বাংলাদেশের ফারুক
বিশ্বের যেকোনো স্বীকৃতির তালিকায় বাংলাদেশি কারও নাম দেখলেই মন ভরে যায় গোলাম ফারুকের। সম্প্রতি তাঁর নিজের নামের পাশেই যোগ হয়েছে এমন এক অর্জন। গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আপওয়ার্ক কিছুদিন আগে বিশ্বের সেরা ১১ জন ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক ডিজাইনারের তালিকা প্রকাশ করেছে। আগস্ট মাসের এই তালিকার ‘ইলাস্ট্রেশন ক্যাটাগরির’ দ্বিতীয় নামটিই তাঁর। এ ছাড়াও লোগো ডিজাইনার ও গ্রাফিক ডিজাইনারদের তালিকায় তাঁর অবস্থান চতুর্থ।
প্রায় ৬৫৩ ঘণ্টা কাজ করে ১২৩টি প্রজেক্ট সফলভাবে শেষ করার পর এই স্বীকৃতি পেয়েছেন ফারুক। ৩১ আগস্ট মুঠোফোনে কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। বলছিলেন, ‘সারা বিশ্বের কয়েক লাখ ফ্রিল্যান্সারের মধ্য থেকে কাজের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসে এই তালিকা প্রকাশ করে আপওয়ার্ক।’ ফারুক আপওয়ার্কে প্রতিটি কাজের জন্য বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ডলার করে ফি নিচ্ছেন। তালিকার প্রথম পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে কম ঘণ্টা কাজ করে শীর্ষে আছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিমিডিয়া ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের এই প্রভাষক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে ১৯৯৬ সালে ড্রয়িং ও পেইন্টিংয়ের ওপর স্নাতকোত্তর করেছেন। শিক্ষাজীবন শেষ করেই গ্রে গ্লোবাল গ্রুপে যোগ দেন তিনি। বছর দশেক কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে শুরু করেন পেপার রাইম নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা। ব্যস্ত পেশাজীবনকে পাশে রেখেই ২০১১ সাল থেকে চলছিল অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। ফ্রিল্যান্সিং পোর্টাল ওডেস্কে প্রথম যখন একটা কুকুরের ডিজিটাল ছবি এঁকে কাজ শুরু করলেন, তখনো জানতেন না, একদিন এই ফ্রিল্যান্সিং করেই প্রতি মাসে তাঁর অ্যাকাউন্টে যোগ হবে দেড় থেকে দুই হাজার ডলার!
প্রথমবার কুকুরের ছবি আঁকার কাজ পেয়েছিলেন আট ডলারে। তবে যিনি কাজ দিয়েছিলেন, তিনি ফারুকের ওপর খুশি হয়েই আরও ১০ ডলার উপহার দেন। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ ডলারের কাজও করেছেন গোলাম ফারুক। নানা ধরনের ইলাস্ট্রেশনে দক্ষতা আছে তাঁর। বলছিলেন, ‘ডিজিটাল পেনসিল স্কেচ, পেইন্টিং, জিআইএফ অ্যানিমেশন, টি-শার্টের নকশা, লেবেল ডিজাইনিং, লোগো ডিজাইনিং, ফটো এডিটিংসহ অনলাইনে যেসব কাজের চাহিদা বেশি, সবদিকেই কাজ করার আগ্রহ আমার।’ নিয়মিত এক ভারতীয়-মার্কিনের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, এই এক ক্লায়েন্টের জন্যই এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ডলারের কাজ করেছেন।
শুধু দেশেই নয় বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান আর অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে প্যারিস ফ্যাশন ফেয়ারে তাঁর নকশার স্টল ব্যবহার করা হয়েছিল। আর নিয়মিতই বিভিন্ন একক ও যৌথ শিল্প প্রদর্শনীতেও অংশ নেন তিনি।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য গোলাম ফারুকের পাঁচ পরামর্শ১. সততা থাকতে হবে।
২. সময়ের মধ্যে কাজ দিয়ে দেওয়ার সুনাম অর্জন করে নিতে হবে।
৩. শক্তিশালী ও দৃষ্টিনন্দন পোর্টফোলিও বানানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪. কাজ বুঝে, কাজ শিখে, তারপর অনলাইনে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে।
৫. ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি ভালো যোগাযোগের ক্ষমতা থাকতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে ১৯৯৬ সালে ড্রয়িং ও পেইন্টিংয়ের ওপর স্নাতকোত্তর করেছেন। শিক্ষাজীবন শেষ করেই গ্রে গ্লোবাল গ্রুপে যোগ দেন তিনি। বছর দশেক কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে শুরু করেন পেপার রাইম নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা। ব্যস্ত পেশাজীবনকে পাশে রেখেই ২০১১ সাল থেকে চলছিল অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। ফ্রিল্যান্সিং পোর্টাল ওডেস্কে প্রথম যখন একটা কুকুরের ডিজিটাল ছবি এঁকে কাজ শুরু করলেন, তখনো জানতেন না, একদিন এই ফ্রিল্যান্সিং করেই প্রতি মাসে তাঁর অ্যাকাউন্টে যোগ হবে দেড় থেকে দুই হাজার ডলার!
প্রথমবার কুকুরের ছবি আঁকার কাজ পেয়েছিলেন আট ডলারে। তবে যিনি কাজ দিয়েছিলেন, তিনি ফারুকের ওপর খুশি হয়েই আরও ১০ ডলার উপহার দেন। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ ডলারের কাজও করেছেন গোলাম ফারুক। নানা ধরনের ইলাস্ট্রেশনে দক্ষতা আছে তাঁর। বলছিলেন, ‘ডিজিটাল পেনসিল স্কেচ, পেইন্টিং, জিআইএফ অ্যানিমেশন, টি-শার্টের নকশা, লেবেল ডিজাইনিং, লোগো ডিজাইনিং, ফটো এডিটিংসহ অনলাইনে যেসব কাজের চাহিদা বেশি, সবদিকেই কাজ করার আগ্রহ আমার।’ নিয়মিত এক ভারতীয়-মার্কিনের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, এই এক ক্লায়েন্টের জন্যই এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ডলারের কাজ করেছেন।
শুধু দেশেই নয় বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান আর অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে প্যারিস ফ্যাশন ফেয়ারে তাঁর নকশার স্টল ব্যবহার করা হয়েছিল। আর নিয়মিতই বিভিন্ন একক ও যৌথ শিল্প প্রদর্শনীতেও অংশ নেন তিনি।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য গোলাম ফারুকের পাঁচ পরামর্শ১. সততা থাকতে হবে।
২. সময়ের মধ্যে কাজ দিয়ে দেওয়ার সুনাম অর্জন করে নিতে হবে।
৩. শক্তিশালী ও দৃষ্টিনন্দন পোর্টফোলিও বানানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪. কাজ বুঝে, কাজ শিখে, তারপর অনলাইনে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে।
৫. ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি ভালো যোগাযোগের ক্ষমতা থাকতে হবে।