রবিবার, ৫ জুন, ২০২২

হ্যাকিং-এর কাজ করতে কোন ধরণের পিসি লাগবে?

প্রথমেই বলি - হ্যাকিং এর জন্য সাধারণ একটি কম্পিউটার দিয়েও অনেক কাজ করা সম্ভব। Manually বিভিন্ন টুলস সেটাপ দেয়া সম্ভব। তবে কিছু হ্যাকিং টেকনিক এপ্লাইয়ে দ্রুত গতি বা উচ্চ ক্ষমতার প্রয়োজন পড়ে। সেজন্য নূন্যতম যেরকম কম্পিউটার হওয়া উচিত :

১. প্রসেসর : অন্তত core i5 হলে ভাল হয়। i7 বা তার বেশি হলে আরও ভাল। AMD এর প্রসেসর ও নিতে পারেন চাইলে। সেক্ষেত্রেও Ryzen 5 বা তার বেশি কোনটা নিতে পারেন।

২. RAM : নূন্যতম ৮ জিবি থাকা ভাল। তবে ১২-১৬ জিবি বা তার বেশি RAM হলে ভাল। অনেক লোড নিতে পারে কম্পিউটার।

৩. স্টোরেজ : SSD স্টোরেজ অবশ্যই থাকা চাই। অন্তত ২৫৬ জিবি বা এর কাছাকাছি থাকা দরকার। HDD স্টোরেজ যত ইচ্ছা রাখতে পারেন সাথে।

৪. গ্রাফিক্স মেমোরি : গেমিং কম্পিউটারের মতো খুব বেশি মেমোরি দরকার নেই। তবে ২ - ৪ জিবি মেমোরি থাকা ভাল। এতে করে কিছু টুলস রান করতে সুবিধা হয়।

আমি নির্দিষ্ট করে কোন কম্পিউটার মডেল বা সাইটের লিংক দিতে চাই না কারণ সেটাকে কেউ কেউ বিজ্ঞাপন বলে মনে করতে পারে। তবে উপরে লেখা কনফিগারেশন দেখে অনলাইনেই বিভিন্ন কম্পিউটার মডেল খুঁজে পাবেন। এরপর সেগুলোর রিভিউ ভিডিও দেখবেন ইউটিউবে। রিভিউ ভিডিও দেখে কম্পিউটারের পারফরম্যান্স কেমন হচ্ছে সেটা বুঝে তারপর কম্পিউটার কিনে ফেলবেন।


ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিবরণ কেউ বলতে পারবেন?

Wi-Fi, WiFi বা Wifi এর পূর্নরূপ Wireless Fidelity। এই নামকরণের মধ্যে তেমন কিছু নেই, শুধুমাত্র মার্কেটিং টার্ম।

ওয়াইফাই টিভি, রেডিও, সেলফোন এর মতোই রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে ডেটা ট্রান্সমিট করে। রেডিও ওয়েভ হচ্ছে ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিক ওয়েভ, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ আলোর বেগে চলে ভ্যাকিউমে এবং পৃথিবীতে আলোর বেগের চেয়ে সামান্য কম বেগে চলে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ১ কিলো হার্জ থেকে ১০০ গিগাহার্জ পর্যন্ত। যা আমাদের ভিজিবল স্পেকট্রামের বাইরে তাই আমরা ওয়াইফাই তরঙ্গ দেখতে পাইনা।

ওয়াইফাই ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ২.৪ গিগাহার্জ এবং ৫ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে যা মোবাইল, টিভি, রেডিও, ওয়াকি টকি এসব থেকে অনেক বেশি। ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাভারেজ বেশি পাওয়া যায় কিন্তু গতি কম পাওয়া যায় তবে ৫ গিগাহার্জে কাভারেজ কম থাকলেও গতি অনেক বেশি পাওয়া যায়। ২.৪ গিগাহার্জের সর্বোচ্চ ত্বাত্তিক দূরত্ব ৮২০ ফুট, গতি ৬০০ এম্বিপিএস এবং ৫ গিগাহার্জের সর্বোচ্চ ত্বাত্তিক দূরত্ব ৩৯০ ফুট, গতি ১৩০০ এম্বিপিএস। তবে বাস্তবে দূরত্ব এবং গতি দুটোই অনেক কম পাওয়া যায়।

ওয়াইফাই ফ্রিকোয়েন্সি অন্য সব রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মতোই বাঁধা প্রাপ্ত হয় অন্য যেকোনো রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির সাথে। ইট, পাথর, কংক্রিট, গ্লাস, কাঠ এসব ভেদ করতে পারলেও সিগন্যাল দুর্বল হয়ে যায়। তাই ডেটা লস বাড়ে এবং সিগন্যাল স্ট্রেন্থ কমে যায়।

