শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

আইফোন ১২-তে রয়েছে যেসব নতুন ফিচার

আইফোন ১২-তে রয়েছে যেসব নতুন ফিচার

আইফোন ১২-তে রয়েছে যেসব নতুন ফিচার
ফাইভজি নেটওয়ার্ক সুবিধাযুক্ত নতুন চারটি মডেলের আইফোন উন্মোচন করেছে অ্যাপল। অ্যাপল নিশ্চিত করেছে ফাইভ জি নেটওয়ার্কে কাজ করা তাদের প্রথম হ্যান্ডসেট হতে যাচ্ছে আইফোন ১২।

আইফোন ১২ সিরিজের মডেলগুলো হল- আইফোন ১২, আইফোন ১২ মিনি, আইফোন ১২ প্রো এবং আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স।

প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে যে এই ফোনসেটের একটি নতুন ‘মিনি’ মডেল থাকবে, যেটির স্ক্রিন থাকবে ৫.৪ ইঞ্চি।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) অ্যাপল প্রধান টিম কুক অনলাইন ইভেন্টটি শুরু করেন হোমপড মিনি ডিভাইস উন্মোচনের মধ্য দিয়ে।

প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেন, “ডাউনলোড ও আপলোডের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে ফাইভ জি। আরও হাই কোয়ালিটি ভিডিও স্ট্রিমিং, আরও সংবেদনশীল গেমিং, যোগাযোগের মাত্রায় আরও নতুনত্বসহ অনেক পরিবর্তন আসবে এই প্রযুক্তিতে।”

আর আইফোন ১২-এ নতুন পাঁচ ন্যানোমিটার প্রসেসে তৈরি এ১৪ বায়োনিক চিপ ব্যবহার করেছে অ্যাপল। ফলে আইফোন ১১ সিরিজের চেয়ে বেশি গতি এবং গ্রাফিক্স পাওয়া যাবে আইফোন ১২-এ।

আইফোন ১২ সিরিজের সঙ্গে নতুন ‘ম্যাগসেইফ’ ফিচারও এনেছে অ্যাপল।

ডিভাইসটির পেছনে চুম্বক পাত যোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাডে ডিভাইসটি সহজে সঠিক স্থানে বসাতে পারবেন গ্রাহক।

আর আইফোনের নতুন মডেলের প্রান্তগুলো আগের মডেলগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত তীক্ষ্ণ হবে বলে জানানো হয়েছে।

যেসব পরিবর্তন আসছে নতুন আইফোনে

চার্জার বিহীন ফোন
এই প্রথমবারের মত আইফোনের সাথে কোনও চার্জার অথবা হেডফোন দেওয়া হচ্ছে না।

অ্যাপল জানিয়েছে, পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অপেক্ষাকৃত বেশি দামী আইফোন-১২ প্রো মডেলে স্ক্রিনটি বড় থাকবে এবং কম আলোয় ছবি তোলার সুবিধার্থে নতুন সেন্সর ব্যবহার করা হবে।

সিরামিক শিল্ড
অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোন ১২-তে আগের মডেলগুলোর মত ৬.১ ইঞ্চি (১৫.৫ সেমি) স্ক্রিন রয়েছে, তবে এখন জমকালো রঙয়ের সেটগুলোর জন্য এলসিডি’র বদলে ওএলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

অ্যাপল বলছে, এর কারণে নতুন আইফোন আগের চেয়ে ১১% বেশি সরু করে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে তাদের জন্য।

তারা আরও জানিয়েছে যে নতুন সেটের স্ক্রিন বেশি রেজোলিউশনের এবং এতে ডিসপ্লের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘সিরামিক শিল্ড’ ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে হাত থেকে পড়ে যাওয়ার হিসেবে আগের চেয়ে ‘চার গুণ বেশি’ সুবিধা পাওয়া যাবে।

ডেপথ সেন্সর
অপেক্ষাকৃত বেশি দামী মডেলগুলোতে বড় আকারের ডিসপ্লে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেগুলোকে নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে - আইফোন প্রো’এর স্ক্রিন ৫.৮ ইঞ্চি থেকে ৬.১ ইঞ্চি এবং প্রো ম্যাক্সের স্ক্রিন ৬.৫ ইঞ্চি থেকে ৬.৭ ইঞ্চি।

