বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর

তেলাপোকার ভয়ে ১৮ বার বাসা বদল করেও রেহাই নেই, অতঃপর…
কেউ কেউ তেলাপোকা ভয় পান। তাই চোখের সামনে দেখলে কী করবেন বুঝতে পারেন না। চেঁচামিচি লাফালাফি শুরু করে দেন।তেলাপোকার ভয় নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তেলাপোকা দেখলে ভীষণ ভয় স্ত্রীর। আর সেই ভয়ের কারণেই এক দম্পতি তিন বছরে ১৮ বার বাসা বদলেছেন। ২০১৭ সালে বিয়ের পর স্বামী প্রথম জানলেন স্ত্রী তেলাপোকা ভয় পান। স্ত্রীর তেলাপোকা ভীতি কাটানোর জন্য স্বামী একাধিক মনোবিদকেও দেখিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলাপোকা দেখে মাত্রাতিরিক্ত এই ভয় আসলে একটি রোগ। একে বলা হয় ‘কাটসারিডফোবিয়া’। নির্দিষ্ট চিকিৎসা করালে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

রান্না ঘরে একদিন তেলাপোকা দেখে এমন চিৎকার করেছিলেন স্ত্রী যে, প্রকৌশলী স্বামী একেবারে হতভম্ব হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই স্ত্রীর চিৎকারের কারণ বুঝতে পারেন তিনি। যেখানেই যান, তেলাপোকা যেন পিছু ছাড়ে না। আর এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিকে দেখা মাত্রই স্ত্রী আর সেই বাসায় থাকতে চান না। চলে নতুন বাসার খোঁজ-খবর। কিন্তু কয়েকদিন পরপরই এই বাসা বদলাতে গিয়ে স্বামী বেচারা বেশ ‘ক্লান্ত’। এবার তাই বিচ্ছেদ চাইছেন তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার কাউন্সেলিংও করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। তিনি এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করবেন বলেই ঠিক করেছেন। স্বামীর অভিযোগ, তার স্ত্রী চিকিৎসা করাতে বা ওষুধ খেতে রাজি না।

বেতনসহ ছুটি আদায় করতে একই স্ত্রীকে ৪ বার বিয়ে, ৩ বার ডিভোর্স

বেতনসহ ছুটি আদায় করতে একই স্ত্রীকে ৪ বার বিয়ে, ৩ বার ডিভোর্স

বেতনসহ ছুটি আদায় করতে একই স্ত্রীকে ৪ বার বিয়ে, ৩ বার ডিভোর্স!
অফিস থেকে বেতনসহ ছুটি আদায় করার জন্য একই স্ত্রী’কে তিন বার ডিভোর্স দিয়ে চার বার বিয়ে করলেন তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের এক ব্যক্তি। শেষ বার বিয়ের ৩৭ দিনের মাথায় স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। তার একটাই উদ্দেশ্য, বৈতনিক ছুটিকে আরও দীর্ঘায়িত করা।

গত বছরের ৬ এপ্রিল বিয়ে করেন ব্যাংক পেশায় কর্মরত ওই ব্যক্তি। তখন তিনি ৮ দিনের বৈতনিক ছুটি পান।

ছুটি শেষ হওয়ার কিছু দিনের মাথায় স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। তারপর ফের বিয়ের জন্য ছুটির আবেদন করেন এবং একই মেয়েকে বিয়ে করেন। এভাবে মোট তিন বার স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেন ওই ব্যক্তি। আর মোট বিয়ে করেন চার বার।

আসলে ব্যাংকের কাছে আবেদন করেও অতিরিক্ত সবেতন ছুটি পাচ্ছিলেন না ওই ব্যক্তি। বারবার আবেদন করেও প্রত্যাখ্যাত হন তিনি।এরপরেই বিয়ের ফন্দি আঁটেন। চার বার বিয়ে করার জন্য ৩২ দিনের সবেতন ছুটির আবেদন করেন তিনি।

