সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১

বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সজনে ডাটা

বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সজনে ডাটা

বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সজনে ডাটা
সজনে এমন একটি গাছ যার ডাটা, পাতা ও ফুল সবই খাওয়ার উপযোগী ও উপকারি। এটি সস্তা এবং বহুল পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সবজি।

সজনে শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পুষ্টিবর্ধক হিসেবে কাজ করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এতে প্রায় ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। শরীরের ওজন কমাতেও ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।

সজনের এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যকৃত ও কিডনি সুস্থ রাখতে এবং রূপের সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবেও কাজ করে থাকে। এতে প্রায় ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান।

এছাড়াও ৩৬টির মত এন্টি-ইনফ্ল্যামমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে যা অকাল বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।

নিয়মিত দৈনিক সেবন শরীরের ডিফেন্স মেকানিজমকে শক্তিশালী এবং ‘ইমিউনিটি স্টিমুল্যান্ট’ করে। শরীরের ওজন কমাতেও ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।

কোভিড ব্যবস্থাপনায় যে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ

কোভিড ব্যবস্থাপনায় যে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ

কোভিড ব্যবস্থাপনায় যে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণএক. যদিও কোভিড ওয়ার্ডগুলিতে তিল ধরনের ঠাঁই নাই অনেক রোগী সুস্থ হবার পরেও অযথাই পড়ে থাকে তার টেস্ট নেগেটিভ হল কিনা সেটা দেখার জন্য। অনেক সময় চাপে বাধ্য হয়ে, অনেক সময় অবোধগম্য কারণে ডাক্তাররাও তাকে আবারও টেস্ট করতে পাঠায়। শুধু একবার নয় বারবার যতদিন টেস্ট নেগেটিভ না আসে। অথচ সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও নেগেটিভ আসতে ৪০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে কারো কারো। এই টেস্ট নেগেটিভ হওয়াটা ডিসচার্জ হওয়ার জন্য জরুরি নয়। বিশেষ করে যারা কেবিনে থাকে এবং যাদের প্রভাবশালীর রেফারেন্স থাকে তাদের কারো কারো সামনে টেস্ট নেগেটিভ হওয়ার আগেই বাসায় যান বলাটা অনেকটাই দুঃসাহসের পর্যায়ে চলে যায়। যিনি অনেক কষ্টে অনেককে ধরাধরি করে একটি সোনার হরিণ কেবিন/বেড ম্যানেজ করলেন তিনি সুস্থ হওয়ার পরও সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক একটা কারণে টেস্ট নেগেটিভ হলে তারপরে যাবে বলে বেড দখল করে বসে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে অনেক সিরিয়াস রোগী যার আসলেই ভর্তি ও অক্সিজেন দরকার তারা ফেরত যাচ্ছে। আমরা এমনই স্বার্থপর একটা জাতি। 

কোভিড রাউন্ডের সময় আমি যতই বোঝাই পরবর্তী কোভিড টেস্টগুলি একেবারেই অপ্রয়োজনীয়, সুস্থ হওয়ার পরেও টেস্ট পজিটিভ আসতে পারে, এজন্য আপনার সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না, আপনি অন্য সবদিক দিয়ে বাড়ি যাবার মতো অবস্থায় আছেন, তাছাড়া এই অপ্রয়োজনীয়' টেস্টগুলির কারণে যাদের আসলেই রোগ ডায়াগনোসিসের জন্য টেস্ট করার প্রয়োজন তারা বঞ্চিত হচ্ছে-  তারা সেটা বুঝতে চায় না। বলে বাসায় লোকজন আছে নেগেটিভ না হলে কীভাবে যাই? লক্ষণ দেখা দেওয়ার দুই সপ্তাহ পরে সে অন্য কারো জন্য আর কোনো হুমকি নয়- সেটা বোঝালেও বুঝেনা। বেশি বুঝাতে গেলে বেশিরভাগ রোগীই সত্য মিথ্যা যাই হোক মেডিকেলের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অথবা মেডিকেলের বাইরের কোনো প্রভাবশালী মহল/কর্মকর্তাদের রেফারেন্স দিয়ে বলে আমি তার আত্মীয় রোগী। সো কাউন্সেলিং ডিসমিস। 

দুঃখজনক ব্যাপার হলো গত এক বছর ধরে একইভাবে রোগীদের একটা বিরাট অংশ সবাই টেস্ট করে করে তারপরে বাড়ি যাচ্ছে, এই অবস্থার কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। তারা একটা ডেড স্পেস এর মতো জায়গা দখল করে রাখছে। দূর থেকে মনে হবে রোগী,  আসলে তার অনেক আগেই বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল, শুধু গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে এই গো ধরে যে নেগেটিভ হওয়ার আগে সে যাবে না।