এছাড়াও এই সেটগুলোতে ‘লিডার’ (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) স্ক্যানার সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর ফলে ফোনের আশেপাশের পরিবেশের জন্য একটি ডেপথ ম্যাপ তৈরি হয়, যার ফলে কম আলোতে অটোফোকাস 'ছয় গুণ দ্রুততায়' করা সম্ভব।

এছাড়া অগমেন্টেড রিয়েলিটির কাজ করার জন্যও এই সেন্সর ব্যবহৃত হতে পারে, যদিও এই ক্ষেত্রে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি।

ফাইভ জি
স্যামসাং ২০১৯ সালে গ্যালাক্সি এস ১০ ফোন বাজারে ছাড়ে যা ফাইভ জি নেটওয়ার্কে কাজ করে এবং এর পর হুয়াওয়ে, ওয়ান প্লাস ও গুগলও এই ধরণের ফোন বাজারে ছাড়ে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেসব ফোন সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ খুব একটা বেশি নেই।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টারের টমাস হাসন বলেন, “অ্যাপল সাধারণত নতুন প্রযুক্তি বাজারে আনে না, তারা একটি প্রযুক্তি পরিপক্ক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে এবং ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে সেই প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে।”

স্মার্ট স্পিকার
নিজেদের স্মার্ট স্পিকার ‘হোমপড মিনি’র একটি নতুন ভার্সনও বাজারে ছেড়েছে অ্যাপল।

এটি আরও ব্যাপক পরিসরের ভয়েস কমান্ড সমর্থন করে। পাশাপাশি এটিতে একটি হোম ইন্টারকম সিস্টেমও রয়েছে।

অ্যাপলের প্রথম হোমপড ২০১৮ সালে বাজারে ছাড়া হয়, তবে এখন পর্যন্ত অ্যামাজন ও গুগলের স্পিকারের তুলনায় এটি অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

৪ মডেলের 'আইফোন ১২' আনলো অ্যাপল

৪ মডেলের 'আইফোন ১২' আনলো অ্যাপল


৪ মডেলের 'আইফোন ১২' আনলো অ্যাপল
আইফোন ১২ হাতে অ্যাপলের সিইও টিম কুক
অ্যাপল বাজারে আনলো আইফোন ১২'র চারটি ভার্সন- আইফোন ১২, আইফোন ১২ মিনি এবং আইফোন ১২ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স। এই সবগুলো মডেলেই ৫জি কাজ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাপল পার্ক থেকে ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে আইফোন ১২ সিরিজের চারটি ডিভাইস উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে পাওয়া যাবে আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ প্রো মডেল দু’টি। তবে আইফোন ১২ মিনি এবং আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স কবে বাজারে আসবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

লাল, সাদা, নীল, সবুজ এবং কালো- এই পাঁচটি রঙে পাওয়া যাবে আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ মিনি। ৬৪, ১২৮ এবং ২৫৬ জিবি- এই তিনটে ভ্যারিয়ান্টেই ফোনগুলো মিলবে। আইফোন ১২ সিরিজের এই ফোনগুলো খুব পাতলা করা হয়েছে। ওজনেও হালকা এবং ছোট। ৫জি সাপোর্ট ছাড়াও এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ওয়্যারলেস সফটওয়্যার। 

আইফোন ১২-এ রয়েছে ওলেড ডিসপ্লে। স্ক্রিন যাতে সহজে ভেঙে না যায় তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সিরামিক শিল্ড গ্লাস প্রযুক্তি। এছাড়া এই ফোনে রয়েছে এ-১৪ বায়োনিক প্রসেসর। 

অ্যাপল'র দাবি, এই ফোনের সিপিইউ এবং জিপিইউ অন্যান্য স্মার্টফোনের চেয়ে অনেক দ্রুত। এই ফোনে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেলের দু’টি ওয়াইড অ্যাঙ্গল সেন্সর এবং আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। এখন নাইট মোডেও ছবি তোলা যাবে ফ্রন্ট ও রিয়ার ক্যামেরায়। কোনও কেবল ছাড়াই চার্জ করা যাবে আইফোন ১২। এতে ম্যাগসেফ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।  রয়েছে ম্যাগনেট এবং সেন্সরকে কাজে লাগিয়ে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের ব্যবস্থা। ফলে অনেক দ্রুত চার্জ হবে ফোন।