কিন্তু চতুর্থবারে বিষয়টি ব্যাংকের নজরে আসে। খোঁজ নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে ছুটি পেতে ওই ব্যক্তি একই নারীকে বারবার বিয়ে করছেন আবার ডিভোর্স দিচ্ছেন। এরপরই ব্যাংক ওই ব্যক্তিকে ফের ছুটি দিতে অস্বীকার করে।

তবে ওই ব্যক্তির ভাষ্য, তিনি আইন লঙ্ঘন করে কিছু করেননি। এরপর ব্যাংকের বিরুদ্ধে তাইপে সিটি লেবার ব্যুরোতে অভিযোগ করেন তিনি।

তদন্তে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্য অসৎ হলেও তিনি আইনের বাইরে কিছু করেননি। তাইওয়ানের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো কর্মচারী বিয়ে করলে ব্যাংক তাকে আট দিনের বৈতনিক ছুটি দিতে বাধ্য। ব্যাংক তা পালন না করে আইন ভেঙেছে। এ অপরাধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ২০ হাজার তাইওয়ান মুদ্রা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়।

বুলগেরিয়ার গুহায় ৪৫ হাজার বছর আগের 'রহস্যময়' মানবচিহ্ন

বুলগেরিয়ার গুহায় ৪৫ হাজার বছর আগের 'রহস্যময়' মানবচিহ্ন

বুলগেরিয়ার গুহায় ৪৫ হাজার বছর আগের 'রহস্যময়' মানবচিহ্ন
বুলগেরিয়ার ড্রায়ানোভো শহরের বাচো কিরো গুহায় মিলেছে মানবজাতির অতিপ্রাচীন দেহাবশেষ। সেই অবশেষের ডিএনএ টেস্ট করে দেখা যাচ্ছে, তা ৪৫ হাজার বছর আগের মানুষের!   

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই অবশেষ পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে এর মধ্যে রয়েছে নারী ও পুরুষ উভয়ের নিদর্শন। এর মধ্যে রয়েছে তিন পুরুষের দেহাংশ যা ৪৫,০০০ বছরের পুরনো। পাওয়া গেছে এক নারীর দেহাংশও। তবে সেটি ৩৫,০০০ বছরের পুরনো।

কিন্তু তথ্য হলো হোমো সেপিয়েন্স এ গ্রহে প্রথম এসেছিল তিন লাখ বছর আগে আফ্রিকায়। পরে সেখান থেকে তারা অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। তা হলে বুলগেরিয়ার এই গুহায় যে নিদর্শন মিলল তা কি আফ্রিকা থেকেই আসা? এখানে নিয়ান্ডার্থাল গোষ্ঠীর মানবজাতি সঙ্গে হোমো সেপিয়েন্সের একটা তুল্যমূল্য আলোচনার অবকাশও তৈরি হয়ে যায়।

এ গ্রহ থেকে মোটামুটি ৪০,০০০ বছর আগেই মুছে গিয়েছে নিয়ান্ডার্থাল গোষ্ঠীর রাজত্ব। এর পরে ক্রমে শুরু হয় হোমো সেপিয়েন্সের পর্ব।

ব্যাগটি দেখতে বিমানের মতো, দাম প্রকৃত বিমানের চেয়েও বেশি

ব্যাগটি দেখতে বিমানের মতো, দাম প্রকৃত বিমানের চেয়েও বেশি


ব্যাগটি দেখতে বিমানের মতো, দাম প্রকৃত বিমানের চেয়েও বেশি
‘কীপল’ নামের এই ব্যাগটি দেখতে একেবারেই যেন খুদে বিমান
শীর্ষ ফরাসি ফ্যাশন হাউসের অন্যতম লুই ভিটনের একটি ব্যাগ নিয়ে অনলাইনে চলছে তুমুল রসিকতা আর বিতর্ক। ব্যাগটির নকশা করেছেন লুই ভিটনের মেনসওয়্যার কালেকশনের শিল্প পরিচালক ভার্জিল আবলোহ। বিমান আকৃতির এই ব্যাগটির দাম ধরা হয়েছে একক ইঞ্জিনচালিত একটি প্রকৃত বিমানের চাইতেও বেশি! 

