সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০

গুগলে কি কি সার্চ করবেন না

গুগলে কি কি সার্চ করবেন না

গুগলে কি কি সার্চ করবেন না
বর্তমান নেট দুনিয়ায় যেমন আমাদের অনেক কাজ সহজ হয়ে গেছে। গুগল সার্চ করে চাইলেই যেকোন বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা নিতে পারবেন। কিন্তু আপনি না জেনে গুগলে এমন কোন কিছু সার্চ করলেন যার মাধ্যমে আপনার ক্ষতি হতে পারে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক গুগলে কি কি সার্চ করবেন না:

১. সঠিক URLনা জানলে ব্যাঙ্কের নাম করে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য ওয়েব সাইট সার্চ করবেন না। আপনি যে ব্যাঙ্কে লেনদেন করেন তাদের অনলাইন ঠিকানা জেনে রাখা উচিত। ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটের আদলে অনেক ‘ফিশিং সাইট’ও রয়েছে। তাই জানা না থাকলে ভুল করে এই সাইটে ঢুকে আপনার গোপন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের আইডি-পাসওয়ার্ড নথিভুক্ত করলেই বিপদ নিশ্চিত।

২. স্ক্যামারাদের সবচেয়ে বড় লক্ষণ থাকে সরকারি ওয়েবসাইট। লাইসেন্সের আবেদন বা অনলাইনে সরকারি ডেথ সার্টিফিকেট খুঁজতেও গুগলে সার্চ করবেন না। গুগল সার্চে পাওয়া অনেক ওয়েবসাইট যথাযথ মনে হলেও তা থেকে প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

৩. গুগলে কখনও কোনো সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর সার্চ করাও উচিত নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল নম্বর থাকে এখানে। বহু ক্ষেত্রে এইসব নম্বরে ফোন করলে আপনার মারাত্মক বিপদ হতে পারে। বরং নির্দিষ্ট সাইটের ‘কন্ট্যাক্টে’ গিয়ে কাস্টমার কেয়ারের নম্বর জোগাড় করুন। অনলাইনে বিভিন্ন ভুয়া নাম্বারও থাকে। সেইসব নাম্বারে ফোন করে অনেকে প্রতারিতও হয়েছেন।

৪. কোন রোগের জন্য কী ওষুধ এসব জানার জন্য গুগলকে ভরসা করা একেবারেই নিরাপদ নয়। মনে রাখবেন, সবসময় রোগের কী লক্ষণ সে বিষয়ে সঠিক উত্তর দেয় না গুগল। বিশেষ করে করোনা নিয়ে ওষুধের কোন নাম সার্চ করা যথাযথ নয়।

৫. বিনিয়োগ করলেই খুব শিগগিরই বড়লোক হয়ে যাবেন আপনি, এরকম পার্সোনাল ফাইন্যান্স ও স্টক মার্কেটের কথা গুগলের কাছে ভুলেও জানতে চাইবেন না।

৬. জালিয়াতি চক্র আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। অফুরন্ত সুবিধার সঙ্গে অ্যান্টি ভাইরাসের বিজ্ঞাপন দেখে সেটি ডাউনলোড করা নিরাপদ নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার অজান্তেই ডিভাইসে ঢুকে পড়বে বিপদজনক ভাইরাস।

চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান

 চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান

চাঞ্চল্যকর তথ্য, মঙ্গল গ্রহে আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান
মঙ্গল গ্রহের মাটির নীচে তিনটি হ্রদ পেয়েছেন মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। হ্রদগুলো বরফে আচ্ছন্ন মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন। দু’বছর আগেও মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণ মেরুতে এক বিরাট লবনাক্ত পানির হ্রদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

সায়েন্স ম্যাগাজিন নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গল গ্রহে পানি তরল অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮ সালে যে হ্রদটি মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণে আবিষ্কার হয়, সেটি বরফ দিয়ে আচ্ছাদিত। এটি প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এখন পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহে পাওয়া সবচেয়ে বৃহত্তম হ্রদ এটিই।

রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আলাইনা পেটিনেল্লি জানিয়েছেন, তারা দু’বছর আগে আবিষ্কৃত হ্রদের চারপাশে আরও তিনটি হ্রদ আবিষ্কার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলগ্রহে পানি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্বর্ণের হরফে কুরআন লিখেছেন আজারবাইজানের এই নারী

স্বর্ণের হরফে কুরআন লিখেছেন আজারবাইজানের এই নারী

স্বর্ণের হরফে কুরআন লিখেছেন আজারবাইজানের এই নারী!
স্বর্ণের হরফে লেখা কুরআনের সঙ্গে তুনজালে মেমেদজাদে।
কুরআন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ। ২০১৫ সালে এই  পবিত্র ধর্মগ্রন্থের সবচেয়ে পুরনো পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যায়।

