রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২০

স্ত্রী ও কাজের মেয়েকে নিয়ে একসাথে অনাচার চালাত কার্লোস

স্ত্রী ও কাজের মেয়েকে নিয়ে একসাথে অনাচার চালাত কার্লোস


স্ত্রী ও কাজের মেয়েকে নিয়ে একসাথে অনাচার চালাত কার্লোস!

অবৈধ মুদ্রা, হুন্ডি ও মাদক ব্যবসা, অসামাজিক কর্মকাণ্ডসহ অন্ধকার জগতের ডন ছিলেন সালেহ আহমেদ ওরফে কার্লোস। ঘরে রয়েছে তার এগার নম্বর বউ। কাজের মেয়েও শয্যাসঙ্গী। পর্নো ছবি ছেড়ে স্ত্রী ও কাজের মেয়েকে নিয়ে একসঙ্গে অনাচার চালাতো কার্লোস। বিকৃত যৌনাচারই ছিল তার নেশা। লেডিস কসমেটিক্স দিয়ে নিজে সেজে থাকতো। ঠোঁটে লিপিস্টিক, চোখে কাজল মেখে সবসময় সাজগোজ করে থাকতো। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে এসব কথা জানান, কার্লোসের নির্যাতনের শিকার তার বাসার এক কাজের মেয়ে। 
অন্ধকার জগতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যান কার্লোস। রাতারাতি বনে যান কোটিপতি। দামি দামি গাড়ি হাঁকিয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে করতেন। ব্যবহার করতেন জাতীয় সংসদের মনোগ্রামসংবলিত স্টিকার। অঢেল টাকার সুবাদে কার্লোসের বিভিন্ন পার্টিতে যোগ দিতেন শোবিজ জগতের নামিদামি মডেল ও অভিনেত্রীরা। এদের নিয়ে দেশ-বিদেশে ঘুরতেন। উপভোগ করতেন। গত বুধবার তদন্তসংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় গত শুক্রবার কার্লোসকে পরীবাগের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে এক দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছিল। মঙ্গলবার তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে কার্লোস তার অন্ধকার জগতের নানা চমকপ্রদ তথ্য জানান। 
সূত্র বলছে, ঢাকার পরিচিত মহলে তিনি নিজেকে সামুদ্রিক পণ্য ও কোমল পানীয়র ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন। বিদেশিরা তাকে চেনেন ঢাকার ইয়াবা ডন হিসেবে। কিন্তু এক গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা তার সবকিছু ওলটপালট করে দেয়। খুবই মর্মান্তিক ও স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তার শেষ রক্ষা হয়নি। ৩০ জুন গ্রেফতার হন কার্লোস। এর পরই বেরিয়ে আসতে শুরু করে অন্ধকার জগতের নানা কাহিনী। কয়েক দিন আগে রেইন ট্রি হোটেলের আলোচিত ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে ওঠে গোটা মিডিয়াপাড়া। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ইয়াবা ডন কার্লোসের নতুন অধ্যায় বের হতে শুরু করেছে। 
রাজধানীর শাহবাগের পরীবাগে ৩/৩এ দিগন্ত টাওয়ারের ৭এম থেকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহকর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে কার্লোস তার বেপরোয়া জীবনযাপনের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। এই কার্লোস ‘অস্তিত্ব’ সিনেমার প্রযোজক ছিলেন। এ ছাড়া তার রঙিন জীবনের তথ্যও বের হতে শুরু করেছে। তার প্রোডাকশন হাউস ‘ড্রিম বক্স’-এর ব্যানারে অস্তিত্ব ছবিটি নির্মিত হয়। 
জানা যায়, বাংলা সিনেমায় টাকা লগ্নি করার পেছনে তার উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। সিনেমা বানানোর আড়ালে দেশের প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা অভিনেত্রী থেকে শুরু করে উঠতি মডেলদের নিয়ে তিনি দেশ-বিদেশে ঘুরতেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কার্লোস আরও জানান, এদের মধ্যে আছেন মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া বিপাশা, তানভিয়া জামান মিথিলা এবং আরেকজন বিতর্কিত মডেল পিয়াসা। এর মধ্যে ফ্যাশন হাউস এক্সটেসির মডেল তানভিয়া জামান মিথিলার সঙ্গে তার লিভটুগেদার চলছিল বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে। এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমকে মিথিলা বলেন, ‘আমি তাকে চিনি। একটি ছবিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। এর বাইরে কিছুই নয়। ’ এসব মডেল-অভিনেত্রীর একান্ত সান্নিধ্য উপভোগ ছাড়াও ব্যাংককের বড় বড় ডিস্কোয় কার্লোস মধ্যমণির আসন দখল করে রাখতেন। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের পর্যটননগরী পাতায়ার রাশিয়ান ক্যাবারে ড্যান্সারদের নাচ দেখে তিনি দুই হাতে ডলারের বান্ডেল ছুড়ে দিতেন। 
এ ছাড়া ঢাকার গুলশান-১-এ ‘মিরেজ’ নামের একটি সিসা বারে নিয়মিত আড্ডা জমাতেন কার্লোস। নায়িকাদের অনেককে নিয়ে তিনি বিদেশ গিয়েছেন। এদের কয়েকজনের সঙ্গে লিভটুগেদারও করছিলেন। এদিকে রাজধানীর পরীবাগের ফ্ল্যাটে চিত্রনায়িকা সাবিনা রিমাকে নিয়ে কার্লোস লিভটুগেদার করছিলেন বছরখানেক ধরে। গত শুক্রবার যৌন উত্তেজক ইনজেকশন নিয়ে কার্লোস একই সঙ্গে বাসার গৃহকর্মী ও সাবিনা রিমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। নির্যাতন শেষে গৃহকর্মীকে সাত তলার ছাদে নিয়ে নিচে ফেলে দেন। পুলিশ গুরুতর আহত গৃহকর্মীর সঙ্গে সাবিনা রিমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সাবিনা রিমা হাসপাতাল থেকে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যান। 

গত ৩০শে জুনও কার্লোস নেশাগ্রস্ত হওয়ার এক পর্যায়ে কাজের মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। হত্যা করতে পরীবাগের দিগন্ত টাওয়ারের নিজ বাসার সাত তলা থেকে ফেলে দেয়। বাসার অপর কাজের লোক ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা এবং তার স্ত্রীকেও বেধড়ক মারপিট করে। নির্যাতনে কাজের মেয়েটির ডান হাত-পা এবং কোমর ভেঙে গেছে। নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গেয়ে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন কাজের মেয়েটি। কাজের মেয়েটি জানান, তিনি আগে গার্মেন্ট ও কয়েকটি বাসায় কাজ করেছেন। বছরখানেক আগে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে থাকতেন রিকশাচালক বাবার সংসারে। এই অবস্থায় নাজমা নামের এক মহিলা তাকে ওই বাসায় কাজ দেয়। নাজমা তাকে জানিয়েছিলো, প্রতিমাসে তাকে ১৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। সে মোতাবেক গত মাসের ১৬ তারিখে তিনি কার্লোসের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে যোগ দেন। ওইদিনই তার মোবাইলফোন কেড়ে নেয়া হয়। বাইরে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়। বাসাটিতে সালেহ আহম্মেদ, তার স্ত্রী ও বৃদ্ধা এক কাজের বুয়া থাকতেন। দ্বিতীয় দিনই তাকে দিয়ে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ কাজ করায়। এসব দেখে ভয় পেয়ে কাজ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাকে যেতে দেয়া হয়নি। উল্টো মারধর করে। 
এই গৃহকর্মী বলেন, কার্লোস সব সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে নেশা করতো। মেয়ে সেজে থাকতো। তার প্রসাধনরুম বিদেশি কসমেটিকস-এ ভর্তি। সেগুলো দিয়ে সাজগোজ করতো। মেয়েদের অন্তর্বাস পরে থাকতো। যখন খাবার সময় হতো তখন দরজায় নক করতো। দরজা খুলে খাবার নিয়ে নিতো। ওই ঘরে প্রবেশ অন্য সবার জন্য নিষেধ ছিল। ডাক পড়লেই কেবল যেতে পারতো। তবে কোনো কোনো দিন ডাইনিংরুমে এসেও খাবার খেতো। যখন যেটা দরকার হতো, সেটা তার ড্রাইভারসহ আরো যারা আছে তাদের হুকুম করতো, সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো সামনে হাজির হয়ে যেতো। প্রতিদিন অন্তত ৫টি করে ডাব খেতো। 
গৃহকর্মী আরো বলেন, যখন নেশা বেশি করতো তখন তার ডাক পড়তো। স্ত্রী ও তাকে দিয়ে একসঙ্গে মাস্টারবেশন করাতো। প্রথমদিকে এসব কাজে রাজি না হওয়ায় তাকে বেধড়ক মারধর করা হতো। হাতুড়ি পেটা করতো। এছাড়া, প্রায় দিনই নতুন নতুন মেয়ে তার বাসায় আসতো। গৃহকর্মী বলেন, ঈদের পরদিন পাশের আরেকটি ভবনে বসবাসরত সালেহ আহম্মেদ কার্লোসের বাবার বাসায় তাকে কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সে ওই পরিবারের লোকজনের কাছে তাকে ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানায়। এ কথা শুনে ক্ষেপে যায় কার্লোস। তাকে বেধড়ক মারপিট করে বলে, ‘তোকে কিনে এনেছি, এখান থেকে বের হতে পারবি না।’ ঈদের পরদিন এই গৃহকর্মী তার ড্রাইভার সিদ্দিকের কাছেও আকুতি জানায়, সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য। পরে এ বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আবারো মারধর করে কার্লোস। 
সর্বশেষ ৩০শে জুনের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে গৃহকর্মী বলেন, ‘ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সে ঘরের বাইরে বের হয়ে খেতে চায়। কিন্তু খাওয়ার সময় ডাবের পানি না পেয়ে মারধর করতে থাকে। ওইদিন এতটাই ক্ষিপ্ত হয় যে, বৃদ্ধা কাজের বুয়া মনোয়ারা, তার স্ত্রী এবং তাকে মারতে মারতে আধমরা করে ফেলে। হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। ভয়ে স্ত্রী নিচে নামলে ড্রাইভারকে ফোন করে ধরে আনে। এরপর একটা রড বের করে আমার হাতে দিয়ে তার স্ত্রীকে পেটাতে বলে। কিন্তু আমি তা না করলে তার স্ত্রীর হাতে ওই রড দিয়ে আমাকে পেটাতে বলে। পরে সে নিজেই ওই রড দিয়ে পেটায়। এতে আমার হাত ভেঙে যায়। কোমরের হাড় ভেঙে যায়। তখন আমি চোখে-মুখে অন্ধকার দেখি। এর একপর্যায়ে চুল ধরে টেনে হেঁচড়ে আমাকে বেলকনি থেকে ফেলে দেয়। এরপর আর কিছু মনে নেই বলে তিনি জানান।’ পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার স্ত্রীও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তিনি সেখান থেকে অন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। 
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। গত ১লা জুলাই বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ তার বাসা থেকে নির্যাতনে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করে। এছাড়া পুলিশ ওই বাসা থেকে বেশকিছু গোপন তথ্য পায়। পরে বাসাটি তারা সিলগালা করে দেয়।
সূত্র জানায়, কার্লোস সব সময় একাধিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করেন। তার ফ্ল্যাটেও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে। একটি রিভলবার ও একটি পিস্তল তিনি সব সময় সঙ্গে রাখেন। এসব অস্ত্র দেখিয়ে মানুষকে ভয় দেখাতেন। কার্লোসের তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। কিন্তু এসব গাড়ির বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিটি গাড়িতেই জাতীয় সংসদের মনোগ্রাম ব্যবহার করতেন। গাড়িগুলোর মধ্যে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ও একটি নিশান পাজেরো জিপ। তিনটি গাড়িই সাদা। এর মধ্যে শনিবার মার্সিডিজ বেঞ্জ জব্দ করেছে র‌্যাব-৩। বাকি দুটি গাড়ির সন্ধানে অভিযান চলছে। বিদেশে তিনি কার্লোস নামে পরিচিত। বিদেশিরা তাকে ঢাকার ইয়াবা ডন হিসেবেই চেনেন। অস্ট্রেলিয়ায় থাকার সময় তিনি এক অস্ট্রেলীয় নারীকে বিয়ে করেন। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। কিন্তু মাদকাসক্ত কার্লোস স্ত্রী-সন্তানের ওপর নির্যাতন চালাতেন। পুলিশের কাছে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ গেলে অস্ট্রেলীয় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। একপর্যায়ে ২০১৪ সালে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে বহিষ্কারের পর সিঙ্গাপুরে আস্তানা গাড়েন। সেখানেও এক নারীর সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়ান। পরে ওই নারী জানতে পারেন, কার্লোস মাদক ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সিঙ্গাপুর সরকারও কার্লোসকে নিষিদ্ধ করে। এরপর দেশে এসে অভিজাত সমাজে চলাফেরা শুরু করেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে শাহবাগে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন কার্লোস। সে সময় জাতীয় সংসদের মনোগ্রাম ব্যবহৃত একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ জিপ গাড়ি, ইয়াবা, অবৈধ মুদ্রা, মোটা অঙ্কের নগদ টাকা তার কাছ থেকে জব্দ করা হয়। কিন্তু তিনি থামেননি। তার অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলছিল। কার্লোসের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এসব কর্মকর্তার অনেককে তিনি বিদেশে বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে কার্লোসের টাকায় তারা ফুর্তি করতেন।
এ ছাড়া ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ থানার ওসিদের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতেন। প্রতি মাসে তাদের বখশিশ পৌঁছে দিতেন। বিনিময়ে তারাই কার্লোসের ইয়াবা নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত রাখতেন।

