সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১

বৃহস্পতির উপগ্রহ থেকে এলো রেডিও সিগন্যাল, জল্পনা তুঙ্গে

বৃহস্পতির উপগ্রহ থেকে এলো রেডিও সিগন্যাল, জল্পনা তুঙ্গে


বৃহস্পতির উপগ্রহ থেকে এলো রেডিও সিগন্যাল, জল্পনা তুঙ্গে
পৃথিবীর বাইরের জগত নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। চলছে গবেষণাও। এরইমধ্যে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতির উপগ্রহ গ্যানিমেড থেকে রেডিও সিগন্যাল পেয়েছে নাসার পাঠানো মহাকাশ যান জুনো। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।

সাধারণত রেডিও তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল কোনো জীব থাকার ইঙ্গিত বা যোগাযোগের বিষয়টিকে তুলে ধরে বলেই গ্যানিমেডে প্রাণের অস্তিত্বের বিষয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। বৃহস্পতির কোনো প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার জেরেই এই রেডিও তরঙ্গের উৎপত্তি।

এ ব্যাপারে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুনো বৃহস্পতির কক্ষপথ ধরেই প্রদক্ষিণকালে সম্প্রতি গ্যানিমেড থেকে এই সংকেত পেয়েছে। বৃহস্পতির ৭৯টি উপগ্রহের মধ্যে অন্যতম হলো গ্যানিমেড। এর আগে কখনও এই উপগ্রহ থেকে কোনোরকম তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল ধরা পড়েনি।

মহাকাশবিজ্ঞানীদের কথায়, মূলত ইলেকট্রন থেকে এ ধরনের তরঙ্গ বা সিগন্যাল সৃষ্টি হয়। এই গ্রহে হয়তো কোনো প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটছে। তা থেকেই এমন তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে।

নাসার গবেষক প্যাট্রিক ইউইংস বলেন, সাইক্লোট্রন ম্যাসার ইনস্ট্যাবিলিটি নামে এক ধরনের প্রক্রিয়ার ফলে এমন হতে পারে। সাধারণত কোনো তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রক্রিয়া ঘটে থাকে। এতে ইলেকট্রনের উপস্থিতিও লক্ষ করা যায়। আর আশপাশের এলাকায় একটি ফ্রিকোয়েন্সি অনুভূত হয়। জুনো সেই ফ্রিকোয়েন্সি ধরতে সক্ষম হয়েছে।

নাসার মেগা রকেটের ইঞ্জিন পরীক্ষা বাতিল

নাসার মেগা রকেটের ইঞ্জিন পরীক্ষা বাতিল

নাসার মেগা রকেটের ইঞ্জিন পরীক্ষা বাতিল
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নতুন মেগা রকেটের (স্পেস লঞ্চ সিস্টেম) ইঞ্জিনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। চারটি ইঞ্জিনে একসঙ্গে আগুন ধরে যাওয়ায় পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়।

স্পেস লঞ্চ সিস্টেম চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছিল মিসিসিপির বে সেন্ট লুইসের কাছে স্টেনিস স্পেস সেন্টারে। 

স্টেনিস স্পেস সেন্টার অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করছে।   

নতুন দুইটি ফিচার নিয়ে এসেছে লুডু কিং গেম

নতুন দুইটি ফিচার নিয়ে এসেছে লুডু কিং গেম


নতুন দুইটি ফিচার নিয়ে এসেছে লুডু কিং গেম
কুইক লুডু ও সিক্স প্লেয়ার মোড নামে দুইটি ফিচার যোগ হয়েছে লুডু কিং গেমে। এর ফলে চারজনের জায়গায় ছয়জন মিলে একসঙ্গে খেলতে পারবেন। পাশাপাশি পাওয়া যাবে ভয়েস চ্যাটের সুবিধাও। একই সঙ্গে মাত্র পাঁচ মিনিটেই এক রাউন্ড লুডু খেলা হয়ে যাবে।

ক্লাসিক লুডু গেম বা সাধারণ লুডু গেম খেলতে প্রায় ১৫ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগে। কিন্তু কুইক লুডু মোডের সাহায্যে মাত্র পাঁচ মিনিটেই এক রাউন্ড লুডু খেলা হয়ে যাবে।

এবার আসা যাক ফাইভ টু সিক্স প্লেয়ার মোড ফিচারে। নামেই বোঝা যাচ্ছে এই ফিচারের কাজ। এক্ষেত্রে একসঙ্গে ছয়জন প্লেয়ার একে অন্যের সঙ্গে লুডু খেলতে পারবেন। এতদিন পর্যন্ত অফলাইনে কার্যকর ছিল এই সিক্স প্লেয়ার মোড।

এবার থেকে চার জনের জায়গায় অনলাইনে একসঙ্গে ছয়জন মিলে খেলতে পারবেন। অনলাইনেই একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন ছয়জন খেলোয়াড়। আর এই মোডেই ভয়েস চ্যাটের সুবিধা পাওয়া যাবে। ভয়েস চ্যাট অপশনের মাধ্যমে খেলা চলাকালীন একে অন্যের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ঠাট্টা-তামাশা করতেন পারবেন তারা। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় ৩০টি দেশে ও ১৪টি ভাষায় কার্যকর রয়েছে এই লুডু কিং গেম। এক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর, অ্যাপ স্টোর ও উইন্ডোস ভার্সনে রয়েছে এই গেম।

হোয়াটসঅ্যাপ বাদ দিয়ে তুরস্কের ‘বিআইপি’তে যোগদানের হিড়িক

হোয়াটসঅ্যাপ বাদ দিয়ে তুরস্কের ‘বিআইপি’তে যোগদানের হিড়িক

বিশ্বব্যাপী তুরস্কের অ্যাপ বিআইপিতে যোগদানের হিড়িক চলছে। আমেরিকান প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের প্রাইভেসি পলিসিতে বিতর্কিত পরিবর্তন আনার পর থেকেই তুরস্কের এই অ্যাপে প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ করে ব্যবহারকারী বাড়ছে। 

জানা গেছে, নিরাপদভাবে বার্তা আদান-প্রদানকারী অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তুরস্কের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা ‘তুর্কসেল’। ২০১৩ সালে চালু হওয়া বিআইপি গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ১৯২টি দেশে বিস্ময়কর জনপ্রিয়তা লাভ করে।

তুর্কসেলের মহাব্যবস্থাপক জানান, গত শুক্রবার থেকে ৬৪ লাখ ব্যবহারকারী হোয়াটঅ্যাপস ছেড়ে বিআইপিতে যোগদান করেছেন। বর্তমান পরিবেশে বিআইপি নিরাপদ স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা টেলিগ্রামের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছি।

উল্লেখ্য, অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনের মেসেঞ্জারে চ্যাটসহ ছবি আদান-প্রদান, ভিডিও ও অডিও মিডিয়া বার্তাও আদান-প্রদান করা যায় বিআইপিতে। বর্তমানে এই অ্যাপে পাঁচ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে বিশ্বব্যাপী।

প্রযুক্তি বর্জ্য কমাতে ফোনের সাথে চার্জার ও হেডফোন দেবে না স্যামসাং

প্রযুক্তি বর্জ্য কমাতে ফোনের সাথে চার্জার ও হেডফোন দেবে না স্যামসাং

প্রযুক্তি বর্জ্য কমাতে ফোনের সাথে চার্জার ও হেডফোন দেবে না স্যামসাং
প্রযুক্তিখাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং হাটতে চলেছে অ্যাপল ও শাওমির পথে। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সবার হাতে তুলে দিতে চায় প্রতিষ্ঠান। ই-ওয়াস্ট বা প্রযুক্তি বর্জ্য কমাতে এখন থেকে ফোনের সঙ্গে হেডফোন দেবে না। এর আগে অ্যাপলের আইফোনে চার্জার ও হেডফোন বাদ দেয়া হয়। এরপর শাওমিও একই পথে হাটে। এবার সেই পথের পথিক হলো স্যামসাংও।

স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজের ফোনগুলোর সঙ্গে চার্জার ও হেডফোন দেবে না।

সম্প্রতি উইন ফিউচার দুটি ছবি শেয়ার করেছে। আর সেই দুটি ছবিতে দেখা গেছে গ্যালাক্সি এস২১ প্লাস ও গ্যালাক্সি এস২১ আল্ট্রার বক্স। ছবির টাইটেলে লেখা হয়েছে, ‘হোয়াটস ইন দ্যা বক্স’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া সেই ছবি থেকেই পরিষ্কার যে, বক্সের ভিতর কুইক স্টার্ট গাইড, ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট, ডেটা কেবল এবং ইজেকশন পিন দেওয়া হবে। চার্জার এবং ইয়ারফোন না দেওয়ার ফলে আকার-আয়তনের দিক থেকে গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজের বক্স বেশ ছোট হতে চলেছে।

উইন ফিউচার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সব জায়গায় এমনতর কাণ্ড ঘটাবে না স্যামাসাং। নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের জন্যই গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজের বাক্সে চার্জার এবং ইয়ারফোন না দেওয়ার পথেই হাঁটছে স্যামসাং। আর তার কারণ হিসেবে অ্যাপল, শাওমির মতোই পরিবেশবান্ধব মোবাইল বক্সের তত্ত্ব খাড়া করেছে সাউথ কোরিয়ান এই স্মার্টফোন-মেকার। কিছু দিন ধরেই স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজে চার্জার এবং ইয়ারফোন না দেওয়ার গুজব সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে।