রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২০

হিংস্র হাঙরের সঙ্গে ডুবুরির নাচ ভাইরাল! (ভিডিও)

হিংস্র হাঙরের সঙ্গে ডুবুরির নাচ ভাইরাল! (ভিডিও)

হিংস্র হাঙরের সঙ্গে ডুবুরির নাচ ভাইরাল! (ভিডিও)

পানির মধ্যে থাকা হিংস্র হাঙরকে দূর থেকে দেখতে বেশ ভাল লাগে। কিন্তু সেই হিংস্র হাঙরের কাছে যাওয়ার সাহস কী সকলের থাকে? সেই অসম সাহসের কাজ করে দেখালেন এক স্কুবা ডাইভার। তবে শুধু হাঙরের কাছেই যাননি, রীতিমতো তাকে জড়িয়ে ধরে নাচও করেছেন। পানির তলায় হিংস্র হাঙরের সঙ্গে সেই ডাইভারের নাচ দেখে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের চোখ কপালে ওঠার মতো।
ভাইরাল হওয়া ১৩ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, পানির তলায় নেমেছেন ওই স্কুবা ডাইভার। সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রচুর মাছ। তারই মধ্যে একটি হাঙরকে জড়িয়ে ধরে বলরুম ডান্স করছেন তিনি। তার এক হাত হাঙরের পিঠে। অপর হাতে ধরে আছেন হাঙরের একটি পাখনা। সেই ভাবেই চলছে নাচ। যদিও এই ঘটনা কোনো সমুদ্রের তলায় ঘটেনি। ঘটেছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে। সেখানকার প্ল্যানেট নেপচুন ওসিয়ানেরিয়ামের অ্যাকোয়ারিয়ামের ভিতর হাঙরের সঙ্গে নেচেছেন ওই ডাইভার

নববর্ষে ১.৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হলো টুনা মাছ

নববর্ষে ১.৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হলো টুনা মাছ


নববর্ষে ১.৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হলো টুনা মাছ!

নতুন বছরের শুরুতেই জাপানের টোকিওতে একটি টুনা মাছ রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হয়েছে। টোকিওর তোয়ুসু মাছের বাজারে টুনা মাছটি বিক্রি হয়েছে ১৯৩.২ মিলিয়ন ইয়েনে (১.৮ মিলিয়ন ডলার), যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।
২৭৬ কেজি ওজনের ওই টুনাটি জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের ওমা বন্দর থেকে ধরা হয়। প্রতি কেজি টুনা বিক্রি করা হয়েছে ৭ লাখ ইয়েনে। টোকিওভিত্তিক সুশি রেস্টুরেন্ট চেইন সুশিজানমাইয়ের কিয়োমুরা মাছটি কিনে নিয়েছে।
সূত্র: জাপান টাইমস

ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া লটারির টিকিটে কোটি টাকা

ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া লটারির টিকিটে কোটি টাকা

ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া লটারির টিকিটে কোটি টাকা
সংগৃহীত ছবি

ডাস্টবিনে লটারির যে টিকিট একবার ফেলে দেওয়া হয়েছিলো, সেই টিকিটেই এলো এক কোটি টাকা পাওয়ার খবর। রাতারাতি কোটিপতি বনে গেলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক সবজি বিক্রেতা। ঘটনাটি ঘটেছে ২ জানুয়ারি।
ভাঙড়ের কাশীপুরের সর্দারপাড়ার বাসিন্দা সাদেক মোল্লা নতুন বছরে নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারির ৬ টাকা মূল্যের ৫টি টিকিট কেনেন। সেই টিকিট কেটেই রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। একটি টিকিটে প্রথম পুরস্কারের ১ কোটি টাকা ছাড়াও বাকি চারটি টিকিটে ১ লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন। তাকে দেখতে এখন ভিড় করছে বহু মানুষ। স্থানীয় লটারির দোকানেও হঠাৎ বিক্রি বেড়ে গেছে।
গরিব পরিবারের ছেলে সাদেক বহু কষ্টে ছোটখাট দোতলা বাড়ি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার পথে দমদমের কাঠগোলা এলাকা থেকে নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারি ৫টি টিকিট কেনেন সাদেক। পরে বিক্রেতার কাছে খেলার ফলাফল জানতে চান। পুরস্কার পাননি বলেই শোনেন। পরে কাশীপুরের একটি টিকিটের দোকানে গিয়েও ফলাফল জানতে না পেরে টিকিট ডাস্টবিনে ফেলে বাড়ি ফেরেন।
পর দিন ওই টিকিট বিক্রেতা তাকে জানান, ১ কোটি টাকা জিতেছেন সাদেক। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে কাশীপুর বাজারে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া টিকিট পাগলের মতো খুঁজতে থাকেন। পরে পানিতে ভেজা টিকিটগুলো খুঁজেও পান তিনি। আনন্দে চিৎকার করতে করতে দমদমে ছুটে যান। 
সাদেক ইতিমধ্যেই একটি গাড়ি বুক করে ফেলেছেন। বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের মধ্যে মিষ্টি, বিরিয়ানি বিতরণ করছেন। তিনি বলেন, ‘ছোট থেকে অনেক কষ্ট করেছি। অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে তা পূরণ করতে পারছিলাম না। লটারি টিকিট কেটে আগে কয়েকবার সামান্য কিছু টাকা জিতেছিলাম। এ বার এমন কাণ্ড ঘটবে, ভাবতেও পারিনি।’

এক বছর পর ফুসফুস থেকে বের হলো পেনের ঢাকনা!

এক বছর পর ফুসফুস থেকে বের হলো পেনের ঢাকনা!
পেনের এই অংশ আটকে ছিল। ছবিঃ সংগৃহীত।

কয়েক বছর আগে পেনের একটি ঢাকনা গিলে ফেলেছিল আট বছরের ছেলেটি। সেই ঘটনার তিন মাস পর থেকে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হলেও পেনের ঢাকনা গিলে ফেলাটাই যে তার অসুস্থতার কারণ, তা ধরা যায়নি। অবশেষে গত শনিবার ব্রঙ্কোস্কোপি করে অসুখের কারণ বুঝতে পারে চিকিৎসকরা। জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করে পেনের ঢাকনা বার করা হলেও সঙ্কট কাটেনি তার। বলছিলাম ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জের বাসিন্দা রহমান মালিকের কথা। 
পড়াশোনা করার সময়ই আচমকা পেনের ঢাকনা গিলে ফেলেছিল রহমান। পরিবারের সদস্যদের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছিল কয়েক বছর আগে। সে সময়ে তাৎক্ষণিক কোনও শারীরিক অসুবিধা না হওয়ায় বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি তার পরিবার। কিন্তু দুইমাস পর থেকেই রহমানের কাশি শুরু হয়। 
তার মামা আব্দুল জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো একাধিক বার বুকের পরীক্ষা করানো হলেও কিছু ধরা পড়েনি। আট মাস পরে রক্তবমি শুরু হয় শিশুটির। হাসপাতালে ভর্তির পর অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে রক্তবমি বন্ধ হলে তিন সপ্তাহ পরে রহমানকে ছুটি দেওয়া হয়।
কিছুমাস পর একই সমস্যা দেখা দিলে ফের রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির ব্রঙ্কোস্কোপি করে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, ফুসফুসের বাঁ দিকে ‘ফরেন পার্টিকল’ কিছু একটা আটকে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ সেই ‘ফরেন পার্টিকল’ বার করতে অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার সফলও হয়। কিন্তু বারো ঘণ্টা পরেও রোগীর জ্ঞান না ফেরায় চিকিৎসকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
অস্ত্রোপচারের পর আব্দুল বলেন, ‘‘সকালে ভাগ্নের শারীরিক অবস্থা এত খারাপ ছিল যে, ভেন্টিলেটরে দিতে হয়। এখন আইসিইউ-এ রয়েছে। জ্ঞান ফিরলেও বিপদ পুরোপুরি কাটেনি। পেনের ঢাকনার জন্যই যে এটা হচ্ছিল, সেটা আগে বুঝতে পারলে ভাল হত।’’
চিকিৎসকরা জানান, ‘‘মাসের পর মাস কাশি। কফের সঙ্গে রক্ত উঠছে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও সারছে না। এ রকম হলে একবার ব্রঙ্কোস্কোপি করে দেখা উচিত শরীরে কোনও ফরেন পার্টিকল রয়েছে কি না। সচেতনতার অভাবে অনেক সময়ে অহেতুক জটিলতা তৈরি হয়। সেটা কাম্য নয়।’’

নিজের মেয়েকে বিয়ে করলেন মা! এরপর...

নিজের মেয়েকে বিয়ে করলেন মা! এরপর...

নিজের মেয়েকে বিয়ে করলেন মা! এরপর...

নিজের মেয়েকে বিয়ে করায় শাস্তি হিসেবে দুই বছর কারাগারে কাটাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার এক নারীকে। ৪৫ বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া অ্যান স্প্যানকে এই কাজের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 
সমকামিতা বৈধ হলেও ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের আইনে খুব নিকট আত্মীয়দের এই ধরনের যৌনাচার নিষিদ্ধ। ওকলাহোমায় সমকামী বিয়ে বৈধতা পাওয়ার পর ২০১৬ সালে প্যাট্রিসিয়া তার ২৬ বছর বয়সী মেয়ে মিস্টি ভেলভেট ডন স্প্যানকে বিয়ে করেছিলেন।
প্যাট্রিসিয়ার গর্ভে মিস্টির জন্ম; তবে মিষ্টি ছোট থাকতেই তার মার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। ২০১৪ সালে মা-মেয়ের পুনর্মিলন হয়। এর দুই বছরের মাথায় বিয়ে করেন তারা। শিশুদের পরিচর্যা নিয়ে কাজ করে আসা সংস্থা ডিপার্টমেন্ট অব হিউমেন সার্ভিস প্রথম মা-মেয়ের বিয়ের বিষয়টি ধরেন। পরে তা আদালতে গড়ায়।
রাজ্যের সংবাদপত্র ওকলাহোমান জানিয়েছে, মিষ্টি গত অক্টোবরে এই বিয়ে বাতিল করেছিলেন। তাতে তিনি যুক্তি দেখান, তাকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারিত করা হয়েছিল। 
মিষ্টি বলেন, তার মা তাকে বলেছিলেন, এই ধরনের বিয়েতে আইনি কোনও বাধা নেই। বিষয়টি নিয়ে তিনজন আইনজীবীর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়ার কথা মেয়েকে বলেছিলেন প্যাট্রিসিয়া, যা মিথ্যা ছিল বলে এখন বুঝতে পারছেন মিষ্টি। তবে একই অপরাধে শাস্তি এড়াতে পারেননি মিষ্টিও। তাকে ১০ বছরে পর্যবেক্ষণ ও কাউন্সিলিংয়ের মধ্যে থাকতে হবে।
গত মঙ্গলবার থেকে কারাজীবন শুরু হওয়া প্যাট্রিসিয়াকেও মুক্তির পর আট বছর পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। বিয়ের ক্ষেত্রে প্যাট্রিসিয়ার যুক্তি ছিল, মিষ্টির জন্ম সনদে যেহেতু মা হিসেবে তার নাম নেই, সেহেতু এই বিয়ে বৈধ বলেই তিনি মনে করছিলেন। মেয়ের আগে ছেলেকেও বিয়ে করেছিলেন প্যাট্রিসিয়া। তার ছেলে পরে এই বিয়ে বাতিল করে দেয়।