রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

স্বামীর অস্বস্তি ঢাকতে প্রিয়াঙ্কার কাণ্ড

স্বামীর অস্বস্তি ঢাকতে প্রিয়াঙ্কার কাণ্ড

স্বামীর অস্বস্তি ঢাকতে প্রিয়াঙ্কার কাণ্ড

এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে 'সাকার' গানের জন্য সেরা পপ গানের পুরস্কার পেয়েছে জোনাস ব্রাদার্স। পুরস্কার ঘোষণার পর জো জোনাস ও কেভিন জোনাসকে জড়িয়ে চুমু খেয়ে অভিনন্দন জানান তাদের স্ত্রীরা। তবে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না নিক জোনাসের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। দুই ভাইয়ের মাঝখানে তিনি একা দাঁড়িয়ে নিক অস্বস্তির হাসি হাসছিলেন। সেই ছবিই পরে ভাইরাল হয়ে গেছে ইন্টারনেটে।
তবে প্রিয়াঙ্কা তার নিজস্ব স্টাইলে জানিয়ে দিয়েছেন, অনুষ্ঠানে না থাকলেও তিনি তার স্বামী ও তার পরিবারের সঙ্গেই আছেন। তিনি অনুষ্ঠানের ছবিটি ফটোশপ করে তার সঙ্গে নিজের ছবিও জুড়ে দিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা তাতে লিখেছেন, নিক, তোমার সঙ্গে আমি সবসময় রয়েছি। জোনাস-ভাইদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
নিকের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময়েই সুপারহিট। এমনকি দুই জা সোফি ও ড্যানিয়েলের সঙ্গে ছবিও পোস্ট করেন তিনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, নিকের ভাইয়ের বউ সোফি ও ড্যানিয়েল আমার বোনের মতো। আমরা একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি।

যৌনশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে ডিম

যৌনশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে ডিম

যৌনশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে ডিম
প্রতীকী ছবি

দেহের চাহিদা মেটাতে, দেহকে সবল ও কর্মক্ষম রাখতে যেমন খাবার প্রয়োজন, তেমনি যৌন জীবন ঠিক রাখতে দরকার কিছু সুনির্দিষ্ট খাবার। যে খাবারগুলো সেক্স অরগানগুলোকে সতেজ রাখতে যে হরমোন প্রয়োজন, তার উৎপাদনে সহায়তা করে। চলুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবার।
দুধ : সুষম খাদ্য হিসেবে খাদ্য তালিকার একেবারেই প্রথমে থাকে দুধ। দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, যা সেক্স পারফর্মেন্স বাড়াতে সহায়তা করে। কারণ পুরুষের ক্ষেত্রে টেঁস টো সটেরন এবং নারীদের ক্ষেত্রে ইস্ত্রজেন হরমোন, যা মূলত যৌন জীবন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শুক্রাণুর উৎপাদন, মহিলাদের অভুলেশনের মাধ্যমে ডিম্বাণু তৈরি এবং উভয়ের যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়াতে এই দুই হরমোনের বিকল্প নেই। এছাড়াও এই দুই হরমোন তৈরিতে ফ্যাট জাতীয় খাবারের বিকল্প নেই।
কলিজা: কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক। দেহের হরমোন উৎপাদনে এই জিংক অপরিহার্য। পিটুইটারি গ্রন্থি হতে হরমোন নিঃসরণে কাজ করে জিংক। এস্ট্রোজেন তৈরিতে জিঙ্কের ভূমিকা অনেক। শুক্রাণু তৈরিতে জিংক সহায়তা করে।
ডিম: অনেকের প্রিয় খাবার ডিমে রয়েছে কোলেস্টেরল ও ভিটামিন বি, যা হরমোন উৎপাদন এবং আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে।
কলা: কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ, জিংক, পটাশিয়াম, মিনারেল, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন- বি কমপ্লেক্স এবং কিছু এনজাইম। যেগুলো সরাসরি সেক্স পারফর্মেন্সে ভূমিকা রাখে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতে থাকে প্রচুর শর্করা, যা যৌন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
চকলেট: চকলেট তৈরিতে থিওব্রমাইন নামক কেমিকেল ব্যবহার করা হয়। এই কেমিকেল ক্যাফেইনের মত কাজ করে। থিওব্রমাইন সেরোটোনিন নামক নিউরো ট্রান্সমিটারের নিঃসরণ ঘটায়, যা যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং সেক্স পারফরমেন্সের জন্য প্রয়োজন।
জয়ফল: ভেষজ চিকিৎসা বিজ্ঞানে, জয়ফল বহু বছর আগে থেকেই যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যবহার হয়ে আসছে। জয়ফলে রয়েছে বিশেষ এক ধরনের কেমিক্যাল, যা সরাসরি কামোদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার হয়। স্নায়ুর কোষকে উত্তেজিত করতে পারে এই জয়ফল। যে কারণে, রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে পুরুষাঙ্গের পেনাইল টিস্যুগুলো ফুলে শক্ত হয়ে পুরুষাঙ্গের উত্তান ঘটায় এবং তা দীর্ঘস্থায়ী রাখে।
সূর্যমুখী বীজ: সূর্যমুখী বীজ হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। যে কারণে সূর্যমুখী বীজ খেলে যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়।
শিমের বীজ: ফাইটোইসট্রয়জেন সমৃদ্ধ বলে শিমের বীজ যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং শক্তি বাড়াতে কাজ করে।

রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে আমড়া

রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে আমড়া

রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে আমড়া

আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্যারোটিন, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এক কথায় আমড়া পুষ্টিগুণে ভরপুর। জেনে নিন আমড়ার গুণাগুণ-
আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে স্ট্রোক ও হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং শরীরের পেশী গঠনে সহায়তা করে।
এ ফলটিতে বিদ্যমান পেকটিন জাতীয় ফাইবার বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
আমড়া ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় শরীরের রক্তের চাহিদা পূরণ হয় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহয়তা করে।
আমড়া খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হয় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ঠাণ্ডা, কাশি ও কফ দূর করে এ ফলটি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পেয়ারা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পেয়ারা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পেয়ারা

দেশী ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। শুধু ফল নয়, পেয়ারা পাতায়ও রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। 
পেয়ারার পুষ্টিগুণ:
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। একটি পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে একটি মাঝারি আকৃতির কমলা থেকে। ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে লেবুর তুলনায়। এছাড়া ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম রয়েছে।
উপকারিতা:
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে।
২। ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস
পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩। হার্ট সুস্থ রাখতে
১৯৯৩ সালে “Journal of Human Hypertension” এ প্রকাশিত হয় যে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে। পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ভাবে লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।
৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
চাইনিজ চিকিৎসা শাস্ত্ররে অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ব্যবহার হয়ে আসছে। ১৯৮৩ সালে American Journal of Chinese Medicine প্রকাশ করেন যে, পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারা পাতাও বেশ কার্যকর। কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে তারপর ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন প্রতিদিন।
৫। ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে
বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে পেয়ারা। উচ্চ পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়। তবে কাঁচা পেয়ারা ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে কার্যকর।
৬। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৭। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে
ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখুন। কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভাল উৎস।

যেসব খাবারে বুদ্ধি বাড়ে

যেসব খাবারে বুদ্ধি বাড়ে

যেসব খাবারে বুদ্ধি বাড়ে

বর্তমান যুগে বুদ্ধি ছাড়া চলা বড় দায়। তাই বুদ্ধি বাড়াতে দরকার পুষ্টিকর খাবার। কারণ, বুদ্ধিমান হতে গেলে দরকার মস্তিষ্কের পুষ্টি। যেহেতু, বুদ্ধিই বল বা শক্তি।  সঠিক হেলদি ডায়েট আপনার মস্তিষ্ককে উর্বর করতে পারে। এক্ষেত্রে, শুধুমাত্র হেলথ ড্রিংকেই আটকে থাকলে চলবে না। দরকার অন্য কিছুর। তাই চলুন জেনে নিই, বুদ্ধির বীজকে কীভাবে বড় বৃক্ষে পরিণত করা যায়-
তৈলাক্ত মাছ : স্যামন, ম্যাকরেল, সারডিন, কডের মতো সামুদ্রিক মাছে আছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ক, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্র গঠনে ভূমিকা রাখে। সপ্তাহে দু’দিন এই রকম মাছ খেতে পারলে মস্তিষ্ক ঘটিত সমস্যা কম হবে। ব্রেনও পুষ্ট হবে।
পাতাওয়ালা সবজি : সবুজ রঙের পাতাওয়ালা সবজি শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্ককেও পুষ্ট করে। প্রতিদিন সবুজ পাতাওয়ালা সবজি খেলে স্মৃতি বিলুপ্তির মতো ঘটনা ঘটবে না। বিশেষকরে পালং শাক, ব্রকোলি খাওয়া খুব উপকারি। কারণ, এতে রয়েছে  অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফলিট, বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন- সি। 
 
ডিম : সুস্বাস্থের জন্য সপ্তাহে ছয়টি ডিম খাওয়া খুব জরুরি। প্রতিদিন খাবার প্লেটে একটি করে সেদ্ধ ডিম রাখা জরুরী। তবে ডিমের শুধু সাদা অংশ খেলেই হবেনা। খেতে হবে ডিমের কুসুমও। এরমধ্যে থাকে আয়রন। এই উপাদান লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। যা, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন বি-১২ ও আয়োডিন স্মৃতি শক্তি জোরদার করে। তাই নিজেকে সজাগ ও মনযোগী করে তুলতে চাইলে রোজ পাতে একটি করে ডিম রাখুন।
গ্রিন টি : মস্তিষ্কের প্রায় ৭০ শতাংশ জুড়ে পানি থাকে। এই পানি ব্রেণকে আদ্র রাখে বলেই ব্রেণ এত নিখুঁত কাজ করে। তাই যখনই ক্লান্ত লাগবে, এক কাপ গ্রিন টি পান করে নিন। নিমেষে চনমনে হয়ে উঠবেন। সেইসঙ্গে স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটবে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বয়সকালে ডিমেনশিয়া না হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
ডার্ক চকোলেট : ওবেসিটি-র ভয়ে যারা চকোলেট খাওয়া একপ্রকার ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁদের জন্য রইল সুখবর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন- ডার্ক চকোলেট ব্রেনের জন্য খুব উপকারী। এর ফ্ল্যাবনয়েড উপাদান কগনিটিভ স্কিলের উন্নতি ঘটায়। এছাড়া মস্তিষ্কে নিউরোন তৈরি করে যা নতুন বিষয় মনে রাখতে সাহায্য করে। এমনকি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট।