মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

কখন, কীভাবে রোদ থেকে বেশি পাবেন ভিটামিন ‘ডি’

কখন, কীভাবে রোদ থেকে বেশি পাবেন ভিটামিন ‘ডি’


কখন, কীভাবে রোদ থেকে বেশি পাবেন ভিটামিন ‘ডি’?

ভিটামিন ‘ডি’শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এর ঘাটতিতে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ-স্ট্রোক, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও দৈহিক স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকতে পারে।
ভিটামিন ‘ডি’ এর ঘাটতি বর্তমানে সারাবিশ্বের একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যা।
ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম উৎস সূর্যের আলো। এছাড়া বিভিন্ন খাবারেও ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। বাকি ২০ শতাংশ আসে বিভিন্ন খাবার থেকে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক- দিনের কোন সময়, কীভাবে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ‘ডি’ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এবং কারা সূর্য থেকে বেশি পরিমাণে এই ভিটামিন সংগ্রহ করতে পারে?
দিনের কোন সময় সূর্য থেকে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়?
দিনের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে যখন সূর্য আকাশের সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করে, তখন শরীরের ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন করে। তবে দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড রোদে অবস্থান করলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
রোদে যেভাবে থাকলে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়
শরীরের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবেন তত বেশি ভিটামিন ‘ডি’ সূর্য থেকে পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে রোদে অবস্থান করার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে আরও বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
কারা সূর্য থেকে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ পায়?
ত্বকের রং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরিকে প্রভাবিত করে। ত্বকের রং যত গাঢ় (যদি ত্বকে বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশে তত বেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রং যত কালো, তাকে তত বেশি সময় রোদে থাকতে হবে।
শ্বেত বর্ণের মানুষের শরীরের কৃষ্ণ বর্ণের মানুষের চেয়ে দ্রুত ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয়।

কাঁচা পেঁপের এত গুণ

কাঁচা পেঁপের এত গুণ


কাঁচা পেঁপের এত গুণ!
কাঁচা পেঁপে একটি বারোমাসি ফল। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। নানা রোগের মহৌষুধ হিসেবে কাজ করে এই ফল।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা পেঁপের গুণাগুণ সম্পর্কে:-
১. কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃৎপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২. পেঁপেতে থাকা আঁশ ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা অম্লতা, পাইলস ও ডায়রিয়া দূর করতে পারে। মানুষের শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পেঁপে দারুণ কার্যকর।
৩. যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। খেতে পারেন কাঁচা পেঁপের জুসও। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়।
৪. কাঁচা পেঁপেতে নানা রকম প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি এনজাইম হচ্ছে সাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন। এই দুটি এনজাইম প্রোটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সাহায্য করে।
৫. নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ করে ব্রণ এবং ত্বকের ওপর নানা দাগ দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে। মৃত কোষ সমস্যা দূর করতে পারে পেঁপে।
৬. যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। 
৭. প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাবারের পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খান। তারপর এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের সমস্যাও দূর হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করে আমলকি

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করে আমলকি


কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করে আমলকি
আমলকি ভেষজ গুণে অনন্য একটি ফল। এর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও আমলকি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
 
চলুন জেনে নিই আমলকি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে-
১. আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
২. আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
৩. এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
৪. আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে।
৫. প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৬. আমলকির রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আমলকি চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 
৭. প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। আমলকির টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি অনেক উপকারী। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।
৯. শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
১০. ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

সহজ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হাঁটু, কনুইয়ের কালচে দাগ

সহজ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হাঁটু, কনুইয়ের কালচে দাগ


সহজ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হাঁটু, কনুইয়ের কালচে দাগ

আমরা প্রায় সকলেই মুখের ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি। কিন্তু নিয়মিত পরিচর্যায় মুখের উজ্জ্বলতা বাড়লেও কনুইয়ের কালচে দাগ তোলার ব্যপারে আমরা অনেকেই উদাসীন। কনুইয়ের এই কালচে ভাব বেমানান আর দৃষ্টিকটূ। এই দাগ সহজে যেতেও চায় না। 
তবে এমন কয়েকটি ঘরে তৈরি প্যাক রয়েছে যেগুলি কাজে লাগিয়ে হাঁটু বা কনুইয়ের কালচে দাগ সহজেই দূর করা যায়। আসুন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক-
১) চিনি আর পাতিলেবুর প্যাক:

উপকরণ: ১টি পাতিলেবু আর ১ চামচ চিনির রস।
পদ্ধতি: ১ চামচ চিনি পানিতে গুলিয়ে রস করে নিন। এবার ১টি পাতিলেবুকে সমান দু’ভাগে কেটে ফেলুন। এই অর্ধেক পাতিলেবুর মধ্যে চিনির রস দিয়ে কনুইয়ে ১০ মিনিট ভাল করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করলে দ্রুত ফল পাবেন। এই পদ্ধতিতে ঘাড়, পিঠ বা হাঁটুর কালচে ভাবও দূর করা সম্ভব।

২) দই, বেসন ও পাতিলেবুর প্যাক:
উপকরণ: ১ চামচ বেসন, ১ চামচ টকদই, ১ চামচ পাতিলেবুর রস আর ১ চামচ চিনি।
পদ্ধতি: সবকটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে কনুইয়ে অন্তত ১০ মিনিট মালিশ করুন। তারপর ৫ মিনিট রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে সপ্তাহে ২ দিন করলে দ্রুত ফল পাবেন।

৩) চিনি আর অলিভ অয়েল:
উপকরণ: ১ চামচ চিনি আর ১ চামচ অলিভ অয়েল।
পদ্ধতি: চিনির সঙ্গে অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে কনুইয়ে ১০ মিনিট ভাল করে মালিশ করুন। তারপর ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক আপনি স্ক্রাবিং করার জন্য হাত-পায়ের যে কোনও অংশেই ব্যবহার করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে উপাদানগুলির পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে হবে।

এক বছর মাংস না খেলে কেমন হবে শারীরিক অবস্থা

এক বছর মাংস না খেলে কেমন হবে শারীরিক অবস্থা


এক বছর মাংস না খেলে কেমন হবে শারীরিক অবস্থা!

প্রতিদিন না হলেও কারও কারও সপ্তাহে তিন-চার দিন মাছ-মাংস ডায়ের্ট চার্টে থাকে। তবে কখনও যদি কেউ টানা একবছর মাংস না খায় তাহলে কী হতে পারে তা কি কখনও ভেবেছেন? চলুন আজ জেনে নিব যদি টানা একবছর কেউ মাংস না খায় তবে তার শারীরিক অবস্থা কেমন হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এক বছর মাংস না খেয়ে শুধু ভাত-ডাল শাকসবজি, ফলমূলের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা যায়, তবে অন্তত ওজন গড়ে দশপাউন্ড করে কমে যাবে। 
কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দেখা যাচ্ছে শাকাহারিদের মধ্যে এই রোগের সম্ভাবনা অনেক কম। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কয়েক গুণ কমবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু এর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রসেসড মিট। যারা বেকন, সসেজ, সালামিতে ডুবে রয়েছেন তাদের ডায়াবিটিস, ক্যানসার সম্ভাবনা খুবই বেশি। কাজেই মাংস থেকে দূরে থাকলে এই ভয়গুলো থেকেও মুক্তি।