অ্যাপল জানিয়েছে, তাদের আইফোন ১২ মিনি ছোট এবং পাতলা ফোন। এতে রয়েছে ৫.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে। ফোনটিকে টেকসই করার জন্য সিরামিক মেটারিয়াল ব্যবহার করা হয়েছে। দু'টি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। তাতে নাইট মোড ফিচার রয়েছে। রয়েছে এ-১৪ বায়োনিক চিপ। স্ক্রিনের মাপ ৫.৪ ইঞ্চি। এছাড়া রয়েছে সুপার রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লে। আইফোন ১২'র মতো ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে এতেও।

ফেসবুকের যে পোস্টগুলোতে অবশ্যই রিপোর্ট করবেন

ফেসবুকের যে পোস্টগুলোতে অবশ্যই রিপোর্ট করবেন

ফেসবুকের যে পোস্টগুলোতে অবশ্যই রিপোর্ট করবেন
ফেসবুক ব্যবহার করার সময় আমরা প্রত্যেকেই এমন অনেক পোস্টের সম্মুখীন হয়েছি যেগুলো রিপোর্ট করা নিয়ে আমরা দ্বন্দ্বে পড়ে যাই। অনেক সময় আমরা এমন পোস্ট শেয়ার করি বা এমন পোস্টে কমেন্ট করি যার প্রভাব সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। আবার কখনো কোন পোস্ট শেয়ার করা ঠিক হবে কি না তা নিয়েও দ্বিধাগ্রস্ত হই। তবে ১০ ধরনের কন্টেন্ট যদি কোন ফেসবুক গ্রুপ, পেজ, কমেন্ট, প্রোফাইল এমনকি মেসেঞ্জারের বার্তাতেও পান তাহলে নির্দ্বিধায় সেগুলো রিপোর্ট করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো।

১. নির্দিষ্ট কোন মতবাদ বা ব্যক্তি সত্ত্বাকে অসম্মান করা হলে:
যদি কোন পোস্টে নির্দিষ্ট মতবাদ, লিঙ্গ, জাতি বা ধর্মীয় অনুভূতিতে সরাসরি আঘাত করে তবে সেই পোস্টটি এবং যে এই পোস্ট শেয়ার করেছে তাকেও রিপোর্ট করতে পারেন। জাতি, মতবাদ ও ধর্মীয় বিশ্বাস প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার এবং এগুলোর ভিত্তিতে কাউকে বিবেচনা করার অধিকার কারো নেই।

২. অশালীন ও আপত্তিকর ছবি থাকলে:
যেসব কন্টেন্ট যৌন নির্যাতন বা জাতিগত সহিংসতা প্রচার করে অবিলম্বে সেসব পোস্ট রিপোর্ট করতে হবে। কারণ অন্য পোস্টের চেয়ে এই পোস্টগুলো বেশি শেয়ার হয় এবং ব্যবহারকারীরা এই পোস্টগুলো বিশ্বাসও করে বেশি, তাই এই ধরণের পোস্টগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

৩. হিংস্রতা ও অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পেলে:
যদি কোন পোস্টে হিংস্রতা বা অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পায় যা অন্যের অনুভূতিতে আঘাত করে তবে সেই পোস্টগুলো রিপোর্ট করুন। কারণ এই পোস্ট বা জিআইএফগুলো যখন কোন ব্যক্তিকে কটাক্ষ করে করা হয় সেখান থেকে পারস্পরিক বা জাতিগত সংঘর্ষ হতে পারে।

৪. ব্যক্তিগত তথ্যে অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করলে:
নিজের অ্যাকাউন্ট এবং যে তথ্যগুলো অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয় যেমন: ছবি, স্ট্যাটাস, চেক-ইনস, যোগাযোগের বিবরণ, কর্মস্থলের ঠিকানা ইত্যাদি, সে সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। এসব তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুকের প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি টুলস ব্যবহার করুন। নইলে প্রতারক চক্র আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে যা আপনার নিজের এবং ফেসবুক কমিউনিটির জন্য ক্ষতিকর।

