রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে

           
ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষার্থীবর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা জন-কায়ো ফেবিগ সম্প্রতি এ কথা বলেন।
ফেবিগ বলেন, বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। ২০২০ সাল নাগাদ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিতে। কাজের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রচলিত কাজ ছেড়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢুকছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। পাঁচ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন। এই মার্কেটপ্লেসে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেশি। দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে কাজ করছে কোডারসট্রাস্ট।
কোডারসট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর শুরুতেই প্রায় ২৫০ ডলার করে কাজ পাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সাররা।
কোডারট্রাস্ট থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাতুল রায়হান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির লারন অ্যান্ড আর্ন পাথ নামের একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে তিনি কোডিং শেখেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি আয়ত্ত করেন। কোর্স চলাকালে সময়েই তিনি ২৫০ মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পে কাজ পান। বর্তমানে তাঁর মাসিক আয় এক হাজার ডলারের বেশি।
রাতুল বলেন, দক্ষ হয়ে তারপরই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসা উচিত। এ ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর প্ল্যাটফর্ম হতে পারে কোডারসট্রাস্ট।
কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, সব সময় সহযোগিতার পাশাপাশি পুরো পেশাদার মানসিকতা তৈরি করে দিতে ও উৎসাহ দিতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ডেনমার্কভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই সময়ের মধ্যে ৫০০ জনেরও বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোডারসট্রাস্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের অনলাইন কাজ বিক্রি করতে পারেন এবং এখান থেকে শিখতেও পারেন। কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার লিংক (https://www.coderstrust.com/)। কোডারসট্রাস্টে বর্তমানে ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড, এসইও অ্যান্ড এসএমএমসহ মোট ছয়টি কোর্স চালু আছে। (বিজ্ঞপ্তি)

ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক কর্মশালা

ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক কর্মশালা

 

ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে দুই ঘণ্টার একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে সফটটেক আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বাংলামোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই কর্মশালায় ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এর আয়োজকেরা।
সফটটেক আইটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে তাদের এই কর্মশালা। এখানে ফ্রিল্যান্সিং বিষয় ছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে।

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ

           

..ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে ইশিখন ডটকম নামের একটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। ঢাকার ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকেরা এই প্রশিক্ষণ দেবেন।
ইশিখনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক যেসব কোর্স করতে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোর্স ফি প্রয়োজন হয় তা বিনা মূল্যে করানো হবে। এই কোর্সের মেয়াদ হবে তিন থেকে ৫ মাস। অনলাইন প্রশিক্ষণে লেকচারের পাশাপাশি নানা পদ্ধতিতে কাজ শেখানো হবে যা ফ্রিল্যান্সিং করতে কাজে লাগবে। ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, এসইও, ডেটা এন্ট্রির মতো যেকোনো একটি কোর্স ফি ছাড়াই করা যাবে। তবে এর জন্য অনলাইনে ৬০ নম্বরের একটি কম্পিউটার বেসিক ও ইংরেজি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। পাশ নম্বর ৩০। তবে ৪০ এর ওপরে নম্বর পেলেই কেবল বিনা মূল্যের কোর্সের জন্য আবেদন করা যাবে। যাঁরা পাশ করবে তাঁদের আবেদনফর্ম পূরণের জন্য ৩৫০ টাকা লাগবে। এ ছাড়া আর কোনো খরচ নেই। আবেদনের পর আবেদনকারীদের ইমেইলে ক্লাসে অংশ নেওয়ার পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।
ইশিখনের উদ্যোক্তারা জানান, এর আগে ইশিখন থেকে প্রায় ৫০০ নারী ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা বাড়াতে কাজ করছে ইশিখন। আবেদনের শেষ তারিখ ২৪ অক্টোবর। ইশিখনের ওয়েব ঠিকানা (http://eshikhon.com/free-course/ )থেকে আবেদন করা যাবে। (বিজ্ঞপ্তি)

