বানরের সন্ত্রাসের ভয়ে বিয়ে হচ্ছে না গ্রামের মেয়েদের। শুনতে অবাক লাগলেও ভারতের বিহারের ভোজপুর জেলার রতনপুর গ্রামের প্রকৃত সত্য এটাই।
সারা গ্রামভর্তি ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার বানর। গ্রামবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বানরদের দাপটে। গ্রামবাসীদের জিনিস চুরি, হঠাৎ মারধর করা তো আছেই, যদি বিয়েবাড়ি বা কোনও শোভাযাত্রা হয় গ্রামে তাহলে মুহূর্তে সেই শোভাযাত্রার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হামলা করে বানররা।
গ্রামবাসীরা জানান, কয়েকবছর আগে একটি বিয়েবাড়ির শোভাযাত্রায় বানরদের হামলায় মৃত্যুও হয়েছিল। তারপর থেকেই ওই গ্রামে বিয়েবাড়িসহ কোনওরকম শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। শোভাযাত্রা দেখলেই বানরদের সন্ত্রাস শুরু হয় যায়।
সেজন্য রতনপুরের মেয়েরা বিয়ে করেন না বলে জানালেন গ্রামবাসীরা। শুধু রতনপুরই নয়, সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রামেই এভাবেই বানরের দল দাপট দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
প্রশান্ত মহাসাগরের সেই অতল অন্ধকারেও মিলল প্রাণের হদিস!
যা কল্পনাও করা যায়নি কোনও দিন, তা-ই ঘটল। গভীরতম প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণে সেই অতল অন্ধকারের জায়গা ‘পয়েন্ট নেমো’-তেও মিলল প্রাণের হদিস। খুব সামান্য পরিমাণে হলেও।
ভূমি থেকে এত দূরে আর কোনও জায়গা নেই প্রশান্ত মহাসাগরে। দূরত্বটা ২ হাজার ৬৮৮ কিলোমিটার (১ হাজার ৬৭০ মাইল)। জার্মানির ‘ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর মেরিন বায়োলজি’র তত্ত্বাবধানে পাঠানো জাহাজ ‘এফএস-সোনে’ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ঢুঁড়ে সেই অতল অন্ধকারে সেঁধিয়ে থাকা অজানা প্রাণীদের সন্ধান পেয়েছে।
বুধবার এ খবর দিয়েছেন ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশ্ন রিসার্চ (এনসিপিওআর)’-এর কর্মকর্তা এম রবিচন্দ্রন।
তিনি জানিয়েছেন, সেই অভিযান চালানো হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরের ৩ কোটি ৭০ লাখ বর্গ কিলোমিটার (১ কোটি ৪০ লাখ বর্গ মাইল) এলাকাজুড়ে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৬ মাস ধরে। চিলি থেকে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত।
গভীরতম প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে সেই গভীরতম এলাকার অতল অন্ধকারে কোনও প্রাণীর বেঁচে থাকার প্রমাণ মেলেনি এর আগে। সে জন্যই জায়গাটির অন্য নাম- ‘ওশ্নিক পোল অব ইনঅ্যাকসেসিবিলিটি’ বা লাতিন শব্দে ‘পয়েন্ট নেমো’। যার অর্থ ‘কেউ নেই যেখানে’। কোনও প্রাণ নেই ভেবে এত দিন প্রশান্ত মহাসাগরের ওই এলাকাটিকে বলা হত, ‘মরুভূমি’।
সে জন্যই অকেজো, অচল হয়ে পড়া বা আয়ু ফুরিয়ে যাওয়া মহাকাশযানগুলোকে যেখানে বিসর্জনের ভাবনাটা কিছু দিন ধরে ভাবতে শুরু করেছে নাসা।
সৌরমণ্ডল ছাড়িয়ে আরও দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ার স্বপ্নটা আমাদের অনেক পুরনো। কিন্তু এই পৃথিবীতেই যেখানে পৌঁছনোর কথা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি এখনও পর্যন্ত, গভীরতম প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণে সেই অতল অন্ধকারের জায়গা ‘পয়েন্ট নেমো’তেও প্রাণীরা রয়েছে বলে এবার জানা গেল এই প্রথমবারের মতো।
রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন, গবেষকদল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ওই গভীরতম এলাকার ২০ থেকে ৫ হাজার ফুট গভীরতা (৬৫ ফুট থেকে ১৬ হাজার ৪০০ ফুট) পর্যন্ত ওই প্রাণীগুলোর দেখা পেয়েছেন। তবে খুবই সামান্য পরিমাণে। আর হাতেগোনা কয়েকটি সামুদ্রিক প্রজাতির। ওই গভীরতায় আলো ও অক্সিজেন পৌঁছনো সম্ভব নয় বলে এত দিন সেখানে প্রাণ থাকতে পারে বলে তেমন জোরালো বিশ্বাস ছিল না বিজ্ঞানীদের।
কোন কোন প্রাণীর হদিস মিলেছে?
রবিচন্দ্রন এও জানিয়েছেন, ২০টি প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। হদিস মিলেছে ‘এসএআর১১’, এসএআর১১৬’ এবং ‘প্রোক্লোরোকক্কাস’ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়াও। পাওয়া গেছে ‘এইজিইএএন-১৬৯’ প্রজাতির একটি ব্যাকটেরিয়ারও। এর আগের গবেষণায় মহাসাগরের ৫০০ মিটারের বেশি গভীরতায় যাদের সন্ধান মেলেনি।
ইরান বিমান দুর্ঘটনা: তেহরান প্রত্যাখ্যান করেছে যে এটি ইউক্রেনীয় জেটটিকে গুলি করেছে
সম্পর্কিত বিষয়
ইউক্রেনের বিমান দুর্ঘটনা
বুধবার ইরান তার একটি ক্ষেপণাস্ত্র রাজধানী তেহরানের কাছে একটি ইউক্রেনীয় যাত্রীবাহী বিমান নামিয়ে দিয়েছে এমন পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর নাগরিক বিমান চলাচলের প্রধান শুক্রবার বলেছিলেন যে তিনি "নিশ্চিত" যে বিমানটি একটি ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়নি।
তিনি পাশ্চাত্য নেতাদের দাবির জবাব দিচ্ছিলেন যে প্রমাণগুলি বলেছিল যে বিমানটি ভূপৃষ্ঠে ভূপৃষ্ঠে একটি বায়ুচালিত ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল।
নতুন ভিডিওতে তেহরানের উপর একটি বিমানের একটি অনুমানের কবলে পড়ে দেখানো হয়েছে।
ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার বিমানের পিএস 2৫২ এর দুর্ঘটনায় ইরাকের দুটি বিমানবন্দরগুলিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরে ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে আটক করেছে।
মার্কিন গণমাধ্যম অনুমান করেছে যে সম্ভাব্য বিমান প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইরান প্রস্তুত হওয়ায় বিমানটি যুদ্ধবিমানের জন্য ভুল করে থাকতে পারে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানীয়, 63৩ জন কানাডিয়ান এবং ১১ জন ইউক্রেনীয় পাশাপাশি সুইডেন, যুক্তরাজ্য, আফগানিস্তান এবং জার্মানি থেকে আগত নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এদিকে, ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারকৃত "ব্ল্যাক বক্স" বিমানের রেকর্ডারগুলি শুক্রবার খোলা হবে, ইরানের সরকারি ইরনা বার্তা সংস্থা জানিয়েছে
ইরান কী বলে?
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (সিএওআই) প্রধান আলী আবেদজাদেহ তার মতামত পুনরুদ্ধার করেছিলেন যে একটি ক্ষেপণাস্ত্রটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ নয়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "যে বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট এবং আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে এই বিমানটি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আঘাত করা হয়নি।"
"আমি যেমন গতকাল রাতে বলেছি, দেড় মিনিটেরও বেশি সময় ধরে এই বিমানটি আগুনে ছিল এবং বাতাসে ছিল এবং অবস্থানটি দেখায় যে পাইলট ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।"
মিডিয়া ক্যাপশনমোবাইল ফোনের ফুটেজে বিমানটি নেমে আসার মুহুর্তগুলিতে প্রদর্শিত হবে
বৃহস্পতিবার, সরকারী মুখপাত্র আলী রাবিয়ি দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তাদের জল্পনা কল্পনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট এবং তার সহযোগীদের "মিথ্যাবাদী এবং মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে জড়িত" বলে অভিযুক্ত করেছেন।
শুক্রবার এক ইরানি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, বিমানটি টেক-অফের আগে বিমানটির যান্ত্রিক সমস্যা ছিল তা প্রমাণ করার জন্য ডকুমেন্টেশন রয়েছে। উড়ানের জন্য এটি সই করা হয়নি, তবে ইউক্রেনের বিমান সংস্থাগুলি এর কর্মকর্তারা এই আপত্তিগুলিকে বাতিল করে দিয়েছিল, এই কর্মকর্তা আরও বিবরণ না দিয়ে বলেছিলেন।
সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র ধর্মঘট সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন যে তিনি একাধিক সূত্র থেকে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন যে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে ইরানকে একটি বিমান-বায়ু মিসাইল দ্বারা বিমানটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তিনি আরও যোগ করেছেন যে এটি অনিচ্ছাকৃত ছিল।
"এটি পুরো তদন্তের প্রয়োজনকে আরও শক্তিশালী করে তোলে," তিনি বলেছিলেন। "কানাডিয়ানদের কাছে প্রশ্ন রয়েছে এবং সেগুলির জবাব প্রাপ্য।"
তবে তিনি বলেছিলেন যে ভাগাভাগি করে নেওয়া বা কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো খুব তাড়াতাড়ি, এবং তার প্রমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি।
কানাডায় বক্তব্য রেখে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডমিনিক র্যাব বলেছিলেন, "ব্রিটিশ নাগরিকদের ইরান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল," ইউআইএর ফ্লাইট 75৫২ টি ইরানের পৃষ্ঠ থেকে বায়ু ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা গুলি করে মারা হয়েছিল, এবং তীব্র উত্তেজনা প্রকাশিত হয়েছিল "।
চিত্র কপিরাইটগেট্টি ইমেজচিত্রের শিরোনামবিমানটি তেহরান থেকে যাত্রা করার কিছুক্ষণ পরেই নেমে এসেছিল
নিউজউইক একটি পেন্টাগন এবং মার্কিন গোয়েন্দা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একজন ইরাকি গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে যে তারা বিশ্বাস করে যে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের বিমান পিএস 752 একটি রাশিয়ার তৈরি টর ক্ষেপণাস্ত্রটির কবলে পড়েছিল।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রাপ্ত ভিডিও তেহরানের উপর দিয়ে রাতের আকাশ জুড়ে একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে এবং তারপরে একটি বিমানের সংস্পর্শে বিস্ফোরিত হতে দেখা গিয়েছিল। প্রায় 10 সেকেন্ড পরে, মাটিতে একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ শোনা যাচ্ছে। প্লেনটি জ্বলতে থাকে, উড়ে যেতে থাকে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলডোমির জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলিকে দুর্ঘটনার বিষয়ে তাদের তথ্য ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তদন্তের কী হবে?
