বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আপডেট করুন ক্রোম ব্রাউজার, এড়িয়ে না যেতে পরামর্শ গুগলে

আপডেট করুন ক্রোম ব্রাউজার, এড়িয়ে না যেতে পরামর্শ গুগলে

আপডেট করুন ক্রোম ব্রাউজার, এড়িয়ে না যেতে পরামর্শ গুগলের
ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ক্রোম। জনপ্রিয় এ ব্রাউজারটি তাদের সেবা হালনাগাদ করছে। ফলে ক্রোম ব্রাউজার হালনাগাদের জন্য কোনো নোটিফিকেশন পেলে এড়িয়ে না যেতে পরামর্শ দিচ্ছে গুগল। গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ক্রোমের নতুন সংস্করণের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা হালনাগাদ সরবরাহ করা হয়েছে। ম্যাক, উইন্ডোজ এবং লিনাক্স ব্যবহারকারীদের জন্য হালনাগাদটি ৮৮.০.৪৩২৪.১৫০ নম্বর সংস্করণের সঙ্গে পাওয়া যাবে।

নিরাপত্তা ঝুঁকিটির সাংকেতিক নম্বর সিভিই-২০২১-২১১৪৮। এর বেশি কিছু জানায়নি গুগল। এক ব্লগ পোস্টে তারা লিখেছে, বেশির ভাগ ব্যবহারকারী নতুন সংস্করণে হালনাগাদ করলে তবেই বিস্তারিত প্রকাশ করবে তারা। অবশ্য সে নিরাপত্তা ঝুঁকির সুযোগ এরই মধ্যে হ্যাকাররা নিয়েছে বলে মনে করছে গুগল।

আপডেট করবেন যেভাবে:  
আপনি ক্রোম ব্রাউজার হালনাগাদের আগে দেখে নিন কোন সংস্করণ ব্যবহার করছেন। ওপরের ডান কোনায় তিন বিন্দুওয়ালা বোতামে ক্লিক করে ‘সেটিংস’ নির্বাচন করুন। এরপর অ্যাবাউট ক্রোমে ক্লিক করলেই বর্তমান সংস্করণ দেখাবে। সে সঙ্গে দেখাবে নতুন কোনো সংস্করণে হালনাগাদের সুযোগ আছে কি না। যদি থাকে তো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ না হলে ক্রোম উইন্ডোর ওপরের ডান কোনার ওই তিন বিন্দুর পাশেই ‘আপডেট’ অপশন পাওয়া যাবে, সেখানে ক্লিক করতে হবে। হালনাগাদ হয়ে গেলে ক্রোম পুনরায় চালু করতে বলবে। সে ক্ষেত্রে ‘রিলঞ্চ’ বোতামে চাপলেই আপাতত কাজ শেষ। 

গুগল ম্যাপে লাইভ লোকেশন যেভাবে শেয়ার করবেন

গুগল ম্যাপে লাইভ লোকেশন যেভাবে শেয়ার করবেন

গুগল ম্যাপে লাইভ লোকেশন যেভাবে শেয়ার করবেন
নিজের লোকেশন সরাসরি অন্য ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রিয়েল টাইম লোকেশন শেয়ারিং অন রাখা যাবে। তবে জনপ্রিয় নেভিগেশন সার্ভিস গুগল ম্যাপস ব্যবহার করেও লাইভ লোকেশন শেয়ার করা সম্ভব।

গুগল ম্যাপস থেকে কীভাবে রিয়েল টাইম লোকেশন শেয়ার করবেন? দেখে নিন।

১। গুগল ম্যাপস ওপেন করে সাইন ইন করুন।

২। ডান দিকে ওপরে নিজের প্রোফাইল ফটোর ওপরে ট্যাপ করুন।

৩। এখানে লোকেশন শেয়ারিং অপশন সিলেক্ট করুন।

৪। এবার যার সঙ্গে লোকেশন শেয়ার করতে চান সেই ব্যক্তিকে সিলেক্ট করুন।

৫। এছাড়াও চাইলে আপনি ক্লিপ-বোর্ডে লাইভ লোকেশন শেয়ার করার লিংক কপি করতে পারবেন।

৬। যে কোনো মেসেজিং অ্যাপ অথবা ইমেলের মাধ্যমে এই লিংক শেয়ার করুন।

৭। কতক্ষণ লাইভ লোকেশন শেয়ার করতে চান তা সিলেক্ট করুন।

৮। এবার শেয়ার অপশন সিলেক্ট করলেই আপনার পছন্দের মানুষের সঙ্গে লাইভ লোকেশন শেয়ার শুরু হয়ে যাবে।

আম পাতার ৬ আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ

আম পাতার ৬ আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ

আম পাতার ৬ আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ
শীতের পর ধীরে ধীরে গ্রীষ্মের আগমন ঘটে। আর তার সাথে আগমন ঘটে ফলের রাজা আমের। আম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম। আমের মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারি গুণ। জানেন কি আম পাতাতেও থাকে উপকারি গুণ? 

