শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন

নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন

নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন

আমরা মানুষ চলার পথে অনেক ভুল করি। কিন্তু ভুল আমাদের জীবনকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায়। সেটা শুধু বোঝা যায় যখন ভুলের মাশুল আমরা গুণি। তাই আমরা অন্যের সমালোচনা না করে নিজের ভুল গুলো নিয়েই ভাবা উচিত। কিন্তু ভুল হয় বলে প্রতি মুহূর্তে নিজেকে দোষারোপ করা মোটেই ঠিক নয়। এতে আত্মবিশ্বাস ও ভালো কাজের স্পৃহা কমে যায়। 

তবে আমাদের আত্মসমালোচনা করতে হবে। এতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি হবে। কিন্তু সবসময় নিজেকে দোষারোপ অনেক সময় নিজের প্রতি সহ্যক্ষমতাও সীমার বাইরে চলে যায়। এ অবস্থায় সানন্দে বাঁচা যায় না। বরং জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে। তাই সামনের দিনগুলোর সুন্দর ভিত্তি দাঁড় করাতে এবং আনন্দ-উল্লাসে বাঁচতে কয়েকটি সহজ অনুশীলন করুন। আত্ম-দোষারোপের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসুন এখনই।

নিজের প্রশংসনীয় দিক খুঁজে বের করুন

কিছু মানুষ নিশ্চয়ই আপনার প্রশংসা করেন, সেগুলো সাদরে গ্রহণ করুন। প্রতিদিন ঘড়ি ধরে কিছু সময় নিজের ভালো দিকগুলো কাগজে লিপিবদ্ধ করুন। কখনোই নিজের অবমূল্যায়ন করবেন না।  

নিন্দনীয় দিকগুলোরও যত্ন করুন

ভালো-খারাপ অভ্যাস মিলিয়েই মানুষ। অন্যদের মতো আপনারও খারাপ কিছু অভ্যাস রয়েছে। সেগুলো নিয়েও সময় করে একদিন বসুন। কিভাবে সেগুলো বন্ধ করা যায়, ভাবুন। রাতারাতি তো বদলে যাবে না কোনো বদভ্যাস। সময় দিলেই কেবল দূর হতে পারে।  

অপরের প্রতি দয়ালু হোন

নিজের সর্বশ্রেষ্ঠ সমালোচক না হয়ে অপরের ভালো বন্ধুতে পরিণত হোন। নিজ এলাকায় সমাজসেবামূলক কাজে যোগদান করুন। দিন শেষে আয়নার দিকে তাকান এবং নিজেকে বিচার করুন। সর্বোপরি, কৃতজ্ঞ থাকুন সামান্য ভালোটুকুর প্রতিও।  

পরিকল্পনামাফিক নিজেকে উন্নত করুন

পারফেক্ট কিংবা নিখুঁত বলতে আদৌ কিছু নেই। কিন্তু অনুশীলনের মাধ্যমে এ চেষ্টা করা যেতেই পারে। পরিকল্পনামাফিক নিজেকে উন্নত করবার প্রচেষ্টা শুরু করুন। একদিন হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে পরের দিন মাথা উঁচু করে দাঁড়ান।  

সফলতাকে আপন করে নিন

ছোট কিংবা বড়- সফলতা মাত্রই সেটি উদযাপন করা উচিত। কাছের মানুষ, বন্ধু কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে সফলতাকে কাছে টেনে নিন। নিজেকে কিছু না কিছু উপহার দিন। প্রিয় কোনো কাজে নিজেকে মগ্ন রাখুন। নিজেকে ভালোবাসুন।  


বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

শান্তির ঘুম!

শান্তির ঘুম!

🌼

"আমি অনেক মানুষ দেখেছি যাদের শরীরে কোন পোশাক নেই, আমি অনেক পোশাক দেখেছি যেগুলোর ভিতর কোন মানুষ নেই!!

আপনার জীবন বদলে দেওয়া কিছু দার্শনিক উক্তি কোনগুলি?


সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর

১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে।

২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে।

৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে।

৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর।

৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর

৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর।

৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর।

৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো।

৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, হারাম খাবার হতে বিরত থাকো।

১০. প্রশ্নঃ ঈমানে পূর্ণতা কামনা করি!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, চরিত্রবান হও ৷

১১. প্রশ্নঃ কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে গুনামুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জানাবত তথা গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে গোসল করে নাও।

১২. প্রশ্নঃ গুনাহ্ কিভাবে কমে যাবে?

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ইস্তেগফার (আল্লাহর নিকট কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) কর।

১৩. প্রশ্নঃ কেয়ামত দিবসে আলোতে থাকতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জুলুম করা ছেড়ে দাও।

১৪. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ তা’য়ালার অনুগ্রহ কামনা করি!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর বান্দাদের উপর দয়া-অনুগ্রহ কর।

১৫. প্রশ্নঃ আমি চাই আল্লাহ্ তা’য়ালা আমার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখ।

১৬. প্রশ্নঃ অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে চাই ?

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যিনা (ব্যভিচার) থেকে বেঁচে থাকো।

১৭. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর নিকট প্রিয় হতে চাই ?

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের (সাঃ) এর নিকট পছন্দনীয় তা নিজের জন্য প্রিয় বানিয়ে নাও।

১৮. প্রশ্নঃ আল্লাহর একান্ত অনুগত হতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, ফরজ সমূহকে গুরুত্বের সহিত আদায় কর।

১৯. প্রশ্নঃ ইহ্সান সম্পাদনকারী হতে চাই!

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, এমন ভাবে আল্লাহর এবাদত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ অথবা তিনি তোমাকে দেখছেন।

২০. প্রশ্নঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সাঃ) কোন বস্তু গুনাহ্ মাফে সহায়তা করবে?

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন,

ক) কান্না। (আল্লাহর নিকট, কৃত গুনাহের জন্য)

খ) বিনয়।

গ) অসুস্থতা।

২১. প্রশ্নঃ কোন জিনিষ দোযখের ভয়াবহ আগুনকে শীতল করবে?

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার মুছিবত সমূহ।

২২. প্রশ্নঃ কোন কাজ আল্লাহর ক্রোধ ঠান্ডা করবে?

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, গোপন দান এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা।

২৩. প্রশ্নঃ সবচাইতে নিকৃষ্ট কি?

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুশ্চরিত্র এবং কৃপণতা।

২৪. প্রশ্নঃ সবচাইতে উৎকৃষ্ট কি?

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সচ্চরিত্র, বিনয় এবং ধৈর্য্য।

২৫. প্রশ্নঃ আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় কি?

উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপর রাগান্বিত হওয়া পরিহার কর।

আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন…।


সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০২২

যৌবন ধরে রাখতে চাইলে যে খাবার গুলো খাওয়া উচিত ছেলেদের ?

যৌবন ধরে রাখতে চাইলে যে খাবার গুলো খাওয়া উচিত ছেলেদের ?


যৌবন ধরে রাখতে চাইলে যে খাবার গুলো খাওয়া উচিত ছেলেদের ?

যৌবন ধরে রাখতে আমরা কি না করি। সকলেই চায় আজীবন যৌবন ধরে রাখতে। সুস্থ-সবল থাকতে এবং তারুণ্য ও যৌবন ধরে রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই।

নিজেদের সুস্থ-সবল রাখতে পুষ্টিকর জাতীয় খাবারের দিকে নজর দেয়া দরকার। কিছু কিছু খাবার আছে যা নিয়ম মেনে খেলে আপনার যৌবন থাকবে আজীবন। চলুন জেনে নেয়া যাক, যৌবন ধরে রাখবে যে ১৫টি খাবার।

যৌবন ধরে রাখবে যে ১৫টি খাবার:

১. দই:

দই আমাদের অনেকের পছন্দের একটি খাবার। দই মেদ বা ভুড়ি ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সেইসাথে যারা যৌবন ধরে রাখবেন তারা নিয়মিত দই খাবেন। দই এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম আছে যা শরীরের গঠন ভালো রাখে এবং হাড়ের ক্ষয়-রোধ করতে সাহায্য করে।

বয়সজনিত রোগগুলো প্রতিরোধে দই সহায়তা করে। এছাড়া দই ত্বককে দাগমুক্ত রাখে। তাই যৌবন ধরে রাখতে হলে নিয়মিত দই খাবেন।

