শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো

হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো


হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো
করোনা আবহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বলছেন প্রত্যেকে। আমেরিকার আর্কাইভ অব বায়োফিজিক্স অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রির গবেষণা বলছে, টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। ফলে এগুলি মুক্ত মূলকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। এ ছাড়াও টমেটোতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। একটি মাঝারি আকারের টমেটোতে থাকে মাত্র ২৫ ক্যালরি। টমেটো ফাইবার সমৃদ্ধ একটি সবজি। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১২, ফোলেট, ক্রোমিয়াম এ সবই থাকে এতে। তাই পুষ্টিবিদরাও এই সবজি পাতে রাখতে বলছেন।

এই সবজিতে থাকে নানা রকমের ক্যারটিনয়েড। লাইকোপেন এবং বিটা-ক্যারোটিন। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসগুলি ক্রনিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়়াও এতে রয়েছে পটাসিয়াম। এটা মাঝারি আকৃতির টমেটোতে থাকে ৩০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। এক কাপ টমেটোর রসে যার পরিমাণ ৫৩৪ মিলিগ্রাম। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং পেশীর কার্যকলাপের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে এই সবজির।
রক্ত চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা রয়েছে লাইকোপেনের। এটি লিপিড পারঅক্সিডেশন কমায়। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণও কমায় এটি। টমেটোর বিটা-ক্যারোটিন মেটাবলিক সিনড্রোমের সম্ভাবনা কমায়। এই দু’টি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ছাড়াও নারিনজেনিন এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে টোম্যাটোতে। যেগুলি ফ্রি র‌্যাডিকালের গতিবিধি কমায়।
 
জার্নাল অব দ্য ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট বলছে, প্রস্টেট, ফুসফুস, পাকস্থলী, কোলন, রেক্টাম, খাদ্যনালী, মুখগহ্বর, স্তন, সার্ভিক্সের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন। ‘’টোম্যাটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, কোলনের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ক্যানসার প্রতিরোধী টমেটো রোজ খাওয়া যেতে পারে। তবে প্রচুর পরিমাণে নয়। কিডনির অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে টমেটো। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যার ক্ষেত্রেও এই সবজি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৪ দিনে বিমানবাহী রণতরীর আগুন নেভালো মার্কিন বাহিনী

৪ দিনে বিমানবাহী রণতরীর আগুন নেভালো মার্কিন বাহিনী


৪ দিনে বিমানবাহী রণতরীর আগুন নেভালো মার্কিন বাহিনীচার দিনের চেষ্টায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস বনোহোম রিচার্ডের আগুন নেভাভে সক্ষম হয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। অগ্নি নির্বাপন বাহিনীর চার শতাধিক সদস্য রাত-দিন চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে বলে এর আগে খবর এসেছিল।
আগুন নেভাতে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ও জাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডে রণতরীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোনো কোনো সূত্র বলছে, চার দিন ধরে আগুনে জ্বলার কারণে এটিকে হয়তো আর মেরামতের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা যাবে না।
মেরামতের জন্য শিপইয়ার্ডে অবস্থান করার সময় এতে আগুন লাগে। মেরামত শেষে রণতরীটির এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান নিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে যাওয়ার কথা ছিল বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
গত রবিবার সান ডিয়াগো শিপইয়ার্ডে ইউএসএস বনোহোম রিচার্ডে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটে, এরপর তাতে আগুন ধরে যায়। আগুন ধরার পর অন্তত ৬৩ জন আহত হয়েছে।
আগুন দ্রুতগতিতে জাহাজের টাওয়ারসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এসব তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন নৌ কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল ফিলিপ সোবেক।
ইউএসএস বোনোহোম রিচার্ডে নৌবাহিনীর এক হাজার সদস্য থাকার কথা কিন্তু মেরামতের জন্য শিপইয়ার্ডে অবস্থান করায় জাহাজটিতে মাত্র ১৬০ জন ক্রু ছিলেন।
মার্কিন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজে আগুন লাগার পর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ভিক্ষে করে জমানো লাখ রুপি রোদে শুকাতে দিলেন বৃদ্ধা

ভিক্ষে করে জমানো লাখ রুপি রোদে শুকাতে দিলেন বৃদ্ধা


ভিক্ষে করে জমানো লাখ রুপি রোদে শুকাতে দিলেন বৃদ্ধা
মন্দিরে মন্দিরে ভিক্ষা করে দিন কাটে তার। কয়েকদিন আগে ভাঙা বাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে। পরে ঘর পরিষ্কার করে জমানো টাকা রোদে শুকাতে দেন তিনি। এরপরই গ্রামের সবার চোখে পড়েন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালার কোট্টায়ামে। খবর নিউজ ১৮’র।
জানা যায়, ২৫ বছর ধরে ভিক্ষে করে ওই বৃদ্ধা যা টাকা পেয়েছেন তা সবই এক পোটলায় রেখেছেন। রোদে শুকাতে দিলে পুলিশ সে টাকা গুনে ব্যাংকে তার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে জমা দিয়ে দেয়। দেখা যায় ওই পোটলায় নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া নোটও ছিল। প্রায় ৩২ হাজার রুপির মতো অচল নোট পাওয়া যায়। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার সচল রুপি পাওয়া যায়। না খেয়ে ২৫ বছর ধরে এই টাকা সঞ্চয় করেছেন ওই বৃদ্ধা। নিজেও জানতেন না কত রুপি জমেছে!

সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০

বিরাটকে মাত্র ২১ দিন কাছে পেয়েছি, জানালেন আনুশকা শর্মা

বিরাটকে মাত্র ২১ দিন কাছে পেয়েছি, জানালেন আনুশকা শর্মা

বিরাটকে মাত্র ২১ দিন কাছে পেয়েছি, জানালেন আনুশকা শর্মা!
বিয়ের পর প্রথম ৬ মাস বিরাটের সঙ্গে মাত্র ২১ দিন কাটিয়েছি। আমি দিন গুনে রাখতাম। আর তাই যেটুকু সময় যে ক'টা দিন আমাদের দেখা হয়েছে সেই প্রতিটা মুহূর্ত ছিল আমার কাছে খুব দামি। সহজ স্বীকারোক্তি আনুশকা শর্মার।

বিয়ের পর তিনি এবং বিরাট কোহলি দু'জনেই পেশার জন্য খুব ব্যস্ত থাকতেন। দেখা বলতে ভরসা ছিল ভিডিও কল। কিংবা কখনও খুব শর্ট ট্রিপ। বিরাটের যেখানে খেলা থাকত সেখানে হয়তো আনুশকা কোনও রকমে একটা দিন ব্যবস্থা  করে দেখা করতেন বা কখনও বিরাট পৌঁছে যেতেন আনুশকা শ্যুটিং স্পটে। কিন্তু এভাবে দু'জনেই হাঁপিয়ে উঠছিলেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন আনুশকা শর্মা। তিনি আরও জানান, 'সকলেই ধরে নিতেন আমি যখন বিরাটের সঙ্গে দেখা করতে আসি বা ও যখন আমার সঙ্গে দেখা করতে যায় তা হল ছুটি। কিন্তু কাজের মাঝে ওভাবে ছুটি হয় না। কারণ আমরা টানা কাজ করে যেতাম। আমরা বিয়ের পর প্রথম ছ'মাস একসঙ্গে মোটে ২১ দিন থেকেছি। আমি গুনে দেখেছি। আর তাই যখন আমাদের দেখা হত তখন অন্তত একসঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনারটা করবো সেটা তো খুবই স্বাভাবিক। এই প্রতিটা মুহূর্ত আমার কাছে ছিল খুব গুরুত্বপূরর্ণ।
আর তাই লকডাউনে এই প্রথম দু'জনে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পারলেন। আড্ডা, গল্প খাওয়া ইত্যাদি তো ছিলই। সেই সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা, একসঙ্গে ওয়েব সিরিজ দেখা সবই করেছেন। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টই এর প্রমাণ। এমনকি, এই লকডাউনে বিরাটের সঙ্গে ক্রিকেটও খেলেছেন আনুশকা
সেই সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেন, আমরা প্রতিদিন একে অপরকে ভালোবাসি। আমাদের সম্পর্কে সবসময় প্রেমই প্রাধান্য পায়, পাচ্ছে এবং প্রেমই আমাদের সম্পর্ককে এমন ভালোবাসায় বেঁধে রেখেছে। আর তাই আমরা অনুভব করি মোটে এই কয়েকবছর নয়। জন্ম জন্মান্তর ধরে আমরা একে অপরকে চিনি আর ভালোবাসি।

শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০

ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে হাঁচি, কাশি ছাড়াও চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি ঝড়ার সমস্যা, শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে র‌্যাশও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মুঠো মুঠো অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে! তাই ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগানো যেতে পারে। 
১. বেশি করে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া। সবুজ শাক-সবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে অ্যালার্জির প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে। সবুজ শাক-সবজি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের (মিনারেল) যোগান দেয়।
  
২. ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে। গ্রিন টি-এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদান অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। চোখে লাল ভাব, র‌্যাশ বেরনো ইত্যাদি রুখতে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
  
৩. ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় ঘি খেয়ে দেখা যেতে পারে। ফল পাওয়া যাবে ম্যাজিকের মতো। ঘি প্রাকৃতিকভাবে যে কোনো ধরনের অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। এক চামচ ঘি তুলোয় লাগিয়ে সরাসরি র‌্যাশে আক্রান্ত ত্বকে লাগান। ত্বকের জ্বালা ভাব, অস্বস্তি অনেকটাই কমে যাবে। প্রতিদিন ১ চামচ করে ঘি খেতে পারলে ঠান্ডা লাগা বা অ্যালার্জির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।
  
৪. মাথা যন্ত্রণা, বন্ধ নাক, চোখ-নাক দিয়ে জল পড়া ইত্যাদির সমস্যায় একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল ফেলে তার ভাপ (ভেপার) নিন। এতে বন্ধ নাক খুলে যাবে, নাকের ভিতরে অ্যালার্জির কারণে হওয়া অস্বস্তিও কমে যাবে।