বুধবার, ১২ মে, ২০২১

রকেটের কবরস্থান 'পয়েন্ট নিমো'

রকেটের কবরস্থান 'পয়েন্ট নিমো'


রকেটের কবরস্থান 'পয়েন্ট নিমো'
'পয়েন্ট নিমো' দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটি এলাকা। ১৯৭১ সাল থেকে এখানে শায়িত আছে প্রায় ২৬০টি রকেটের ধ্বংসাবশেষ। নিমো শব্দের অর্থ ‘কেউ নেই।' এই স্থানটি পৃথিবীর ভূমি থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। এর আড়াই হাজার কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই নেই কোনো ভূখণ্ড। তাই এখানে রকেটগুলো পড়লে মানবজাতির কোনো সমস্যা হয় না।

রকেট মহাশূন্যে পাঠানো যেমন জটিল, তেমনই এর প্রত্যাবর্তনটাও জটিল। প্রচণ্ড গতি নিয়ে যখন এটি ফিরে আসে তখন ঘর্ষণে এটি বিস্ফোরিত হয়ে যায়। ফলে ছোট রকেটগুলোর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও বড়গুলো বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পরে পৃথিবীতে। এগুলো যাতে মানুষের ক্ষতি না করে তাই নিয়ন্ত্রিতভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করান বিজ্ঞানীরা। 

রকেট সায়েন্স শিক্ষার্থী শাহ জালাল জোনাক বলেন, 'রকেট বানানোর আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে যায়- এটি পৃথিবীতে আর ফিরে আসবে কি আসবে না। সেভাবেই পরিকল্পনা আগায়।'

তবে গত ৬ দশকে প্রায় ৫২টি রকেট প্রত্যাবর্তন করেছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। এর মধ্যে গত রোববার (৯ মে) আছড়ে পড়েছিল চীনের লং মার্চ-৫বি ওয়াই২ রকেটটি মালদ্বীপের ওপর দিয়ে ভারত মহাসাগরের আরব সাগর অংশে আছড়ে পড়ে। গত বছরও চীনের আরেকটি রকেট পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল। তাই চীনের দায়িত্বশীলতা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে।

এক মিনিটে মোবাইলে পর্নসাইট বন্ধ করুন

এক মিনিটে মোবাইলে পর্নসাইট বন্ধ করুন


এক মিনিটে মোবাইলে পর্নসাইট বন্ধ করুন

গেম, কার্টুন, ইউটিউব ইত্যাদি অজুহাতে মোবাইল এখন অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে জায়গা করে নিয়েছে। এদিক সেদিক ক্লিক করতেই অজান্তে নানান অ্যাডাল্ট সাইট ওপেন হয়ে যাচ্ছে। যা খুবই বিব্রতকর এবং বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর।

বিব্রত পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ছোট্ট একটি সেটিংস করে নিতে পারেন। এই সেটিংস করা থাকলে আপনার মোবাইল দিয়ে কখনোই আজেবাজে সাইট চালু হবে না।

অটোমেটিক অ্যাডাল্ট সাইট ব্লক হয়ে যাবে। সার্চ করলেও বাজে সাইট খুঁজে পাবেন না। আপনার ঘরের মোবাইলগুলোতে সেটিংসটি করে রাখুন। কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে থাকা যাবে। নিজে করুন, অন্যকে জানিয়ে দিন। আগামী প্রজন্ম সুস্থ মস্তিষ্কে বড় হয়ে উঠুক।

সেটিংস বিস্তারিত:

আসুন জেনে নেই, কীভাবে ফোনের সেটিংস থেকে সকল প্রকার পর্নসাইট একবারে বন্ধ করে দেবেন। এটি করলে গুগলে সার্চ করে কোনো পর্নসাইট খুঁজে পাওয়া যাবে না।

শুরুতে আপনাকে ফোনের সেটিংসের  wireless connections অপশনে যেতে হবে। সেখানে যাওয়ার পর, Private DNS অপশনটিতে যেতে হবে। তবে বলে রাখা ভালো যে, কিছু কিছু ফোনে Private DNS অপশনটি অন্য জায়গায়ও থাকতে পারে। পর্নসাইট বন্ধ করার জন্য এই Private DNS অপশনটিই প্রয়োজন। তাই, আপনার ফোনের সেটিংস থেকে Private DNS অপশনটি খুঁজে বের করুন। এরপর, Private DNS অপশনটিতে ক্লিক করার পর তিনটি অপশন পাবেন। এর মধ্যে একটি অপশনে ক্লিক করলে এডিট করা যায়। যেটিতে এডিট করা যায়, সেটিতে adult-filter-dns.cleanbrowsing.org লিখে সেভ করে দিন।

এতটুকু করলেই সমস্ত পর্নসাইট আপনার ফোন থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো রকম পর্নসাইট আর আপনার ফোন থেকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

নিচে একটি ফোনে করে দেখানো হয়েছে। এই ফোনটিতে এডিট অপশনটি Designated Private DNS নামে দেওয়া ছিল। কিছু কিছু ফোনে এটি Private DNS provider hostname নামেও থাকে। সূত্র: Police Cyber Support for Women..

