বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে

মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে

মেকআপ ছাড়া যেমন দেখায় সারা আলী খানকে
সারা আলি খান

শুটিংয়ের মাঝে এবার নতুন ছবি শেয়ার করলেন সারা আলি খান। যেখানে মেকআপ রুমে বসে পরপর দুটি ছবি শেয়ার করেন সাইফ-কন্যা। যে ছবি দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। ওই ছবিতে সারা আলি খান তুলে ধরেন, মেকআপ করার সময়ের লুক। সেই সঙ্গে মেক আপ তোলার পর সারাকে দেখতে কেমন লাগে, সেই ছবিও নিজেই তুলে ধরেন সারা।

ছবি দু’টি প্রকাশর পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। সারা বর্তমানে কুলি নাম্বার ওয়ান-এর সিক্যুয়েল নিয়ে ব্যস্ত। এই সিনেমায় বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে অভিনয় করছেন তিনি। কুলি নাম্বার ওয়ানের পাশাপাশি লভ আজকাল-এও দেখা যাবে সারাকে। পরিচালক ইমতিয়াজ আলির এই সিনেমায় সারার বিপরীতে রয়েছেন কার্তিক আরিয়ান।

প্রসঙ্গ, কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে নাকি বিচ্ছেদ হয়ে গেছে সারার। বিচ্ছেদের পরও শুটিং ফ্লোরে সারার সঙ্গে কার্তিকের যে কোনও বিভেদ দাগ কাটতে পারেনি, তা স্পষ্ট করে দেন বলিউডের এই জুটি। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েও হাসিমুখে কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেন সারা আলি খান। সূত্র : জি নিউজ।
ছবি দু’টি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...

স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)

স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)


স্পর্শ ছাড়াই উড়ল হেলিকপ্টার (ভিডিও)

হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই হেলিকপ্টারকে নিয়ে উড়েছে স্কাইরিস নামের একটি স্টার্টআপ। অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এই হেলিকপ্টার পরিচালনায় কোনো স্পর্শ প্রয়োজন নেই।

যদিও এর আগেও অনেকগুলো এয়ার ট্যাক্সিতে অটোমেশন প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখানো হয়েছে। এসব এয়ার ট্যাক্সি ওড়ানো সম্ভব হয়েছে বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জ দিয়ে। তবে অন্যগুলো থেকে ব্যতিক্রম ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্টার্টআপ স্কাইরিস। প্রচলিত হেলিকপ্টার রবিনসন আর-৪৪ এ তারা অটোমেশন প্রযুক্তিটি যুক্ত করে।

হেলিকপ্টারটি চালাতে ও স্থির রাখতে কাজ করে কয়েকটি সেন্সর। যাত্রাপথ, সময় ও উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিন্ট্রেশন সিস্টেম ও স্মার্ট হেলিপ্যাডের সেট করা সেন্সরের মাধ্যমে। সেন্সরগুলো আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি, উড়ন্ত বস্তু কিংবা পাখি ও বাতাস ট্র্যাক করতে পারবে।
হাতের স্পর্শ ছাড়া হেলেকপ্টারটি কিভাবে উড়ছে তা দেখাতে ইউটিউবে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, হেলিকপ্টারটিতে দুজন পাইলট বসে আছেন। তাদের একজন মার্ক গ্রোডেন। ২৯ বছর বয়সী এই ইঞ্জিনিয়ারই স্কাইরিস স্টার্টআপটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।






সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ১০ অ্যাপ

সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ১০ অ্যাপ
প্রতীকী ছবি

এই দশকে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘অ্যাপ অ্যানি’। সেখানে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে অ্যাপ বেশি ডাউনলোড করা হয় তার নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় থাকা অ্যাপগুলো হল-

১. ফেসবুক :
তালিকার সবার ওপরে যথারীতি রয়েছে ফেসবুক। গুগলের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম অর্কুট-কে এতটাই টক্কর দিতে শুরু করে যে, শেষপর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় সেটি। ২০০৪ সালে প্রথম বাজারে আসে ফেসবুক। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ২৪৫ কোটির বেশি। যা প্রতিদিন বাড়ছে।

২. ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার :
হোয়াটসঅ্যাপের থেকেও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপটি। ২০১১ সালে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস প্ল্যাটফর্মে লঞ্চ করে। ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় থাকা যে কেউ এই অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
৩. হোয়াটসঅ্যাপ :
ফেসবুকের সঙ্গে এ নিঃশ্বাসে যে অ্যাপটির নাম নেওয়া হয় সেটি হল হোয়াটসঅ্যাপ। টেক্সট ছাড়াও অডিও, ভিডিও, ছবি, ডকুমেন্ট ফাইল সেন্ড করা যায় এই প্ল্যাটফর্মে। প্রতিদিন এর ইউজারের সংখ্যা বাড়ছে।

৪. ইনস্টাগ্রাম :
ফেসবুকের এই অ্যাপটি সেলিব্রিটিদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে। ২০১০ সালে লঞ্চ করে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম। এতে মূলত ছবি, ভিডিও শেয়ার হয়। অন্য অনেক ছবি শেয়ারিং অ্যাপের তুলনায় ইনস্টাগ্রামে ছবির মান অনেক ভালো হয়।

৫. স্ন্যাপচ্যাট :
২০১১ সালে বাজারে আসে এই অ্যাপ। ফটো শেয়ার ও এডিটিং করা যায় এই চ্যাটিং অ্যাপে।

৬. স্কাইপ :
এই টেলিকমিউনিকেশন অ্যাপ্লিকেশনটি তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করেছে। মূলত ভিডিও ও ভয়েজ কলিংয়ের জন্য ব্যবহার এই অ্যাপটি। হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে এই অ্যাপটি। ওই দু’টি অ্যাপেও একই সুবিধা পাওয়া যায়।