এর পরের বছর স্বর্ণের অক্ষরে কুরআন লিখে ইতিহাস গড়েন আজারবাইজানের এক নারী শিল্পী। তার নাম তুনজালে মেমেদজাদে।

১৬৪ ফুটের স্বচ্ছ কালো সিল্কের ওপর স্বর্ণ এবং রুপা দিয়ে কোরআন লিখেছেন তিনি। এতে সময় লেগেছে প্রায় ৩ বছর। সিল্কের ওপর স্বর্ণের হরফে কুরআন এই প্রথম লেখা হল বলে জানান ৩৩ বছর বয়সী এই শিল্পী।

স্বর্ণের হরফে লেখা এই কুরআনের দৈর্ঘ্য ১১.৪ ফুট। আর প্রস্থ ১৩ ফুট।

প্রত্যেকটি হরফ নিজের হাতে লিখেছেন মেমেদজাদে। প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে ইসলামের শিল্পকলা। তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স দিয়ানেট থেকে স্বর্ণের হরফে লেখা এই কুরআনের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। 

৭ মাস পর ওমরা পালনে খুলে দেয়া হচ্ছে পবিত্র মক্কা মদিনা

৭ মাস পর ওমরা পালনে খুলে দেয়া হচ্ছে পবিত্র মক্কা মদিনা

৭ মাস পর ওমরা পালনে খুলে দেয়া হচ্ছে পবিত্র মক্কা মদিনা
সৌদি আরব পবিত্র ওমরা পালনের জন্য আগামীকাল রবিবার থেকে মক্কা এবং মদীনার পবিত্র স্থানগুলো উন্মুক্ত করে দেবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে ৭ মাস বন্ধ থাকার পর সৌদি সরকার এসব পবিত্র স্থান উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।

প্রতিবছর বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমান ওমরা পালন করে থাকেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে তা বন্ধ ছিল।

ওমরা পালনের বিষয়টি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে থাকবে শুধুমাত্র সৌদি আরবে বসবাসরত নাগরিকেদর ওমরা পালনের সুযোগ। এ সময় প্রতিদিন ছয় হাজার মানুষ ওমরা পালনের সুযোগ পাবেন।

সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ বেনতেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে খুবই সতর্কতার সাথে এবং সুনির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে ওমরা পালন করা হবে। 

তিনি জানান, ওমরা পালনকারীদেরকে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ওমরা পালনকারীদেরকে পবিত্র কাবা তাওয়াফ করতে হবে।

আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন ওমরা পালনকারীর সংখ্যা ১৫ হাজারে বাড়ানো হবে এবং সর্বোচ্চ ৪০ হাজার মানুষকে কাবা শরীফে নামাজ আদায় করতে দেয়া হবে।

এরপর ১ নভেম্বর থেকে বিদেশি নাগরিকদের ওমরা পালনের সুযোগ দেয়া হবে। এ সময় থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ ওমরা পালন করতে পারবেন এবং মসজিদের ভেতরে ৬০ হাজার মানুষকে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হবে।

সীমিত পরিসরে ওমরাহ পালন শুরু, প্রথম ধাপে ৬ হাজার

সীমিত পরিসরে ওমরাহ পালন শুরু, প্রথম ধাপে ৬ হাজার


সীমিত পরিসরে ওমরাহ পালন শুরু, প্রথম ধাপে ৬ হাজার
সীমিত পরিসরে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি সরকার পবিত্র মক্কা এবং মদিনাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে গত সাত মাস ধরে ওমরাহ পালন বন্ধ ছিল।

রবিবার থেকে ওমরা পালন শুরু হয়েছে তবে সবক্ষেত্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রথম দিনে মাত্র ছয় হাজার মুসল্লি ওমরাহ পালন করছেন। আগামী পহেলা নভেম্বর থেকে বিদেশি মুসলমানদের জন্য ওমরাহ পালনের সুযোগ উন্মুক্ত করা হবে।

প্রথম দিনে সৌদি আরবে বসবাসরত নাগরিকরা ওমরাহ পালন করেন। এ সময় পবিত্র কাবা শরীফকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদেরকে তাওয়াফ করতে দেখা যায়। পবিত্র মদিনা শহরে মসজিদে নববীও পরিদর্শন করেন তারা। তবে সবক্ষেত্রেই মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ওমরার জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে পবিত্র কাবা, তার আগে ধোয়া মোছার কাজ চলছে

গত সপ্তাহে সৌদি হজ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ৪ অক্টোবর থেকে ওমরাহ শুরু হবে এবং তিন ধাপে তা পূর্ণমাত্রা পাবে। প্রথম ধাপে ছয় হাজার মুসল্লি ওমরাহ করার সুযোগ পাবেন এবং শেষ পর্যায়ে তা ৬০ হাজারে বাড়ানো হবে।

গত বছর সারা বিশ্ব থেকে এক কোটি ৯০ লাখ মানুষ ওমরাহ পালন করেছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এবার তা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।