কোভিড টেস্ট পজিটিভ হলে রোগ সেরে যাওয়ার পরও দীর্ঘদিন (৪০ দিন পর্যন্ত) পরবর্তীতে টেস্ট পজিটিভ আসতে পারে। ভাইরাসের ভগ্নাংশের জন্য পরবর্তীতে পজিটিভ হয়, আসল ভাইরাসের জন্য নয়। তাই দ্বিতীয়বার বা বারবার কোভিড টেস্ট করানোর কোনই প্রয়োজন নেই। এই অযথা টেস্টের কারণে অনেকে প্রথমবারে টেস্ট করারও সুযোগ পায় না।

দুই. ভেন্টিলেটর নয়, কোভিড রোগীদের জন্য আমাদের মূল মনোযোগ দেয়া উচিত রোগীকে যাতে ভেন্টিলেটর পর্যন্ত যেতে না হয় সেদিকে। আমাদের দরকার অক্সিজেন, অক্সিজেন আর অক্সিজেন। অক্সিজেন কীভাবে আরও বেশি মাত্রায় দেয়া যায় সেসব যন্ত্রপাতি। যেমন আরও আরও সেন্ট্রাল অক্সিজেন, High Flow nasal Cannula। 

ওয়ার্ডগুলি সয়লাব করে দিতে হবে Highflow Nasal Cannula (HFNC) দিয়ে। HFNC এর অভাবে চাহিদা মাফিক পর্যাপ্ত অক্সিজেনের স্বল্পতায় কারো লিভার, কিডনি, ব্রেন নষ্ট হয়ে যেন আইসিইউতে কল পাঠাতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে আগে। এতে করে যে রোগীরা ICU তে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছেন তাদের বেশিরভাগই আসলে ওয়ার্ডেই ম্যানেজ হয়ে যাবে।
তারপরও কিছু রোগী থাকবে যাদের মাল্টি অর্গান ফেলিওর হবে, ভেন্টিলেটর লাগবে কিন্তু সংখ্যাটা যাবে অনেক কমে। এই HFNC, পাইপলাইনে অক্সিজেন- এসবের পিছনে অর্থ খরচের চেয়ে সর্বোত্তম খরচ এ মুহূর্তে আর কোনটিতেই হতে পারে না।

কোভিড রোগীদের বেলায় Invasive ventilation তেমন জীবনরক্ষাকারী নয় আসলে। শতকরা হার এককের ঘরে, কখনো কখনো শূন্য।

When pt develops indications of invasive ventilaton that also almost indicates death ahead with or without this machine.
So prevention (HFNC in wards) is better than Cure ( Ventilator in ICU).


লেখক: এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (চেস্ট),
বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১

অ্যাপোফিস' গ্রহাণু থেকে আগামী একশ বছর নিরাপদ থাকবে পৃথিবী : নাসা

অ্যাপোফিস' গ্রহাণু থেকে আগামী একশ বছর নিরাপদ থাকবে পৃথিবী : নাসা

'অ্যাপোফিস' গ্রহাণু থেকে আগামী একশ বছর নিরাপদ থাকবে পৃথিবী : নাসা
২০০৪ সালে গ্রহাণু 'অ্যাপোফিস' আবিষ্কার করে পৃথিবীর জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছিল নাসা। ২০৩৬ সালের মধ্যে পৃথিবীকে ধাক্কা দিতে পারে বলে জানানো হয়। পরে একশ বছরের মধ্যে গ্রহাণুর ধাক্কা থেকে পৃথিবী নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। 

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকরা বলছিলেন, 'অ্যাপোফিস নামক একটি গ্রহাণু পৃথিবীকে ধাক্কা মারতে পারে। তবে সেই শঙ্কা পরবর্তী একশ বছরের মধ্যে নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।'

এরপর জানানো হয়, ২০৬৮ সালে গ্রহাণুটি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার মতো ঝুঁকি রয়েছে। আরও  বিশ্লেষণের পর এবার নাসার গবেষকরা বলছেন, আগামি একশ বছরের মধ্যে গ্রহাণুটি  পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার কোনো শঙ্কা নেই

ভুয়া এই অ্যাপ থেকে সাবধান, চুরি হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য

ভুয়া এই অ্যাপ থেকে সাবধান, চুরি হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য


ভুয়া এই অ্যাপ থেকে সাবধান, চুরি হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য
অডিও চ্যাটের জন্য ক্লাবহাউস অ্যাপের (clubhouse app)টির ইউজার সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই অ্যাপটি মোবাইলে ইনস্টল করা থাকলে তা অতর্কিতেই আপনার হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ও ফেসবুকে হানা দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই যা চিন্তায় ফেলছে এই সব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের।