৭. টিকটক :
২০১৭ সালে চীনের বাইরের বাজারে আসে এই অ্যাপ। তারপর থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি। এই অ্যাপে ভিডিও এডিটও করা যায়। বাইটড্যান্স নামে এক সংস্থার অ্যাপটি তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে।

৮. ইউসি ব্রাউজার :
চীনের আলিবাবা গ্রুপের এই ব্রাউজিং অ্যাপ তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করছে। এশিয়ার কিছু এলাকায় গুগল ক্রোমের থেকেও ইউসি ব্রাউজার বেশি ব্যবহার হয়। এমনটাই জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

৯. ইউটিউব : গুগলের এই প্ল্যাটফর্মটি ভিডিও শেয়ারের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি লঞ্চ করে ইউটিউব। তারপর থেকে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।

১০. টুইটার : ২০০৬ সালে লঞ্চ করে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার। ২৮০ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখতে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোনও পোস্ট। ছবিও পোস্ট করা যায়। এখন সরকারিভাবে কিছু বলার সময় এই প্ল্যাটফর্মকে অনেকে ব্যবহার করেন।

মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' গঠন করলেন ট্রাম্প

মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' গঠন করলেন ট্রাম্প


'মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' গঠন করলেন ট্রাম্প

'মার্কিন মহাকাশ বাহিনী' নামে এবার নতুন বাহিনী গঠন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এই নতুন বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান'র।

খবরে বলা হয়, নতুন এই বাহিনী মার্কিন বিমানবাহিনীর অধীনে কাজ করবে। ১৯৪৭ সালের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কোনো সামরিক সেবা চালু করা হলো।

নতুন এই বাহিনী গঠন সম্পর্কে ওয়াশিংটনে এক সামরিক ক্যাম্পে এসে ট্রাম্প বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে মহাকাশই হবে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। আগামী কয়েক মাসে বাকি দেশগুলোর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে যাব আমরা। নতুন এই মহাকাশ বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অন্য দেশের আগ্রাসন হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
নতুন এই বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে শুক্রবার। প্রথম বছরে নতুন এই বাহিনীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর পুরো সামরিক বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

নবগঠিত এই বাহিনী কিন্তু মহাশূন্যে গিয়ে সরাসরি যুদ্ধ করবে না। বরং মহাকাশে বিদ্যমান মার্কিন সম্পদগুলো রক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হবে এই বাহিনী। যেমন যোগাযোগ ও পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা শতাধিক মার্কিন স্যাটেলাইটের নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করবে এই বাহিনী।

চিকিৎসাখাতে ব্যবহৃত পণ্যের দেশীয় উৎপাদন ও বিকাশের সম্ভাবনা


চিকিৎসাখাতে ব্যবহৃত পণ্যের দেশীয় উৎপাদন ও বিকাশের সম্ভাবনা

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দেশীয় পণ্যের প্রসার ও প্রচারে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশে তৈরি পণ্য দেশ ও বিদেশে ডিজিটাল বাংলাদেশকে নতুন করে তুলে ধরছে। বিশেষ করে ইলেক্ট্রো ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস (ইএমএস) খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই ২০১৫ সালে মেইড ইন বাংলাদেশ প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেলট্রন ইলেক্ট্রো ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস লিমিটেড প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেই চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত পণ্য উৎপাদন শুরু করে।

চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতো সম্ভাবনাময় হওয়া সত্বেও আমদানি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রিতে অনেক লাভ হওয়ায় কেউ উৎপাদনখাতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে উৎসাহী নয়। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয় সেলট্রন ইলেক্ট্রো মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড।

কঠোর পরিশ্রম আর সরকার ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সৌহার্দপূর্ণ দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় কঠোর মাননিয়ন্ত্রণের যাচাই বাছাই শেষে চারটি মেডিকেল ইকুপমেন্ট তৈরির লাইসেন্স পায় সেলট্রন ইএমএস। বর্তমানে সফলতার সাথে বাংলাদেশেই তারা ১২ ও ৬ চ্যানেল ইসিজি মেশিন, ফটোথেরাপি, এক্সরে ভিউবক্স ও পেশেন্ট মনিটর তৈরি ও বাজারজাত করছে।
চিকিৎসাখাতে ব্যবহৃত পণ্য উৎপাদন অনেক সূক্ষ্ম ও জটিল একটি প্রযুক্তি। এখানে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ, কারখানার সক্ষমতা ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসকল বিষয়ে শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করায় সেলট্রন অর্জন করেছে ISO সার্টিফিকেট। একইসাথে তারা জাপান সরকারের অনুমোদনও পেয়েছে।

বাংলাদেশে তৈরি ওষুধের বিপুল চাহিদা রয়েছে বিদেশে। ওষুধ শিল্পের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবায় ব্যবহৃত পণ্য উৎপাদনের এই উদ্যোগ চতুর্থ প্রজন্মের শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও স্বনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে সেলট্রনের তৈরি প্রোডাক্টগুলোর ব্যান্ড নাম দেয়া হয়েছে অপরাজেয়।

দেশীয় পণ্য হওয়ার প্রথম দিকে গুণগত মান নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুললেও এখন পাল্টে গেছে সেই চিত্র। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল-নার্সিং হোম, ক্লিনিকে সেলট্রনের তৈরি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। কাঁচামালের সহজলভ্যতা, সস্তা শ্রম ও স্থানীয় বাজারের কারণে এসব পণ্যের দামও হাতের নাগালে।

সর্বস্তরের জনগণের আস্থা ও সহযোগিতা পেলে দেশীয় চাহিদা পূরণ করে একসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ আফ্রিকার বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশেও বাংলাদেশে তৈরি মেডিকেল পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।