করোনাযুদ্ধে ভারতকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করল টুইটার

করোনাযুদ্ধে ভারতকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করল টুইটার


করোনাযুদ্ধে ভারতকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করল টুইটার
জ্যাক প্যাট্রিক ডোরসি।

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার ভারতের পাশে টুইটার। মারণরোগ ঠেকাতে ভারতকে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করল জনপ্রিয় এই মাইক্রোব্লগিং সাইট।

সংস্থার সিইও জ্যাক প্যাট্রিক ডোরসি সোমবার টুইট করে জানান, আর্থিক সাহায্যের পুরোটাই তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। এক সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও বাকি দুই সংস্থার এক একটিকে ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এই সুসংবাদ পেয়ে জানানো হয়েছে, ‘টুইটারের এই অনুদান জীবনদায়ী সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যবহৃত হবে। ওই টাকা দিয়ে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ভেন্টিলেটর, বাই PAP, CPAP মেশিন কিনে তা সরকারি হাসপাতাল ও কোভিড-১৯ কেয়ার সেন্টার ও হাসপাতালগুলোতে বিতরণ করা হবে।’

অনুদান পেয়ে আরেক সংস্থা জানায়, তারা প্রথম সারির যোদ্ধাদের জন্য পিপিই কিট, মাস্কসহ অক্সিজেন জোগানের ব্যবস্থা করবে। একইসাথে জনসাধারণের টিকাকরণের জন্যও কাজ করবে। অনুদান পেয়ে বিভিন্ন মেডিকেল সরঞ্জাম কিনে তা প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বলে এগিয়ে এসেছে তৃতীয় সংস্থাটি।

মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ফ্রি ট্রেনিং

মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ফ্রি ট্রেনিং


মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ফ্রি ট্রেনিং
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘মোবাইল গেম’ ডেভেলপমেন্টের উপর ফ্রি ট্রেনিং শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। দেশের সবকয়টি বিভাগে ২৬টি ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে ৫ মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ২০০০ প্রশিক্ষণার্থী সুযোগ পাবেন। 

কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা সম্পূর্ণকারী বা কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা এ প্রশিক্ষণ কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে ৪টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এ কর্মসূচির আওতায় আগামী জুন মাস থেকে গেমিং প্রশিক্ষণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। 

দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান লজিক্যাল ট্রায়াঙ্গেল এবং ওয়ান আইসিটি লিমিটেড সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। 

ওয়ান আইসিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছেন। 

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ট্রেনিং প্রদানের মাধ্যমে গেম ইন্ডাস্ট্রির জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে এবং তাদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবো।  

লজিক্যাল ট্রায়াঙ্গেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল হাসান বলেন, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীরা গেমের কনসেপ্ট ডিজাইন, ক্যারেক্টার ডিজাইন, অ্যানিমেশন, লেভেল তৈরি প্রভৃতি থেকে শুরু করে গেম রিলিজ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপের বিষয়ের কাজ শিখতে পারবেন। এ প্রশিক্ষণে কর্মসূচিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন গেম ইন্ডাস্ট্রির সব অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। 

তথ্যপ্রযুক্তির এ বিশেষ শাখায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে সরকারের দেওয়া এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আগ্রহীরা www.gameapptraining.com ওয়েবসাইটে ভিজিট করে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর…
কেউ কেউ তেলাপোকা ভয় পান। তাই চোখের সামনে দেখলে কী করবেন বুঝতে পারেন না। চেঁচামিচি লাফালাফি শুরু করে দেন।তেলাপোকার ভয় নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তেলাপোকা দেখলে ভীষণ ভয় স্ত্রীর। আর সেই ভয়ের কারণেই এক দম্পতি তিন বছরে ১৮ বার বাসা বদলেছেন। ২০১৭ সালে বিয়ের পর স্বামী প্রথম জানলেন স্ত্রী তেলাপোকা ভয় পান। স্ত্রীর তেলাপোকা ভীতি কাটানোর জন্য স্বামী একাধিক মনোবিদকেও দেখিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলাপোকা দেখে মাত্রাতিরিক্ত এই ভয় আসলে একটি রোগ। একে বলা হয় ‘কাটসারিডফোবিয়া’। নির্দিষ্ট চিকিৎসা করালে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

রান্না ঘরে একদিন তেলাপোকা দেখে এমন চিৎকার করেছিলেন স্ত্রী যে, প্রকৌশলী স্বামী একেবারে হতভম্ব হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই স্ত্রীর চিৎকারের কারণ বুঝতে পারেন তিনি। যেখানেই যান, তেলাপোকা যেন পিছু ছাড়ে না। আর এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিকে দেখা মাত্রই স্ত্রী আর সেই বাসায় থাকতে চান না। চলে নতুন বাসার খোঁজ-খবর। কিন্তু কয়েকদিন পরপরই এই বাসা বদলাতে গিয়ে স্বামী বেচারা বেশ ‘ক্লান্ত’। এবার তাই বিচ্ছেদ চাইছেন তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার কাউন্সেলিংও করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। তিনি এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করবেন বলেই ঠিক করেছেন। স্বামীর অভিযোগ, তার স্ত্রী চিকিৎসা করাতে বা ওষুধ খেতে রাজি না।