শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

করোনাভাইরাস: মাস্ক পরার কথা মনে করাবে ফেসবুক

করোনাভাইরাস: মাস্ক পরার কথা মনে করাবে ফেসবুক


করোনাভাইরাস: মাস্ক পরার কথা মনে করাবে ফেসবুক
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড পুরো বিশ্ব। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরতদের মাস্ক পরার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক।
সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি বিবৃতিতে ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় আমরা ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামের ওপরে একটি এলার্ট রাখবো যাতে সবাইকে মুখ ঢাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া যায়।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয় যে করোনা প্রতিরোধে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পরামর্শ এবং বিভিন্ন পাবলিক হেলথ এজেন্সির লিংকও ব্যবহারকারীদের দেয়া হবে।
ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের ব্যবহারকারীদের জন্য এই সুবিধা দেয়ার চিন্তা রয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি! তথ্য পাচারের শঙ্কা

লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি! তথ্য পাচারের শঙ্কা


লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি! তথ্য পাচারের শঙ্কা
ব্যক্তিগত তথ্য, সার্চ হিস্টরি ইত্যাদির উপর নজরদারি বা তথ্য হাতানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে একাধিক চীনা প্রতিষ্ঠানর বিরুদ্ধে। এবার একই অভিযোগ উঠেছে মার্কিন ব্যবসা এবং কর্মসংস্থান ভিত্তিক অনলাইন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা লিঙ্কডইন-এর বিরুদ্ধে! ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ রবিবার এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, এই মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। লিঙ্কডইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবহারকারীদের আইফোন বা ম্যাকবুকপ্রো ব্যবহারকারীদের ক্লিপবোর্ড অ্যাকসেস করে তাঁদের ব্যক্তিগত মেসেজে পর্যন্ত আড়ি পেতেছে এই অ্যাপ।  
সম্প্রতি আইফোন ব্যবহারকারী এক লিঙ্কডইন ইউজারই টুইট করে গোটা বিষয়টি সামনে এনেছেন। যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে লিঙ্কডইন এটিকে একটি যান্ত্রিক ত্রুটি হিসাবেই ব্যাখ্যা করেছে। সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুত নতুন আপডেটের মাধ্যমে এই ত্রুটি শুধরে নেওয়া হবে।

