শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে হতে পারে যেসব ভয়ানক ক্ষতি

উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে হতে পারে যেসব ভয়ানক ক্ষতি

উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে হতে পারে যেসব ভয়ানক ক্ষতি

পেটে ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শোয়া বা আধশোয়া হয়ে বই পড়া, ল্যাপটপ-মোবাইল চালান অনেকে। সাময়িকভাবে আরাম মনে হলেও এ অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।
পেটে ভর দিয়ে শুয়ে বিভিন্ন কাজ করলে ক্ষতির শিকার হতে পারে মেরুদণ্ড এবং অন্ত্র। এ ছাড়াও মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁক বদলে গিয়ে ঘাড়-পিঠে ব্যথা হতে পারে।
পেটের ভরে শোওয়ার সময় ঘাড় প্রসারিত হয়ে দুই কাঁধ কানের কাছাকাছি পৌঁছায়। শরীরের বেশির ভাগ ভর পড়ে দুই হাতের ওপর। এই অবস্থায় বিভিন্ন হাড়ের জোড়ায় অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। এটি প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হলে দীর্ঘ মেয়াদে ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে।
শরীরে সব অঙ্গের স্বাভাবিক কার্যাবলির নিয়ন্ত্রক স্নায়ুতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে মেরুদণ্ড। স্নায়ুতন্ত্রে কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুরো শরীরই অচল হয়ে পড়তে পারে। আর পেটে ভর দিয়ে শুয়ে থাকায় এই ঝুঁকিটাই বাড়তে থাকে।
এভাবে শুয়ে থাকলে পিঠের নিচের অংশেও অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। পিঠের নিম্নাংশে সমস্যা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য ও মলত্যাগজনিত নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
এছাড়া পেটে ভর দিয়ে শুয়ে থাকার সময় শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পেশিগুলোর ওপর শরীরের ভার পড়ে। ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস পরিপূর্ণ হতেও বাধার সৃষ্টি হয়।
করণীয়
চেয়ারে বা বিছানায় আরাম করে বসে মোবাইল-ল্যাপটপ ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
বসার সময় যেন পিঠের ওপর টানা চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
দেখার জন্য মাথা না ঝুঁকিয়ে বরং ডিভাইসটি চোখের সমান্তরালে নিয়ে আসুন।

কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত, কম ঝাল নাকি বেশি ঝালের মরিচ

কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত, কম ঝাল নাকি বেশি ঝালের মরিচ

কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত, কম ঝাল নাকি বেশি ঝালের মরিচ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির অধীনে পরিচালিত ‘ল্যাবরেটরি অব ইউকারেউটিক জিন এক্সপ্রেশন অ্যান্ড ফাংশন’ এবং চিটাগাং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর চিলড্রেন সার্জারি (ক্রিকস) যৌথভাবে এক সমীক্ষা চালায়।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার প্রবণতা ও উপকূলীয় মানুষের শুটকি খাওয়ার কারণে ক্যান্সার বেশি হচ্ছে বলে সমীক্ষায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বছরে অন্তত দুই লাখ মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হন। আর চট্টগ্রামে বছরে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হন। তার মধ্যে মহিলারা জরায়ু এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। অপরদিকে পুরুষরা ফুসফুস এবং মলদ্বারের ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর কক্সবাজার এলাকায় ব্রেস্ট, জরায়ু এবং খাদ্যনালীর ক্যান্সারের রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয় ডিটিটিযুক্ত শুঁটকি ও অতিরিক্ত ঝাল মরিচ এর প্রধান কারণ।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার কারণে জিহ্বার স্বাদকোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। অত্যন্ত ঝাল খাওয়ার অভ্যাস স্মৃতিলোপ ঘটাতে পারে এবং অ্যালঝেইমার্স রোগের সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
এপেন্ডিসাইটিস হওয়ার মূল কারণ অতিরিক্ত ঝাল, এটি খাদ্যনালী সংকুচিত করে খাদ্যনালীর প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত করে যার ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ঝাল খেলে একটা সময়ের পরে খাবার আর হজম হতে চায় না এবং পরবর্তীতে পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই আসুন সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য আমরা খাদ্যাভাস পরিবর্তন করি এবং অতিরিক্ত ঝাল মরিচ গুঁড়া পরিহার করে কম ঝালের মরিচ গুঁড়া খাওয়ার অভ্যাস করি।
বি. দ্র. যাদের বেশি ঝাল খাওয়ার অভ্যাস তারা রান্নায় কাঁচা মরিচ ব্লেন্ড করে খেতে পারেন।