ইরান প্রাথমিকভাবে বলেছিল যে উদ্ধারকৃত "ব্ল্যাক বক্স" বিমানের রেকর্ডারগুলি বিমানের প্রস্তুতকারক বোয়িং বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর করবে না।
এর পরে ৩ জানুয়ারী মার্কিন ড্রোন হামলায় শীর্ষ ইরানী জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা এবং বুধবার ইরাকের মার্কিন ঘাঁটির বিরুদ্ধে পরবর্তী হামলা চালানো হয়।
তবে মার্কিন জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড (এনটিএসবি) পরে নিশ্চিত করেছে যে তদন্তে অংশ নিতে আমন্ত্রিত হয়েছিল এবং একজন প্রতিনিধি প্রেরণ করবে।
বোয়িং বলেছেন যে এটি তদন্তে এনটিএসবিকে সমর্থন করবে, এবং কানাডার পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড জানিয়েছে যে তেহরানের দ্বারাও দুর্ঘটনার জায়গায় তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
ফ্রান্সের বিআইএ বিমান দুর্ঘটনা সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে, তদন্তে অংশ নেওয়ার জন্যও তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
তবে, বৃহস্পতিবার ক্র্যাশ সাইট থেকে টিভি চিত্রগুলি একটি বুলডোজারকে ধ্বংসাবশেষ দূরে সরিয়ে দেখিয়েছে, উদ্বেগ উত্থাপন করে যে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণগুলি অপসারণ করা যেতে পারে।
প্রাণী হিসেবে ক্যাঙ্গারু খুব ভদ্র ও মায়াবী। আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রে তারা মাঝে মাঝে মানুষের মতো আচরণ করে। ক্যাঙ্গারুরা কতটা মায়াবী তার প্রমাণ মিলে ২০১৭ সালে। ওই সময় সিরিজ ইউটিউব ভিডিওতে ১৩ বছরের একটি নারী ক্যাঙ্গারুকে দেখা যায়। ওই ক্যাঙ্গারুটির নাম কুইন অ্যাবি। যাকে তারা উদ্ধার করেছে তাদের দেখলেই জড়িয়ে ধরে সে। মাত্র ৫ মাস বয়সে তাকে উদ্ধার করা হয়। সেসময় তার বাবা-মা মারা গিয়েছিল। এখন রানি অ্যাবি আছে মধ্য অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাঙ্গারুর অভয়ারন্যে। এখানে বৃদ্ধ ও এতিম শিশু ক্যাঙ্গারুদের বিশেষ যত্ন নেয়া হয়। ১৮৮ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এ অভয়ারণ্যে পর্যটকদের যাওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। সেই অভয়ারণ্যে যারাই যত্ন নেয় তাদের সঙ্গেই বিশেষ সম্পর্কে তৈরি করে ফেলে অ্যাবি। প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সেই অভয়ারণ্যে আছে অ্যাবি। অভয়ারণ্যে যারা কাজ করেন তাদের ভালো করেই চিনে সে। পরিচিত লোক দেখলেই জড়িয়ে ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে অ্যাবি।
দাবানলে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়া। দমকলের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের সাইরেন দক্ষিণ–পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার মানুষ কান হাত দিয়ে চেপেও তার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে। এমনই সময় একটি ম্যাগপাই পাখি শিষ দিয়ে গান গাইছে। কিন্তু তার গানের সুরেও ওই সাইরেনের আওয়াজ।
গত ৩ জানুয়ারি লুপ্তপ্রায় প্রজাতিবিষয়ক সাবেক কমিশনার ফেসবুকের গ্রুপ ‘অস্ট্রেলিয়ান নেটিভ বার্ড’– এ একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়- একটি ম্যাগপাই পাখি নিজের আনন্দে সাইরেনের সুর নকল করে শিষ দিচ্ছে। এতবার সে এই আওয়াজ শুনতে পেয়েছে যে তার মাথায় গেঁথে গেছে সুরটা।
তিনি লিখলেন, ‘আজ একটি অস্ট্রেলিয়ান ম্যাগপাইয়ের সঙ্গে দেখা হল নিউক্যাসেলে। সে দমকলের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজের নকল করা শিখে গেছে’। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর ২,৬০০– এর বেশিবার শেয়ার হয়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ভায়নক দাবানলে পুড়ছে ১,৩০০ টি ঘর, ৩.৬ মিলিয়ন হেক্টর জমি। পশুপাখি ভয়ে পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। ধ্বংস হয়ে গেছে কত কত গাছ! অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে ‘আপতকালীন পরিস্থিতি’– এর ঘোষণা করে দেয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ম্যাগপাইটি যেন তার গান দিয়া সতর্ক করে দিচ্ছে পৃথিবীর মানুষকে। বলতে চাইছে, এবার তোমরা সাবধান হও। এই পৃথিবীকে বাঁচাও। আবহাওয়ার পরিবর্তন একদিন সবাইকে এভাবে শেষ করে দেবে। নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার জানিয়েছে, ম্যাগপাই ৩৫ প্রকার পাখির গান নকল করতে পারে। এছাড়া পশুদের আওয়াজও সে শুনে শুনে শিখে নেয়। তার মধ্যে কুকুর, ঘোড়া, মানুষ সবাই আছে।