মূলত, Clubhouse-এর মতো হুবহু দেখতে একটি অ্যাপ বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। যা ভুলবশত ক্লাবহাউস অ্যাপ ভেবে ডাউনলোড করে ফেলছেন স্মার্টফোন ইউজাররা। আর তার মধ্যে দিয়েই মোবাইলে ঢুকে পড়ছে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভুয়া এই অ্যাপটির মাধ্যমে ব্ল্যাকরক ম্যালওয়্যার (Blackrock malware) প্রবেশ করে সহজেই হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুকের তথ্য হ্যাক করে নিতে পারছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য অ্যাপেও এটি চুপিসারে থাবা বসাতে পারে। যেখান থেকে অনায়াসেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।

সাইবার অপরাধীরা নানাভাবে ইউজারদের ভুয়া ক্লাবহাইস অ্যাপটি ডাউনলোড করানোর চেষ্টা করছে। ESET গবেষক লুকাস স্টেফাঙ্কোর জানাচ্ছেন, বিপদজনক এই ম্যালওয়্যারটি অডিও চ্যাট অ্যাপের ছদ্মবেশে অ্যান্ড্রয়েড (Android) ফোনে হানা দিচ্ছে। যা ই-ওয়ালেট, শপিং সাইট, সোশ্যাল মিডিয়ার মতো ৪৫৮টি অ্যাপ হ্যাক করতে সক্ষম। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এও দেখা গিয়েছে, গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে সাধারণত তা ফোনে আসছে না। আসছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। অর্থাৎ ইউজাররা ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্কটি পেয়েই তা ইনস্টল করছেন। কিন্তু মজার বিষয় হল, আসল clubhouse অ্যাপটি শুধু আইফোন ইউজারদের জন্যই এসেছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যায় না।
 
তাই যে কোনও সাইট থেকে অচেনা অ্যাপ ডাউনলোড না করারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য বিষয়টি আরও সহজ। যেহেতু ক্লাবহাউস অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েডের জন্য তৈরিই হয়নি, তাই এর মতো দেখতে কোনও অ্যাপ ভুলেও ইনস্টল করবেন না। সম্প্রতি ক্লাবহাউজ জানিয়েছে, কয়েক মাস পর অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের জন্যও চালু হবে তাদের অ্যাপ।

বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১

অভিনব প্রযুক্তির সাথে বাজারে এলো গ্যালাক্সি এ৫২ ও এ৭২ Samsung Galaxy A52 5G

অভিনব প্রযুক্তির সাথে বাজারে এলো গ্যালাক্সি এ৫২ ও এ৭২ Samsung Galaxy A52 5G


অভিনব প্রযুক্তির সাথে বাজারে এলো গ্যালাক্সি এ৫২ ও এ৭২
শক্তিশালী উদ্ভাবন সবার কাছে পৌঁছে দিতে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি লিমিটেড বাজারে নিয়ে এসেছে গ্যালাক্সি এ৫২ ও এ৭২। স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজের সর্বশেষ এই সংযোজনের অসাধারণ ক্যামেরা ফিচার ব্যবহারকারীদের নিজেকে প্রকাশ করতে যেমন সাহায্য করবে, মসৃণ স্ক্রলিংয়ের সাথে স্বচ্ছ ভিউইয়িং অভিজ্ঞতা করবে মুগ্ধ। পানিরোধক বৈশিষ্ট্য এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারিসহ গ্যালাক্সির অভিনব ফিচার থাকায় ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারবে এই হ্যান্ডসেটসমূহ। 

এই গ্যালাক্সি এ সিরিজ গ্যালাক্সি বাডস প্রো, গ্যালাক্সি স্মার্টট্যাগ এবং গ্যালাক্সি ট্যাবের মতো ডিভাইসগুলো সংযোগের সাথে ব্যবহারকারীদের বিস্তৃত গ্যালাক্সি ইকোসিস্টেমে অ্যাক্সেস প্রদান করে, যা তাদের মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। 

স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের মোবাইল কমিউনিকেশন বিজনেসের সভাপতি ও প্রধান ড. টিএম রোহ বলেন, ‘গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনায় রেখে পণ্য উদ্ভাবনে স্যামসাং সব সময় সচেষ্ট। তাই, গ্যালাক্সির উদ্ভাবন সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমরা গ্যালাক্সি এ সিরিজ নিয়ে এসেছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গ্যালাক্সি ব্র্যান্ডের ফিলোসফি অনুযায়ী এ৫২ এবং এ৭২-এ রয়েছে সর্বাধুনিক উদ্ভাবন, সেবা ও বৈশিষ্ট্য, যা মিলবে অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে।’

