শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

অল্প বয়সে চুল পাকাদের এই পাতা ব্যবহারেই সমাধান


অল্প বয়সে চুল পাকাদের এই পাতা ব্যবহারেই সমাধান
কর্মব্যস্ত জীবন। অবসাদ। স্ট্রেস। আর তার ফল অল্প বয়সেই চুল পেকে যাওয়া। অনেক ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে অর্থাৎ পারিবারিক সূত্রে অল্পবয়সে চুল পেকে যাওয়ার ধাঁচ রয়েছে। কারও ক্ষেত্রে চুল পাকার মূলে রয়েছে পেটের সমস্যা। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। কিন্তু স্ট্রেস, ড্রায়ারের ব্যবহার, স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার, রোদে বেশি ঘোরাঘুরির কারণেও চুল পেকে যায়। এটি সহজেই আটকানো যেতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে অকালপক্কতা নিরাময়ের জন্য একটি পাতা অত্যন্ত কাজে আসে। সেটি কারি পাতা। এই কারি পাতা যদি চুলের গোড়ায় লাগানো যায়, তা পুষ্টি বৃদ্ধি করে। নতুন চুলও গজায়। চুলের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। তাই নিজেকে খানিকটা সময় দিতেই পারেন। বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন কারি পাতার হেয়ার মাস্ক।
এই হেয়ার মাস্কের জন্য প্রয়োজন
• দু টেবিল চামচ নারকেল তেল
•  ১০-১২টি কারি পাতা
পদ্ধতি
• নারকেল তেল গরম করে নিতে হবে প্রথমে। এরপরই বার্নার বন্ধ করে পাতাগুলো দিয়ে দিতে হবে। পাতার গন্ধ ও পুষ্টিগুণ যাতে পুরোপুরি তেলের সঙ্গে মিশে যায়, সেই সময়টুকু দিতে হবে। অন্তত ২০ মিনিট। এর পর তেল পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ তেল ভাল করে মাথার চুলে ও চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে।
• সারারাত সেই তেল মাথায় রেখে পরদিন শ্যাম্পু করা যেতে পারে। একই সঙ্গে পানি পাতিলেবু দিয়ে কন্ডিশনিংও করে নিতে হবে।
• ছুটির দিনে হাতে সময় অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে এই তেল মেখে তার পর কাজকর্ম সেরে গোসলের সময় মাথা ধুয়ে নিলেও উপকার মিলবে।
• আরও একটু বেশি ফল পেতে ধোওয়ার আগে চুলে ভিটামিন-ই তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুল নরম হবে।
• বাড়িতে কারি পাতা থাকলে আজ থেকেই শুরু করে ফেলুন চুলের য্ত্ন নেওয়া।

এই পাঁচ রকম খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়

এই পাঁচ রকম খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়

এই পাঁচ রকম খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়!
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে অল্প অসুস্থতাতেও মানুষ খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগের আক্রমণও জোরালো হয়। এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন-যাপনের পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করছেন চিকিৎসকরা। তবে এমন পাঁচ রকম খাবার আছে যা দুর্বল করে দিতে পারে আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা।
মদ্যপান: 
মদ্যপানের অভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, এ কথা সকলেই জানেন। হেলথ ডট কম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন তাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের চেয়ে দুর্বল হয়ে যায়। ফলে বেড়ে যায় একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি।
অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস: 
পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি বা ওই জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। বেড়ে যেতে পারে ওজনও। আর ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও বেড়ে যাবে।
অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাস: 
মিষ্টির মতো অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাসও শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর! অতিরিক্ত মাত্রায় লবন খেলে বাড়ে রক্তচাপ। অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাসের ফলে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে। বাড়ে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকিও! অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত লবন খাওয়ার অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
অতিরিক্ত ক্যাফিন জাতিয় পানীয় পানের অভ্যাস: 
অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফিন জাতীয় পানীয় পানের অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে চা, কফি পানের অভ্যাস ঘুমের ব্যঘাত ঘটায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে হজমের সমস্যাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত সোডা বা এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের অভ্যাস: 
অতিরিক্ত মাত্রায় সোডা বা এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের অভ্যাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোডা বা এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের অভ্যাস স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, দুর্বল করে দেয় স্বাভাবিক হজম ক্ষমতা। ফলে হজমের সমস্যাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

কিসমিস ভেজানো পানিতে এত উপকার

কিসমিস ভেজানো পানিতে এত উপকার

কিসমিস ভেজানো পানিতে এত উপকার?

কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। এছাড়া কিসমিস হৃদয় ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে। আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সহজে রোগমুক্তির কারণ। আর আছে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
ভেজানো কিসমিসের উপকারিতা-
কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় সারারাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেটা খান। ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।  হাই ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা থাকলেও এটি তা নিয়ন্ত্রণে রাখে। 
১. ব্লাড প্রেসার
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বশে রাখে।
২. রক্ত স্বল্পতা কমায়
রক্ত স্বল্পতা কমাতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারি। নিয়মিত খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
৩. হজমশক্তি বাড়ায়
সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন দিন পনেরো পরেই।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়াতে চান তবে ভেজা কিসমিস এবং তার পানি নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. বিষমুক্ত শরীর
শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খান নিয়মিত। চারিদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন।

করোনাকে হারাতে ঘরে বসেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর উপায়

করোনাকে হারাতে ঘরে বসেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর উপায়

করোনাকে হারাতে ঘরে বসেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর উপায়
একজন ব্যক্তির শরীরে প্রতিদিন ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন। সূর্যালোক এবং সুষম খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে গেলে তা কিডনি ও হার্টের ক্ষতি করতে পারে।
 
করোনাভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী লকডাউনের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হয়ে চলছে আনলক ওয়ান পর্ব। তবু এক জায়গায় অনেক মানুষের জমায়েত বা অকারণে বাড়ির বাইরে বিনাকারণে ঘুরাঘুরি করতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময় সংক্রমণ এড়াতে যেমন ঘরে থাকা প্রয়োজন, তেমনই দরকার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি-ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন হাড় মজবুত করার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে। ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উৎস হল সূর্যালোক। কিন্তু বাড়ির বাইরে না বের হলে গায়ে রোদ লাগবে কী করে? তাই এই সময় শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

ভিটামিন ডি-র ঘাটতি :
শরীরের ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিলে তার একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সমীক্ষা বলছে আমাদের দেশের ৭০-৯০ শতাংশ মানুষই ভিটামিন ডি'র অভাবে ভোগেন। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে ক্যানসার, হাইপারটেনশন এবং ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। ঘরে বসে কী ভাবে ভিটামিন ডি বাড়াবেন দেখে নিন।
​রোদ লাগান : 
প্রত্যেক ব্যক্তি প্রতিদিন ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন। সুষম আহার ও সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। বাড়ির বাইরে না বের হলেও বারান্দায় বসে দিনে অন্তত আধঘণ্টা হাত, পা ও মুখে রোদ লাগান। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে রোদ লাগাতে হবে। ছাদে বসেও গায়ে রোদ লাগাতে পারেন।
​সামুদ্রিক মাছ খান :
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় টুনা, স্যালমন, সার্ডিনের মতো মাছ অবশ্যই রাখবেন। এছাড়া রোজ ডিমের কুসুম ও দুধ খাবেন। অরেঞ্জ জ্যুস, মাশরুম, সেরালও খাদ্যতালিকায় রাখা খুব প্রয়োজনীয়। এই সব খাবার রোজ খেলে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হবে না।
​কড লিভার অয়েল :
আপনি যদি মাছ খেতে ভালো না বাসেন, বা মাছের গন্ধ যদি সহ্য করতে না পারেন তাহলে প্রতিদিন কড লিভার অয়েল খান। প্রতিদিন এক চামচ করে কড লিভার অয়েল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা যায় না। এক চা চামচ কড লিভার অয়েল আপনার প্রতিদিনের প্রয়োজনের ৫৬ শতাংশ ভিটামিন ডি সরবরাহ করে।
​ভেগান ডায়েট : 
যারা ভেগান ডায়েট মেনে খাওয়া দাওয়া করেন, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। ভেগানরা অ্যানিম্যাল প্রোডাক্ট খান বা বলে এই সমস্যা দেখা দেয়। আপনারা সয় মিল্ক, আমন্ড মিল্ক খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে গেলে কিডনি ও হার্টের ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি-র থেকে কিডনিতে স্টোন হতে পারে। তাই আপনার কতটা ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন তা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করুন।

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়াবেন

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়াবেন


শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়াবেন
প্রতীকী ছবি
করোনা প্রতিরোধে ক্ষমতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েনোর বিকল্প নাই। যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি, সে তত ভালো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হবে এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। তাই প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের স্বাস্থ্যকর এবং ফিট থাকার জন্য একটি ভালো ডায়েটের প্রয়োজন। কারণ, এটি শিশুকে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে।
শিশুর পুষ্টির ব্যাপারে ভীষণ ঝামেলায় পড়তে হয়। মনের মতো না হলে অনেক কিছুই খেতে চায় না তারা। তাদের ঝোঁক বেশি থাকে জাঙ্ক ফুডের দিকে। এতে স্বাভাবিকভাবেই সম্পূর্ণ পুষ্টি না পাওয়ার কারণে নানা রকম রোগ তাদের তাড়া করে। শিশুকে এমন খাবার খাওয়ান যেগুলো তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে এবং একই সঙ্গে পুষ্টির ঘাটতি মেটাবে। 
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেসব খাবারগুলো খাওয়ানো জরুরি।
মাতৃদুগ্ধ
ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয় উপাদান হলো মাতৃদুগ্ধ। শিশুরা তাদের স্তন্যপান থেকেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে, তাই মাতৃদুগ্ধের কোন বিকল্প হয় না। 
দই
দই খাওয়া বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়ক। দই প্রো-বায়োটিক পূর্ণ, যা দেহের খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে এবং বাচ্চার ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে। 
ডিম
ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস্ এবং প্রোটিন, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। 
সবুজ শাকসবজি
অনেক বাচ্চাই শাকসবজি খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু এই সময়ে তাদের সুস্থ রাখতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেক দিনের খাবারের তালিকায় রাখুন শাকসবজি। ফুলকপি, ব্রকলি, পালং শাক, মেথি শাক ইত্যাদি রাখলে আরও ভালো।
বাদাম
বাদাম যা বাচ্চার শরীরের অনেক চাহিদাকে পূরণ করতে সহায়ক। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন খেজুর, পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট ইত্যাদি। এগুলি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
রসুন
রসুনে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি শরীরের শ্বেত রক্ত কোষের উৎপাদন করতে সাহায্য করে। যা বাচ্চাদের অনাক্রম্যতা বাড়ানোর জন্য খুবই উপকারি। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফল
সুস্থ এবং ফিট থাকতে প্রতিদিন ফল খাওয়া প্রয়োজন। ফলে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন বেরি জাতীয় ফল, আপেল, কমলালেবু, তরমুজ, আঙুর, ডালিম ইত্যাদি খাওয়ান।