বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০

লন্ডনে মসজিদ-স্কুল বন্ধ করে সেনা মোতায়েন

লন্ডনে মসজিদ-স্কুল বন্ধ করে সেনা মোতায়েন


লন্ডনে মসজিদ-স্কুল বন্ধ করে সেনা মোতায়েন

করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে শুক্রবার থেকে ব্রিটেনের বড় বড় মসজিদ, গীর্জা, সব স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী মে ও জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য স্কুলের নির্ধারিত পরীক্ষাগুলোও স্থগিত বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। 
এই ঘোষণার সময়ই এই দুর্যোগ মোকাবেলায় লন্ডনের রাস্তায় নামানো হয়েছে কয়েক হাজার সেনাসদস্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২০ হাজার সেনাসদস্যকে।
এছাড়া লন্ডনের ৪০টি পাতালরেল স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাতে আন্ডারগ্রাউন্ড বন্ধ থাকবে। সুপারস্টোরগুলোও ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু রাখা হয়েছে।
পাবলিক বাস-ট্রেন চালু থাকলেও তা সীমিত হয়ে আসবে। শুধুমাত্র ডাক্তার নার্স বা সেবা প্রদানকারীদের জন্য এই গণপরিবহন চালু থাকবে।   
খুব জরুরি না হলে নগরবাসীকে গণপরিবহন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন লন্ডনের মেয়র। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা বন্ধ করতে উপদেশ দেয়া হয়েছে। 
ইতোমধ্যে বিশিষ্ট ওলামেয়া কেরামগণ সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ থাকবে। বাড়ি ভাড়া ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জন্য ঘোষণা করেছেন প্রণোদনা। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে লন্ডনও লক ডাউনের দিকে যাচ্ছে বলেই ধারণা করছেন সবাই।
 
উল্লেখ্য মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৭১। গত ২৪ ঘন্টায় তা বেড়ে ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯৯ জনই ইংল্যান্ডের। আর পরীক্ষার পর ২,৬২৬ জনের মধ্যে করোনার লক্ষণ তথা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮ হাজার। তবে করোনার সূতিকাগার চীনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমশ কমছে।

করোনাকে পরাজিত করেছেন ৮৫ হাজার মানুষ, সচেতনতা ও চিকিৎসায় মিলবে সাড়া

করোনাকে পরাজিত করেছেন ৮৫ হাজার মানুষ, সচেতনতা ও চিকিৎসায় মিলবে সাড়া

করোনাকে পরাজিত করেছেন ৮৫ হাজার মানুষ, সচেতনতা ও চিকিৎসায় মিলবে সাড়া

কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘মহামারির চেয়েও ভয়ঙ্কর’ বলে ব্যাখ্যা করেছে। এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। তবে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৮৫ হাজার ৭৪৫ ব্যক্তি। 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বয়সের মোট ৪৫ জনের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এর টিকা। প্রায় ছ’সপ্তাহ ধরে চলবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘MRNA 1273’ নামের এই টিকার প্রয়োগ শুরু করেছেন আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’ (NIH)-এর অধীন ‘দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস’ (NIAID)-র বিজ্ঞানীরা এবং তার সহযোগী বায়োটেকনোলজি সংস্থা মডার্না আইএনসি। 
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডঃ আসিফ ইকবাল (রেসপিরেটোরি ক্রিটিক্যাল কেয়ার) জানান, এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধার পরও প্রায় এক সপ্তাহ কোনও লক্ষণই প্রকাশ পায় না। ৪-১০ দিন কোনও রকম উপসর্গই লক্ষ্য করা যায় না। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিন সাতেক পর থেকে হঠাৎ করেই জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা শুরু হয়। তাই এ ক্ষেত্রে তার পরামর্শ, প্রত্যেকেরই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলির অপেক্ষা না করে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিৎ।
ডঃ ইকবাল জানান, করোনাভাইরাসের আকৃতি অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় বড়। বাতাসের মাধ্যমেও এই ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আমাদের হাঁচি-কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেটসে থাকা ভাইরাস-কণা বাতাসে ৩০ মিনিটের বেশি সক্রিয় থাকতে পারে না। আপাতত নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধপত্র, যে কোনও কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীকে ‘আইসোলেশন’-এ রেখে বিশেষ পর্বেক্ষণে রাখা হচ্ছে। 

করোনা প্রতিরোধে আলোচনায় 'সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ

করোনা প্রতিরোধে আলোচনায় 'সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ

করোনা প্রতিরোধে আলোচনায় 'সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ'

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া জরুরি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত নিয়মাবলিতে এই বিষয়টিগুলির উল্লেখ রয়েছে। ১৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায়। নেটদুনিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে #SafeHands Challenge।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক নিজেও অংশ নিয়েছেন এ সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জে। সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছেন তারকারাও। নেটদুনিয়ায় একে-অপরের দিকে সেফ হ্যান্ড চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ১১ ধাপে সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধুয়ে কিংবা অ্যালকোহল-যুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে সেই ভিডিও পোস্ট করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন চ্যালেঞ্জ শেষ করে অন্যকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। এরইমধ্যেই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকার, বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোনসহ আরও অনেকে। 

আজ ভালো কিছু খবর দিয়ে দিনটি শুরু করি

''আজ ভালো কিছু খবর দিয়ে দিনটি শুরু করি''

খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন

''আজ ভালো কিছু খবর দিয়ে দিনটি শুরু করি''

