বুধবার, ১২ মে, ২০২১

মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ফ্রি ট্রেনিং

মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ফ্রি ট্রেনিং


মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ফ্রি ট্রেনিং
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘মোবাইল গেম’ ডেভেলপমেন্টের উপর ফ্রি ট্রেনিং শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। দেশের সবকয়টি বিভাগে ২৬টি ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে ৫ মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ২০০০ প্রশিক্ষণার্থী সুযোগ পাবেন। 

কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা সম্পূর্ণকারী বা কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা এ প্রশিক্ষণ কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে ৪টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এ কর্মসূচির আওতায় আগামী জুন মাস থেকে গেমিং প্রশিক্ষণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। 

দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান লজিক্যাল ট্রায়াঙ্গেল এবং ওয়ান আইসিটি লিমিটেড সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। 

ওয়ান আইসিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছেন। 

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ট্রেনিং প্রদানের মাধ্যমে গেম ইন্ডাস্ট্রির জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে এবং তাদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবো।  

লজিক্যাল ট্রায়াঙ্গেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল হাসান বলেন, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীরা গেমের কনসেপ্ট ডিজাইন, ক্যারেক্টার ডিজাইন, অ্যানিমেশন, লেভেল তৈরি প্রভৃতি থেকে শুরু করে গেম রিলিজ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপের বিষয়ের কাজ শিখতে পারবেন। এ প্রশিক্ষণে কর্মসূচিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন গেম ইন্ডাস্ট্রির সব অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। 

তথ্যপ্রযুক্তির এ বিশেষ শাখায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে সরকারের দেওয়া এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আগ্রহীরা www.gameapptraining.com ওয়েবসাইটে ভিজিট করে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর…
কেউ কেউ তেলাপোকা ভয় পান। তাই চোখের সামনে দেখলে কী করবেন বুঝতে পারেন না। চেঁচামিচি লাফালাফি শুরু করে দেন।তেলাপোকার ভয় নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তেলাপোকা দেখলে ভীষণ ভয় স্ত্রীর। আর সেই ভয়ের কারণেই এক দম্পতি তিন বছরে ১৮ বার বাসা বদলেছেন। ২০১৭ সালে বিয়ের পর স্বামী প্রথম জানলেন স্ত্রী তেলাপোকা ভয় পান। স্ত্রীর তেলাপোকা ভীতি কাটানোর জন্য স্বামী একাধিক মনোবিদকেও দেখিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলাপোকা দেখে মাত্রাতিরিক্ত এই ভয় আসলে একটি রোগ। একে বলা হয় ‘কাটসারিডফোবিয়া’। নির্দিষ্ট চিকিৎসা করালে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

রান্না ঘরে একদিন তেলাপোকা দেখে এমন চিৎকার করেছিলেন স্ত্রী যে, প্রকৌশলী স্বামী একেবারে হতভম্ব হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই স্ত্রীর চিৎকারের কারণ বুঝতে পারেন তিনি। যেখানেই যান, তেলাপোকা যেন পিছু ছাড়ে না। আর এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিকে দেখা মাত্রই স্ত্রী আর সেই বাসায় থাকতে চান না। চলে নতুন বাসার খোঁজ-খবর। কিন্তু কয়েকদিন পরপরই এই বাসা বদলাতে গিয়ে স্বামী বেচারা বেশ ‘ক্লান্ত’। এবার তাই বিচ্ছেদ চাইছেন তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার কাউন্সেলিংও করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। তিনি এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করবেন বলেই ঠিক করেছেন। স্বামীর অভিযোগ, তার স্ত্রী চিকিৎসা করাতে বা ওষুধ খেতে রাজি না।