৫. কোন পোস্ট আপনার অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা হলে:
যদি আপনার নিজের কোন পোস্ট বা ছবি আপনার অনুমতি না নিয়েই কেউ শেয়ার করেন যা আপনার গোপনীয়তা নষ্ট করে তবে সেই ব্যক্তিকে ও পোস্ট রিপোর্ট করুন।

৬. ভুয়া খবর হলে:
ফেসবুকে এখন নানা ধরনের ভুয়া খবর ছড়িয়ে আছে। ব্যবহারকারীরা এই খবরগুলোর সত্যতা না জেনেই শেয়ার করে থাকেন। স্প্যাম আছে এমন পোস্টগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকুন বা যিনি পোস্টটি শেয়ার করেছেন অ্যাকাউন্টটি ফেইক কিনা তা লক্ষ্য করুন।

৭. পোস্টে সহিংসতামূলক ছবি বা ভিডিও থাকলে:
যদি কোন ভিডিও, ছবি বা গ্রাফিক্স কন্টেন্টে সহিংসতা বা অন্যের দুর্ভোগ ও অপমান সমর্থন করে তাহলে অবিলম্বে সেই পোস্টটি রিপোর্ট করুন। এতে পারস্পরিক সহিংসতা রোধ করা যাবে।

৮. অপরাধমূলক কাজ প্রচার করলে:
যদি কোন পোস্টে সহিংসতামূলক অপরাধ, চুরি, জালিয়াতি বা কোন অপরাধের বর্ণনা থাকে তবে সেই পোস্টটি সাথে সাথে রিপোর্ট করতে হবে।

৯. অন্যের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করলে:
যদি কোন পোস্ট অপরাধমূলক কাজ করতে উস্কানি দেয় যা মানুষ, ব্যবসা বা প্রাণীর ক্ষতি করতে পারে, সেই পোস্ট রিপোর্ট করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

১০. কোন পোস্ট নিজের ক্ষতি বা আত্মহত্যা সমর্থন করলে:
যদি কোন পোস্ট হুমকিস্বরূপ হয় বা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে তাহলে দ্রুত স্থানীয় ইমার্জেন্সি সার্ভিসে যোগাযোগ করুন। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে পোস্টটি রিপোর্ট করুন। ফেসবুকই প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দেবে যা তাদের সাহায্য করতে পারে।

আপত্তিকর কন্টেন্ট বা স্প্যাম রিপোর্ট করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পোস্টের উপরের ডানদিকে “তিনটি ডট”-এ ক্লিক করে ‘ফাইন্ড সাপোর্ট’ বা ‘রিপোর্ট পোস্ট’ সিলেক্ট করা এবং পোস্টটি কীভাবে ফেসবুক কমিউনিটি গাইডলাইনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে তার বর্ণনার সাথে মিলে এমন অপশনে ক্লিক করা।

এ বিষয় সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন - www.facebook.com/communitystandards  

চার্জিং সুবিধার সাথে দুর্দান্ত সব স্পেসিফিকেশন নিয়ে এসেছে রিয়েলমি ৭ প্রো

চার্জিং সুবিধার সাথে দুর্দান্ত সব স্পেসিফিকেশন নিয়ে এসেছে রিয়েলমি ৭ প্রো


চার্জিং সুবিধার সাথে দুর্দান্ত সব স্পেসিফিকেশন নিয়ে এসেছে রিয়েলমি ৭ প্রো
দেশের বাজারে সেরা চার্জিং সুবিধার রিয়েলমি ৭ প্রো নিয়ে এসেছে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। রিয়েলমি ৭ প্রোতে রয়েছে শক্তিশালী ৪ হাজার ৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, বহুমাত্রিক ব্যবহারের পরেও যার চার্জ থাকবে পুরো একদিন। নতুন এ স্মার্টফোনটির সবচেয়ে দুর্দান্ত বিষয়টি হলো এর ৬৫ ওয়াটের সুপারডার্ট চার্জিং।

