বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

দুই মাস পর নাসার বিজ্ঞানীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনল স্পেসএক্স

দুই মাস পর নাসার বিজ্ঞানীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনল স্পেসএক্স

দুই মাস পর নাসার বিজ্ঞানীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনল স্পেসএক্স
প্রায় দুই আগে মহাকাশে গিয়েছিলেন নাসার দুই বিজ্ঞানী। তারা ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত রকেট কোম্পানি স্পেসএক্সে মহাকাশে যান। দুই মাস পর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরেছেন নাসার ওই দুই মহাকাশচারী। রবিবার বিজ্ঞানীরা ফ্লোরিডায় পানিতে অবতরণ করেন। খবর সিএনএন’র।
কোনও ব্যক্তিগত কোম্পানির রকেটে এভাবে মহাকাশে যাওয়া নাসার ইতিহাসে বিরল। 
আমেরিকা থেকে সবশেষ ৯ বছর আগে কোনও মার্কিন ক্রু মহাকাশে যান।
বব বেহনকেন এবং ডগ হারলি এই অভিযানে নতুন ক্যাপসুল সিস্টেমের যেমন ট্রায়াল দিয়েছেন তেমনি নাসার নতুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনাকেও বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক মহাকাশজয় করার পর এভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, ‘এই মুহূর্তটার জন্যই আমি প্রার্থনা করেছিলাম। আমেরিকার কী শক্তি আছে, সেটা মানুষ দেখল।’
এই মিশনে দুই বিজ্ঞানী ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের সব পার্ট পরীক্ষা করে দেখেছেন। নাসার ইতিহাসে এই প্রথম কক্ষপথে থাকা অবস্থায় মহাকাশচারীরা স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন পরীক্ষা করলেন।
ড্রাগন ক্যাপসুল অটোমেডেট মহাকাশযান। অর্থাৎ এটি আপনাআপনি স্টেশনে নিজস্ব পথ খুঁজে নিয়েছে।
এই ড্রাগনের কোনও কন্ট্রোল স্টিক নেই; সব ফ্লাইট টাচস্ক্রিন প্যানেলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।

ফেসবুকে চালু হচ্ছে মিউজিক ভিডিও সেকশন

ফেসবুকে চালু হচ্ছে মিউজিক ভিডিও সেকশন


ফেসবুকে চালু হচ্ছে মিউজিক ভিডিও সেকশন
ফেসবুককে ইউজারের কাছে আরও উপভোগ্য এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে চালু হচ্ছে নতুন মিউজিক ভিডিও সেকশন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা চলতি সপ্তাহে নতুন এ ফিচারের সুবিধা পাবেন।
ফেসবুকের ওয়াচ প্ল্যাটফর্মের জন্য এই নতুন অফিসিয়াল সেকশনের কথা শনিবারই ঘোষণা করেছে সংস্থা। ফেসবুকের এই বিভাগটি শুধু মিউজিক ভিডিও বা ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্যই চালু করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত এই বিভাগটিতে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল ইউটিউবের। এ বার ইউটিউব-এর সঙ্গে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছে ফেসবুক। ইতিমধ্যে একাধিক মিউজিক সংস্থার সঙ্গে সত্ত্ব সংক্রান্ত চুক্তি সেরে ফেলেছে ফেসবুক।
শুধু সিনেমার গানই নয়, গজল, ধর্মীয় সঙ্গীত, ভজন, পপ-সহ লক্ষাধিক জনপ্রিয় গান রয়েছে এই তালিকায়। এখন সংস্থার প্ল্যাটফর্মে থাকা বিশ্বব্যাপী অসংখ্য মানুষ ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম মাধ্যমগুলিতে তাদের পছন্দের গান শুনতে পাবেন।
মিউজিক ভিডিওর জন্য আমেরিকার সনি মিউজিক, ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ, ওয়ার্নার মিউজিক গ্রুপ, বিএমজি-সহ একাধিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছে ফেসবুক। ফেসবুকের ওয়াচ প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের জন্যই এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে। 

ট্রাম্প সরকারের রোষানলে পড়া টিকটক ক্রয়ে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ

ট্রাম্প সরকারের রোষানলে পড়া টিকটক ক্রয়ে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ


ট্রাম্প সরকারের রোষানলে পড়া টিকটক ক্রয়ে মাইক্রোসফটের উদ্যোগ
চীনের মালিকানাধীন ভিডিও অ্যাপ টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা/নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতেই টিকটকের ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন কোম্পানি মাইক্রোসফটসহ বিভিন্ন কোম্পানি। নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ বেশ কিছু মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
তবে মার্কিন কোম্পানিগুলোর সাথে চীনা কোম্পানি টিকটকের সে আলোচনার কতদূর অগ্রগতি হয়েছে তা জানা যায়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স লিমিটেডের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো।
এই আর্থিক লেনদেন বিলিয়ন ডলারের হবে বলেই ধারণা। 
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করেন, মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে টিকটক। এ নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন তিনি। এর মধ্যেই শুক্রবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, আমেরিকায় টিকটকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে ভাবছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী তা এখনো জানা যায়নি।