বেতনসহ ছুটি আদায় করতে একই স্ত্রীকে ৪ বার বিয়ে, ৩ বার ডিভোর্স

বেতনসহ ছুটি আদায় করতে একই স্ত্রীকে ৪ বার বিয়ে, ৩ বার ডিভোর্স

বেতনসহ ছুটি আদায় করতে একই স্ত্রীকে ৪ বার বিয়ে, ৩ বার ডিভোর্স!
অফিস থেকে বেতনসহ ছুটি আদায় করার জন্য একই স্ত্রী’কে তিন বার ডিভোর্স দিয়ে চার বার বিয়ে করলেন তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের এক ব্যক্তি। শেষ বার বিয়ের ৩৭ দিনের মাথায় স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। তার একটাই উদ্দেশ্য, বৈতনিক ছুটিকে আরও দীর্ঘায়িত করা।

গত বছরের ৬ এপ্রিল বিয়ে করেন ব্যাংক পেশায় কর্মরত ওই ব্যক্তি। তখন তিনি ৮ দিনের বৈতনিক ছুটি পান।

ছুটি শেষ হওয়ার কিছু দিনের মাথায় স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। তারপর ফের বিয়ের জন্য ছুটির আবেদন করেন এবং একই মেয়েকে বিয়ে করেন। এভাবে মোট তিন বার স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। আর মোট বিয়ে করেন চার বার।

আসলে ব্যাংকের কাছে আবেদন করেও অতিরিক্ত সবেতন ছুটি পাচ্ছিলেন না ওই ব্যক্তি। বারবার আবেদন করেও প্রত্যাখ্যাত হন তিনি।এরপরেই বিয়ের ফন্দি আঁটেন। চার বার বিয়ে করার জন্য ৩২ দিনের সবেতন ছুটির আবেদন করেন তিনি।

কিন্তু চতুর্থবারে বিষয়টি ব্যাংকের নজরে আসে। খোঁজ নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে ছুটি পেতে ওই ব্যক্তি একই নারীকে বারবার বিয়ে করছেন আবার ডিভোর্স দিচ্ছেন। এরপরই ব্যাংক ওই ব্যক্তিকে ফের ছুটি দিতে অস্বীকার করে।

তবে ওই ব্যক্তির ভাষ্য, তিনি আইন লঙ্ঘন করে কিছু করেননি। এরপর ব্যাংকের বিরুদ্ধে তাইপে সিটি লেবার ব্যুরোতে অভিযোগ করেন তিনি।

তদন্তে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্য অসৎ হলেও তিনি আইনের বাইরে কিছু করেননি। তাইওয়ানের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো কর্মচারী বিয়ে করলে ব্যাংক তাকে আট দিনের বৈতনিক ছুটি দিতে বাধ্য। ব্যাংক তা পালন না করে আইন ভেঙেছে। এ অপরাধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ২০ হাজার তাইওয়ান মুদ্রা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়।

বুলগেরিয়ার গুহায় ৪৫ হাজার বছর আগের 'রহস্যময়' মানবচিহ্ন

বুলগেরিয়ার গুহায় ৪৫ হাজার বছর আগের 'রহস্যময়' মানবচিহ্ন

বুলগেরিয়ার গুহায় ৪৫ হাজার বছর আগের 'রহস্যময়' মানবচিহ্ন
বুলগেরিয়ার ড্রায়ানোভো শহরের বাচো কিরো গুহায় মিলেছে মানবজাতির অতিপ্রাচীন দেহাবশেষ। সেই অবশেষের ডিএনএ টেস্ট করে দেখা যাচ্ছে, তা ৪৫ হাজার বছর আগের মানুষের!   

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই অবশেষ পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে এর মধ্যে রয়েছে নারী ও পুরুষ উভয়ের নিদর্শন। এর মধ্যে রয়েছে তিন পুরুষের দেহাংশ যা ৪৫,০০০ বছরের পুরনো। পাওয়া গেছে এক নারীর দেহাংশও। তবে সেটি ৩৫,০০০ বছরের পুরনো।

