সোমবার, ৪ মে, ২০২০

করোনার মধ্যেই জেনে নিন যে ৬ উপসর্গ হতে পারে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ

করোনার মধ্যেই জেনে নিন যে ৬ উপসর্গ হতে পারে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ

করোনার মধ্যেই জেনে নিন যে ৬ উপসর্গ হতে পারে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ


বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক।  এই ভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব।  তবে করোনার এই সংকটকালেও সতর্ক থাকা উচিত অন্যান্য রোগ নিয়ে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে দুশ্চিন্তাও তাই কম নয়। অনেকেরই ধারণা ক্যান্সার হলে আর বাঁচা সম্ভব নয়। কিন্তু জানেন কি, যদি এই মারণব্যাধি ধরা পড়ে প্রাথমিক পর্যায়ে, তাহলে অনেকটাই সম্ভব এর থেকে রক্ষা পাওয়া। 
আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইলে দেখে নিন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো-
১. দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি:
আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তিবোধ করেন অথবা অবসাদে ভোগেন তবে সেটা অনেক রোগের কারণই হতে পারে, হতে পারে ক্যান্সারও। মলাশয়ের ক্যান্সার বা রক্তে ক্যান্সার হলে সাধারণত এমন উপসর্গ দেখা যায়। তাই এরকম হলে দ্রুত পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
২. দ্রুত ওজন কমে যাওয়া:
কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে দ্রুতগতিতে যদি ওজন কমতে থাকে সেটা কিন্তু সত্যিই চিন্তার কারণ। এটা ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ। তাই নজর দিন ওজনের দিকে।
৩. দীর্ঘদিনের ব্যথা:
কোনও কারণ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোনও অংশে যদি ব্যথা হয় আর তাতে ওষুধও যদি কাজ না করে, তাহলে কিন্তু এই নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট কারণ আছে। শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করছে রোগীর ব্রেইন টিউমার বা মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে কি না।
৪. অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড:
আপনি যদি শরীরের কোনও অংশে অস্বাভাবিক কোনও মাংসপিণ্ড দেখতে পান অথবা মাংস জমাট হতে দেখেন কিংবা এ ধরনের পরিবর্তন বুঝতে পারেন, তবে এটা কিন্তু ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে। তাই দেরি না করে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
৫. ঘন ঘন জ্বর:
এটা যেকোনও রোগের উপসর্গ হতে পারে। ক্যান্সার শরীরে জেঁকে বসলে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এতে দেখা দেয় ঘন ঘন জ্বর।  ঘন ঘন জ্বর ব্লাড ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।
৬. অকারণে রক্তক্ষরণ:
যদি কাশির সময় রক্তক্ষরণ হয়, তবে এটা ক্যান্সারের একটা বড় লক্ষণ। এছাড়া যোনিপথ বা মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণসহ এ ধরনের অন্যান্য অস্বাভাবিকতাও ক্যান্সারের উপসর্গ। 

ইফতারে যা খাবেন

ইফতারে যা খাবেন


ইফতারে যা খাবেন



পবিত্র মাহে রমজানে সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে বিশেষ আয়োজন করা হয়। এই তালিকায় থাকে বিভিন্ন ধরণের ফল থেকে ভাজা পোড়া খাবারও। সারাদিন উপোষ থাকার পর তাই ইফতার নিয়ে একটু চিন্তিত থাকেন অনেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইফতারে কি খাবেন।
১. ইফতারের শুরুতে চিনি ও লেবু সমৃদ্ধ শরবত খাওয়া ভালো। তবে লেবুর পরিমাণ কম রাখতে হবে। এরপর, পাকা বিভিন্ন ফল যেমন, পাকা আম, খেজুর, কলা খাওয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে মুড়ি, ছোলা, চানাচুরসহ অন্যান্য স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে।
২. অনেকেই ইফতারের খাবার একত্রিত করে মেখে খেতে পছন্দ করেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে মরিচ ও পিয়াজের পরিমান বেশি না হয়। কারণ অধিক স্বাদের জন্য বেশি পরিমাণ মরিচ-পিয়াজ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৩. ইফতারের শুরুতে অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল বিশেষ করে, কাঁচা আম, আপেল, তেঁতুল, লেবু, বাতাবি লেবু, কামরাঙ্গা ইফতারের শুরুতে না খাওয়া ভালো। ইফতারের শেষ দিকে এসব ফল খেতে হবে। এতে করে শরীরে সৃষ্ট ফ্রি রেডিকেল (শরীরের কোষের বর্জ্য) কমে গিয়ে শরীর চাঙ্গা হবে।
৪. সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে অধিক ভাজা ও তেল সমৃদ্ধ খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি হতে পারে বদহজম ও পেট ব্যাথা। তাই ইফতারে যতদূর সম্ভব এসব খাবার বর্জন করতে হবে।
৫. কম মশলাযুক্ত খাবার খেতে হবে। অধিক মশলাযুক্ত খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট ক্ষত বাড়িয়ে তোলে এবং যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়।
৬. ইফতারে খাওয়ার মাঝে পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে হজমে সহায়ক উপাদান সঠিকভাবে নিঃসৃত হবে।
৭. ইফতারে খালি পেটে চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চা-কফি পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৮. ইফতারের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী খাবার খাওয়া যাবে। এ সময় ভাত, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ অন্যান্য খাবার খাওয়া যাবে। তবে, পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যেন স্বাভাবিকের থেকে বেশি না হয়।

করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সাহায্য করবে রোবট

করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সাহায্য করবে রোবট


করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সাহায্য করবে রোবট
সংগৃহীত ছবি


করোনা রোগীদের চিকিৎসা করাতে যেয়ে সারা বিশ্বেই নার্স, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। অনেকে ইতিমধ্যে মারাও গেছেন। করোনা যুদ্ধে সেই সামনের সারির যোদ্ধাদের সাহায্যার্থে এবার আসতে চলেছে যন্ত্রমানব বা রোবট। 
যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের একটা রোবট প্রস্তুতকারী সংস্থা বস্টন ডায়ানামিক্স সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তাদের তৈরি স্পট রোবট এবার করোনা চিকিৎসার সময় সাহায্য করতে পারবে চিকিৎসক এবং নার্সদের। এর ফলে কম চিকিৎসক এবং নার্স নিয়ে কাজ করা সম্ভব হবে হাসপাতালে এবং সংক্রমণের হারও কমবে। 
ইতোমধ্যেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিঘ্যাম অ্যান্ড উইমেন্স হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে এই স্পট রোবট কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভালো ফলও পাওয়া যাচ্ছে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। 
আপাতত স্পট রোবট করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ঠিক মতো কাজ দিলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজেও তাদের প্রস্তুত করা হবে। এবং বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য আরও বেশি সংখ্যায় বাজারে ছাড়া হবে।

মাত্র ৩৭ দিনে ভেন্টিলেটর নির্মাণ করল নাসা

মাত্র ৩৭ দিনে ভেন্টিলেটর নির্মাণ করল নাসা

মাত্র ৩৭ দিনে ভেন্টিলেটর নির্মাণ করল নাসা



কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাইপ্রেশার ভেন্টিলেটর তৈরি করল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। 
নাসার ‘জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি’র ডিরেক্টর মাইকেল ওয়াটকিন্স বলেন, ‘আমরা মহাকাশ যান নির্মাণে দক্ষ। আমরা চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করি না। তবে উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আমাদের দখল ও লাগাতার পরীক্ষা-নিরীক্ষা-সহ যে কোনো যন্ত্রের প্রোটটাইপ নির্মাণে আমাদের দক্ষতা এই কাজে আমাদের মদদ করেছে। এহেন বিপর্যয়ে দেশের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সামগ্রী নির্মাণের গুরুত্ব আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা বুঝতে পেরেছেন। এবং এটাকে নিজের কর্তব্য বলেই মনে করছেন তারা।’            
ইতিমধ্যেই নাসার তৈরি ভেন্টিলেটর কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহারও শুরু করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তাতে সাফল্যও মিলছে। 
নাসার প্রযুক্তিতে তৈরি ভেন্টিলেটর সমাদৃত হচ্ছে আমেরিকার চিকিৎসক মহলেও। নিউ ইউর্ক, নিউ জার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া-সহ একাধিক শহরের হাসপাতালগুলিতে চাহিদা মতো ভেন্টিলেটর ছিল না বলে বিস্তর অভিযোগ উঠছিল। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর এমন নিদারুণ চেহারা প্রকাশ্যে আসতেই ভেন্টিলেটর তৈরির প্রকল্প হাতে নেয় নাসার গবেষকেরা। মাত্র ৩৭ দিনের মধ্যেই আধুনিক ভেন্টিলেটরে তৈরি করে ফেলে সংস্থাটি। 
চলতি সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের স্কুল অব মেডিসিনে নাসার ভেন্টিলেটর পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেন চিকিৎসকেরা। আক্রান্তদের প্রাণ সংশয় ঠেকাতে চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রথাগত ভেন্টিলেটরের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে নাসার ভেন্টিলেটরগুলি।

সামরিক বাহিনীর জন্য ৬জি চালু করছে চীন

সামরিক বাহিনীর জন্য ৬জি চালু করছে চীন


সামরিক বাহিনীর জন্য ৬জি চালু করছে চীন


বিশ্বের বেশিরভাগ গ্রাহক এখনো ৫জি ওয়্যারলেস পরিসেবাই গ্রহণ করতে পারেনি। অথচ চীনের জন্য তা পুরোনো হয়ে গেছে। সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য ৬জি প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছে চীন। ২৬ এপ্রিল ব্রিটিশ দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস এ খবর প্রকাশ করেছে। 
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৬জি প্রযুক্তি চালুর ব্যাপারে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে। চীনের সাধারণ গ্রাহকদের আগে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এটি আগে ব্যবহার শুরু করবেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নিয়ন্ত্রিত ন্যাশনাল ডিফেন্স নিউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যদি যুদ্ধক্ষেত্রে ৬জি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাহলে ৫জির তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।