মঙ্গলগ্রহে কয়টি অভিযান সফল হয়েছে

মঙ্গলগ্রহে কয়টি অভিযান সফল হয়েছে

মঙ্গলগ্রহে কয়টি অভিযান সফল হয়েছে?
প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে মঙ্গলগ্রহে যত অভিযান হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু ঠিক কতগুলো অভিযান সফল আর কতগুলো ব্যর্থ তার সঠিক খতিয়ান দেয়া কঠিন। কিন্তু কেন?
অভিযানের সংখ্যার একটা হিসাব হয়ত বিজ্ঞানীরা সহজেই দিতে পারবেন, শতকরা হিসাবও তারা দেবেন, কিন্তু সাফল্য আর ব্যর্থতা কোন্ মাপকাঠিতে হিসাব করা হবে সেটা নিয়েই বিজ্ঞানী মহলে রয়েছে আসল জটিলতা।
যেমন: ব্রিটিশ নভোযান বিগল-২ মঙ্গলের আবহাওয়া মণ্ডলে সফলভাবে ঢুকতে সক্ষম হয়েছিল ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। মঙ্গলের পৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণও করেছিল নভোযানটি। কিন্তু কয়েক বছর আগে জানা যায়, সফলভাবে পৌঁছনর সেই খবর বাড়িতে অর্থাৎ পৃথিবীতে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয় নভোযানটি। তাহলে এই অভিযান সফল না ব্যর্থ?
নাসার মার্স রিকনোসেন্স অরবিটার নামে পর্যবেক্ষণ নভোযানের পাঠানো ছবি থেকে দেখা যায় বিগল- টু নভোযানটির "পাপড়ি"র মত যে অংশগুলো অবতরণের সময় খুলে যাবার কথা ছিল সেগুলো খুলতে ব্যর্থ হয়। ওই পাপড়ির মত অংশগুলোতে সংযুক্ত ছিল সোলার প্যানেল। সেগুলো না খোলায় যোগাযোগ অ্যান্টেনাগুলো বন্ধ থাকে এবং পৃথিবীর সাথে নভোযানের যোগাযোগ পথ বন্ধ হয়ে যায়।
বিগল টু-নভোযান প্রসঙ্গে বলা হয় এই মহাকাশ মিশন মঙ্গলের পৃষ্ঠে অবতরণের সময় শুধু কিছু ঘষা খাওয়ার চিহ্ণ রেখে গেছে - এছাড়া এর কোন সাফল্য নেই। কিন্তু যানটি যে অক্ষত অবস্থায় অবতরণ করেছিল সেটাকে কি অন্তত আংশিক সাফল্য হিসাবেও ধরা যায়? বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে।
কিংবা ধরুন রাশিয়ার মার্স-থ্রি নভোযানের কথা। মঙ্গল গ্রহে প্রথম সফলভাবে অবতরণ করেছিল এই নভোযানটি ১৯৭১ সালের দোসরা ডিসেম্বর। সেটাই মঙ্গলে প্রথম কোন নভোযানের অবতরণ। অবতরণের পরই সাথে সাথে সোভিয়েত নভোযানটি সেখান থেকে ছবি পাঠাতে শুরু করে পৃথিবীতে। মিশনের নিয়ন্ত্রকরা এই সাফল্যে তখন উল্লসিত হয়ে উঠেছিলেন।
কিন্তু মঙ্গলের পৃষ্ঠে মাত্র দু মিনিট যেতে না যেতেই নভোযানের কলকব্জা বিকল হয়ে যায়। সেই সময় একটা ভয়ঙ্কর রকম ধূলোর ঝড় বইছিল। ধারণা করা হয় নভোযানের কলকব্জা অকেজো হয়ে যাওয়ার কারণ ছিল ওই ধূলিঝড়।
কোন কোন বিজ্ঞানী মনে করেন ওই ধূলিঝড়ের কারণেই নভোযানের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায় এবং পৃথিবীর সাথে নভোযানের যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়ন এরপর আরও পাঁচবার মঙ্গলগ্রহে নভোযান পাঠানোর পর তাদের অভিযান আসল সাফল্যের মুখ দেখে।
তাহলে মার্স-থ্রি: সফল নাকি ব্যর্থ? এ নিয়েও সর্বসম্মত মতৈক্য হয়নি।
আরও একটি বিষয় আছে: মঙ্গল গ্রহে অভিযান আসলে কোন্ গুলোকে বলা হবে? ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন দুটি নভোযান পাঠায় -তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গলের দুটি চাঁদ ফোবোস এবং ডেইমোস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা। যদিও পাশাপাশি গ্রহটি পর্যবেক্ষণ করে তথ্য আনাও ওই মিশনের অন্যতম আরেকটি লক্ষ্য ছিল।