আম পাতায় রয়েছে  ভিটামিন, এনজাইম, অ্য়ান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ উপদান। আম পাতায় মেঞ্জিফিরিন নামক একটি সক্রিয় উপদান থাকে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে এবার দেখে নেওয়া যাক আর কি কি উপকারিতা রয়েছে আম পাতায়-

১। যদি আপনার খেতে বসে বার বার হেচকি ওঠে তাহলে আম পাতা পুড়িয়ে তার ধোঁয়া নাকের কাছে ধরুন। দেখবেন দ্রুত এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

২। বাতের সমস্যা থাকলে কচি আম পাতা পানিতে ফুটিয়ে প্রতিদিন সেই পানি খান। উপকার পাবেন।

৩। আঁচিল নিরাময়ে আম পাতা খুবই উপকারি। আম পাতা পুড়িয়ে কালো করে নিন। সেই গুঁড়োর মধ্যে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আঁচিলে লাগান। দ্রুত সেরে যাবে।

৪। প্রতিদিন সকালে আম পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খান। কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

৫। আমপাতা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৬। আম পাতার সাহায্যে ক্ষত নিরাময়ে করা সম্ভব। আম পাতা পুড়িয়ে যে ছাই হচ্ছে তা ক্ষতস্থানে লাগান। উপকার পাবেন।   


চোখের যেসব লক্ষণে সাবধান হতে হবে

চোখের যেসব লক্ষণে সাবধান হতে হবে


চোখের যেসব লক্ষণে সাবধান হতে হবে
চোখের সমস্যা কম-বেশি সবারই হতে পারে। কিন্তু অনেকে বুঝতে পারেন না যে, তার চোখে সমস্যা হয়েছে। তিনি জানেন না, কখন চোখের ডাক্তার দেখাবেন। এ ক্ষেত্রে নিজের চোখের অবস্থা ও লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হবে। চোখের কিছু লক্ষণে আপনাকে সাবধান হতে হবে। যেতে হবে  চিকিৎসকের কাছে। 

লক্ষণগুলো কী?

১. ঝাপসা দেখা: চোখে ঝাপসা দেখা বা চোখের সামনে অন্ধকার দেখা ক্যানসার, টিউমার বা স্ট্রোকেরও ইঙ্গিত দেয়। এ সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. ডাবল ভিশন: ডাবল ভিশন বা দুটো করে সবকিছু দেখার সমস্যা থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মূলত চোখের ভেতরে পেশির সমস্যা হলে ডাবল ভিশন হয়। এ ছাড়া স্নায়ু রোগেও এই সমস্যা দেখা যায়। এ ছাড়া স্ট্রোক বা ব্রেন টিউমার হলেও এই সমস্যা হয়।

৩. হঠাৎ চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া: অনেক সময়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। চোখের সামনে আলো ফেললে কিছু দেখা যায় না, তেমন অনেকেরই সাধারণ আলোতেই হঠাৎ চোখ ধাঁধিয়ে যায়। ক্ষণিকের অস্বস্তি হলেও এই সমস্যাকে কেউ খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি এই সমস্যা দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিন।

৪. চোখ জ্বালা করা বা চোখ চুলকানো: হঠাৎ চোখ জ্বালা করা বা চোখ চুলকানোর সমস্যায় ভুগলেও এড়িয়ে যাবেন না। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে এই সমস্যা হয়ে থাকে। প্রায়ই এই সমস্যা হতে থাকলে চিকিৎসকের কাছে যান।

৫. চোখ যদি লাল হয়ে যায়: হঠাৎ চোখ যদি লাল হয়ে যায়, তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ। কোনও ইনফেকশন হলেও চোখ লাল হয়ে যায়। এ ছাড়া শরীরে অন্যান্য কয়েকটি রোগের উপসর্গ চোখ লাল হয়ে যাওয়া।

অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা বুঝবেন যেভাবে

অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা বুঝবেন যেভাবে


অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা বুঝবেন যেভাবে
পেটে ব্যথা খুবই সাধারণ একটা বিষয় হলেও, তাকে পাত্তা না দিলে সে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। গ্যাসের ব্যথা বলে অনেক ব্যথা এড়িয়ে যাই আমরা। মূলত, বিভিন্ন জটিলতার সঙ্গে অন্যান্য সমস্যার কারণে অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা আলাদা করে চিনে ওঠা সম্ভব হয় না।  হঠাৎ একদিন অ্যাপেন্ডিক্সের মারাত্মক ব্যথা ব্যথায় অসহায় করে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়ে যায় রোগীর। 

শরীরের অবাঞ্চিত অঙ্গ অ্যাপেন্ডিক্সকে পাত্তা না দিলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই ব্যথা সম্পর্কে অবগত হন।

অ্যাপেন্ডিক্স হলে তল পেটের ডান দিকে ব্যথা শুরু হবে।  নাভির চারিদিক থেকে ব্যথাটা  ক্রমশ তল পেটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তলপেট ফুলে ওঠে। তবে শুরুর দিকে ব্যথা কম হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ব্য়থা ক্রমশ বাড়তে থাকে। খাবার খেলেই ব্যথা বেড়ে যায়। 

জ্বর আসার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে জ্বর আসে না। খেতে ইচ্ছা করে না। হজমে সমস্যা হয়। সেখান থেকে শুরু হয় বমি। কিছুক্ষেত্রে রোগীর পেট খারাপও হতে পারে। হাঁটাচলা করলে, বসে ওঠার সময়, অথবা সিড়ি দিয়ে নামার সময় ব্যথা হতে পারে।

এই সকল লক্ষণ দেখলে ভুলেও দেরি করবেন না। পরামর্শ নিন ডাক্তারের থেকে। কারণ অ্যাপেন্ডিক্সকে অবহেলা করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বর্তমানে ল্যাপারোস্কোপি করে অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করা হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে পেট না কেটেই বাদ দেওয়া হয় অ্যাপেন্ডিক্স।