কিন্তু তথ্য হলো হোমো সেপিয়েন্স এ গ্রহে প্রথম এসেছিল তিন লাখ বছর আগে আফ্রিকায়। পরে সেখান থেকে তারা অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। তা হলে বুলগেরিয়ার এই গুহায় যে নিদর্শন মিলল তা কি আফ্রিকা থেকেই আসা? এখানে নিয়ান্ডার্থাল গোষ্ঠীর মানবজাতি সঙ্গে হোমো সেপিয়েন্সের একটা তুল্যমূল্য আলোচনার অবকাশও তৈরি হয়ে যায়।

এ গ্রহ থেকে মোটামুটি ৪০,০০০ বছর আগেই মুছে গিয়েছে নিয়ান্ডার্থাল গোষ্ঠীর রাজত্ব। এর পরে ক্রমে শুরু হয় হোমো সেপিয়েন্সের পর্ব।

ব্যাগটি দেখতে বিমানের মতো, দাম প্রকৃত বিমানের চেয়েও বেশি

ব্যাগটি দেখতে বিমানের মতো, দাম প্রকৃত বিমানের চেয়েও বেশি


ব্যাগটি দেখতে বিমানের মতো, দাম প্রকৃত বিমানের চেয়েও বেশি
‘কীপল’ নামের এই ব্যাগটি দেখতে একেবারেই যেন খুদে বিমান
শীর্ষ ফরাসি ফ্যাশন হাউসের অন্যতম লুই ভিটনের একটি ব্যাগ নিয়ে অনলাইনে চলছে তুমুল রসিকতা আর বিতর্ক। ব্যাগটির নকশা করেছেন লুই ভিটনের মেনসওয়্যার কালেকশনের শিল্প পরিচালক ভার্জিল আবলোহ। বিমান আকৃতির এই ব্যাগটির দাম ধরা হয়েছে একক ইঞ্জিনচালিত একটি প্রকৃত বিমানের চাইতেও বেশি! 

ভার্জিল আবলোহ’র বিশেষত্ব হলো তিনি, যা কিছুই নকশা করেন, তার পেছনে ব্যক্তিগত দর্শন ও ভাবনাকে এক করে ফেলেন। ফলে মাঝেমাঝেই এসব ভাবনা উদ্ভট নকশার খোরাক জোগায়। আবলোহ’র নকশাকৃত পণ্যও প্রায়ই সমালোচক এবং ফ্যাশন অনুরাগীদের বিভক্ত করে ফেলে। 

গত জানুয়ারিতে পুরুষদের জন্য আসন্ন ফ’ল বা উইন্টার কালেকশন প্রকাশ করে লুই ভিটন। বিখ্যাত স্থাপত্য ও জনপ্রিয় সব ল্যান্ডমার্কের অনুকরণে সেসব পোশাকের নকশা করা হয়। কিন্তু সব ছাপিয়ে নেটিজেনদের আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছে এই কালেকশনের একটি ব্যাগ- কেননা বিমান আকৃতির ব্যাগটির গায়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছে ৩৯ হাজার ডলারের ‘প্রাইস ট্যাগ’। 

পাখা, চাকা, ইঞ্জিন- সবমিলিয়ে ‘কীপল’ নামের এই ব্যাগটি দেখতে একেবারেই যেন খুদে বিমান। শুধু বাড়তি হিসেবে লুই ভিটনের অন্য সব পণ্যের মতো এর গা জুড়েও প্রতিষ্ঠানটির মনোগ্রাম। 

আবলোহ’র এই বিমান সদৃশ হ্যান্ডব্যাগের ছবিগুলো কয়েক মাস ধরে অনলাইনে প্রকাশিত হয়ে থাকলেও ‘ভাইরাল’ হয়েছে সম্প্রতি। আমেরিকান ই-কমার্স সাইট ইবে-তে একটি সিঙ্গেল ইঞ্জিনের তৈরি সেসনা বিমানের মূল্যমান ৩২ হাজার ৩০০ ডলার। অন্যদিকে এই ব্যাগের দাম এর প্রায় ৬ হাজার ডলার বেশি! ব্যস টুইটারে একজন ব্যবহারকারী এই তুলনা প্রকাশ করতেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।