বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

'মাথাহীন' লেডিবাগের খোঁজ মিললো যুক্তরাষ্ট্রে

'মাথাহীন' লেডিবাগের খোঁজ মিললো যুক্তরাষ্ট্রে

বিরল ‘মাথাহীন’ পোকা লেডিবাগের খোঁজ মিললো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মাথাহীন বললেও লেডিবাগটির একবারেই যে মাথা নেই, তা কিন্তু নয়। আদতে কচ্ছপের মতো শরীরের ভেতরে নিজের মাথাটি লুকিয়ে রাখে বলে ‘মাথাহীন’ লেডিবাগ নামে খ্যাতি পেয়েছে এলিনিয়াস আইভি প্রজাতির লেডিবাগ। খবর রয়টার্স-এর।

লেডিবাগের এই প্রজাতি প্রাণীবিজ্ঞানীদের কাছে একবারেই নতুন। মনটানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করার সময় এলিনিয়াস আইভি লেডিবাগটি আবিষ্কার করেন ওয়াল্ডলাইফ টেকনিশিয়ান রস উইন্টন। প্রথমে বড় কোনো পিপড়ের দেহাবশেষ পেয়েছেন ভাবলেও আসলে যে পুরো নতুন প্রজাতির একটি লেডিবাগ আবিষ্কার করেছেন, তা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি উইন্টনের।

নতুন আবিষ্কৃত লেডিবাগটির প্রজাতিটির কেবল দু’টি নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনটানা থেকে একটি পুরুষ লেডিবাগ এবং আইডাহো থেকে একটি নারী লেডিবাগের নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।

নতুন প্রজাতির লেডিবাগটির নাম দেয়া হয়েছে মনটানা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর মাইকেল আইভির নামানুসারে।

প্রফেসর আইভি এ ব্যাপারে বলেন, ‘এ প্রজাতির লেডিবাগ আমাদের কাছে একেবারেই নতুন। ১ গ্রাম ওজনের বালির সমান আকৃতির এই লেডিবাগটির আবিষ্কার মোটেই কোনো ছোট অর্জন নয়।’ তবে মাথাহীন নামে খ্যাতি পাওয়া লেডিবাগটি কেন গলার ভেতরে নিজের মাথাটি লুকিয়ে রাখে সে ব্যাপারটি এখনও রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে বিজ্ঞানীদের কাছে।

বিপজ্জনক ২৫ পাসওয়ার্ড

বিপজ্জনক ২৫ পাসওয়ার্ড

পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ফার্ম স্প্ল্যাশডেটা প্রকাশ করেছে ঝুঁকিপুর্ণ ২৫টি পাসওয়ার্ডের তালিকা। এ পাসওয়ার্ডগুলো খুব বেশি ব্যবহৃত হওয়ায় হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনাও বেশি। খবর টাইম ম্যাগাজিন-এর।

স্প্ল্যাশডেটার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড তিনটি হচ্ছে password, ১২৩৪৫৬ এবং ১২৩৪৫৬৭৮. এগুলোকে খুবই ঝুঁকিপুর্ণ পাসওয়ার্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে স্প্ল্যাশডেটা। হ্যাকাররা সহজেই এ পাসওয়ার্ড ভেঙে ফেলতে পারে। সম্প্রতি সাইবার আক্রমণের শিকার মেইল, সোশাল নেটওয়ার্ক ও বিভিন্ন সাইটের ইউজারদের সচেতন করে তুলতে এ ধরনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

ঝুঁকিপূর্ণ পাসওয়ার্ডের এ তালিকায় উঠে এসেছে jesus, ninja, mustang, password1 এবং welcome. নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি করা কঠিন না হলেও, অনেক ইউজার সহজ শব্দকে পাসওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করে।

অনলাইনে তথ্যের নিরাপত্তায় এধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করেছে পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ফার্মটি। নতুন পাসওয়ার্ড কেমন হতে পারে, তার সংক্ষিপ্ত দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন স্প্ল্যাশডেটার সিইও মরগান স্লেইন।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে একটি সংক্ষিপ্ত বাক্য ব্যবহার করা যেতে পারে পাসওয়ার্ড হিসেবে। যেমন ফড়ম dog eats bone-এর সঙ্গেunderscores, dashes, hyphens যোগ করা যেতে পারে যেমন dog_eats_bone!

তালিকার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাসওয়ার্ডগুলো হচ্ছে-
১. password
২. 123456
৩. 12345678
৪. abc123
৫. qwerty
৬. monkey
৭. letmein
৮. dragon
৯. 111111
১০. baseball
১১. iloveyou
১২. trustno1
১৩. 1234567
১৪. sunshine
১৫. master
১৬. 123123
১৭. welcome
১৮. shadow
১৯. ashley
২০. football
২১. jesus
২২. michael
২৩. ninja
২৪. mustang
২৫. password1

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের দৃশ্য আনছে গুগল ট্র্যাকার

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের দৃশ্য আনছে গুগল ট্র্যাকার

গুগল এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্গম গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ট্র্যাকিং ও হাইকিংয়ের রাস্তার দৃশ্য ইউজারদের জন্য আনছে। এজন্য গুগল ব্যবহার করছে ব্যাকপ্যাকের পেছনে সংযুক্ত বিশেষ ক্যামেরা। এর আগে ‘স্ট্রিট ভিউ’ সেবার জন্য স্পেনের অত্যন্ত সরু গলির তিন চাকার সাইকেল, স্মিথসনিয়ানের জন্য ঠেলাগাড়ি ও কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার তুষার ঘেরা এলাকার জন্য স্নোমোবাইল ব্যবহার করে ক্যামেরায় ধারণ করে গুগল। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