খুশকির সমস্যায় অব্যর্থ ৪ ভেষজ সমাধান

খুশকির সমস্যায় অব্যর্থ ৪ ভেষজ সমাধান


খুশকির সমস্যায় অব্যর্থ ৪ ভেষজ সমাধানচুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুশকি একটা বিরাট সমস্যা। আগে শুধুমাত্র শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়াতেই খুশকির সমস্যা দেখা দিত বা বৃদ্ধি পেত। কিন্তু বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত দুষণের ফলে মোটামুটি সারা বছর এই সমস্যা লেগেই থাকে। 
অত্যধিক চুল ঝরা, রুক্ষ চুল, বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ইনফেকশন জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ি এই খুশকি। তাই খুশকির সমস্যার সমাধানে সঠিক সময়ে তৎপর না হলে মাথা ভরা চুল ঝরে গেছে অল্পদিনের মধ্যেই।
খুশকি থেকে রেহাই পেতে বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু ও লোশন পাওয়াই যায়। কিন্তু সেগুলিতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে কখনও কখনও উল্টে চুলেরই ক্ষতি হয়। তাহলে উপায়?
আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন বেশ কয়েকটি কার্যকরী ভেষজ উপাদান সম্পর্কে যেগুলি খুশকির সমস্যা দ্রুত সমাধানদূর করতে একেবারে অব্যর্থ। আর এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলির দামও সামান্য। তাই অল্প খরচে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই খুশকির সমস্যার সমাধান করুন।
১) পিয়াজের রস-
দু'টো পেঁয়াজ ভাল করে বেটে এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। মাথায় এই পিয়াজের রস ভাল করে লাগিয়ে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু’বার পিয়াজের রস মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।
২) নারকেল তেল-
নারকেল তেল খুশকির প্রকোপ কমাতে খুবই কার্যকরী। এছাড়া চুলে গোড়া ময়েশ্চারাইজ করে খুশকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশনের সম্ভাবনাও অনেক কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে দু’বার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারকেল তেলের মালিশ করলে দ্রুত উপকার পাবেন।
৩) টকদই-
খুশকির সমস্যা থেকে বাচঁতে টকদই খুব কার্যকরী। খুশকি দূর করতে টকদই মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দু’বার এই ভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) লেবুর রস-
দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস অল্প পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২-৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর চুল ধুয়ে নিন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দু’বার এই ভাবে চুলে লেবু ব্যবহার করা যাবে।

লকডাউনে যেভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবেন

লকডাউনে যেভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবেন

করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রায় দু’মাস ধরে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষ। বাড়িতে থেকেই কাটাতে হচ্ছে বেশির ভাগ সময়। বন্ধ হয়ে গেছে দৈনন্দিন শরীরচর্চা বা হাঁটাচলাও। বাড়িতে থেকেই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা যতটা সম্ভব শরীরচর্চা করছেন।
লকডাউনে আমাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ যে ভাবে কমে গেছে, তাতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যের উপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ঘন ঘন হাত ধুলেই হবে না, শরীর সুস্থ রাখাও অত্যন্ত জরুরী। এই সময় বাড়িতে থেকেই বাড়িয়ে তুলতে হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে ঘরবন্দি অবস্থায় কীভাবে ঘরে বসে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবেন, জেনে নেওয়া যাক-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমের প্রয়োজন। লকডাউনে বেশি রাত অবধি জেগে দেরী করে ঘুম থেকে উঠার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। যা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। শুধু লকডাউনেই নয় শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম এবং ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস করা উচিত। ঘুম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ডায়াবেটিস, স্থূলত্ব, হৃদরোগ এবং রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এমন পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট রুটিন ঠিক করে নিন। ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘন্টার মধ্যে পেট ভরে প্রাতঃরাশ করুন। এর সঙ্গে  প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পরপর হালকা খাবার খান। দুপুরের খাবার বেলা ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে সেরে ফেলুন। সন্ধ্যা বেলা কম চিনিযুক্ত চা সঙ্গে চিড়া অথবা সুজির মতো হালকা খাবার খেয়ে নিন।
রাত ৯ টার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ফেলুন। সেই সঙ্গে সারা দিনে নিয়ম করে প্রচুর জল পান করুন। এর ফলে শরীরের থেকে টক্সিন দূর হবে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এর সঙ্গে যারা প্রতিদিন যোগা বা অন্যান্য শারীরিক কসরত করে থাকেন তা নিয়মিত অভ্যাসে রাখুন। প্রতিদিন নিয়ম করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। এর ফলে আপনার মনও শান্ত থাকবে সেই সঙ্গে মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে।

করোনায় মাস্ক ব্যবহারে কমেছে লিপস্টিক বিক্রি!

করোনায় মাস্ক ব্যবহারে কমেছে লিপস্টিক বিক্রি!

করোনায় মাস্ক ব্যবহারে কমেছে লিপস্টিক বিক্রি!

নারীদের সবচেয়ে পছন্দের মেকআপ সঙ্গী হল লিপস্টিক। অন্য কোনও সাজগোজ না করলেও ঠোঁটজোড়া একটু রাঙিয়ে নিতে ভালোবাসেন তারা। কিন্তু সেই ঠোঁটের সাজে বাধ সেধেছে করোনাভাইরাস।
করোনার কারণে এখন বাইরে বের হলেই পরতে হবে মাস্ক। তাই অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নারীরা। পছন্দের লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙাতে পারছেন না তারা। এই অবস্থায় কমেছে লিপস্টিকের ব্যবহার। লিপস্টিক বিক্রিতেও তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মেকআপ কোম্পানিগুলোও সেই কারণে লিপস্টিকের বদলে আই মেকআপের দিকে নজর দিচ্ছে। মাস্কে মুখ ঢাকা থাকলেও খোলা থাকছে চোখদুটো। তাই বাইরে বেরনোর আগে সেটাকেই সুন্দর করে সাজাতে চাইছেন নারীরা। লিপস্টিক, লিপলাইনার, লিপজেলের পরিবর্তে এখন বাজারে বেশি করে আইলাইনার, মাসকারা, আইশ্যাডো নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন কসমেটিকস কোম্পানি।
কসমেটিক্স কোম্পানিগুলোর হিসেবে প্রতিবেশি দেশ ভারতে এমনিতেই চোখের মেকআপ সামগ্রী বেশি বিক্রি হয়। দেশটিতে সারা বছর মেকআপ সামগ্রী যা বিক্রি হয়, তার ৩৬ শতাংশই আই মেকআপ। তবে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের নারীরাও। করোনার কারণে ঠোঁট ঢাকা পড়লেও মনে করা হচ্ছে এবার চোখকে সুন্দর করে সাজানোর প্রবণতা আরও বাড়বে নারীদের।