শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

করোনাভাইরাস এক দিনেই কেড়ে নিল আরও ১১৫ প্রাণ

করোনাভাইরাস এক দিনেই কেড়ে নিল আরও ১১৫ প্রাণ


করোনাভাইরাস এক দিনেই কেড়ে নিল আরও ১১৫ প্রাণ
সংগৃহীত ছবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ থামছেই না। এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশে আরও ১১৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ২২৩ জনে।

এছাড়া জাপানে তিনজন, হংকংয়ে দুইজন, ইরানে দুইজন, তাইওয়ানে একজন, ফিলিপাইনে একজন, ফ্রান্সে একজন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় একজন করে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪১১ জন। হুবেইতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৪৪২ জনে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭৭ হাজার। আজ শুক্রবার হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে চীনের বাইরে সবচেয়ে আক্রান্ত রয়েছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রমোদতরী প্রিন্সেস ডায়মন্ডে। এই প্রমোদতরীতে ৬২১ জনের শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন।

করোনা আতঙ্কে কোরিয়ার এক শহরে আড়াই লাখ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ

করোনা আতঙ্কে কোরিয়ার এক শহরে আড়াই লাখ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ


করোনা আতঙ্কে কোরিয়ার এক শহরে আড়াই লাখ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ

চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু শহরের আড়াই লাখ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরটিতে ৪৯ জন করোনা রোগী শনাক্তের পর এমনই পদক্ষেপ নিলেন শহরের মেয়র কোয়ান ইয়ং-জিন।
তিনি বলেন, এই শহরটিতে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এই সঙ্কট মোকাবিলায় শহরটির বাসিন্দাদের নিজ বাড়ি থেকে বাইরে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। 
জাপানি প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এই নির্দেশনা দেন কোয়ান ইয়ং-জিন। 
এর আগে জাপানের ক্রুজ শিপে ৬২০ জনের কারোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জাপনের সরকার। 

গাড়িতে উঠলেই বমি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

গাড়িতে উঠলেই বমি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার


গাড়িতে উঠলেই বমি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
প্রতীকী ছবি

কিছু মানুষের যেমন ভ্রমণেই আনন্দ, কারও কারও আবার ভ্রমণের কথা শুনলেই গায়ে জ্বর আসে। কারণ মোশন সিকনেস। মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব অসহ্য করে তোলে। যার কারণে যে কোনও জায়গায় বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পণ্ড হয়ে যায় ঘুরতে যাওয়ার আনন্দটা। কী কারণে হয় এই সমস্য়া?
সাধারণত বাসে বা প্রাইভেট কারে উঠলে মোশন সিকনেস হয়। এছাড়াও অ্য়াসিডিটির সমস্য়া থাকলে হতে পারে বমি, অসুস্থতার জন্য় হতে পারে বা কোনও বাজে গন্ধ থেকে হতে পারে বমি। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সমস্য়া থেকে প্রতিকারের উপায়-

১) সব সময় জানালার পাশের সিটে বসার চেষ্টা করুন। বাইরের বাতাস ভিতরে আসতে দিন।
২)  যেদিকে গাড়ি চলছে সেই দিকে পেছন করে বসবেন না। 
৩) যেদিন ঘুরতে যাবেন তার আগের দিন রাতে ভালোভাবে ঘুমাবেন।
৪) চলন্ত গাড়িতে বই ও ফোন ব্য়বহার থেকে বিরত থাকুন। 
৫) আদা খাবার হজমে সাহায্য় করে। তাই গাড়িতে ওঠার আগে মুখে ছোট এক টুকরো আদা নিয়ে নিন। 
৬) টক জাতিয় ফল বেশি করে খেলে বমি ভাব দূর হয়ে। এছাড়াও লেবু পাতার গন্ধ দূর করে বমির ভাব।
৭) অ্য়াসিডিটির সমস্য়া থকলে পুদিনা পাতা খেতে পারেন।
৮) বমি ভাব লাগলে এক টুকরো লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখুন।
৯) বমি হলে দারুচিনি খেতে পারেন। 
১০) চুইংগাম খেলে মুখ ও মন ব্য়স্ত থাকে। তাই বমি ভাব আর আসে না। 
১১) গাড়িতে সামনের দিকে বসার চেষ্টা করবেন।

সিঙ্গাপুরে একসঙ্গে ডেঙ্গু ও করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত

সিঙ্গাপুরে একসঙ্গে ডেঙ্গু ও করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত


সিঙ্গাপুরে একসঙ্গে ডেঙ্গু ও করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত
ফাইল ছবি

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের আরেক নাম ‘করোনাভাইরাস’। সেই আতঙ্কের এবার যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। সিঙ্গাপুরের এক নারীর শরীরে এই দুই ভয়ঙ্কর রোগ একসঙ্গে শনাক্ত হয়েছে। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহ্স্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারীকে মশার কামড়ের কারণে হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের বিষয়টি ভুল নয়। তিনি একসঙ্গে দুই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও প্রথমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হিসেবে তাকে সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়। এনজি টেং ফং জেনারেল হাসপাতালে অন্য রোগীর সঙ্গে তাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাখা হয়। পরে রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত। বিষয়টি জানার পরপরই তাকে আলাদা ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, গত ছয় সপ্তাহে সেখানে ব্যাপকহারে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত নারীর সঙ্গে একই ঘরে সময় পার করা অন্য রোগীরাও বর্তমানে ঝুঁকিতে আছেন। তবে তাদের ব্যাপারে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা এখনো জানা যায়নি।

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২০

অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে তৈরি হলো করোনাভাইরাস

অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে তৈরি হলো করোনাভাইরাস


অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে তৈরি হলো করোনাভাইরাস
ফাইল ছবি

চীনে মহামারী রূপ নিয়েছে করোনোভাইরাস। মরণঘাতী এই ভাইরাসে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। ফলে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে প্রথমবারের মত গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। চীনের বাইরে প্রথম কোনো দেশ এ ভাইরাস আবিষ্কার করল। যা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এক ‘যুগান্তকারী পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এ গবেষণা থেকে পাওয়া ফল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণাগারে পাঠানো হবে।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশেষজ্ঞ ল্যাবের গবেষকরা বলেছেন, সংক্রামিত রোগীর কাছ থেকে ভাইরাসটির অনুলিপি নিয়ে ভাইরাসটি আবিষ্কার করতে পেরেছেন। গত শুক্রবার তাদের কাছে এ নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
ডা. মাইক ক্যাটন বলেছেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে এ জাতীয় একটি ঘটনার জন্য পরিকল্পনা করে আসছি এবং সে কারণেই আমরা এতো দ্রুত উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছি।’