২. সামুদ্রিক মাছ:

যৌবন ধরে রাখতে সামুদ্রিক মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে হলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় লাল মাংস পরিবর্তে সামুদ্রিক মাছ রাখুন। সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে এবং যৌবন ধরে রাখবে দীর্ঘ দিন।

৩. পালং শাক:

পালং শাক মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন রয়েছে, যা শরীরের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পালং শাক খাওয়ার ফলে ত্বক ও চোখের বয়সজনিত সমস্যা কমে যায়। পাশাপাশি পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় শরীরের নানা রকম অসুবিধা দূর করে এবং শরীরে পুষ্টি ও শক্তির যোগায়।

৪. কলা:

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, বি ও সি এবং পটাশিয়াম। পটাশিয়ামের অভাবে ত্বক রুক্ষতার মতো হয়, কলা পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে দেয় এবং ত্বক রুক্ষতা দূর হয়ে যায়।

কলা ভিটামিন-বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বৃদ্ধি করে। সেই সাথে কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৫. আমলা:

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলাকে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা মন্ত্র হিসেবে বলা হয়। পুরুষের শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে আমলা দারুণ কার্যকর।

৬. ফলমূল:

ফলমুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের পুষ্টি জোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যৌবন ধরে রাখতে হলে নিয়মিত ফলমুল খাবেন।

৭. সবুজ শাক-সবজি:

সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা শরীরের চাহিদা মেটার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি খেলে আপনার যৌবন থাকবে তর তাজা।

৮. কমলালেবু:

শরীরের জন্য কমলালেবু খুবই উপকারী। কারণ কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল রাখতে কমলালেবু সহায়তা করে।

৯. অলিভ অয়েল:

অলিভ অয়েল আপনার যৌবনকে ধরে রাখতে সহায়তা করে। রান্নার মধ্যে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরের মধ্যে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় এবং শরীরে মেদ জমে না। পাশাপাশি দৈনিক ঘুমানোর আগে ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ত্বকের বলিরেখা পরে না সহজেই। ফলে দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে।

১০. ডার্ক চকলেট:

ডার্ক চকলেট যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের পুষ্টি জোগাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত ছোট এক টুকরা ডার্ক চকলেট খেলে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ যৌবন ধরে রাখতে পারবেন।

১১. স্ট্রবেরি:

স্ট্রবেরি আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারণ- স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি থাকে। যা আপনার ত্বককে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।

১২. রসুন:

রসুনে আছে এলিসিন নামক উপাদান ইন্দ্রিয় গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে তোলে। দৈহিক কোনো সমস্যা থাকলে রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

১৩. গাজর ও টমেটো:

গাজর ও টমেটো ত্বকের ও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত যৌবন ধরে রাখার ক্ষেত্রে এই সবজিগুলো খুবই উপকারী। গাজর ও টমেটোয় প্রচুর পরিমাণে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। পাশাপাশি রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন, যা শরীরের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।

১৪. আঙ্গুর:

যৌবন ধরে রাখতে আঙ্গুরের কোনো জুড়ি নেই। আঙ্গুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আঙ্গুর প্রতিদিন খেলে ত্বক ও দেহ সুন্দর ও সুস্থ-সবল থাকে।

১৫. মিষ্টি কুমড়ার বিচি:

মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে প্রচুর পরিমাণে সাইটোস্টেরোল থাকে। মিষ্টি কুমড়ার বিচি পুরুষদের দেহের মধ্যে টেসটোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যতা রক্ষা করে। এটির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড পুরুষদের শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। পুরুষদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক মিষ্টি কুমড়ার বিচি।

সুতরাং, নিজেদর যৌবন ধরে রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। উপরের খাবারগুলো আপনার যৌবনকে ধরে রাখবে আজীবন। তাই প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর জাতীয় খাবার খান আর সর্বদা নিজেকে হাসি-খুশি মধ্যে রাখুন, চিন্তা-ভাবনা কোনোভাবেই ধারের কাছে ভিড়তে দেবেন না।

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২

বউ-এর মুখ ঝামটা থেকে বাঁচার জন্য কোনও ঘরোয়া উপায় আছে কি?

