে পারে।
– মাঝে মাঝে অথবা একেবারেই নয়, যৌনজীবন এমন হলে সম্পর্কে ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনও এই একটিমাত্র কারণে নষ্ট হতে পারে।
– দু’জনের মাঝে যোগাযোগের অভাব থাকলে সম্পর্কে ভাঙন আসে। দৈহিক ও মানসিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে অভাব থাকলে দুজনের মাঝে দূরত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকে।
– বিবাদ বা মনের অমিল থাকবেই। এসব ক্ষেত্রে দুজনের যেকোনো একজনকে ত্যাগী হতে হয়। কিন্তু নিজের বিষয়ে অটল মনোভাব শেষ পর্যন্ত খারাপ কিছু এনে দেয়। ত্যাগ না থাকলে দীর্ঘদিনের সম্পর্কও টেকে না।
– প্রতারণা সম্পর্কের জন্যে বড় হুমকি। কেউ-ই প্রতারিত হতে চান না। গোপনে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়টি কোনোভাবে ফাঁস হলে ভাঙনের সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। আবার মানুষের জীবন যেকোনো সময় নতুন সম্পর্ক ঘটে যেতে পারে।
এমনও দেখা গেছে, দুজন এই ছাদের নিচে ২২ বছর সময় কাটিয়েছেন। এদের একজন অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণে বিচ্ছেদ ঘটে গেছে।
– মনের মিল দেখে মানুষ সম্পর্কের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন। তবে দুজন মানুষের সবকিছু মেলে না। সবাই আলাদা বৈশিষ্ট্য বহন করেন। তবে দুজনের মিলের বিষয়ে খুব বেশি অভাব থাকলেও শেষ পর্যন্ত একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না।
– খুব ভালো সম্পর্কের মাঝেই হঠাৎ করেই খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে। এমন হয় যে, সেই সমস্যা থেকে আর বেরিয়ে আসা যায় না। যেকোনো ধরনের ঘটনাই ঘটতে পারে। সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটায় এমন ঘটনা ঘটলে তার ফল শেষ পর্যন্ত ভালো হয় না।
– দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব পরিণতিতে বিচ্ছেদ ঘটায়। একের প্রতি অপরের সহমর্মিতা বা সমবেদনা না থাকা একই ফল বয়ে আনে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকে অপরের কাছে নিজেকে মূল্যহীন বলে মনে করেন। ক্রমেই সম্পর্কে বিষণ্ন হয়ে ওঠে। একসময় তা ভেঙে যায় অনায়াসে।
– এমন হয় যে যেকোনো একজন একের পর এক বড় ধরনের সমস্যা ঘটিয়ে যেতে। অপরজন দুরবস্থা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করলেও তা সফল হয় না। একতরফাভাবে কেউ ঝামেলা করতে থাকলে অপরের পক্ষে তা সামাল দেওয়া দুষ্কর। কাজেই এ সম্পর্ক ভাঙতে বাধ্য।

আপনার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী সত্যিই আপনার উপযুক্ত কি

আপনার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী সত্যিই আপনার উপযুক্ত কি?

বিবাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করা। কেননা এটা একটা জীবনের শুরু। এই শুরুটা যতটা ভালো হবে, পরের জীবনটা ঠিক ততটাই সুন্দর হবে।
আপনার হবু বর বা বউ ঠিক আপনার মনের মতো হবে কিনা তা আপনি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না। অ্যারেঞ্জে ম্যারেজের ক্ষেত্রে এই অনিশ্চয়তা আরও বেশি। সেক্ষেত্রে কোনো উপায়ে কি বুঝে নেওয়া সম্ভব আপনার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী সত্যিই আপনার উপযুক্ত কি না?
নজর না রাখলে ঠকবেন-
বিয়ে করতে চলেছেন। কিন্তু কোনো একটা অজানা কারণে মনটা খচখচ করছে। আপনার হবু বর বা বউ ঠিক আপনার মনের মতো হবে কিনা তা আপনি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না। অ্যারেঞ্জে ম্যারেজের ক্ষেত্রে এই অনিশ্চয়তা আরও বেশি। সেক্ষেত্রে কোনো উপায়ে কি বুঝে নেওয়া সম্ভব আপনার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী সত্যিই আপনার উপযুক্ত কি না? সেটা বুঝতে হলে এই কয়েকটি পরামর্শ মেনে চলতে পারেন—
১. দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন না। একটি মানুষকে চিনতে সময় লাগে। সেই সময়টা নিন। মনে রাখবেন, একসঙ্গে সময় কাটানোই পরস্পরকে চিনে নেওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায়।
২. যাকে জীবনসঙ্গী করতে চলেছেন সে কি আপনার বন্ধু‌ হতে পারে? সে কি আপনার সমস্যাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল? আপনি নিজেও কি তার সমস্যাগুলো হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারছেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি ‘না’হয় তাহলে আপনারা একে অন্যের উপযুক্ত নন।
৩. বিয়ের পরে আপনার জীবনে কিন্তু আমূল পরিবর্তন আসবে। কী ধরনের পরিবর্তন আসবে সেটা অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কাকে বিয়ে করছেন তার ওপর। যাকে আপনি বিয়ে করতে চলেছেন তাকে বিয়ের পর কী জাতীয় পরিবর্তন আসবে আপনার জীবনে? ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখুন, সেই সব পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আপনার আছে কি না? যদি না থাকে, তবে এই বিয়েতে এগোবেন না।
৪. খেয়াল রাখুন আপনার সঙ্গী আপনার জন্য কতটা আপোস করতে প্রস্তুত? আপনার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলে তাকেও অনেকটা ত্যাগ স্বীকার করতে হবে কিন্তু। সে সেইটুকু ছাড়তে প্রস্তুত তো? সে যদি মনে করে একতরফাভাবে আপনিই তার জন্যে ত্যাগ স্বীকার করে যাবেন তাহলে কিন্তু সে আপনার উপযুক্ত নয়।
শেষে এতটুকু বলা যায় দুটি হৃদয়ের মিলনের ক্ষেত্রে সর্বজনীন মানদণ্ড তো কিছু হয় না। কাজেই ওপরের ৪টি বিষয় পরামর্শমাত্র। এসবের ঊর্ধ্বে উঠে কোনো মানুষকে যদি আপনার আদর্শ জীবনসঙ্গী বলে মনে হয় তাহলে আর অপেক্ষা কীসের? তার দিকে বাড়িয়ে দিন হাত, আর ধরুণ তার হাতখানা।
যারা অভিভাবক এক্ষেত্রে তাদেরই দায়িত্বটা বেশি। কেননা হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘সন্তান জন্ম নেয়ার পর মা-বাবার দায়িত্ব হলো তার সুন্দর নাম রাখা, তাকে শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়া এবং সন্তান যখন বড় হবে, প্রপ্ত বয়স্ক হবে তখন তাকে বিবাহ দেয়া, ছেলে এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলো আর মা-বাবা তাদেরকে বিবাহ করালো না আর সে কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হলো তাহলে সন্তানের গুনাহের একটি অংশ মা-বাবার উপর বর্তাবে।’
পাত্রী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে হাদিসে নবী করিম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা চারটা গুণ দেখে পাত্রী নির্বাচন কর, ১. তার সৌন্দর্য দেখো।২.তার বংশ ও মর্যাদা দেখো।৩. তার সম্পদ আছে কি না সেটা দেখা।৪.তার দ্বীন দারি আছে কি না সেটা দেখা। আর তোমরা তার দ্বীন দারিকে প্রাধান্য দাও তাহলে তোমরা পারিবারিক জীবনে শান্তি পাবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামি বিধি-বিধান মেনে পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করার তৌফিক দান করুন। আমীন।