শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের করুণ দশা, দেখুন থ্রিডি ভিডিওতে

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের করুণ দশা, দেখুন থ্রিডি ভিডিওতে

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের করুণ দশা, দেখুন থ্রিডি ভিডিওতে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বিশ্বব্যাপী ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে সোয়া ৫  লাখেরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করেছে এই ভাইরাস। এতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষের।
করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা গলাব্যথা। শেষ পর্যন্ত এই ভাইরাস ফুসফুসে আঘাত হানে। এতে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এমনকি এতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের হালকা লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। আবার অনেকের এসব উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে।
মাত্র ২০ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এদের মধ্যে ১৪ শতাংশের অবস্থা হতে পারে গুরুতর। ছয় শতাংশ রোগীর অবস্থা হয় সংকটপূর্ণ এবং তারা হারিয়ে ফেলতে পারেন ফুসফুসের কার্যক্ষমতা।
কোনও ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার ফুসফুসের অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, তার একটি থ্রিডি ভিডিও প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের বক্ষ সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. কেইথ মর্টম্যান। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছবিগুলো তোলা হয়। খবর সিএনএন’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবিগুলো তোলার কয়েকদিন আগেও আগে ওই ব্যক্তির ফুসফুস একদম ঠিক ছিল।
ডা. মর্টম্যান বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস তার ফুসফুসের বিরাট অংশজুড়ে বিস্তার করেছে। ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, ঘাসের মেঘে (টিস্যুগুলো দেখতে ঘাসের মতো দেখাচ্ছে) ছেয়ে গেছে তার ফুসফুস। (হালকা হলদেটে) সবুজ ঘাসের মতো দেখতে এগুলো আসলে নষ্ট টিস্যু।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর অন্য একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে তার সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি ও একটু শ্বাসকষ্ট ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
তাকে ওই হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এতেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি (জিডব্লিউইউ) হাসপাতালে।
পরে ডা. মর্টম্যান ও তার টিমের সদস্যরা ওই ব্যক্তির ফুসফুস স্ক্যান করে তা ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে থ্রিডি-তে রূপ দেন। এতেই ধরা পড়ে তার ফুসফুসের করুণ হাল।

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

ইরানের ১৯ প্রদেশে প্রবল বন্যা: চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা

ইরানের ১৯ প্রদেশে প্রবল বন্যা: চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা

ইরানের ১৯ প্রদেশে প্রবল বন্যা: চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা

ইরানজুড়ে প্রবল বর্ষণের কারণে বিভিন্ন এলাকায় আকষ্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি বন্যা দুর্গত প্রদেশগুলোর উদ্ধার ও ত্রাণ সংস্থাগুলোকে পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরানের যেসব প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে পূর্ব আজারবাইজান, বুশেহর, চাহারমাহাল-বাখতিয়ারি, দক্ষিণ খোরাসান, খোরাসান রাজাভি, উত্তর খোরাসান, খুজিস্তান, সেমনান, সিস্তান-বালুচিস্তান, ফার্স, কাজভিন, কোম, কেরমান, কুহকিলুয়েহ-বুয়েরআহমান, গুলিস্তান, গিলান, মাজান্দারান, মধ্যপ্রদেশ ও হরমুজগান।
ইসহাক জাহাঙ্গিরি দুর্গত কয়েকটি প্রদেশের গভর্নরকে ফোন করে প্রয়োজনীয় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি দুর্গতদের সেবায় সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া, পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোর ফসল ও অবকাঠামোর ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ারও নির্দেশ দেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, ইরানের রেডক্রিসেট সোসাইসির ত্রাণ ও উদ্ধার কমিটির প্রধান কর্মকর্তা মুর্তজা সালিমি জানিয়েছেন, তার কর্মীরা বন্যা দুর্গত ১৯টি প্রদেশে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। সারাদেশের ৬১টি শহর ও গ্রাম এবং ৯টি পাহাড়ি এলাকায় ১০০টি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণ বিতরণ চলছে বলেও জানিয়েছেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির এই কর্মকর্তা।
এদিকে, ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মোহাম্মাদ ইসলামি বলেছেন, বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে  বলেও জানান তিনি।
ইরানে যখন ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নতুন করে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে তখন দেশটিতে বন্যা দেখা দিয়েছে।

'বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুতগতিতে নিউ ইয়র্কে বিস্তার ঘটছে করোনার'

'বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুতগতিতে নিউ ইয়র্কে বিস্তার ঘটছে করোনার'

বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুতগতিতে বিস্তার ঘটছে নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯। 
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যানড্রু কুমো বলেছেন, যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণ তার চেয়ে অনেক ভয়াবহ হতে পারে। তাছাড়া এই ভয়াবহতা খুব তাড়াতাড়িই দেখা দিতে পারে। 
এ সময় তিনি করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করেনি বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমার প্রয়োজন ৩০০০০ ভেন্টিলেটর। এর বিপরীতে আপনারা পাঠিয়েছেন ৪০০ ভেন্টিলেটর? আপনারা সমস্যার ভয়াবহতা বুঝতে ভুল করেছেন।
উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫০০০ মানুষ। মারা গেছেন কমপক্ষে ২১০ জন। 
এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে অ্যানড্রু কুমো বলেন, আমাদের ফেডারেল সহায়তা প্রয়োজন। ঠিক এখনই এই সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, নিউ ইয়র্কে যে সংক্রমণ ঘটছে তা ঘটছে খুব দ্রুত। নিউ ইয়র্কে এখন যা ঘটছে সেই একই ঘটনা ঘটবে ক্যালিফোর্নিয়া ও ইলিনয় রাজ্যে। ব্যাপারটা এখন শুধু সময়ের বিষয়। 
তিনি বলতে থাকেন, আমাকে সংক্রমণের যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি ‘বুলেট ট্রেন’ ধেয়ে আসছে। তাই তার রাজ্য আরো বেশি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র সৃষ্টি করছে। এর মধ্যে কলেজ ডরমেটরি এবং হোটেলকে হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, মানুষের জীবন রক্ষা করতে হলে তিনি এক ডলারও হাতে রাখবেন না। 
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তার এমন উদ্বেগের সমালোচনামুলক জবাবে গভর্নর কুমো ওই মন্তব্য করেছেন।

১০০ বছর বয়সে বিয়ে, করোনাকে হার মানাল ভালোবাসা

১০০ বছর বয়সে বিয়ে, করোনাকে হার মানাল ভালোবাসা


১০০ বছর বয়সে বিয়ে, করোনাকে হার মানাল ভালোবাসা

কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের আতঙ্ককে হার মানিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ইয়াবর আব্বাস ও নূর জহির। ভালোবাসাই এ জুটিকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা রেখেছেন। ১০০ বছর বয়সী ইয়াবর আব্বাস ব্রিটেনভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিবিসি’র সাবেক সাংবাদিক। অন্যদিকে নূর জহির ভারতীয় অধিকারকর্মী ও লেখিকা।
ইয়াবর আব্বাস বলেন, এই বিয়ের উদ্দেশ্য হলো ভালোবাসা। আমরা দু’জনে ভালোবাসায় ডুবে গিয়েছি। আমার বয়স কত সেটা কোনো বিষয়ই নয়! নূর সবে ৬০ বছর পেরিয়েছে! তবুও বয়সের এই ব্যবধান কিছুই না। আমরা বিয়ে করে একত্রিত হতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।
আগামী ২৭ মার্চ ইয়াবর আব্বাস ও নূর জহিরের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের আগ্রাসী প্রভাব বাড়তে থাকায় নির্ধারিত তারিখে বিয়ে হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তাই তারা শুভকাজটি আগেই সেরে ফেলেছেন!

করোনাভাইরাসকে পাত্তা দিচ্ছেন না যে তিন প্রেসিডেন্ট

করোনাভাইরাসকে পাত্তা দিচ্ছেন না যে তিন প্রেসিডেন্ট


মহামারী করোনাভাইরাস কভিড-১৯ কাঁপিয়ে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। বিশ্বের ২৫০ কোটি মানুষকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে, তাদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ এবং মারা গেছে ১৮ হাজার ৯০৭ জন। কিন্তু এ ভাইরাস এখনো আতঙ্কে ফেলতে পারেনি তিনটি দেশের প্রেসিডেন্ট। দেশগুলো হল ব্রাজিল, মেক্সিকো ও নিকারাগুয়া।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জৈইর বলসোনারো এটিকে সামান্য ফ্লু বলে অভিহিত করেছেন। করোনা নিয়ে হিস্টিরিয়া ছড়ানোর অভিযোগে সাংবাদিকদের সমালোচনাও করেছেন। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর বলছেন, করোনা আতঙ্ক ছড়ালেও নাগরিকরা চাইলে বাইরে খেতে যেতে পারে। নিকারাগুয়ায় এখনো চলছে রাজনৈতিক শোভাযাত্রা।