শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১

২৪ হাজার বছর পর ঘুম ভাঙল এই প্রাণীর, এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের

 ২৪ হাজার বছর পর ঘুম ভাঙল এই প্রাণীর, এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের

২৪ হাজার বছর পর ঘুম ভাঙল এই প্রাণীর, এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের!
রূপকথায় প্রাণীদের বহু বছর পর ঘুম ভাঙানোর কাহিনি সম্পর্কে আমরা সকলেই কম-বেশি পরিচিত। বাস্তবেও কিছু কিছু প্রাণীর মধ্যে এই ঘটনা দেখা গেলেও এখনও স্তন্যপায়ীদের মধ্যে এ রকম কোনও প্রমাণ মেলেনি।

এক ধরনের কচ্ছপ ৩-৪ বছর ঘুমিয়ে কাটায়। শীতকালে সাপ-ব্যাঙের ঘুমের কথা তো সকলেরই জানা। তেমন কিছু মাছও না খেয়ে ঘুমিয়ে কাটাতে পারে বহু দিন। কিন্তু তাই বলে টানা ২৪ হাজার বছর!

গবেষকদের চমকে দিয়ে এই ক্ষুদ্রাকার প্রাণীর ঘুম ভাঙল ২৪ হাজার বছর পর। এত দিন জীবন-মৃত্যুর মধ্যবর্তী দশায় ছিল সেটি।

সম্প্রতি সুদূর উত্তরে সাইবেরিয়ার আলাজেয়া নদীর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এই প্রাণীর হদিস পান বিজ্ঞানীরা।

এই জীবটি রটিফার প্রজাতির। এক ধরনের আনুবীক্ষণিক জীব। বহুকোষী এই জীবটির ব্যতিক্রমী ক্ষমতা রয়েছে।

এই জীবটি ১৬৯৬ সালে প্রথম খুঁজে পান জন হ্যারিস। জীবটি সর্বোচ্চ অর্ধ মিলিমিটার দীর্ঘ হতে পারে। মূলত স্বাদু পানিতেই এদের দেখা মেলে। এদের মুখের কাছে চাকার মতো অংশ থাকায় হুইল জীবও বলা হয়।

প্রতিকূল পরিবেশে এরা নিজেদের সমস্ত জৈবিক ক্রিয়া স্বেচ্ছায় বন্ধ করে দিতে পারে। এই ভাবে তারা মৃতের মতো থেকে যেতে পারে।

এই জীবটির দীর্ঘ বছর ঘুমিয়ে থাকার প্রমাণ এই প্রথম নয়। এই প্রমাণ আগেও পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এর আগে দেখা গেছে, হিমাঙ্কের ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচের তাপমাত্রাতেও এক দশক ঘুমিয়ে কাটাতে পারে এই জীব। কিন্তু এবার নিজের ঘুমের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে সেটি।

আলাজেয়া নদীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় যে রটিফেরা মিলেছে তার ঘুমের বয়স অন্তত ২৪ হাজার বছর। স্বাভাবিকভাবেই জীবটির বয়স আরও বেশি।

এমনকি গবেষণাগারে নমুনাটি আনার পর বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অনুকূল পরিবেশে সেটি আবার অযৌন জনন পদ্ধতিতে বংশবিস্তারও করতে সক্ষম। বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা ‘কারেন্ট বায়োলজি’ নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে

পৃথিবীর চেয়ে ৩ গুণ বড় নতুন গ্রহটিতে থাকতে পারে মেঘ

পৃথিবীর চেয়ে ৩ গুণ বড় নতুন গ্রহটিতে থাকতে পারে মেঘ

পৃথিবীর চেয়ে ৩ গুণ বড় নতুন গ্রহটিতে থাকতে পারে মেঘ!

নতুন একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নতুন গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বড়। গবেষকরা ওই গ্রহটির নাম দিয়েছেন TOI-1231 b। এটি পৃথিবী থেকে ৯০ আলোকবর্ষ দূরে। 

নাসা জানিয়েছে, নতুন গ্রহটিতে থাকতে পারে জলীয় বাষ্পে সম্পৃক্ত মেঘ। একটি লাল নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে এই গ্রহ। সেটি সূর্যের চেয়ে ছোট, কিন্তু অনেক বেশি পুরনো। 

TOI-1231 b গ্রহটির ২৪ দিনে তার 'সূর্য'-কে একবার প্রদক্ষিণ করে। অর্থাৎ মাত্র ২৪ দিনেই বছর। ফলে সেটি যে তার নক্ষত্রের বেশ কাছাকাছিই প্রদক্ষিণ করে তা বলাই যায়। সেক্ষেত্রে তো নক্ষত্রের প্রচন্ড উত্তাপে গ্রহটি ভীষণ উত্তপ্ত হওয়ার কথা? এমনটা কিন্তু নয়। এর কারণ অবশ্যই নক্ষত্রের ক্ষুদ্র আকৃতি। ফলে, বেশ ঠান্ডার দিকেই রয়েছে TOI-1231 b। এর সঙ্গে আমাদের সৌর জগতের নেপচুন গ্রহের বেশ মিল রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা।

নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহে থাকতে পারে মেঘ। জলীয় বাষ্প দ্বারা তা সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। নাসার জেট প্রোপালশান ল্যাবরেটরির বহির্জগত গবেষক ড. জেনিফার বার্টের নেতৃত্বে চলা গবেষণায় এই গ্রহ আবিষ্কৃত হয়। তিনি ও ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোর গবেষক ডিয়ানা ড্রাগোমি সংবাদমাধ্যমে TOI-1231 b-এর বিষয়ে ঘোষণা করেন।

সরকারকে ব্যবহারকারীর তথ্য জানাবে না হোয়াটসঅ্যাপ

সরকারকে ব্যবহারকারীর তথ্য জানাবে না হোয়াটসঅ্যাপ

সরকারকে ব্যবহারকারীর তথ্য জানাবে না হোয়াটসঅ্যাপ
হোয়াটসঅ্যাপ

ব্রিটেনে গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা শুরু করছে ফেসবুকের মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। গোপনীয়তা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের নীতিমালার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ব্যবহারকারীরা। চলতি বছরের শুরুতে ওই নীতিমালা ঘোষণা করে হোয়াটস অ্যাপ জানায়, এসব নিয়ম মেনে না নিলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবহারকারীরা। অনেকে নিজে থেকেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন। এরপরই গ্রাহকের গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

সোমবার থেকে বিজ্ঞাপনটি জার্মানি ও ব্রিটেনে প্রচারিত হবে। এরপর ক্রমান্বয়ে সারা বিশ্বে এটি প্রচারিত হবে। 

ব্রিটেন ও ভারত এরইমধ্যে গ্রাহকদের তথ্য জানার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সরকারের চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না এবং গ্রাহকদের তথ্য সরকারের কাছে দেবে না। 

২০২৫ সালের মধ্যে চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তি নিয়ে আসার চেষ্টা হুয়াওয়ের

২০২৫ সালের মধ্যে চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তি নিয়ে আসার চেষ্টা হুয়াওয়ের


২০২৫ সালের মধ্যে চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তি নিয়ে আসার চেষ্টা হুয়াওয়ের
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তি নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি এক ইন্ডাস্ট্রি কনফারেন্সে ওয়াং জুন নামে কোম্পানিটির এক জ্যেষ্ঠ নির্বাহী বলেন, 'আমাদের টিমের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে সত্যিকারের চালকবিহীন গাড়ি নিয়ে আসা।'

সিলিকনভ্যালির প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর সঙ্গে টেক্কা দিয়ে চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তিতে মনোযোগ দিয়েছে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। চীনের সার্চ ইঞ্জিন লিডার বাইদু থেকে শুরু করে হুয়াওয়ে এতে মনোযোগ বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতের পরিবহন খাতে এ প্রযুক্তি বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন এ খাতসংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: https://www.reuters.com/business/autos-transportation/chinas-huawei-aims-reach-driverless-car-technology-2025-2021-06-11/

প্রথমবারের মতো নভোচারী দল নিজস্ব মহাকাশ স্টেশনে পাঠাল চীন

প্রথমবারের মতো নভোচারী দল নিজস্ব মহাকাশ স্টেশনে পাঠাল চীন

প্রথমবারের মতো নভোচারী দল নিজস্ব মহাকাশ স্টেশনে পাঠাল চীন
মহাকাশ কর্মসূচিতে ক্রমশই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে ওঠা চীন পৃথিবীর কক্ষপথে নিজেদের নতুন মহাকাশ স্টেশনে প্রথমবারের মতো পাঠিয়েছে তিন নভোচারী। চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গোবি মরুভূমির জিকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২২ মিনিটে শেনঝু-১২ ক্যাপসুল নিয়ে লংমার্চ টু এফ রকেটের উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়েছে সফলভাবে। খবর বিবিসির। 

মিশনটি গত পাঁচ বছরের মধ্যে চীনের প্রথম স্পেস ফ্লাইট যা কোনো মানুষ বহন করছে। দীর্ঘমেয়াদি এ মহাকাশ অভিযানে নেই হেইশিং, লিউ বোমিং এবং টাং হংবো ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৮০ কিলোমিটার ওপরে স্থাপিত মডিউলে তিন মাস কাটাবেন। তিয়াংগং মহাকাশ কেন্দ্রের মূল অংশে গিয়ে ভিড়বে শেনঝু-১২ নভোযানটি, যার নাম তিহানহি। যেটি মহাকাশে স্থাপন করা হয় গত ২৯ এপ্রিল। এ অভিযানের মাধ্যমে মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারে সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল চীনের।

চীনা মহাকাশ সংস্থা চায়নিজ স্পেস এজেন্সির তথ্য মতে, মহাকাশে পৌঁছার পর শেনজু-১২ মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগংয়ের প্রধান সেকশন তিহানহির সঙ্গে নোঙর করবে। দুই মাস আগেই এটাকে মহাকাশের কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে নভোচারীদের জন্য আগেই জ্বালানি, খাদ্য ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। তিহানহিতে নভোচারীদের থাকার জন্য ঘরও রয়েছে।

চীন গত ছয় মাসের মধ্যে একাধিক অভিযানে সফল হয়েছে। চাঁদ থেকে পাথর ও বালির নমুনা নিয়ে ফিরেছে একটি যান। এ ছাড়া মঙ্গলে সফলভাবে অবতরণ করেছে রোবোট। দুটি অভিযানই ছিল জটিল ও চ্যালেঞ্জিং। নতুন এ মহাকাশ স্টেশনে প্রত্যেকে নভোচারীর থাকার আলাদা মডিউল রয়েছে। তবে বাথরুম, ডাইনিং, ডাউনিং এরিয়া ও যোগাযোগ কেন্দ্র ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হবে।

মিশনটি পরিচালিত হচ্ছে নেই হেইশিংয়ের নেতৃত্বে। আরও দুটি মহাকাশ ফ্লাইট মিশনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তার রয়েছে। তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির একজন এয়ারফোর্স পাইলট। অন্যরা চীনা সামরিক বাহিনীর সদস্য।

আগামী এক থেকে দেড় বছরে মহাকাশে আরও ১১টি মিশন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। তাদের তৈরি মহাকাশ কেন্দ্রটিতে সোলার প্যানেল ও দুটি ল্যাবরেটরি মডিউল স্থাপনা করার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, ইউরোপ ও জাপানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস) চীনের ব্যবহারে বাধা দেয় ওয়াশিংটন। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করেছে চীন।

আগামী ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। যদিও নাসা বলছে, একে ব্যবহার করা যাবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত।

এদিকে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনটির নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতেই এগিয়ে চলেছে। আইএসএসের চেয়ে অনেক ছোট তিয়াংগং আগামী ১০ বছর তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। ২০২২ সালের মধ্যেই স্টেশনটি কার্যকর হবে বলে মনে করছে চীনা মহাকাশ সংস্থা চায়নিজ স্পেস এজেন্সি।