১) চীনের উহানে আর নতুন কোন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নেই। অর্থাৎ তাঁরা করোনাকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
২) করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় জাপানে তৈরি একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ওষুধ পুরোপুরি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছে চীন। জাপানের ফাভিপিরাভির (favipiravir) নামের ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সম্প্রতি ওষুধটি উহান ও শেনঝেন অঞ্চলের অন্তত ৩৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়।
৩) কিউবার আবিষ্কার 'ইন্টারফেরন আলফা টু-বি’ ওষুধটিও করোনার ক্ষেত্রে কার্যকর বলা হচ্ছে।
৪ ) অ্যামেরিকান ডাক্তার এবং ভারতের ডাক্তার দেবী শেঠির মতে যাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদের এমনিতেই সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৭ দিনের মধ্যে ।
৫) ভারতে দিল্লীর একজন ডাক্তার বলেছেন, দুটি ভিন্ন ধর্মী ওষুধের মাধ্যমে এই রোগকে প্রতিহিত করা সম্ভব।
৬ ) জার্মানি, কানাডা, অ্যামেরিকা হ উন্নত দেশগুলোতে রাত-দিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই ওষুধ আবিষ্কারের। অনেকের ঘোষণাটুকু দেওয়ার অপেক্ষা।
৭) চীন থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দল বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি নিয়েছে।
৮) উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যেই যারা এই রোগ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তাঁরাও যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করবেন আশা করা যায়।
৯) এই রোগ যেহেতু রেস্পিরেটরি ডিসট্রেস বা শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা ঘটায় এই জন্য আজমা, হৃদরোগ কিডনিসহ জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং বয়োবৃদ্ধদের জন্য মারাত্মক হুমকি।
১০) জ্বর, সর্দি, কাশি গলা ব্যথা মানেই কিন্তু করোনা নয়, এগুলো এমনিতেই আমাদের দেশে সিজনাল রোগ। কিন্তু সঙ্গে শ্বাস কষ্ট, ডায়রিয়া কিংবা বমি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, করোনা টেস্ট করাতে হবে।
১১) সব দেশে সবাই বলছে যেহেতু রোগ প্রতিরোধক কোন ওষুধ বের হয়নি এই জন্য পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসসহ শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখুন। সিগারেট এবং মাদক যা ফুসফুস এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা থেকে এই ক্রান্তিকালে বিরত থাকুন।
বিদেশ ফেরত রোগীদের মাধ্যমে যারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন আমাদের দেশে তাঁদের এই রোগ ছড়াতে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সেই পর্যন্ত সময় আছে পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নার্স, ডাক্তারদের পোশাকসহ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ভেন্টিলেটর, নেবুলাইজার সমস্ত যন্ত্রপাতি আমদানি করা কিংবা সংগ্রহে রাখা।
ইকমো (ECMO)। পুরো কথায় -- "Extracorporeal Membrane Oxygenation" মানুষের শরীরে যখন হার্ট অথবা ফুসফুস কাজ করতে পারে না, তখন ইকমো অথবা ইসিএমও নামের এই মেশিনটির ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী। করোনাভাইরাস আক্রান্ত বিশ্বের সবদেশেই এই মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে একমাত্র স্কয়ার হাসপাতালেই ECMO নামক মেশিনটা আছে। আর কোনো হাসপাতালে নেই। খুবই ব্যয়বহুল এই মেশিন অন্যান্য হাসপাতালগুলোর জন্য কেন কেনা হয়নি তা প্রশ্নের উদ্রেক করে।
অবশ্যই করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে অন্য রোগে ভর্তি হওয়া রোগীরা করোনায় আক্রান্ত না হতে পারে।
ইতালি, স্পেন, আমেরিকা, সৌদি আরব ফেরত রোগীরা মফঃস্বলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেয়ে আত্মীয়-স্বজনের সাথে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে রোগ ছড়াচ্ছে তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। কেবল ঢাকা শহর নয় অন্যান্য ছোট শহরগুলোতে করোনার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা রাখা জরুরি।
সর্ব ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা তিনি আমাদের দোয়া কবুল করুন, আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সকল দেশের রোগাক্রান্ত মানুষের প্রতি দয়াশীল হন, আমাদের ক্ষমা করুন।

করোনাভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধছে যেভাবে

করোনাভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধছে যেভাবে

করোনাভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধছে যেভাবে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথা ব্যথা, হাঁচি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়— এ কথা আমরা এখন মোটামুটি সকলেই জানি। কিন্তু কীভাবে শরীরে বাসা বাঁধছে এই ভাইরাস? কোন পথে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ? আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
কেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট হয়?
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় একদল গবেষকের দাবি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কোষগুলো ফুলে ওঠে। ভাইরাস অণুগুলো ফেটে চারপাশের অন্যান্য কোষগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। সংক্রমণ দ্রুত ব্রঙ্কিওল টিউবে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় শুরু হয় গলাব্যথা আর শুকনো কাশি। সংক্রমণ আরও বাড়লে ভাইরাসের অণুগুলো ক্রমশ ছড়িয়ে ফুসফুসের মিউকাস মেমব্রেনে। ফুসফুসের দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অংশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে শ্বাসানালীর উপরে ট্রাকিয়ার দিকে। সংক্রমণ ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়লে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের কাজটাও সঠিকভাবে হয় না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ক্রমশ দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
আক্রান্তদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণে ফুসফুসে দুই পা‌শের পেরিফেরিয়াল অংশে হালকা, পালতা আস্তরণ দেখা যায়। সংক্রমণ যত বাড়ে, ওই আস্তরণ ততই ঘন হয়। 
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধার পরও প্রায় এক সপ্তাহ কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিন সাতেক পর থেকে হঠাৎ করেই জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা শুরু হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রত্যেকেরই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলোর অপেক্ষা না করে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিৎ।