ফেসবুকে যে প্রতারণা বেড়েই চলেছে
প্রতিবদেনে বলা হয়, দুর্বৃত্তদের টাকা চাওয়ার ধরন একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। কারও কাছে বান্ধবীর ভান ধরে বা কারও কাছে পরিবারের সদস্যদের ছদ্মবেশ ধরে জরুরি প্রয়োজনের কথা বলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও লটারিতে অংশ নেওয়ার কথা বলে বা কোথাও থেকে অর্থ পাওয়ার লোভ দেখিয়ে কিছু বিনিয়োগের কথাও বলা হচ্ছে।
কুইন্সল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেহেতু পরিচিতজনের কাছ থেকে বার্তা আসে, তাই অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যান। তাঁরা বিশ্বাস করে বসেন। কিন্তু এ ধরনের বার্তা পাঠায় স্ক্যামার বা সাইবার প্রতারকেরা। যে অ্যাকাউন্ট থেকে বার্তা পাঠানো হয়, সেটি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বা ছবি ও তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে তারা এ অপকর্ম করে।
গত বছর শুধু অস্ট্রেলিয়া থেকেই রেকর্ড পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। গত বছর ১৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার সাইবার অপরাধীদের পকেটে গেছে। ফেসবুকের সাম্প্রতিক স্ক্যাম নিয়ে তাই দেশটিতে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই ফেসবুক মেসেঞ্জারে আলাপের সময় কার সঙ্গে কথা বলছেন, তা বুঝতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দুর্বৃত্তরাও ছদ্মবেশে কথা বলতে পারে। অনেক সময় দুর্বৃত্তরা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে ই-মেইলে ভুয়া লিংক পাঠিয়ে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে বলে। পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে অন্য বন্ধুদের কাছে কৌশলে অর্থ চাইতে থাকে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে তাদের নির্দিষ্ট টিম আছে। ফেসবুকের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এ খাত ক্রমেই উন্নতি করে যাচ্ছে তারা।
প্রতারণা থেকে সুরক্ষা পেতে পরামর্শ
এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে ফেসবুকে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ যোগ করা যেতে পারে, যা অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি কঠিন করে তুলবে। ফেসবুকে এ সুবিধা থাকলেও তা ডিফল্ট আকারে নেই। ম্যানুয়ালি ঠিক করে নিতে হবে।