একটি ভুলের কারণে ফোবোস-১ মঙ্গলের কাছে পৌঁছতে পারেনি। কয়েক মাস পর ফোবোস সম্পর্কে তথ্য আনতে আরেকটি নভোযান পাঠানো হয়েছিল, সেটিও মহাকাশে হারিয়ে যায়। ২০১১ সালেও ফোবোসে আরেকটি মিশন পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ফোবোসে পাঠানো নভোযানগুলো তো পাঠানো হয়েছিল মঙ্গলের চাঁদে। ফলে সেগুলোকে মঙ্গলের গবেষণা মিশন হিসাবে গণ্য করা কি সঠিক? অন্যরা বলেন - না মঙ্গল গ্রহ নিয়ে অভিযানের তালিকাতেই তাদের নাম ওঠানো উচিত। এ প্রশ্নের উত্তরও অস্পষ্ট। আপনার কি মনে হয়?
এছাড়া কিছু মিশন যেমন নাসার ডন এবং ইউরোপীয়ান মহাকাশ সংস্থার রোসেটা নভোযান তাদের "আসল" গন্তব্যে যাবার পথে মঙ্গল গ্রহকে ছুঁয়ে গেছে। তাহলে সেগুলোর নাম কোন্ তালিকায় ওঠা উচিত?
মঙ্গল অভিযান নিয়ে এরকম নানা ধোঁয়াশার কারণেই সম্ভবত মহাকাশ পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ বলেন "প্রায় অর্ধেক" অভিযান সফল হয়েছে আর বাকি অর্ধেক ব্যর্থ।
কিন্তু কোনগুলো আসল মঙ্গল গ্রহে অভিযান ছিল, আর কোনগুলো মঙ্গলের আশেপাশে কাজ করার জন্য পাঠানো হয়েছিল, সেটা নিয়ে তারা স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেন না।
তবে যেসব মিশনের নাম ব্যর্থ অভিযানের তালিকায় উঠেছে, সেগুলোর ব্যর্থতার কারণ ছিল মূলত কারিগরি ত্রুটি, সফটওয়্যারের সমস্যা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে নিছক দুর্ভাগ্য।
তবে ১৯৯৮ সালে নাসা যখন মার্স ক্লাইমেট অরবিটার মিশন নামে একটি নভোযান মঙ্গল গ্রহে পাঠায়, তখন কোন্ পদ্ধতিতে তথ্য হিসাব করা হবে তা নিয়ে ঘটে এক নজিরবিহীন বিভ্রাট।। নভোযানের তথ্য মেট্রিক পদ্ধতিতে নথিভুক্ত হবে নাকি সনাতনী পদ্ধতিতে, মঙ্গলের কক্ষপথে নভোযানটি ঢোকার মুখে তা গুলিয়ে যায়।
ধারণা করা হয় এরপর, নভোযানটি হয় মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া মণ্ডলে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়, নয়ত তথ্যবিভ্রাটে পড়ে সেটি সূর্যের কক্ষপথে ঢুকে পড়তে বাধ্য হয় এবং ধ্বংস হয়ে যায়।
অনেকে আবার মনে করেন, এই অভিযানের জন্য যে ব্যয় বরাদ্দ ছিল তার বাইরে আরও অতিরিক্ত কাজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এই অভিযানে। নাসার মূলমন্ত্র তখন ছিল তিনটি- দ্রুত কাজ, উন্নত কাজ ও সস্তায় কাজ। বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে ঠাট্টা করে বলতেন তিনটা একসাথে মেলানো অসম্ভব- যে কোন দুটো বেছে নেয়া উচিত।
তা সত্ত্বেও এবং কিছু ব্যর্থতার কথা বাদ দিলেও, মঙ্গল গ্রহ অভিযানে আমেরিকার সাফল্যের রেকর্ডই সবচেয়ে ভাল।
মঙ্গল গ্রহে ১৯৯৯ সালের পর নাসা যেসব নভোযান পাঠিয়েছে তার সবগুলোই শুধু যে সফল হয়েছে, তাই নয়, যে উদ্দেশ্যে সেগুলো পাঠানো হয়েছিল তার বাইরেও অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহে সেই মিশনগুলো অনেকদিন পর্যন্ত কাজ করে গেছে।
এই মুহূর্তে নাসা মঙ্গলে পাঠিয়েছে নভোযান পারসিভিয়ারেন্স। সংযুক্ত আরব আমীরাত আর চীনও মঙ্গলে তাদের নভোযান পাঠিয়েছে। এদের নাম সাফল্যের তালিকায় উঠবে না কি ব্যর্থ অভিযানের তালিকায়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর উপায়

ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর উপায়


ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর উপায়!
তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ইন্টারনেট এখন প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয়। অফিস হোক বা বাড়ি, সোশ্যাল মিডিয়া বা মেইল চেক করা, সব ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের প্রয়োজন। তাই বাড়িতে এখন ওয়াইফাই রাউটার বসানোর চাহিদা বাড়ছে। কারণ, একদিকে যেমন একাধিক ডিভাইস এক সঙ্গে কানেক্ট করা যায়, তেমন ঘরের যে কোন প্রান্তে বসে ইন্টারনেট সার্ফিং করা যায়। 
তবে রাউটার বসালেও বেশ কিছু কারণে ইন্টারনেটের স্পিড ভালো মেলে না। এই ৫টি বিষয় মাথায় রাখলে সহজেই ওয়াই-ফাই স্পিড অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া যায়। দেখুন সেই ৫টি উপায় কী কী...
১. রাউটার বাড়ির মাঝখানে রাখুন: 
সাধারণত কানেকশন নেওয়ার সময় তারের পরিমাণ কম রাখার জন্য জানালার পাশে ঘরের এক কোনে রাউটার রেখে দেওয়াই দস্তুর। সবচেয়ে ভালো কভারেজ পেতে রাউটারকে বাড়ির মাঝের ঘরে রাখুন। মনে রাখবেন, ওয়াই-ফাই ওমনি-ডাইরেকশনালি ছড়ায়। অর্থাৎ, চোঙ থেকে আওয়াজ যে ভাবে বার হয় অনেকটা সে রকমই রাউটারকে কেন্দ্র করে সিগনাল ছড়াতে থাকে। তাই এক কোনও রাখলে অর্ধেক সিগনাল বাড়ির বাইরে চলে যাবে। ফলে স্পিড এমনিতেই কম পাবেন।
২. চোখের উচ্চতায় রাখুন: 
মাটি থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় রাউটারটি বসালে সিগনাল সবচেয়ে ভালো মেলে। মোটামোটি নিজের চোখের উচ্চতায় রাউটার রাখুন। সিগনালে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কোনও ডিভাইসের সঙ্গে রাউটার রাখবেন না। যেমন, কর্ডলেস ফোনের বেস, অন্য কোনও রাউটার, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।
৩.  কম ডিভাইস কানেক্ট করুন:
 
বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান বা পার্টি রয়ছে। বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়রা সকলেই আসছেন। ঠিক করলেন, বাড়ির ওয়াই-ফাই সকলের ব্যবহারের জন্য কানেক্ট করে দেবেন। সেই সঙ্গে নিজেও টুকটাক কাজ করে নেবেন। মনে রাখবেন এক সঙ্গে বেশি জিভাইস কানেক্ট করলে ওয়াই-ফাই স্পিড অত্যন্ত কমে যাবে। এখন বেশ কিছু রাউটারে ডিভাইস ব্লক করার অপশন রয়েছে। যদি দেখেন কোনও নির্দিষ্ট ডিভাইস বেশি ব্যান্ডউইডথ টেনে নিচ্ছে, তাকে ব্লক করুন। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সার্ফ করার জন্য ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে বলুন। যদি কেউ কিছু ডাউনলোড করতে চান, তাঁকে অপেক্ষা করতে বলুন বা নিষেধ করুন।
৪. রিপিটার কানেক্ট করুন: 
ওয়াই-ফাই স্পিড বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেবে রিপিটার। বাজারে এবং অনলাইন শপিং সাইটে বহু রিপিটার পেয়ে যাবেন। দাম মোটামোটি ১০০০ টাকা থেকে শুরু। কনফিগার করাও খুব সহজ। বাড়িতে যদি পুরনো কোনও ভালো রাউটার থাকে সেটাও রিপিটার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর জন্য সেটিং পেজে গিয়ে কনফিগার করতে হবে।
৫. USB রাউটার ব্যবহার করুন: 
রাউটার কেনার আগে দেখে নিন তাতে USB পোর্ট আছে কিনা। চেষ্টা করুন USB পোর্টযুক্ত রাউটার কিনতে। কারণ USB পোর্ট থাকলে তাতে এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ কানেক্ট করতে পারেন। এটা নেটওয়র্ক স্টোরেজের মতো কাজ করতে সমস্ত কানেক্টেড ডিভাইজের জন্য। অথবা প্রিন্টারও কানেক্ট করতে পারেন। এতে কোনও একটি ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করার প্রয়োজন পড়বে না। নেটওয়র্কে থাকা যে কোনও ডিভাইস থেকে প্রিন্ট দেওয়া যাবে। সাধারণত দেখা যায়, এ ধরনের রাউটার বেশ শক্তিশালী হয়। তাতে সিগনালও বেশ ভালো পাওয়া যায়।