ইন্টারনেটের খরচ কমাতে ভিডিওর ‘অটো প্লে’ বন্ধ রাখুন

ইন্টারনেটের খরচ কমাতে ভিডিওর ‘অটো প্লে’ বন্ধ রাখুন

            
ইন্টারনেটের ডেটা খরচ সাশ্রয়ের জন্য অনেকেই ওয়েবসাইটে ঢোকেন খুব হিসাব করে। তবে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে নিজে নিজেই (অটো প্লে) ভিডিও চালু হয়ে যায়। এখন আবার ফেসবুকের নিউজফিডে মাউস স্ক্রল করলেই বন্ধুদের দেওয়া ভিডিওগুলো চালু হয়ে যায়। কখনো কখনো এটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর ভিডিও চালু হলেই ডেটা খরচও বেড়ে যায়। ওয়েব দেখার সফটওয়্যারের (ব্রাউজার) সেটিংসে কিছু পরিবর্তন আনলে ভিডিওর স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হওয়া বন্ধ করা যায়।
ফেসবুক ভিডিও
ফেসবুকে শেয়ার করা ভিডিওতে মাউস স্ক্রল করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি চালু হয়ে যায়। এটি বন্ধ করতে চাইলে প্রথমে ফেসবুকে ঢুকুন (লগইন)। পরের ডান পাশের কোনায় তির চিহ্নে ক্লিক করে Settings নির্বাচন করুন। সেটিংস অংশে বাঁ পাশের তালিকা থেকে Videos-এ ক্লিক করুন। ভিডিও সেটিংসের Auto-Play Videos-এর ডানের কম্বো বক্স Default থেকে Off নির্বাচন করলে ফেসবুকের ভিডিও আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হবে না। এ ছাড়া অন্যান্য ওয়েবসাইটে চলা স্বয়ংক্রিয় ভিডিও বন্ধ করতে ব্রাউজারের সেটিংসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
গুগল ক্রোম
ক্রোম ব্রাউজার চালু করে অ্যাড্রেস বারে chrome://settings/content লিখে এন্টার করুন। Plugins অংশে Let me choose when to run plugin content নির্বাচন করে দিন। এবার আবারও অ্যাড্রেস বারে গিয়ে chrome://plugins লিখে এন্টার করুন। Adobe Flash Player-এর নিচের Always allowed to run-এর পাশে টিক চিহ্ন তুলে দিন।
মজিলা ফায়ারফক্স
মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার খুলে Ctrl+L চেপে অ্যাড্রেস বারে যান। এখানে about:addons লিখে এন্টার চাপুন। বাঁ দিকের তালিকার Plugins-এ ক্লিক করুন। প্লাগইনের তালিকা থেকে Shockwave Flash খুঁজে নিয়ে তার ডানের কম্বো বক্স থেকে Ask to Activate নির্বাচন করুন।
অপেরা
স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলা ভিডিও বন্ধ করতে অপেরা ব্রাউজার খুলুন। অ্যাড্রেস বারে about:config লিখে এন্টার চাপুন। এবার Preference editor থেকে Multimedia-তে ক্লিক করুন। Allow Autoplay-এর পাশের টিক চিহ্নটি দিয়ে সেভ বোতাম চাপুন।

নতুন মোবাইল ফোন

নতুন মোবাইল ফোন

জেলটা এফএইচ৬০ মডেলের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির ফিচার ফোন বাজারে এনেছে ফোনস্কাই টেলিকমিউনিকেশন। এই ফোনে রয়েছে ২.৮ ইঞ্চি পর্দা, ৩২ মেগাবাইট অভ্যন্তরীণ মেমোরি, ৩২ মেগাবাইট র্যা ম, ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত অতিরিক্ত মেমোরি যোগ করার সুবিধা এবং ২৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। এ ছাড়া রয়েছে এফএম রেডিও, ভিডিও, কল রেকর্ডার, ব্লুটুথ, টর্চ সুবিধা। সোনালি, কালো ও লাল রঙে পাওয়া যাচ্ছে এই মুঠোফোন।