এবার বেলুনে পৌঁছে যাবে ৪জি ইন্টারনেট, বাতাসে ছুটবে নেট

এবার বেলুনে পৌঁছে যাবে ৪জি ইন্টারনেট, বাতাসে ছুটবে নেট

এবার বেলুনে পৌঁছে যাবে ৪জি ইন্টারনেট, বাতাসে ছুটবে নেট!
প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ এক অসাধারণ সংযোজন। উঁচু উঁচু ওয়ারলেস টাওয়ার নয়। প্লেন বা কোনো স্পেসক্রাফ্টও নয়। রকেট! তাও নয়। ইন্টারনেট জগতে বাজিমাত করে দেবে বেলুন! বাতাসে ভেসেই ছড়িয়ে দেবে ইন্টারনেট সিগন্যাল। বিরাট এলাকা জুড়ে তৈরি হবে ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয়। ছুটবে ৪জি স্পিডে। প্রত্যন্ত এলাকা যেখানে টাওয়ার বসানো প্রায় অসম্ভব, সেখানে বাতাসে ভাসতে ভাসতেই ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে হিলিয়াম গ্যাসে ভরা এই বেলুন।
এমন উন্নত প্রযুক্তিই এনেছে গুগলের নিয়ন্ত্রণাধীন লুন এলএলসি। গুগলেরই মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের অধীনস্থ লুন ইন্টারনেট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাগুলোতে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বেলুন উড়িয়ে ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করার এই প্রকল্পের নাম 'লুন ইন্টারনেট প্রজেক্ট'। নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকার পরে এবারে এই প্রজেক্ট কেনিয়াতে।
৪জি ইন্টারনেট বেলুনের টেস্টিং শুরু হয়ে গেছে কেনিয়ার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে। প্রায় ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করবে এই বেলুনগুলো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার বা ১২.৪ মাইল উচ্চতায় ভেসে বেড়াবে। এখনো পর্যন্ত ৩৫ হাজার গ্রাহক এই ইন্টারনেট বেলুনের সুবিধা পেয়েছেন।
লুনের চিফ একজিকিউটিভ অ্যালাস্টার ওয়েস্টগ্রাথ বলেছেন, ৪জি স্পিডে কাজ করবে এই ইন্টারনেট। ভয়েস কল থেকে ভিডিও কল সবই করা যাবে। ফাইল ডাউনলোড, ইমেল, স্ট্রিম ভিডিও, নেট সার্ফিং সবই করা যাবে কোনো রকম বাফারিং ছাড়াই। এখনো পর্যন্ত কেনিয়ার নানা এলাকায় বেলুন থেকে ভেসে আসা ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পিড পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮.৯ এমবিপিএস (মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে)। আপলোডের স্পিড প্রায় ৪.৭ এমবিপিএস।
ইন্টারনেট বেলুন কীভাবে কাজ করে?
বাতাসে বেলুন ভাসিয়ে গোটা পৃথিবীতেই ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করার চেষ্টা গুগলের দীর্ঘদিনের। ২০০৮ সাল থেকেই এই ইন্টারনেট বেলুনের প্রকল্প শুরু হয়ে গেছে। হিলিয়াম গ্যাসে ভরা বেলুন যা চলবে সৌরশক্তিতে। ট্রোপোস্ফিয়ারে যেহেতু বাতাসের গতি বেশি, ঝড়-বৃষ্টি, বিদ্যুতের চমক এই স্তরেই দেখা যায়, তাই এর ওপরের অপেক্ষাকৃত শান্ত স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বেলুন ভাসানোর জন্য। ১৮ থেকে ২৫ কিলোমিটার উচ্চতায় এই বেলুন ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের মতো কাজ করবে। যেখানে বেলুন ভাসবে তার নীচে অন্তত ৪০ কিলোমিটার ব্যাসের পরিধি জুড়ে ইন্টারনেটের সিগন্যাল পাওয়া যাবে। যতবেশি বেলুন বেশি জায়গায় জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে, ততবেশি ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে ইন্টারনেট সিগন্যালের বড় বলয় তৈরি করবে। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা মিলবে। নিরবচ্ছিন্নভাবে।
কিভাবে কাজ করবে এই বেলুন?
এই বেলুন তৈরি হয়েছে পলিইথিলিন প্লাস্টিক দিয়ে। এতে হিলিয়াম গ্যাস ভরা থাকবে। ১০ কিলোগ্রাম ওজনের একটা ছোট সার্কিট বক্স থাকবে বেলুনে। আর থাকবে কন্ট্রোল সিস্টেম, রেডিও অ্যান্টেনা, এবং একটি ইউবিকুইটি নেটওয়ার্ক 'রকেট এম২'। বেলুনের এই কন্ট্রোল সিস্টেম চলবে সৌরশক্তিতে। সূর্যের আলোয় প্রায় ১০০ ওয়াট শক্তি তৈরি হবে যা আন্যান্য বেলুনগুলোর মধ্যেও নেটওয়ার্ক তৈরি করবে। শক্তি স্টোর করে রাখার জন্য হাই-কোয়ালিটি ব্যাটারি থাকে যা রাতেও কাজ করবে। এর 'প্যাচ অ্যান্টেনা' ভূমি থেকে ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করবে।
এবার ইন্টারনেট পেতে গেলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের যে জায়গায় বেলুন ভাসানো হবে সেখানকার বাতাসের মতিগতি বুঝতে হবে। অর্থাৎ বাতাসের বেগ এবং তার অভিমুখ জানতে হবে। সেই ডেটা লুনকে সরবরাহ করবে ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)। যে গ্রাহকরা বেলুন ইন্টারনেটের সুবিধা নেবেন তাদের বাড়িতে ইন্টারনেট অ্যান্টেনা লাগানো থাকবে। সিগন্যাল বেলুন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে গ্রাউন্ড স্টেশনে। এখানে থাকবে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) যা সিগন্যাল পৌঁছে দেবে ঘরে ঘরে।
২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই ইন্টারনেট বেলুনের পরিষেবা চালু করেছিল গুগল। পরের বছর ব্রাজিলে এই ইন্টারনেট বেলুনের টেস্টিং হয়। শ্রীলঙ্কাতে ২০১৫ সাল থেকেই ইন্টারনেট বেলুন পরিষেবা চালু করেছেন গুগলের লুন। নিউজিল্যান্ডের পরে শ্রীলঙ্কাই দ্বিতীয় দেশ যেখানে এখনো ইন্টারনেট বেলুনের মাধ্যমে নেট পরিষেবা দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়।