মাত্র ৩৪ মিনিটে চার্জ হবে পুরো ব্যাটারি, যা নতুন এ স্মার্ট ফোনটিকে বাজারের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে চার্জ হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় নিয়ে এসেছে। মাত্র ১২ মিনিটে ফোনটির ব্যাটারি ৫০ শতাংশ চার্জ হবে। এছাড়া মাত্র তিন মিনিটে চার্জ হবে ১৩ শতাংশ, যা দিয়ে তিন রাউন্ড পাবজি খেলা যাবে (১.২২ ঘণ্টা), ২ ঘণ্টা ইন্সটাগ্রাম ব্রাউসিং, ইউটিউব দেখা যাবে আড়াই ঘণ্টা এবং ফোন স্ট্যান্ডবাই মোডে রাখা যাবে চারদিন।

রিয়েলমি ৭ প্রোর ৪ হাজার ৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিতে রয়েছে ডুয়াল ২ হাজার ২৫০ মিলি অ্যাম্পিয়ার সেল, যা ফাস্ট চার্জিং এমসিইউ’র অধীনে একইসাথে ১০ ভোল্ট ৬.৫ অ্যাম্পিয়ারে চার্জ হবে।

চার্জের গতি ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ফোন চার্জ দিতে সঠিক ভোল্টেজ নিশ্চিতে চার্জ পাম্প ব্যবহার করে সুপার ডার্ট চার্জ। অতিরিক্ত গরম হওয়া প্রতিরোধে এবং বৈদ্যুতিক শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে চার্জের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।

নন-স্টপ গেমিং অভিজ্ঞতা 

হেভি গেমিংয়ের সময় খেলায় বিরতি দেওয়া ছাড়াও ৬৫ ওয়াটের সুপার ডার্ট চার্জ ডিভাইসের ব্যাটারি মাত্র ৩০ মিনিটে ৪৩ শতাংশ বাড়াবে। এছাড়াও স্মার্টফোনটি ১৮ ওয়াটের পিডি/কিউসি চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড সাপোর্ট করবে। ফলে অধিকাংশ চার্জারের মাধ্যমে রিয়েলমি ৭ প্রো চার্জ দেওয়া যাবে। শক্তিশালী চার্জিং ফিচার ও ব্যাটারি ছাড়াও রিয়েলমি ৭ প্রো অন্যান্য ক্যাটাগরিতেও অলরাউন্ডার পারফরমেন্স। 

মান ও পারফরমেন্সের দারুণ সমন্বয়  

রিয়েলমি ৭ প্রোতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি চিপসেট। আরও রয়েছে অ্যাড্রিনো ৬১৮ জিপিইউ, ৮ জিবি এলপিডিডিআর৪এক্স র‍্যাম এবং ১২৮ জিবি ইউএফএস ২.১ স্টোরেজ। যেকোনো ধরনের ব্যবহারের জন্যই এর শক্তিশালী চিপসেট দিবে অনন্য পারফরমেন্স। গেমিং-ওরিয়েন্টেড চিপসেট ডিভাইসটিকে গেমারদের উপযুক্ত ডিভাইসে পরিণত করেছে।

৭ প্রোতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১০, সাথে রিয়েলমি ইউআই। এছাড়াও প্রথম ডিভাইস হিসেবে টিইউভি রেইনল্যান্ড স্মার্টফোন রিলায়েবিলিটি ভেরিফিকেশনে উত্তীর্ণ হয়েছে রিয়েলমি ৭ প্রো।

সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে

মিড-রেঞ্জ সেগমেন্টে অন্যতম সেরা ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে রিয়েলমির নতুন এই স্মার্টফোনে। ফুল এইচডি প্লাস রেজ্যুলেশনের ৬.৪ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে রয়েছে ৬০০ ব্রাইটনেস নিটস এবং ৯৮ শতাংশ এনটিএসসি কালার গেমট কাভারেজ। ফোনটির সকল পাশে সরু বেজেলের ফলে এর স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও’র পরিমাপ ৯০.৮ শতাংশ; সোয়াইপ করার ক্ষেত্রে কিংবা হাতে নেওয়ার স্বাচ্ছন্দ্যে পাশগুলো সামান্য বাঁকানো হয়েছে।

