সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০

৮৩ বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফ্রি দিচ্ছে নেটফ্লিক্স

৮৩ বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফ্রি দিচ্ছে নেটফ্লিক্স

৮৩ বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফ্রি দিচ্ছে নেটফ্লিক্স!
দারুণ এক অফার ঘোষণা করেছে নেটফ্লিক্স। ৮৩ বছরের জন্য বিনামূল্যে নেটফ্লিক্সের সব প্রোগ্রাম উপভোগ করতে পারবেন ইউজাররা! কিন্তু তার জন্য একটি শর্ত পূরণ করতে হবে। 
গত সপ্তাহে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য ওল্ড গার্ড’ ছবিটি। এটি আসলে একটি নেটফ্লিক্স অরিজিনাল শো। আর এই শো’কেই বিশেষভাবে সেলিব্রেট করতে গ্রাহকদের নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট ‘অমর’ করে ফেলার অফার দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য আপনাকে ‘দ্য ওল্ড গার্ড’ ভিডিও গেমটি খেলে শত্রুপক্ষকে হারাতে হবে। এবং নিজেকে ‘অমর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই হল শর্ত।

আর ভিডিও গেমপ্রেমীদের কাছে এমন অফার নিঃসন্দেহে লোভনীয়। কারণ গেমিংও যেমন উপভোগ করা যাবে, তেমনই তাতে জয়ী হলে একেবারে ৮৩ বছর নিখরচায় নেটফ্লিক্সের পর্দায় চোখ রাখা যাবে।
তবে অফারটি সীমিত। ইতিমধ্যেই অফারটি শুরু হয়ে গেছে। আজ ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে খেললে তবেই এই আকর্ষণীয় ফ্রি সাবস্ক্রিপশনের মালিক হওয়া যাবে। তবে তার জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ স্কোর করতে হবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, অফারটি এখনো বাংলাদেশি বা ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য আনেনি নেটফ্লিক্স। আপাতত মার্কিন মুলুকের ইউজাররাই এই দুর্দান্ত সুযোগ পাচ্ছেন।

মঙ্গলের পথে আমিরাতের মহাকাশ যান ‘মিশন হোপ’

মঙ্গলের পথে আমিরাতের মহাকাশ যান ‘মিশন হোপ’

মঙ্গলের পথে আমিরাতের মহাকাশ যান ‘মিশন হোপ’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক একটি মহাকাশযান জাপান থেকে উৎক্ষেপণের পর এখন মঙ্গল গ্রহের পথে।
বিবিসি জানায়, মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে পরীক্ষা করতে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছে ‘মিশন হোপ’।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এর আগে দুবার প্রস্তুতির পরেও এ মিশনের উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়েছিল।
মহাকাশযানটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পৌঁছাবে, যা কাকতালীয়ভাবে আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী।
মিশনটির বৈজ্ঞানিক দলের প্রধান সারাহ আল হামিরি মহাকাশযানটির সফল উৎক্ষেপণের পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, তার দেশের ওপর এর প্রভাব অনেকটাই ৫১ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের চাঁদে পা রাখার মতো। সেটিও ২০ জুলাই হয়েছিল।
সারাহ বলেন, ‘আজি আমি আনন্দিত যে আরব আমিরাতের শিশুরা ২০ জুলাই ঘুম থেকে উঠে তাদের নিজস্ব অভিযানটি দেখতে পাবে, যা নতুন একটি বাস্তবতা। এটি তাদের নতুন কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
আরব আমিরাতের এ মিশনটিসহ এ মাসেই তিনটি মিশন রওনা দিতে যাচ্ছে মঙ্গলে।
মহাকাশযান ডিজাইন ও নির্মাণ করার ক্ষেত্রে আরব আমিরাতের অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। তারা এমন একটি কাজে হাত দিয়েছে যা এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ ও ভারত করতে পেরেছে।
তবে আরব আমিরাতের উচ্চাভিলাষ তাদেরকে চ্যালেঞ্জটি নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মঙ্গল থেকে কীভাবে বাতাস কমে গেল কিংবা পানির বিষয়টি বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তবে ‘মিশন হোপ’ আসলে পরিণত হবে অনুপ্রেরণার বাহন হিসেবে যা আরব আমিরাতসহ পুরো আরব অঞ্চলের তরুণদের বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে আকৃষ্ট করবে।
দেশটির সরকার বলছে, এ মহাকাশযাত্রা তেমন কিছু প্রকল্পের অংশ যা দেশটিকে তেল-গ্যাস নির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের দিকে নিয়ে যাবে।

শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

করোনাভাইরাস: মাস্ক পরার কথা মনে করাবে ফেসবুক

করোনাভাইরাস: মাস্ক পরার কথা মনে করাবে ফেসবুক


করোনাভাইরাস: মাস্ক পরার কথা মনে করাবে ফেসবুক
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড পুরো বিশ্ব। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরতদের মাস্ক পরার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক।
সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি বিবৃতিতে ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় আমরা ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামের ওপরে একটি এলার্ট রাখবো যাতে সবাইকে মুখ ঢাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া যায়।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয় যে করোনা প্রতিরোধে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পরামর্শ এবং বিভিন্ন পাবলিক হেলথ এজেন্সির লিংকও ব্যবহারকারীদের দেয়া হবে।
ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের ব্যবহারকারীদের জন্য এই সুবিধা দেয়ার চিন্তা রয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি! তথ্য পাচারের শঙ্কা

লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি! তথ্য পাচারের শঙ্কা


লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি! তথ্য পাচারের শঙ্কা
ব্যক্তিগত তথ্য, সার্চ হিস্টরি ইত্যাদির উপর নজরদারি বা তথ্য হাতানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে একাধিক চীনা প্রতিষ্ঠানর বিরুদ্ধে। এবার একই অভিযোগ উঠেছে মার্কিন ব্যবসা এবং কর্মসংস্থান ভিত্তিক অনলাইন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা লিঙ্কডইন-এর বিরুদ্ধে! ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ রবিবার এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, এই মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। লিঙ্কডইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবহারকারীদের আইফোন বা ম্যাকবুকপ্রো ব্যবহারকারীদের ক্লিপবোর্ড অ্যাকসেস করে তাঁদের ব্যক্তিগত মেসেজে পর্যন্ত আড়ি পেতেছে এই অ্যাপ।  
সম্প্রতি আইফোন ব্যবহারকারী এক লিঙ্কডইন ইউজারই টুইট করে গোটা বিষয়টি সামনে এনেছেন। যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে লিঙ্কডইন এটিকে একটি যান্ত্রিক ত্রুটি হিসাবেই ব্যাখ্যা করেছে। সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুত নতুন আপডেটের মাধ্যমে এই ত্রুটি শুধরে নেওয়া হবে।

এবার বেলুনে পৌঁছে যাবে ৪জি ইন্টারনেট, বাতাসে ছুটবে নেট

এবার বেলুনে পৌঁছে যাবে ৪জি ইন্টারনেট, বাতাসে ছুটবে নেট

এবার বেলুনে পৌঁছে যাবে ৪জি ইন্টারনেট, বাতাসে ছুটবে নেট!
প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ এক অসাধারণ সংযোজন। উঁচু উঁচু ওয়ারলেস টাওয়ার নয়। প্লেন বা কোনো স্পেসক্রাফ্টও নয়। রকেট! তাও নয়। ইন্টারনেট জগতে বাজিমাত করে দেবে বেলুন! বাতাসে ভেসেই ছড়িয়ে দেবে ইন্টারনেট সিগন্যাল। বিরাট এলাকা জুড়ে তৈরি হবে ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয়। ছুটবে ৪জি স্পিডে। প্রত্যন্ত এলাকা যেখানে টাওয়ার বসানো প্রায় অসম্ভব, সেখানে বাতাসে ভাসতে ভাসতেই ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে হিলিয়াম গ্যাসে ভরা এই বেলুন।
এমন উন্নত প্রযুক্তিই এনেছে গুগলের নিয়ন্ত্রণাধীন লুন এলএলসি। গুগলেরই মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের অধীনস্থ লুন ইন্টারনেট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাগুলোতে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বেলুন উড়িয়ে ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করার এই প্রকল্পের নাম 'লুন ইন্টারনেট প্রজেক্ট'। নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকার পরে এবারে এই প্রজেক্ট কেনিয়াতে।
৪জি ইন্টারনেট বেলুনের টেস্টিং শুরু হয়ে গেছে কেনিয়ার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে। প্রায় ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করবে এই বেলুনগুলো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার বা ১২.৪ মাইল উচ্চতায় ভেসে বেড়াবে। এখনো পর্যন্ত ৩৫ হাজার গ্রাহক এই ইন্টারনেট বেলুনের সুবিধা পেয়েছেন।
লুনের চিফ একজিকিউটিভ অ্যালাস্টার ওয়েস্টগ্রাথ বলেছেন, ৪জি স্পিডে কাজ করবে এই ইন্টারনেট। ভয়েস কল থেকে ভিডিও কল সবই করা যাবে। ফাইল ডাউনলোড, ইমেল, স্ট্রিম ভিডিও, নেট সার্ফিং সবই করা যাবে কোনো রকম বাফারিং ছাড়াই। এখনো পর্যন্ত কেনিয়ার নানা এলাকায় বেলুন থেকে ভেসে আসা ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পিড পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮.৯ এমবিপিএস (মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে)। আপলোডের স্পিড প্রায় ৪.৭ এমবিপিএস।
ইন্টারনেট বেলুন কীভাবে কাজ করে?
বাতাসে বেলুন ভাসিয়ে গোটা পৃথিবীতেই ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করার চেষ্টা গুগলের দীর্ঘদিনের। ২০০৮ সাল থেকেই এই ইন্টারনেট বেলুনের প্রকল্প শুরু হয়ে গেছে। হিলিয়াম গ্যাসে ভরা বেলুন যা চলবে সৌরশক্তিতে। ট্রোপোস্ফিয়ারে যেহেতু বাতাসের গতি বেশি, ঝড়-বৃষ্টি, বিদ্যুতের চমক এই স্তরেই দেখা যায়, তাই এর ওপরের অপেক্ষাকৃত শান্ত স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বেলুন ভাসানোর জন্য। ১৮ থেকে ২৫ কিলোমিটার উচ্চতায় এই বেলুন ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের মতো কাজ করবে। যেখানে বেলুন ভাসবে তার নীচে অন্তত ৪০ কিলোমিটার ব্যাসের পরিধি জুড়ে ইন্টারনেটের সিগন্যাল পাওয়া যাবে। যতবেশি বেলুন বেশি জায়গায় জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে, ততবেশি ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে ইন্টারনেট সিগন্যালের বড় বলয় তৈরি করবে। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা মিলবে। নিরবচ্ছিন্নভাবে।
কিভাবে কাজ করবে এই বেলুন?
এই বেলুন তৈরি হয়েছে পলিইথিলিন প্লাস্টিক দিয়ে। এতে হিলিয়াম গ্যাস ভরা থাকবে। ১০ কিলোগ্রাম ওজনের একটা ছোট সার্কিট বক্স থাকবে বেলুনে। আর থাকবে কন্ট্রোল সিস্টেম, রেডিও অ্যান্টেনা, এবং একটি ইউবিকুইটি নেটওয়ার্ক 'রকেট এম২'। বেলুনের এই কন্ট্রোল সিস্টেম চলবে সৌরশক্তিতে। সূর্যের আলোয় প্রায় ১০০ ওয়াট শক্তি তৈরি হবে যা আন্যান্য বেলুনগুলোর মধ্যেও নেটওয়ার্ক তৈরি করবে। শক্তি স্টোর করে রাখার জন্য হাই-কোয়ালিটি ব্যাটারি থাকে যা রাতেও কাজ করবে। এর 'প্যাচ অ্যান্টেনা' ভূমি থেকে ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় ইন্টারনেট সিগন্যালের বলয় তৈরি করবে।
এবার ইন্টারনেট পেতে গেলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের যে জায়গায় বেলুন ভাসানো হবে সেখানকার বাতাসের মতিগতি বুঝতে হবে। অর্থাৎ বাতাসের বেগ এবং তার অভিমুখ জানতে হবে। সেই ডেটা লুনকে সরবরাহ করবে ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)। যে গ্রাহকরা বেলুন ইন্টারনেটের সুবিধা নেবেন তাদের বাড়িতে ইন্টারনেট অ্যান্টেনা লাগানো থাকবে। সিগন্যাল বেলুন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে গ্রাউন্ড স্টেশনে। এখানে থাকবে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) যা সিগন্যাল পৌঁছে দেবে ঘরে ঘরে।
২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই ইন্টারনেট বেলুনের পরিষেবা চালু করেছিল গুগল। পরের বছর ব্রাজিলে এই ইন্টারনেট বেলুনের টেস্টিং হয়। শ্রীলঙ্কাতে ২০১৫ সাল থেকেই ইন্টারনেট বেলুন পরিষেবা চালু করেছেন গুগলের লুন। নিউজিল্যান্ডের পরে শ্রীলঙ্কাই দ্বিতীয় দেশ যেখানে এখনো ইন্টারনেট বেলুনের মাধ্যমে নেট পরিষেবা দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়।