ফের মুখ খুললেন সানি, বললেন পুরুষদেরও নির্যাতন করা হয়

ফের মুখ খুললেন সানি, বললেন পুরুষদেরও নির্যাতন করা হয়

‘ফের মুখ খুললেন সানি, বললেন পুরুষদেরও নির্যাতন করা হয়’
সানি লিওন

আবারও ‘#মিটু’ নিয়ে মুখ খুললেন সানি লিওন। বললেন, শুধু নারীরাই নয়, পুরুষদেরও যৌন নির্যাতন করা হয়! এর মধ্যদিয়ে প্রায় দু’বছর পর #মিটু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। খবর দ্য শিলং টাইমস এর।
সানি বলেন, #মিটু আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বিরাট পরিবর্তন এনেছে। একই সঙ্গে অনেকেই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন, তবে নারীদের পাশপাশি পুরুষরাও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। তারা কখনও সেই বিষয়ে কথা বলেন না। কিন্তু এই নিয়ে তাদের মুখ খোলা দরকার বলেও জানান তিনি।
এই অভিনেত্রী পুরুষদের আরও জানান, চুপ করে থাকলে তাদের সাহস আরও বাড়বে এবং এই জঘন্য কাজ তারা ক্রমাগত করবে। তাই এই বিষয়ে মুখ খুলুন। আমার মতে অনেকেটাই পরিবর্তন এসেছে।

প্রেম-পরকীয়া-যৌনতায় সাবালক হয়ে আসছে ‘হ্যালো’ (ভিডিও

প্রেম-পরকীয়া-যৌনতায় সাবালক হয়ে আসছে ‘হ্যালো’ (ভিডিও)


প্রেম-পরকীয়া-যৌনতায় সাবালক হয়ে আসছে ‘হ্যালো’ (ভিডিও)
সংগৃহীত ছবি

একের পর এক মুক্তি পাচ্ছে থ্রিলার। এবার বাংলা ওয়েব সিরিজেও আসছে এক নতুন থ্রিলার, ‘হ্যালো’। হইচই ওয়েবসাইটের এই ওয়েব সিরিজে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে জয় সেনগুপ্ত, রাইমা সেন, প্রিয়াঙ্কা সরকারকে।
সামনেই দুর্গাপুজো। আর এই ওয়েব সিরিজের প্রেক্ষাপটও উত্তর কলকাতার একটি বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো। সে বাড়ির বড় বউ নন্দিতা এই পুজোর সমস্ত দায়িত্ব একা হাতে সামলায়। কিন্তু হঠাৎই তাঁর মোবাইলে আসে একটা এমএমএস। আর এক লহমায় বদলে যায় তার জীবন। কারণ এই এমএমএস আসলে প্রেমিকার সঙ্গে তার স্বামীর সেক্স ভিডিও। নন্দিতার চরিত্রে এই প্রথম কোনও ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে রাইমা সেনকে। জয় সেনগুপ্ত ও রাইমা সেন এই গল্পে স্বামী-স্ত্রী। জয় জড়িয়ে পড়েন এক পরকীয়া সম্পর্কে। তিনি বুঝতে পারেন কেউ তার পিছনে গোয়েন্দা লাগিয়েছে। যে গোয়েন্দা একদিকে যেমন তার পরকীয়ার কথা পৌঁছে দেয় তাঁর স্ত্রীর কাছে, অন্যদিকে তাঁর স্ত্রীকে এনে দেয় বেশ কিছু তথ্যও। কিন্তু এই গোয়েন্দাকে অ্যাপোয়েন্ট করলেন ক? সেই নিয়েই এই থ্রিলার।
অনির্বান মল্লিকের পরিচালনায় এই প্রথম বাংলা ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে রাইমা সেন, প্রিয়াঙ্কা সরকার ও জয় সেনগুপ্তকে। হইচই ওয়েবসাইট লঞ্চ করবে পুজোর ঠিক আগে। আর সেই সাইটেই মুক্তি পাবে এই থ্রিলার। আর তার আগেই মুক্তি পেল ট্রেলার।