গুগলের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রায়ান ফ্যালর বলেন, ‘রাস্তা ব্যবহার করে যেসব জায়গায় পৌঁছানো যায়না, এমন ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোও আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আনতে চাই।’

এবছরের শুরুর দিকে গুগল ‘ট্র্যাকার’ ঘোষণা দেয়, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এই সেবার প্রথম ধাপ। প্রতিষ্ঠানটি খুব শীঘ্রই এভারেস্ট পর্বত, ভেনিসের সংকীর্ণ গলি ও পুরোনো ধংসাবশেষও যুক্ত করবে।

গুগলের এই খবরটি প্রকাশ পেল এমন সময় যখন অ্যাপল নিজেদের ম্যাপিং সার্ভিস নিয়ে যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়েছে।

২০০৭ সালে আমেরিকার মাত্র পাঁচটি শহরের ‘৩৬০ ডিগ্রি ভিউ’ দিয়ে ‘স্ট্রিট ভিউ’ সেবা চালু করেছিলো গুগল। এখন ৪৩টি দেশের ৩ হাজার শহর আছে এই সেবাতে।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

সোনার উৎস হবে দূষিত পানি

সোনার উৎস হবে দূষিত পানি

অল্প খরচে রিসাইক্লিং প্ল্যান্টের দূষিত পানি থেকে সোনার মতো মূল্যবান ধাতব পদার্থ আহরণের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ফরাসী প্রতিষ্ঠান ম্যাগপাই পলিমারস-এর গবেষকরা। ফলে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট থেকেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু; যা ব্যবহার করা যাবে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে। খবর আইটেকপ্রেস-এর।

রিসাইক্লিং প্ল্যান্টে অ্যাসিড এবং পানি ব্যবহার করে গলিয়ে ফেলা হয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পদার্থ। এতে পানিতে মিশে যায় সোনার মতো মূল্যবান অনেক ধাতব পদার্থ। দূষিত পানি থেকে ওই ধাতুগুলো আহরণের কয়েকটি প্রযুক্তি থাকলেও, তার সবগুলোই অনেক ব্যয়বহুল। এজন্য এতোদিন যেন হাতের কাছে খনি থেকেও আহরণ করা যেতো না সোনা।

এ সমস্যা সমাধানে ম্যাগপাই পলিমারসের বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন বিশেষ এক ধরনের রজন পদার্থ। ওই রজন পদার্থের ওপর দিয়ে ধাতুমিশ্রিত পানি প্রবাহিত হলে ধাতুগুলো আটকে যায় রজনের সঙ্গে, আর বেরিয়ে আসে বিশুদ্ধ পানি।

ম্যাগপাই পলিমারসের পরিচালক এটেইন আলমোরিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পদ্ধতিতে এক লিটার পানিতে মাত্র ১ মাইক্রোগ্রাম ধাতু থাকলেও তা আটকে যাবে রজনে। এভাবে ৫ থেকে ১০ ঘনগজ পানি থেকে পাওয়া যেতে পারে কয়েক আউন্স সোনা। বর্তমান বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১ হাজার ৭০০ ডলার।

এ পদ্ধতি ব্যবহার করে একদিকে যেমন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট থেকে পাওয়া যাবে মূল্যবান ধাতব পদার্থ, তেমনি বিশুদ্ধ করা যাবে দূষিত পানি। রজন পদার্থটি ব্যবহার করে ধাতব খনির পানি শোধন করে পরিবেশগত সমস্যাও দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।


চুরির সাক্ষী হলো চোরের আইফোন

চুরির সাক্ষী হলো চোরের আইফোন!

ঘরের আলো জ্বালিয়ে চুরি করা যে কোনো বুদ্ধিমান চোরের কৌশলের তালিকায় পড়ে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ঘুটঘুটে অন্ধকারে কাজ সারতে কিছুটা হলেও তো আলো প্রয়োজন। সে জন্যেই চুরি করতে ঢুকে ফ্ল্যাশলাইট হিসেবে নিজের আইফোনটি ব্যবহার করছিলেন এমানুয়েল জেরোমি। চুরির সময় সেই আইফোনের ভিডিও রেকর্ডিং বাটনটিতে ভুলে চাপ পড়ে যাওয়ায় এখন শ্রীঘরে যেতে হচ্ছে ২৩ বছর বয়সি এই চোরকে। খবর সিনেটডটকম-এর।

চুরির সন্দেহেই জেরোমিকে গ্রেপ্তার করেছিলো যুক্তরাজ্যের পুলিশ। আর যে কোনো চোরের মতোই নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু তার আইফোনটি ঘাঁটতে যেয়ে পুলিশ পেয়ে যায় চুরির প্রমাণ। চুরির পুরো ঘটনাটি ভিডিও রেকর্ড হয়েছিলো জেরোমের আইফোনে।

তদন্তকারীরা বলছেন, চুরির সময় ফ্ল্যাশলাইট হিসেবে নিজের আইফোন ব্যবহার করতেন জেরোমি। সেসময় নার্ভাস হয়ে পড়ায় হয়তো চাপ পড়ে গিয়েছিলো আইফোনের রেকর্ড বাটনে। আর তাতেই এখন শ্রীঘরে দিন কাটাতে হবে তাকে।

জেরোমি নিজেকে নিরপরাধ দাবি করলেও, সে দাবি কানে তোলেননি বিচারক জন পটার। আইফোন ভিডিওটি দেখে তাকে ৪৪ সপ্তাহের কারাবাসের সাজা দিয়েছেন তিনি।