কোয়াড ক্যামেরা, সাথে সনি সেন্সর 

কোয়াড ক্যামেরা সেটআপের রিয়েলমি ৭ প্রোর ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স৬৮২ সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো এবং ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট সেন্সর। সনি আইএমএক্স৬৮২ এর রয়েছে অবিশ্বাস্য লাইট-সেন্সিং দক্ষতা এবং এর ১/১.৭৩ ইঞ্চি সুপার লার্জ সেন্সরের কারণে ছবি হবে উজ্জ্বল। স্মার্টফোনটির ১১৯ ডিগ্রি ফিল্ড অব ভিউ ব্যবহারকারীদের ল্যান্ডস্কেপ, আর্কিটেকচার কিংবা বড় গ্রুপ ছবিতে কারও বা কোনো কিছুর বাদ পড়ার দুশ্চিন্তা ছাড়াই অসাধারণ ছবি তোলার সুযোগ করে দিবে।
  
ফোনটির আল্ট্রা ম্যাক্রো লেন্সের ফলে ব্যবহারকারীরা ম্যাক্রো ছবি তুলতে বিষয়ের আরও অনেক কাছে যেতে পারবেন- মাত্র ৪ সেন্টিমিটার দূর থেকে মাক্রো ফটোগ্রাফির সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দী করতে পারবেন। নতুন কালার ফিল্টার সিস্টেমের কারণে পোর্ট্রেট লেন্স আরও অধিক পরিসরে আলো ব্যবহার করতে পারবে, প্রাইমারি লেন্স আরও ভালো ছবি ধারণ করতে পারবে এবং টেক্সচার থেকে পোর্ট্রেট করার ক্ষেত্রে রেট্রো স্টাইল ইমেজ তৈরি করবে। অসাধারণ সিনেম্যাটিক ভিজ্যুয়াল এফেক্ট আনার মাধ্যমে এআই কালার মোড ভিডিও’তে থাকা সবাইকে হাইলাইট করবে।

রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে রিয়েলমি’র সবচেয়ে বেশি রেজ্যুলেশনের ফ্রন্ট ক্যামেরা। এর এআই বিউটিফিকেশন সমৃদ্ধ ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরায় ঝকঝকে বিউটি শট নেওয়া যাবে। অন্ধকারেও এর সুপার নাইটস্কেপ মোড ব্যালেন্স এক্সপোজার ও চমৎকার ডিটেইলে ব্যবহারকারীদের উজ্জ্বল সেলফি তোলার সুযোগ করে দেবে।

নাইটস্কেপ মোডে শাটার, আইএসওসহ অন্যান্য প্যারামিটারের সামঞ্জস্যের মাধ্যমে নিজেদের নাইট ফটোগ্রাফি দক্ষতাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এ স্মার্টফোনটিতে চমৎকার ফোর-কে ভিডিও করা যাবে। 

এ সকল স্পেশিফিকেশন ছাড়াও রিয়েলমি ৭ প্রো’র ডিজাইনে রয়েছে অভিনবত্ব। এর ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যেন মনে হয় আয়নার ওপরে আলোর প্যাটার্ন। স্লিম ডিজাইন ফোনটিকে প্রিমিয়াম লুক দিয়েছে। এছাড়াও, রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে ডলবি অ্যাটমোস ডুয়াল-চ্যানেল অডিও আউটপুট, যা উচ্চ মানসম্পন্ন সাউন্ড এফেক্ট নিশ্চিত করবে।

সুপার ডার্ট চার্জিং সুবিধা এবং প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যার ছাড়াও রিয়েলমি ৭ প্রো’তে রয়েছে সকল স্পেশিফিকেশন, যা এখন হাই-এন্ড ডিভাইস থেকে প্রত্যাশা করে স্মার্টফোনপ্রেমীরা। মিরর সিলভার এবং মিরর ব্লু- এ দুই রঙে ২৭,৯৯০ টাকা বাজার মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি ৭ প্রো। কেনার জন্য বিস্তারিত জানতে ক্লিকঃ https://realmebd.com/bd/realme-7-pro.html