স্ত্রীকে উৎসর্গ করে জাস্টিন বিবারের নতুন গান

স্ত্রীকে উৎসর্গ করে জাস্টিন বিবারের নতুন গান

  • Currently 0/5
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5

স্ত্রীকে উৎসর্গ করে জাস্টিন বিবারের নতুন গান
হেইলি ব্যাল্ডউইন-জাস্টিন বিবার

কানাডিয়ান পপস্টার জাস্টিন বিবার। প্রকাশ করতে যাচ্ছেন নতুন অ্যালবাম। কিছুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন পাঁচ বছর বিরতির পর এটি প্রকাশ করবেন তিনি। আর সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে দেন তিনি। অবশেষে নতুন বছরে প্রকাশ করলেন অ্যালবামের ‘ইয়াম্মি’ শিরোনামের একটি গান। আর এই গানটি তিনি স্ত্রী হেইলি ব্যাল্ডউইনকে উৎসর্গ করেছেন। 
বিবারের নতুন একক গানটির দৈর্ঘ্য ৩ মিনিট ৩০ সেকেন্ড।  গানটির পুরো ভিডিও আসবে শনিবার দুপুর ১২টার পর। 
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর গানটির একটি টিজার প্রকাশ করেছিলেন বিবার। তখনই মূলত তার নতুন অ্যালবাম প্রকাশ সঙ্ক্রান্ত তথ্য ভক্তদের জানান তিনি।
২৫ বছর বয়সী এই তারকা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে বিরতি ভেঙে নতুন অ্যালবাম নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন।
নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে খবরটি জানিয়ে জাস্টিন বিবার লেখেন, আমি এখন যেখানে আছি, আমার মনে হয় এর কারণে আগের অ্যালবামগুলির চেয়ে নতুনটি আলাদা হবে। আমি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে গানগুলোতে পারফর্ম করতে অপেক্ষা করছি।
‘মানুষ হিসেবে আমরা কেউই পরিপূর্ণ না। আমার অতীত, আমার ভুলগুলো এবং সমস্ত কিছুই আমি পার করে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, যেখানে আমার থাকার কথা ছিল, আমি ঠিক সেখানেই আছি। ঈশ্বর আমাকে যেখানে চাইবেন আমি ঠিক সেখানেই থাকবো’, যোগ করেন তিনি। 
নতুন অ্যালবাম নিয়ে ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যাবেন বিবার। তবে তিনি যুক্তরাজ্যের কবে শো করবেন তা ঘোষণা করেননি

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

মানুষের চেয়েও বড় ডাক্তার গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

মানুষের চেয়েও বড় ডাক্তার গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

মানুষের চেয়েও বড় ডাক্তার গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!
ম্যামোগ্রামের (স্বল্পশক্তির  এক্স-রে) ছবি বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকদের চেয়েও সফলভাবে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি। প্রাথমিক অবস্থায় কোনো লক্ষণ দেখা যায় না বলে বর্তমানে প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিটি কাজে লাগিয়ে এ হার কমিয়ে আনা গেছে মাত্র ৯.৪ শতাংশে। 
‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্তন ক্যান্সার শনাক্তে গত বছরের শেষ নাগাদ এআই  প্রযুক্তির নতুন পদ্ধতি তৈরি করে গুগল। এ জন্য ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে প্রায় ২৯ হাজার নারীর স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ছবির সমন্বয়ে বিশেষ ধরনের অ্যালগরিদমও তৈরি করে গুগল হেলথ। আর এই অ্যালগরিদমের সাহায্যেই যেকোনো নারীর ম্যামোগ্রামের প্লেট পর্যালোচনা করে দ্রুত স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। 
শুধু তা-ই নয়, রোগীর শরীরে ক্যান্সারের পর্যায় সম্পর্কেও সঠিক ধারণা দিতে পারে। ফলে মাত্র এক বছরের মধ্যেই চিকিৎসকদের চেয়েও নির্ভুলভাবে অ্যাডভান্সড স্টেজের স্তন ক্যান্সার শনাক্তে সফল হয়েছে এই প্রযুক্তি