স্যামসাং ইতোমধ্যে তাদের ক্যামেরার মান আরও উন্নত করেছে এবং গ্যালাক্সি এ৫২ এবং এ৭২ এর ক্ষেত্রেও এর ব্যাত্যয় ঘটেনি। নতুন গ্যালাক্সি এ সিরিজের আকর্ষণীয় এবং অভিনব প্রযুক্তির ক্যামেরা ব্যবহারকারীদের আরও মজাদার এবং ব্যতিক্রমী ভিডিও ধারণে সক্ষম করবে। ৬৪ মেগা পিক্সেলের হাই-রেজ্যুলেশন কোয়াড ক্যামেরার মাধ্যমে তারা সহজে তুলতে পারবে স্পষ্ট ছবি ও ভিডিও। 

এছাড়াও, ব্যবহারকারীরা ৪কে ভিডিও স্ন্যাপের মাধ্যমে ৪কে ভিডিও থেকে তাদের প্রিয় মুহূর্তগুলো ৮ মেগা পিক্সেলের হাই-রেজ্যুলেশন ছবিতে পরিণত করতে পারবে মুহূর্তের মধ্যে। এর স্ক্রিন অপ্টিমাইজার ৩০ ক্যাটাগরির ছবি ও ব্যাকগ্রাউন্ড (যেমন- খাবার, ল্যান্ডস্কেপ এবং পোষা প্রাণী) যথাযথ সেটিংসে ধারণ করতে ব্যবহার করে এআই। ব্যবহারকারীরা চলমান নাচের ট্রেন্ড কিংবা স্কেটবোর্ডের নতুন কৌশল যা-ই ধারণ করুক, ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজার) নিশ্চিত করে ছবি ও ভিডিওর তীক্ষ্ণতা এবং স্থিতিশীলতা। মাল্টি-ফ্রেম প্রসেসিং ব্যবহারের কারণে নাইট মোড দিয়ে অন্ধকারেও উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার ছবি তোলা যায়। তাই, গুরুত্বপূর্ণ কোন মুহুর্ত হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।  

স্বচ্ছ ডিসপ্লে আর নান্দনিক ডিজাইনের সাথে স্যামসাং তাদের ব্যবহারকারীদের লাইফস্টাইলে যোগ করে নতুন মাত্রা। স্যামসাংয়ের জনপ্রিয় সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে ব্যবহারকারীরা এখন উপভোগ করতে পারবে তাদের প্রিয় অনুষ্ঠান। ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের সাথে গ্যালাক্সি এ৫২ এবং এ৭২ স্ক্রলিংয়ের অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও আনন্দদায়ক। বাড়তি ৮০০ নিটস লুমিনেন্সের কারণে ঘরের বাইরেও সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট দেখা এবং স্ক্রল করা যাবে। 

স্যামসাং গ্যালাক্সি ইকোসিস্টেম – স্মার্টথিংস, স্মার্টথিংস ফাইন্ড, গ্যালাক্সি স্মার্টট্যাগ, মিউজিক শেয়ার, বাডস টুগেদার, কুইক শেয়ার এবং প্রাইভেট শেয়ারের সংযোগ এবং সুবিধা নতুন গ্যালাক্সি এ সিরিজ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও বাড়িয়ে তুলবে। 

স্যামসং গ্যালাক্সি এ সিরিজে রয়েছে গ্যালাক্সির সকল উল্লেখযোগ্য ফিচার- আইপি৬৭ রেটিংযুক্ত পানি ও ধুলিকণা রোধক, স্যামসাং নক্স, ওয়ান ইউআই ৩ এবং আরও অনেক কিছু। 

বিশাল শক্তিসম্পন্ন ব্যাটারির কারণে মানুষ যেকোন সময় ছবি তুলতে এবং মোবাইল ব্যবহার করতে পারে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার চিন্তা ছাড়া। এ৫২-তে রয়েছে ৪,৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং এ৭২-তে রয়েছে ৫,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা দুই দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

সকল ডিভাইসে রয়েছে ডলবি এটমসের স্টেরিও স্পিকার এবং ১টিবি পর্যন্ত এক্সটারনাল মেমোরি।
 
নতুন গ্যালাক্সি এ৫২ এবং এ৭২ অওসাম ব্লু, অওসাম ব্ল্যাক এবং অওসাম হোয়াইট রঙে পাওয়া যাবে।