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০

Apple Does Not Need to Return Fortnite to App Store, Judge Rules

 Apple Does Not Need to Return Fortnite to App Store, Judge Rules
Fortnite’s parent company, Epic Games, had broken its contract with Apple, a federal judge found. The case goes to trial next year.
Credit...
Brian Finke for The New York Times
SAN FRANCISCO — A federal judge ruled on Friday that Apple did not need to reinstate the popular video game Fortnite in its App Store, in a blow to Fortnite’s parent company, Epic Games, which is locked in an antitrust battle with the tech giant over its app store fees and rules.
Judge Yvonne Gonzalez Rogers of the Northern District of California said in her ruling that Apple’s ban of the game could continue because Epic had violated its contract with Apple. There is “significant public interest” in requiring companies to adhere to contracts or resolve disputes through the normal course, she wrote.
But Judge Gonzales Rogers also said that Apple could not ban Unreal Engine, Epic’s developer tools, from its platforms because of the “potential significant damage to both developers and gamers” who rely on the software.
The mixed ruling showed the high cost of taking on a tech behemoth like Apple, even for an established company like Epic. The 116 million people who have accessed Fortnite through Apple’s systems will continue to be kept away while Epic and Apple prepare for a trial in the case, which is scheduled for May.
An Epic spokeswoman said the company “is grateful that Apple will continue to be barred from retaliating against Unreal Engine and our game development customers.” Epic will continue developing for Apple’s platforms and “pursue all avenues to end Apple’s anti-competitive behavior,” she said.
An Apple spokesman said the company was grateful that the court “recognized that Epic’s actions were not in the best interests of its own customers and that any problems they may have encountered were of their own making when they breached their agreement.” The spokesman added that Apple’s app store has been “an economic miracle” that has created “transformative business opportunities” for developers.
Epic’s battle with Apple comes as the largest tech companies face scrutiny of their power. On Tuesday, House lawmakers said Apple, Amazon, Facebook and Google had exercised and abused their monopoly power to stifle competition and harm consumers and recommended that the companies be restructured. European regulators have also opened an investigation into whether Apple’s app store rules are anticompetitive. And in the coming days, the Justice Department is expected to sue Google over anticompetitive search practices.
At the heart of Epic’s case is Apple’s and Google’s tight grip over smartphone apps in their app stores. Both companies require that developers use their payment systems and pay a 30 percent cut of any money they make in their apps.
“They think they can just decide arbitrarily what apps can exist, and what fees can be charged, and tax all commerce,” Tim Sweeney, Epic’s chief executive, said in an interview last month. “We came gradually to the realization that we had to fight this, not just by words, but also by really broad actions.”
Epic has said it wants Apple to change its requirements that apps use its payment system and shell out a 30 percent fee. It also wants to operate its own app store within Apple’s.
The companies began fighting in August, when Epic violated Apple’s and Google’s rules by directing Fortnite users to its own payments service. Apple and Google responded by pulling Fortnite from their app stores. Epic then sued both companies, arguing they were breaking antitrust laws.
Apple later also cut off its support for Unreal Engine, Epic’s software development tool that is used by thousands of game makers. Judge Gonzalez Rogers said on Friday that Apple must continue supporting Unreal Engine and could not retaliate against any of Epic’s other affiliated apps or products.
The fight has escalated over the past few weeks. Apple has accused Epic of seeking a special deal for itself, while Epic has accused Apple of cherry-picking out-of-context emails in its legal response.
Other companies have used the battle to criticize Apple. Microsoft filed a declaration in support of Epic and has announced a set of developer-friendly principles for its own app store. Facebook has also recently called out Apple’s 30 percent app fees.
Smaller app makers, normally wary of angering the tech giants, have found strength in numbers. In September, more than a dozen of them, including the music streaming service Spotify, the dating service Match Group and the Bluetooth tracking device maker Tile, formed a nonprofit group called Coalition for App Fairness to push for changes to the app stores.
In a hearing last month, Apple said it was willing to reinstate Fortnite to its app store before a trial if Epic would return to complying with its rules. Judge Gonzalez Rogers proposed an arrangement that would put Apple’s fees from Fortnite in an escrow account until after the trial. But Epic refused, arguing that doing so would be complying with a contract it views as unlawful.“I didn’t buy that argument before,” Judge Gonzalez Rogers said in the hearing. “I’m not particularly impressed with it now.”