তোমার প্রশ্ন শুনেই বুঝেছি বিয়ের আগে তুমি আমার সেই জগৎখ্যাত ক্র্যাশ কোর্সটি করোনি। কত পিছিয়ে আছে এই দেশ ! এই ভুলগুলো যে কেন কর তোমরা ?

ঠিক আছে আমি অল্প করে , হালকা করে বলে দিচ্ছি । বিন পয়সায় বেশী উপায় বলা যাবে না।

উপায়গুলো ভীষণ সোজা। একদম সিম্পল । নিয়মবিধি গুলো যদি মেনে চল তাহলে তোমার সংসারে মৃদুমন্দ মলয় পবন বইবে সর্বক্ষণ ।

  1. বিয়ের দিন থেকেই মনে এই বিশ্বাসটা রাখবে যে তোমার সাথে লেতিপেতি কোন মেয়ের বিয়ে হয়নি। একজন দেবীর সাথে তোমার বিয়ে হয়েছে। ওনার মধ্যে লক্ষী সরস্বতী একত্রে বাস করছেন।
  2. মনে রাখবে প্রজাপতি ব্রহ্মার নজর যখন তোমার ওপর পড়েছে তাহলে সেটা মঙ্গলের জন্যই পড়েছে। উনি চাইছেন তুমি একজন উৎকৃষ্ট মানবে পরিণত হও…তোমার খামতিগুলো ঠিক করার জন্য বিশেষ একজনকে স্ত্রী হিসেবে তোমার কাছে উনি পাঠিয়েছেন ।
  3. তোমার শিক্ষাদীক্ষা যাই হোক না কেন.. তুমি তোমার স্ত্রীর সামনে একখানা হাবাচন্ডী হয়ে থাকবে। দেখাবে যেন তুমি কিছুই জানো না, কিছুই শেখোনি। স্ত্রীর অপেক্ষায় ছিলে কবে সে এসে তোমাকে শিখিয়ে পড়িয়ে নেবে।
  4. বিভিন্ন বিষয়ে স্ত্রী তোমার চক্ষু উন্মোচন করবে। তুমি সেগুলো দেখে, শুনে, জেনে আনন্দ প্রকাশ করবে।
  5. তোমার রাগ তুমি একটা সিন্দুকে ঢুকিয়ে তালা মেরে চাবিখানাকে দরিয়া মে ফেক দো।
  6. প্রশংসা করতে শেখো…মানে অন্য কারো না, শুধু নিজের বৌয়ের। শব্দ ভান্ডার তৈরী কর। বৌকে সারাক্ষণ সুন্দর লাগছে, ভাল লাগছে , দুর্দান্ত রান্না বলতে থাকলে বৌয়েরা বোর হয়ে যায়। তাই বিভিন্ন ভাষা থেকে প্রশংসা সুলভ শব্দগুলো চয়ন করে একটা খাতায় লিখে রেখে মুখস্থ করো।
  7. অফিস থেকে বা কাজ থেকে ফিরে কখনও বলবে না যে তুমি পরিশ্রান্ত। বরং বৌকে জিজ্ঞাসা করবে…." তুমি খুব পরিশ্রান্ত না গো ? আমি আর অফিসে কি কাজ করি ? আমি তো শুয়ে বসে কাটিয়ে দিই। কাজ তো করো তুমি। "
  8. বৌয়ের ভুল ধরতে যেও না। ওরা ভুল করতে পারেনা এই দৃঢ় বিশ্বাসটা মনে গেঁথে রাখবে।
  9. শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ .. স্নান করে পবিত্র হয়ে এটা একশ আটবার জপ করবে।
  10. বৌয়ের মুখে মুখে কক্ষনো তর্ক করতে যাবে না। তুমি লাস্টে সেইতো হেরেই যাবে। তারচেয়ে মুখে সেলোটেপ আটকে চুপটি করে বসে থাকো। ঝড়কে বইতে দাও। প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে কি কোন মানুষ আটকাতে পারে ?

আমার এই পয়েন্টগুলো যদি তুমি মেনে চল তাহলে বৌয়ের মুখ ঝামটা শোনার তোমার প্রয়োজনই পড়বে না। তোমার সংসার সুখে সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।