বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১

১৭ হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতেও করোনার হানা

১৭ হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতেও করোনার হানা

১৭ হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতেও করোনার হানা
করোনাভাইরাস মহামারিতে কাঁপছে বিশ্ব। করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ কোটি ৩৫ লাখের বেশি। বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৫০ জন। 

বরফরাজ্যেও হানা দিয়েছে করোনা। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট যাওয়া এক অভিযাত্রীর শরীরের মিলেছে করোনা। মাউন এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে (উচ্চতা ১৭ হাজার ৬০০ ফুট) তিন অভিযাত্রীর শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়। এরপর তাদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেয়া হয়। পরীক্ষার পর তাদের মধ্যে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে এভারেস্ট অভিযান অপারেটর মিংমা শেরপা বলেন, ওই ক্যাম্পের অন্যান্য অভিযাত্রীরা তাদের অভিযান বাতিল করবেন না। কেননা বেসক্যাম্পে পৌঁছে রণে ভঙ্গ দেওয়া অর্থহীন। ঘটনার পর পর্বতারোহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অন্যদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলছেন। এ ছাড়া ইতোমধ্যেই বেসক্যাম্পে একটি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

দেশে নারীদের গড় আয়ু ৭৫ বছর, পুরুষের ৭১

দেশে নারীদের গড় আয়ু ৭৫ বছর, পুরুষের ৭১


‘দেশে নারীদের গড় আয়ু ৭৫ বছর, পুরুষের ৭১’
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) জানিয়েছে, এখন বাংলাদেশের নারীদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৫ বছর। একইসঙ্গে দেশের পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ বছর।

বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি-২০২১ শীর্ষক এক বার্ষিক প্রকাশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬৩ লাখ। 

সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযুক্ত বয়সী শিশুদের ৯৫ শতাংশ বিদ্যালয়ে যায়। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযুক্ত বয়সীদের মধ্যে এই হার ৬২ শতাংশ।

নারী নির্যাতন নিয়ে নিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে ৫৯ শতাংশ কিশোরীর বিয়ে হয়ে যায়। আর স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন ২৯ শতাংশ নারী।

বড় সাফল্য! মঙ্গল গ্রহে প্রথমবার অক্সিজেন তৈরি করল নাসার রোভা

বড় সাফল্য! মঙ্গল গ্রহে প্রথমবার অক্সিজেন তৈরি করল নাসার রোভার

বড় সাফল্য! মঙ্গল গ্রহে প্রথমবার অক্সিজেন তৈরি করল নাসার রোভার
তৈরি হচ্ছে একের পর এক ইতিহাস। এবার মঙ্গলের বুকে অক্সিজেন তৈরি করল নাসার রোভার পারসিভেরান্স। 

বুধবার এই সফল প্রয়াসের কথা জানাল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

‘মঙ্গলগ্রহে বিদ্যমান কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে অক্সিজেন তৈরির ক্ষেত্রে এটি প্রথম ও বড় পদক্ষেপ,’ জানালেন নাসার স্পেস টেকনোলজি মিশনের কর্তা জিম রয়টার। গত ২০ এপ্রিল সফলভাবে অক্সিজেন তৈরি করে পারসিভেরান্স।

এর উদ্দেশ্য কী?

ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানুষ প্রেরণ করাই এখন নাসা, স্পেসএক্স- সংস্থাগুলোর কাছে চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মঙ্গলে দীর্ঘ সময় নভোচারীদের থাকার জন্য প্রয়োজন অক্সিজেনযুক্ত বাতাস। সেই কারণেই এই প্রয়াস অত্যন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া রকেটেও জ্বালানির সুষ্ঠ দহনের জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন। মঙ্গলের মাটিতেই যদি অক্সিজেন প্রস্তুত করা যায় সেক্ষেত্রে সুবিধা হবে। মঙ্গল থেকে ফিরতি পথে সেই অক্সিজেন ব্যবহার করা যাবে রকেটে। পৃথিবী থেকে অতিরিক্ত বয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

একটি সোনালি রঙের বাক্স। পারসিভেরান্স রোভারের সামনের ডানদিকের অংশে এটি রয়েছে।

এটিকে যন্ত্র উদ্ভিদ বলেও অভিহিত করা হয়। কারণ উদ্ভিদের মতোই এটি কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে অক্সিজেন উত্পাদনে সক্ষম।

প্রথম রান-এ MOXIE মোট ৫ গ্রাম অক্সিজেন উত্পাদন করে। এতে একজন নভোশ্চর প্রায় ১০ মিনিট পর্যন্ত শ্বাস নিতে পারবেন। আপাতত ঘণ্টায় ১০ গ্রাম করে অক্সিজেন প্রস্তুত করতে সক্ষম এই যন্ত্র।

MOXIE-এর নকশা তৈরি হয়েছে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষণাগারে। নিকেলের সংকর দিয়ে তৈরি এই যন্ত্র প্রায় ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তাপ সহ্য করতে সক্ষম।

মঙ্গলে অঢেল কার্বন ডাই অক্সাইড

কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে অক্সিজেন উত্পাদনের মূল কারণ একটাই। তা হল মঙ্গলে CO2-এর প্রতুলতা। মঙ্গলগ্রহের ৯৬%-ই কার্বন ডাই অক্সাইড। ফলে এটাই সহজতম পন্থা।

এছাড়াও থিওরিগতভাবে বলা হয় যে মঙ্গলের ভূস্তরের নিচের বরফ বের করে সেটা ইলেক্ট্রোলাইজিং করে অক্সিজেন উত্পাদন সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে তা বেশ কঠিন, ব্যয়সাপেক্ষ ও সময়সাপেক্ষ।

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই মঙ্গলে সফল উড়ান হয় নাসার হেলিকপ্টার Ingenuity-র। তাতে ছিল রাইট ব্রাদার্সদের তৈরি বিশ্বের প্রথম বিমানের কাপড়। ফলে পরের পর ইতিহাসের সাক্ষী থাকছে মহাকাশ গবেষণার জগত।

নাসার রোভার পারসিভেরান্স-এর সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতেই মঙ্গলে পৌঁছায় হেলিকপ্টারটি। প্রায় ৬ মাস যাত্রার পর নির্বিঘ্নে মঙ্গলের মাটি ছোঁয় পার্সিভিয়ারেন্স ও ইনজেনুইটি। চলতি মাসের শুরুতেই পার্সিভিয়ারেন্স-এর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেরিয়ে আসে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারটির মিশন দৈর্ঘ্য মোট ৩০ দিন।

বিজ্ঞাপন ছাড়া ইউটিউবে ভিডিও দেখার উপায়

বিজ্ঞাপন ছাড়া ইউটিউবে ভিডিও দেখার উপায়

বিজ্ঞাপন ছাড়া ইউটিউবে ভিডিও দেখার উপায়
ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে বিজ্ঞাপন প্রায় সময় বিরুক্তির উদ্রেক করে। তবে বিজ্ঞাপন দূরে সরিয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখা যায়। সহজেই ইউটিউবে অ্যাড ব্লক করা সম্ভব। এজন্য যা করবেন : 

* ইউটিউব ওপেন করুন।

* যে ভিডিও প্লে করবেন সেটি সিলেক্ট করুন।

* এবার ভিডিও URL এর মধ্যে Youtube.com লেখার পরে একটি ফুল স্টপ (.) যোগ করুন। এটা করলেই YouTube-এ আর কোনও বিজ্ঞাপন দেখা যাবে না।

URL এর মধ্যে একটি ফুল স্টপ ব্যবহার করলে হোস্টনেম নর্মালাইজ করে না ইউটিউব। সেক্ষেত্রে হোস্টনেম ম্যাচ না করার জন্য, পেজটি একাধিক ভাগে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যায়। এর ফলে কোনও বিজ্ঞাপন, কুকিজ যুক্ত থাকে না। এই পদ্ধতি সবথেকে ভালো ইউটিউবের ওয়েব ভার্সনেই কাজ করে। মোবাইল থেকেও এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও দেখতে চাইলে ব্রাউজার থেকে লিঙ্ক ওপেন করে 'রিকোয়েস্ট ডেক্সটপ সাইট' অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে থাকলে যেসব বিষয় করণীয়

করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে থাকলে যেসব বিষয় করণীয়


করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে থাকলে যেসব বিষয় করণীয়

করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ কোটি ৩৫ লাখের বেশি। বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৫০ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪১ জনের। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সৃষ্ট মহামারি কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ১৫৭ জন।

সারাবিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনা কখন হবে, কার হবে কেউ জানে না। নিয়ম মেনে ঘরে বসে থাকলেই যে রক্ষা পাওয়া পাওয়া যাবে, এমনও নয়। এদিকে, করোনার চিকিৎসা নিয়েওরয়েছে প্রচুর ভোগান্তি। 

সরকারি হাসপাতালে সহজে জায়গা পাওয়া যায় না। বেসরকারি হাসপাতালের খরচ বেলাগাম, স্থান পাওয়াও দুষ্কর। ফলে যাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ কিন্তু উপসর্গ তেমন নেই বা হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ আছে তাদের ঘরেই আর সবার থেকে আলাদা করে আইসোলেশনে থাকতে বলা হচ্ছে। সঙ্গে চলছে চিকিৎসা ও নজরদারি।

চিকিৎসকদের মতে, করোনায় আক্রান্ত বেশিরভাগের ক্ষেত্রে হয় হালকা লক্ষণ থাকে বা তাদের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। যদি কোনও বিশেষ সমস্যা না হয় তবে তারা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে বসে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাদের আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে জীবাণু থাকার আশঙ্কা আছে তাদেরই কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। আপনার যদি খুব বেশি সমস্যা না হয় তবে ঘরে বসে নিজেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ করার চেষ্টা করুন।

লক্ষণগুলি শনাক্ত করুন-

সংক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য প্রথমে লক্ষণগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন কিনা কীভাবে জানবেন? আপনার যদি জ্বর হয়, ক্রমাগত কাশি হয়, খাবারে স্বাদ না লাগে, গন্ধ চলে যায়, শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, মাথা ব্যথা হয়, ক্লান্তি হয়, শরীরে ব্যথা হয় এবং গলা ব্যথা হয়- তবে নিজেকেই বাড়িতে আলাদা করে নিন। কারণ এগুলি করোনার লক্ষণ। এরপর পরীক্ষা করে যদি পজিটিভ আসে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কীভাবে নিজেকে সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখবেন?

কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে নিজেকে একটি ঘরে লক করুন। বাড়িতে থাকুন এবং জরুরি অবস্থা না থাকলে বাড়ি ছেড়ে বের হবেন না। এমনকি যদি আপনি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন তবে ১৪ দিনের জন্য নিজেকে আলাদা করে দিন। এই সময়ে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

আইসোলেশনে থাকার সময় ঘরটির বাতাস চলাচল যেন পর্যাপ্ত থাকে

আইসোলেশনে থাকার জন্য এমন একটি ঘর বেছে নিন যেখাণে ভালো বাতাস চলাচল করে। মনে রাখবেন, যে আপনাকে এই ঘরে ১৪ দিন থাকতে হবে, তাই ঘরটিতে বাতাস চলাচল করা উচিত। যাতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ওষুধ এবং খাবার গ্রহণের সময় পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে আসবেন না। আপনার ব্যবহার করা পাত্র, তোয়ালে এবং বিছানাকে আলাদা রাখুন। কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। ঘরের ভিতরে মাস্ক পরুন। বার বার হাত, নাক এবং মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

রান্নাঘরে যাবেন না

সংক্রামিত ব্যক্তিকে রান্নাঘরে যেতে দেওয়া হয় না। তবে সেই ব্যক্তি যদি ঘরে একা থাকে বা তিনি নিজে রান্নাঘরের দায়িত্ব নিতে হয় সে ক্ষেত্রে রান্না করে খেতে হবে নিজেকে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য রোগীর ঘরে খাবার দিতেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

বাথরুম ব্যবহার কেমন করে করবেন?

করোনা রোগীর সবসময় আলাদা বাথরুম ব্যবহার করা উচিত। ঘরে যদি অন্য কোনও ওয়াশরুম না থাকে তবে রোগীর ব্যবহারের পরে ওয়াশরুমটি ভালো করে পরিষ্কার করুন। সবার ব্যবহারের পর তাকে ব্যবহার করতে দিন।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন

এখন আপনি আলাদা ঘরে রয়েছেন, আপনার নিজের যত্নও নিতে হবে। এই কঠিন সময়ে নিজেকে হাইড্রেট করতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং তরল জাতীয় খাবার খান। যতটা সম্ভব গরম পানি পান করুন। ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।

কখন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন?

যদি রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে যেমন- জ্বর বেড়ে যায় বা শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।