ওয়াইফাই এর কিছু ভার্সন এবং স্টান্ডার্ড আছে। যেমন 802.11b, 802.11a, 802.11g, 802.11n, 802.11ac, 802.11ax, 802.11be. ক্রমান্বয়ে এই ভার্সন গুলোতে ওয়াইফাই এর রেঞ্জ, স্পিড এবং সিকিউরিটি উন্নত করা হয়েছে। ওয়াইফাই ভার্সন এবং স্টান্ডার্ড সহ ফিচার গুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হলে এক্সেস পয়েন্ট বা রাউটার এবং ক্লায়েন্ট ডিভাইস গুলো তা সমর্থন করতে হবে।

ওয়াইফাই রাউটার সাধারণত যেকোনো ডিজিটাল বাইনারি ডেটাকে এনালগ রেডিও ওয়েভে কনভার্ট করে এবং কাভারেজের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। তাই এই ডিভাইস কে এক্সেস পয়েন্ট বলা হয়। কিন্তু আমাদের হোম রাউটারে একসাথে সুইচ, রাউটার, এক্সেসপয়েন্ট, ফায়ারওয়াল সব একসাথে থাকে তাই তারপরেও একে সহজে বুঝার জন্য রাউটার বলা হয়। এক্সেস পয়েন্টে আমাদের ক্লায়েন্ট ডিভাইস গুলো কানেক্ট হয় এবং এক্সেস পয়েন্টের থেকে আসা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ক্যাপচার করে। এবার রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কনভার্ট করা হয় ইলেকট্রিকাল বাইনারি সিগন্যালে আর আমরা জানি আমাদের সব ডিজিটাল ডিভাইস কাজ করে বাইনারিতে।

এক্সেস পয়েন্ট বা রাউটার এতগুলো ক্লায়েন্টের মধ্যে কিভাবে বুঝে কার ডেটা কাকে দিতে হবে?
প্রথম যখন আমরা এক্সেস পয়েন্টের সাথে কানেক্ট হওয়ার জন্য আমাদের ডিভাইস থেকে ওয়াইফাই সার্চ করি তখন আমারা ওয়াইফাই এর নাম দেখতে পাই। যাকে বলা হয় SSID. এই SSID রাউটার সবসময় ব্রডকাস্ট করতে থাকে। যখন কোন ডিভাইস সেই SSID তে কানেক্ট হওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠায় তখন রাউটার এর নির্দিস্ট পাসওয়ার্ড দিতে হয়। পাসওয়ার্ড সঠিক হলে রাউটার সেই ডিভাইসের আইপি এবং ম্যাক এড্রেস সেইভ করে নেয়। পরবর্তিতে ডেটা ট্রান্সমিট করার সময় আবার আইপি দিয়ে ব্রডকাস্ট করে। ক্লায়েন্ট গুলো নিজেদের আইপির ডাক পেলে ডেটা রিসিভ করে নেয়।

এক্সেস পয়েন্টের চ্যানেল এবং উইথ কি?
ওয়াইফাই তার ফ্রিকোয়েন্সিকে অনেকগুলো ভাগে ভাগ করে এবং সেগুলোতে সুবিধা অনুযায়ী শিফট করে। এসব ভাগকে বলা হয় চ্যানেল আর উইথ হচ্ছে চ্যানেল গুলো কতটুকু প্রসস্থ সেটা। সহজে বুঝার জন্য মনে করুন ওয়াইফাই থেকে আসা ফ্রিকোয়েন্সি হচ্ছে একটা হাইওয়ে। চ্যানেল হচ্ছে সেই হাইওয়ের লেন এবং উইথ হচ্ছে লেন গুলো কতটুকু চওড়া।
এক্সেস পয়েন্ট সব সময় চেষ্টা করে সেই লেন ব্যবহার করতে যে লেনে ভিড় কম সে এবং বেশি ডেটা কম সময়ে পাঠানো যায়। তবে এলগোরিদম সবসময় অপ্টিমাম সলুশান দিতে পারেনা তাই কেউ চাইলে তার লোকেশনের আশেপাশের সিগন্যাল এনালাইজ করে চ্যানেল এবং উইথ কাস্টমাইজ করতে পারে।

ওয়াইফাই ভালো নাকি কেবল কানেকশন ভালো?
অবশ্যই কেবল কানেকশন ভালো। ওয়াইফাই তে প্যাকেট লস বেশি হয় বার বার কনভার্শন কারণে, সিগন্যাল দুর্বল হলে ল্যাটেন্সি বেড়ে যায়। বেশি কায়েন্ট কানেক্ট হলে রাউটার সবাইকে সার্ভ করতে সময় বেশি নেয়। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সিকিউরিটি। রাউটার হ্যাক করা সম্ভব। হ্যাক করে প্যাকেট এনালাইজ করা সম্ভব। কাস্টম ডিএনএস বসিয়ে সব ক্লায়েন্টের লগ দেখা সম্ভব। যদিও ম্যাক্সিমাম ডেটা এনক্রিপ্টেড থাকে কিন্তু এর মানে এই না যে ক্র্যাক করা যায়না। তবে সময় এবং দক্ষতার প্রয়োজন।

ওয়াইফাই কি শরীরের ক্ষতি করে?
একদমই না। ওয়াইফাই নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশন নির্গত করে যা কোনো প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর না। উপরের ছবিতে দেখবেন ভিজিবল আলোর চেয়েও ওয়াইফাই কতটা দূর্বল। যদি ওয়াইফাই রেডিয়েশন আমাদের ক্ষতি করতো তাহলে আমরা সাধারণ লাইট বাল্ব এর রেডিয়েশনে মরে যেতাম।

কিভাবে একই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকা অন্য ডিভাইসকে অ্যাক্সেস করা যায়?

একই নেটওয়ার্ক এর অধীনে থাকা এক বা একাধিক ডিভাইসকে এক্সেস করতে হ্যাকাররা মূলত দুই রকমের পদক্ষেপ নিতে পারে।

১. MiTM : এই এটাকের পূর্ন নাম Man in The Middle এটাক। এখানে হ্যাকার দুইটি কম্পিউটারের মাঝে বসে তথ্য চুরি বা পরিবর্তনের কাজ করে।

২. সিস্টেম দুর্বলতাঃ হ্যাকাররা কখনো সরাসরি সিস্টেমের দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারে। কিছু বিশেষ ধরনের সিস্টেম দুর্বলতা দেখা যায় যারা একদম সরাসরি এক্সেস নেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। সব রকমের সিস্টেম দুর্বলতা দিয়ে কিন্তু আবার সিস্টেম এক্সেস নেয়া যায় না।

হ্যাকিং দীর্ঘ এবং জটিল প্রক্রিয়া। লিখে বিস্তারিত বোঝান যায় না পুরোপুরি। তাই যথাসম্ভব বুঝিয়ে লিখেছি।

সাইবার নিরাপত্তা-হ্যাকিং!

আসসালামু আলাইকুম।সাইবার নিরাপত্তা-হ্যাকিং মঞ্চে সবাইকে স্বাগতম।

মঞ্চ পরিচিতি: তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল যুগে আমরা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে নানা কারণে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হই।সাইবার জগৎ আমাদের সামনে যেমন বিশাল জ্ঞান ভাণ্ডার খুলে দিয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যসমূহকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছে।কিন্ত একটু সতর্ক থাকলেই সাইবার জগতে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়।

আবার হ্যাকার মানেই ঘৃণ্য অপরাধী নয়।একজন ইথিক্যাল হ্যাকার সাইবার জগতকে নিরাপদ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

যেসব বিষয়বস্ত মঞ্চে যোগ করা যাবে:

  • বিভিন্ন হ্যাকিং টুলের সাথে পরিচয়(শুধুই পরিচিতি ) করানো যাবে।
  • কুখ্যাত-বিখ্যাত হ্যাকারদের কীর্তি নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
  • কম্পিউটার ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করা যাবে
  • সাইবার জগতে নিজেকে নিরাপদ রাখার উপায়,গুরুত্ব, সাইবার আইন নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
  • ইথিক্যাল হ্যাকারদের ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
  • কোনো ক্ষতিকর ওয়েবসাইট কিংবা লিংক শেয়ার করা যাবে না।

সত্যিকারের ভালবাসা কেমন হওয়া উচিত? আপনার সংগ্রহে থাকা ছবিগুলি দিয়ে কি তা প্রমাণ করতে পারবেন?

সত্যিকারের ভালবাসা কেমন হওয়া উচিত তা নিচের ছবিগুলো দেখলেই খুব সহজে বোঝা যায়।

ফেসবুকে 'ভালবাসার গল্প' নামের একটি গ্রুপে একজন ভাই তার সত্যিকারের ভালবাসার চিত্র এইভাবে-ই উপস্থাপন করেনঃ

১) ঘুম ভালবাসা স্বামী😊

২) এমন কেয়ার ক'জনের ভাগ্যে জোটে!

৩) ছুটির দিনে দুষ্টুমির শেষধাপ😊

৪) এই ব্যাংকের ম্যানেজার আমি, আর ও মালিক🥰

৫) ভুল করাই আমার স্বভাব হে প্রিয়া।❤

৬) কখনো কখনো একটু কেয়ার অনেক অনুভূতির জন্ম দেয় 👌

৭) সব প্রিয়ার একটা ছেলেমানুষীভাব থাকবেই😁

৮) কিনে দে, কিনে দে আমাই রেশমি চুড়ি🥰

৯) সবমেয়ের কমন পছন্দ ফুসকা, কেন?🤔

১০) কারন পকেটের খবর তার চেয়ে আর কেউ ভাল জানে না😃

১১) বেঁচে থাকুক ভালবাসা❤

চারিপাশের এত কৃত্রিম ভালবাসার মাঝে এমন সত্যিকারের ভালবাসা সত্যিই স্যালুটের দাবিদার। ছবিগুলো এতটাই ভাল লেগেছিল যে সেভ করে রেখেছিলাম। আর আজ তা আপনাদের দেখাতে পেরে খুব ভাল লাগলো।

আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন, ধন্যবাদ।