স্বামী-স্ত্রীর ফোনে নজরদারির অ্যাপ-বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করল গুগল

স্বামী-স্ত্রীর ফোনে নজরদারির অ্যাপ-বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করল গুগল


স্বামী-স্ত্রীর ফোনে নজরদারির অ্যাপ-বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করল গুগল
স্ত্রী বা স্বামীর ফোনে নজর রাখতে অ্যাপ! এই সব বিজ্ঞাপন এবার নিষিদ্ধ করল গুগল। গুগলের এই নয়া পলিসি ১১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
গুগল তাদের নয়া পলিসি আপডেটে জানিয়ে দিয়েছে, এমন কোনো প্রডাক্ট বা পরিষেবার বিজ্ঞাপন তারা দেবে না, যার সাহায্যে কোনও ব্যবহারকারীকে না জানিয়ে তার উপর নজরদারি চালানো হয়। 
সঙ্গী বা সঙ্গিনীর স্মার্টফোনে আড়িপাতা যায়, এমন কোনো প্রযুক্তির বিজ্ঞাপন তারা আর দেবে না। এই নতুন নিয়ম জিপিএস ট্র্যাকারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
সংস্থা জানিয়েছে, বেসরকারি গোয়েন্দা পরিষেবা বা প্রযুক্তি যা অনেক সময় মা-বাবারা তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের ওপর নজর রাখতে ব্যবহার করেন, সেই সব বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হচ্ছে না।
২০১৮ সালে 'ইকোসিস্টেম অফ ইন্টিমেট পার্টনার সার্ভেইল্যান্স স্পাইওয়্যার' নামে একটি সমীক্ষায় জানা যায়, স্ত্রীর ফোন ট্র্যাক করা বা স্বামীর ফোনে নজরদারি চালানোর মতো কয়েক হাজার গুগল অ্যাড আসলে খারাপ উদ্দেশ্যে ফোনে নজরদারি চালানোর জন্য তৈরি হয়। এই সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্য থাকে ব্যবহারকারীর ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা।
সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত ও গোপন রাখা গুগলের বরাবরের নীতি। নতুন সার্চ ওয়ার্ড পরীক্ষা করে পলিসি ফের পরিবর্তন করা হবে।

ফেসবুকের নতুন ফিচার 'অ্যাভাটার', যেভাবে ব্যবহার করবেন

ফেসবুকের নতুন ফিচার 'অ্যাভাটার', যেভাবে ব্যবহার করবেন

ফেসবুকের নতুন ফিচার 'অ্যাভাটার', যেভাবে ব্যবহার করবেন

অ্যানিমেশন ফিচার চালু করেছে ফেসবুক। যার কাজ হলো অ্যানিমেটেড ছবি তৈরি করা। এ ফিচারের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিজের অ্যানিমেটেড অ্যাভাটার বা চরিত্র তৈরি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একটি চরিত্র ডিজাইন করার জন্য কয়েকটি মুখ এবং আউটফিটের বিকল্প থাকছে।
ব্যবহারকারীরা এ ফিচারে পাবেন নানা রকমের চুলের স্টাইল, মুখের শেপ এবং দারুণ দারুণ ড্রেসের বিকল্প। এ ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফেস স্টিকার তৈরি করে তা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবে।
যেভাবে অ্যাভাটার ব্যবহার করবেন-
ফেসবুক অ্যাপটি খুলে যে কোনো কমেন্ট বক্সে গিয়ে ইমোজি বাটনে ক্লিক করতে হবে।
কমেন্ট বক্স থেকে Create Your Avatars এ ক্লিক করতে হবে।
এবার অ্যাভাটার ক্লিক করলে নতুন পেজ খুলে যাবে। এখানে অ্যাভাটার অপশনে ক্লিক করে নিজের পছন্দ মতো কার্টুন ফেস বেছে নেওয়া যাবে। তার চোখ, নাক, ঠোঁট, চুল, ভ্রু, গোঁফ- সবই নিজের ইচ্ছে মতো সাজিয়ে নেওয়া যাবে।
ব্যবহারকারী নিজের পছন্দমতো পোশাকও বেছে নিতে পারবে।
অ্যাভাটার প্রস্তুত হয়ে গেলে নিজের তৈরি অ্যাভাটারটি প্রোফাইল ছবি হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।