শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৩

৩৩ হাজার বছর আগের পোষা কুকুরের জীবাশ্ম উদ্ধার


রাশিয়ার সাইবেরিয়ার একটি পাহাড়ে পাওয়া গেছে পোষ মানা সবচেয়ে পুরনো কুকুরের ফসিল। বিজ্ঞান সাময়িকী লাইভ সায়েন্স জানিয়েছে, পাওয়া নিদর্শন থেকে বিজ্ঞানীদের ধারণা এটি ৩৩,০০০ বছর আগের।



     
বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করা জীবাশ্ম থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিলো, এটি নেকড়ের হবে। সন্দেহ দূর করতে এটি নিয়ে রাশান একাডেমি অফ সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা প্রাণীটির হাড়, চোয়াল ও দাঁত নিয়ে গবেষণা করেন। ডিএনএ পরীক্ষা করার পর বিভিন্ন প্রজাতির ৭২টি কুকুর, ৩০টি নেকড়ে, চারটি উত্তর ও পশ্চিম আমেরিকার নেকড়ে এবং ৩৫টি প্রাচীন প্রজাতির সঙ্গে তুলনা করেছেন গবেষকরা। তাতে দেখা গেছে, ফসিলটি পোষা কুকুরের এবং এটি ৩৩ হাজার বছর আগের।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৪ হাজার বছর আগেও জার্মানিতে পোষা কুকুরের প্রচলন ছিলো। তখন মারা যাওয়ার পর মানুষ ও কুকুরকে একসঙ্গে সমাহিত করা হতো।  নমুনা দেখে বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি এ যাবৎকালের পাওয়া সবচেয়ে পুরনো পোষ মানানো কুকুরদের মধ্যে একটি।
গবেষণাগারে কুকুরটির দেহের গঠন সম্পর্কে গবেষণা করা হয়। এর মাথার খুলি থেকে জানা যায়, এটা নেকড়ে থেকে আলাদা। তারা দেখেছেন, এ সময়কার পোষা কুকুরের সঙ্গে এর অনেক মিল রয়েছে।
 বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ডুয়াল কোর অ্যাটম প্রসেসর আনলো ইনটেল


খবর >

ডুয়াল কোর অ্যাটম প্রসেসর আনলো ইনটেল


1 / 1
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইলেক্ট্রনিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইনটেল নতুন প্রজন্মের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য ডুয়াল কোর অ্যাটম প্রসেসর এনেছে। প্রসেসরটির কোড নাম ‘ক্লোভারট্রেইল প্লাস’। এর সিস্টেম অন চিপ (এসওসি) পূর্ববর্তী প্রজন্মের মিডফিল্ড এবং ক্লোভারট্রেইল প্রসেসরের চেয়ে লক্ষ্যণীয়ভাবে আলাদা হবে বলে জানিয়েছে জিএসএম এরিনা।

 তিনটি ভিন্ন মোড়কে চিপটি বাজারজাত করা হবে। সবচেয়ে দ্রুতগতির চিপটি হচ্ছে অ্যাটম জি২৫৮০। এর পরে রয়েছে জি ২৫৬০ এবং জি২৫২০।

নতুন ক্লোভারট্রেইল-এ বাড়তি সল্টওয়েল সিপিইউ কোর সংযুক্ত করা হয়েছে, যার মূল শক্তি  ৩২এনএম প্রসেসসিং। হাইপার থ্রেডিং পরিচালনায় থাকছে চারটি থ্রেডস। জি২৫৮০ চিপটির ক্লক স্পিড পৌঁছাবে ২.০ গিগাহার্টজে। জি২৫৬০ এবং ২৫২০-এ ক্লক স্পিড থাকবে ১.৬ গিগাহার্টজ এবং ১.২ গিগাহার্টজ। মিডফিল্ড চিপের ফলে সিপিইউ আগের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে কাজ করবে বলেও জানিয়েছে ইনটেল।
সূত্র জানিয়েছে, অ্যাপলের তৃতীয় প্রজন্মের ডিভাইস রেটিনা ডিসপ্লে আইপ্যাডে ব্যবহৃত প্রসেসরের এ৫এক্স-এর চেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে ইনটেল। দ্রুতগতির জিপিইউ ব্যবহারে পর্দার রেজুলিউশনও ১০২৪ বাই ৭৬৮ থেকে ১৯২০ বাই ১২০০ তে উন্নীত হবে।

রবিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৩

কিশোর বয়সে ধূমপানে অল্প বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকি

কিশোর বয়সে ধূমপান করলে অল্পবয়সেই হৃদরোগে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় বলে পাওয়া গেছে এক গবেষণায়। এমনকি পরবর্তীতে ধূমপান সম্পূর্ণ ছেড়ে দিলেও এ আশঙ্কা থেকেই যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

যারা কিশোর বয়সে ধূমপান শুরু করে সারাজীবন তা ধরে রাখে, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অধূমপায়ীদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বলেওজানিয়েছেন গবেষকরা।

জার্নাল অব দি আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক ডেভিড ব্যাটি বলেন, এ ঝুঁকি সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে, তবে যতো শিগগির ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দেয়া যায় ততোই মঙ্গল।

এর আগেও কমবয়সে ধূমপানের সঙ্গে ভবিষ্যতে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্ক নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। তবে মধ্যবয়সী ব্যক্তিরা কতো বেশি ধূমপান করছেন তার উপর নির্ভর করে করা এসব গবেষণা খুব বেশি নির্ভরযোগ্য নয় বলে মনে করেন গবেষকরা।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণাটিতে তরুণ বয়সীরা কী পরিমাণ ধূমপান করছেন সে উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করা হয়।

এতে ১৯১৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ম্যাসাচুসেটসের হাভার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যপরীক্ষায় ধূমপানের পরিমাণ বিষয়ে দেয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়। পরে ’৬০, ’৭০ ও ’৮০’র দশকে ওই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জরিপ চালানো হয়।

এ গবেষণায় ২৮ হাজারের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যতথ্য অন্তর্ভূক্ত করা হয় যাদের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার জন স্কুলে থাকতে ধূমপান করতেন। এসব ধূমপায়ীদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক গড়ে ৫৩ বছর বয়সের আগেই মারা যান।

হাভার্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শিক্ষাজীবনের পড়েও ধূমপান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে যারা কিশোর বয়সে ধূমপান করতেন, তবে পরবর্তীতে ছেড়ে দেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ২৯ শতাংশ।

মৃত্যুর কারণের মধ্যে ধূমপানজনিত হৃদরোগ ও ক্যান্সারই বেশি বলে জানান গবেষকরা।

বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক মাইকেল সিগেল জানান, এ গবেষণা চলার সময়ের মধ্যে যারা ধূমপান ছেড়ে দেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসতে দেখা গেছে। তবে কমলেও তা অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশিই থেকে যায়।

সাবানের ফেনায় পৃথিবীর সবচেয়ে পাতলা ডিসপ্লে


সাবানের ফেনায় পৃথিবীর সবচেয়ে পাতলা ডিসপ্লে

পৃথিবীর সবচেয়ে পাতলা ডিসপ্লে তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা আর সেই ডিসপ্লেটি বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন সোপ বাবল বা সাবানের ফেনা দিয়ে। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিনেমাও দেখা যাবে এই সোপ বাবল স্ক্রিনে। খবর বিবিসির।

বিজ্ঞানীদের দাবি, এই সোপ বাবল ডিসপ্লেটিই বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা এবং স্বচ্ছ ডিসপ্লে। তাদের সোপ বাবল ডিসপ্লেটির বাবল বা ফেনার গঠন বাচ্চাদের খেলার জন্য তৈরি বাবল টয়ের তুলনায় একটু জটিল হলেও মূল উপাদান একই; আর তা হলো সাবান।

গবেষক দলটির দলনেতা টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়োইচি ওচিআই বলেন ‘একা একরকম সাধারণ জ্ঞানেই বলা চলে যে, সোপ বাবল আসলে একটি মাইক্রো মেমব্রেন। ফলে এটির ভেতর দিয়ে আলো যেতে পারে এবং এটি আলোর প্রতিফলনও ঘটায়। আমরা খুবই পাতলা এবং নরম একটি ডিসপ্লে তৈরি করেছি দুই ধরনের তরল ব্যবহার করে।’

অন্যান্য ডিসপ্লের সঙ্গে সোপ বাবল ডিসপ্লের স্বচ্ছতা এবং আলোর প্রতিফলনে রয়েছে অনেক পার্থক্য। একাধিক সোপ বাবল ডিসপ্লেকে একত্রিত করা হলে দর্শকদের অনেকটা থ্রিডি ডিসপ্লের অনুভূতি দিতে পারে তা। এমনকি হলোগ্রাফিক প্রজেকশনের ইফেক্টও তৈরি করতে পারে সোপ বাবল ডিসপ্লে।