সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০

শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়: গবেষণা

শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়: গবেষণা


শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়: গবেষণা
প্রতীকী ছবি

জীবনযাত্রার মান বদলে গেছে। অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছে বর্তমান জনজীবন। তাই চিকিত্‍সকরা বলেন, প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমালে জীবনযাত্রার মান সুস্থ আর সুন্দর হয়। কিন্তু বর্তমান সমাজে একটি বড় সমস্যা হল, স্থুলতা বা মোটা হওয়া।
বর্তমানে বহু শিশুদের ক্ষেত্রেই ওবেসিটি বা স্থুলতা দেখা দিচ্ছে। স্কুলের গণ্ডিতেই তাদের শরীরে চর্বি জমে যাচ্ছে। কেন এটা হচ্ছে, এই নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণা চালিয়েছেন।
স্থুলতার জন্য বহু শিশুর নানা রোগও দেখা শরীরে বাসা বাঁধছে অল্প বয়সে। যার ফলে চিন্তায় পড়ছেন মা-বাবারা। এ ক্ষেত্রে শিশুদের ঘুমের সময়কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীরা।
ব্রিটেনে সম্প্রতি শিশুদের ওবেসিটি নিয়ে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাতে দেখা যাচ্ছে, শিশুদের মধ্যে স্থুলতার মূল কারণ ঘুমের সময়।
নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১ থেকে ৬ বছর বয়সি শিশুরা রাত ৯টার পরে ঘুমাতে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে স্থুলতার হার বেশি।
সুইডেনের শিশু বিশেষজ্ঞ ক্লওদে মার্কাস জানাচ্ছেন, যে সব শিশুরা রাতে দেরিতে শুতে যাচ্ছে বা ঘুমাচ্ছে, তাদের মধ্যে অল্প বয়সেই মোটা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ এই শিশুদের মেটাবলিজম রেট কমে যায়। ফলে শরীরে মেদ জমতে থাকে।

ডিম আমিষ না নিরামিষ, জানালেন বিজ্ঞানীরা

ডিম আমিষ না নিরামিষ, জানালেন বিজ্ঞানীরা


ডিম আমিষ না নিরামিষ, জানালেন বিজ্ঞানীরা

ডিম স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ডিম আমিষ না নিরামিষ-এই বিতর্কের কারণে আমিষ ভেবে অনেকে ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। কারণ, ডিম মুরগির শরীর থেকে তৈরি হয়। এই যুক্তিতেই একাংশের মত ডিম আমিষ। তবে পাল্টা যুক্তিও রয়েছে।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ডিমের ৩টি অংশ থাকে। ডিমের খোসা, কুসুম ও সাদা অংশ। ডিমের সাদা অংশ শুধু প্রোটিন দিয়ে তৈরি। আর কুসুমে রয়েছে প্রোটিন, কোলেস্টেরল ও ফ্যাট। বাজারে খাওয়ার জন্য যে ডিম বিক্রি হয় তা অনিষিক্ত। তার মধ্যে কোনও ভ্রুণ থাকে না। অর্থাৎ এই ডিম খেলে জীবহত্যার দায়ে দুষ্ট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এছাড়া পুষ্টিবিদদের মতে, আমিষ বা নিরামিষ না ভেবে নিয়মিত একটি করে ডিম খাওয়া জরুরি। কারণ এতে শরীর সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকতে সহায়তা করে। 

যেভাবে সহজে দূর করবেন গলায় আটকা মাছের কাঁটা

যেভাবে সহজে দূর করবেন গলায় আটকা মাছের কাঁটা


যেভাবে সহজে দূর করবেন গলায় আটকা মাছের কাঁটা
প্রতীকী ছবি

মাছ একটি প্রিয় খাবার। সব বয়সের মানুষই কমবেশি মাছ পছন্দ করেন। তবে প্রিয় এই খাবারটি খেতে গেলে অনেক সময় বিপত্তিও ঘটে। তাছাড়া কাঁটার ভয়ে অনেকে সুস্বাদু এই খাবারকে এড়িয়েও চলেন।
ইলিশ সুস্বাদু মাছ হলেও অনেকে দূরে সরিয়ে রাখেন শুধুমাত্র অতিরিক্ত কাঁটার ভয়ে। খেতে খেতে হঠাৎ গলায় কাঁটা বিঁধে গেলেই সর্বনাশ! তবে এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে।
গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাঁটা দূর করার সহজ ৫ উপায় রয়েছে। আসুন জেনে নিই গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাটা দূর করার ৫ উপায়-
১. এক দলা সাদা ভাত খেতে পারেন। নরম ছোট কাঁটা হলে এতে অনেক সময় নেমেও যায়।
২. গলায় কাঁটা বিঁধলে অল্প অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। অলিভ অয়েল অন্য তেলের তুলনায় বেশি পিচ্ছিল। তাই গলা থেকে কাঁটা পিছলে নেমে যাবে সহজেই।
৩. হালকা গরম পানিতে একটু লেবু নিংড়ে সেই পানি খেতে পারেন। লেবুর অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দিতে সক্ষম।
৪. পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। ভিনেগার গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটাকে নরম করে। তাই পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে খেলে কাঁটা সহজেই নেমে যায়।
৫. লবণও কাঁটা নরম করে। তবে শুধু লবণ না খেয়ে পানিতে লবণ মেশিয়ে নিন। প্রথমে একটু পানি সামান্য উষ্ণ গরম করে নিয়ে সেই পানিতে বেশ খানিকটা লবণ মিশিয়ে নিন। এই উষ্ণ লবণপানি খেলে গলায় বিঁধে থাকা মাছের কাঁটা সহজেই নেমে যাবে

প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়ামে ৭ উপকার

প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়ামে ৭ উপকার

প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়ামে ৭ উপকার

রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে অনেকের। আবার রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে ওষুধ খেয়ে থাকেন। আর ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা মারাত্মক।
ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। রাতে ভালো ঘুমাতে চাইলে প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটুন। প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটলে আপনাকে ঘুমকে খুঁজতে হবে না, ঘুমই খুঁজে নেবে আপনাকে!
আসুন জেনে নিই প্রতিদিন ২০ মিনিট ব্যায়াম করলে যেসব উপকার পাবেন-
১. এক গবেষণায় দেখা গেছে– যারা নিয়মিত ২০ মিনিট ব্যায়াম করেন, তারা অন্যদের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম মানসিক চাপে ভোগেন।
২. গবেষণায় আরও বলা হয়, শরীরে স্ট্রেস হরমোন করটিসোলের পরিমাণ কমিয়ে দেয় ব্যায়াম। ব্যায়াম শরীরকে আরাম দেয়। তাই যোগাসন, ডিপ ব্রিদিং ও মেডিটেশন করলেও ভালো ফল পাবেন।
৩. শরীরচর্চা করলে ‘ন্যাচারাল ফিল গুড’ হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে মন ফুরফুরে থাকে।
৪. শরীরচর্চার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। ফিট ও সুস্থ থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
৫. ক্ষুধা বাড়ে শরীরচর্চা করলে। ফলে খাবারের অনিয়ম দূর হয়।
৬. ব্যায়াম সারাদিন কর্মক্ষম রাখবে ও এনার্জি দেবে। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় ব্যায়াম করলে।
৭. সকালে ঘুম থেকে উঠেই ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন। পুরো দিনের জন্য এনার্জি স্টোর হয়ে যাবে।

চুল পড়া প্রতিরোধে রসুন

চুল পড়া প্রতিরোধে রসুন

চুল পড়া প্রতিরোধে রসুন

আপনার কি চুল পড়ে যাচ্ছে?
চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেই সঙ্গে রসুনও অনেকটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এটি শুধু চুল পড়া ঠেকায় না, মাথার ত্বকের ইনফেকশন ও খুশকি দূর করতে সহায়ক। শুধু তাই নয়, রসুন নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
বিশেষজ্ঞদের মত, তেলের মতো করে চুলে ও মাথার ত্বকে রসুনের রস লাগালে অনেক দ্রুত নতুন চুল গজায়। রসুনের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এলিসিন যা রক্তে হিমোগ্লোবিন সঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার যা চুলকে ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
রসুনের রস ব্যবহার পদ্ধতি
প্রথম ধাপ: প্রথমে রসুন পেস্ট করে এর রস বের করে নিতে হবে। এরপর একটি এয়ার টাইট বোতলে তা সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে যখন প্রয়োজন তখন তেলের মতো করে এই রস চুলে ব্যবহার করা যায়।
দ্বিতীয় ধাপ: চুল শুষ্ক হলে গোলাপজলের পানিতে তা আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। গোলাপজল চুলের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এই আধাঘণ্টা পর ভালো করে চুলে ও মাথার তালুতে রসুনের রস লাগাতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: চুলে রসুনের রস লাগিয়ে আধাঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চিরুনি দিয়ে তা আঁচড়াতে হবে। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এবার চুলে ভালো করে মাইল্ড শ্যাম্পু লাগিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ১৫ মিনিট পর কন্ডিশনার লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
কতদিন বা কয় দিন পরপর ব্যবহার করবেন?
১.অতিরিক্ত হারে চুল পড়লে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন রসুনের রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে এক মাসের মধ্যে মাথায় নতুন চুল গজাতে পারে।
২.মাথার তালুতে ক্ষত থাকলে রসুনের রস ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এটি ব্যবহারে ক্ষত আরও বেড়ে যেতে পারে।
৩. মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে চুলে তেল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে শুধু রসুনের রস লাগাতে হবে।