ভার্জিল আবলোহ’র বিশেষত্ব হলো তিনি, যা কিছুই নকশা করেন, তার পেছনে ব্যক্তিগত দর্শন ও ভাবনাকে এক করে ফেলেন। ফলে মাঝেমাঝেই এসব ভাবনা উদ্ভট নকশার খোরাক জোগায়। আবলোহ’র নকশাকৃত পণ্যও প্রায়ই সমালোচক এবং ফ্যাশন অনুরাগীদের বিভক্ত করে ফেলে। 

গত জানুয়ারিতে পুরুষদের জন্য আসন্ন ফ’ল বা উইন্টার কালেকশন প্রকাশ করে লুই ভিটন। বিখ্যাত স্থাপত্য ও জনপ্রিয় সব ল্যান্ডমার্কের অনুকরণে সেসব পোশাকের নকশা করা হয়। কিন্তু সব ছাপিয়ে নেটিজেনদের আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছে এই কালেকশনের একটি ব্যাগ- কেননা বিমান আকৃতির ব্যাগটির গায়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছে ৩৯ হাজার ডলারের ‘প্রাইস ট্যাগ’। 

পাখা, চাকা, ইঞ্জিন- সবমিলিয়ে ‘কীপল’ নামের এই ব্যাগটি দেখতে একেবারেই যেন খুদে বিমান। শুধু বাড়তি হিসেবে লুই ভিটনের অন্য সব পণ্যের মতো এর গা জুড়েও প্রতিষ্ঠানটির মনোগ্রাম। 

আবলোহ’র এই বিমান সদৃশ হ্যান্ডব্যাগের ছবিগুলো কয়েক মাস ধরে অনলাইনে প্রকাশিত হয়ে থাকলেও ‘ভাইরাল’ হয়েছে সম্প্রতি। আমেরিকান ই-কমার্স সাইট ইবে-তে একটি সিঙ্গেল ইঞ্জিনের তৈরি সেসনা বিমানের মূল্যমান ৩২ হাজার ৩০০ ডলার। অন্যদিকে এই ব্যাগের দাম এর প্রায় ৬ হাজার ডলার বেশি! ব্যস টুইটারে একজন ব্যবহারকারী এই তুলনা প্রকাশ করতেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। 

গুগল ম্যাপস দেখে অন্য কনের বাড়িতে পৌঁছে গেল বরযাত্রী

গুগল ম্যাপস দেখে অন্য কনের বাড়িতে পৌঁছে গেল বরযাত্রী

'গুগল ম্যাপস' দেখে অন্য কনের বাড়িতে পৌঁছে গেল বরযাত্রী!
অচেনা ঠিকানায় পৌঁছতে গুগল ম্যাপস খুবই ভরসাযোগ্য এখন মানুষের কাছে। কিন্তু বিয়ের দিন গুগল ম্যাপস দেখে অন্য কনের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন বরযাত্রীরা। ইন্দোনেশিয়ার এই ঘটনা ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।

জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ায় একটি গ্রামে একই দিনে দুই আলাদা কনের বিয়ে ও বাগদানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। অন্য এলাকা থেকে আসা বরযাত্রীরা গুগল ম্যাপসের সহায়তা নিয়ে বিয়ের কনের বাড়িতে না ঢুকে বাগদান হচ্ছিল যে মেয়েটির তার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। 

এরপর বেশ কিছুক্ষণ না জেনেই সেখানে সময় কাটিয়েও ফেলেন তারা। অবশেষে মেয়ের বাড়ির লোকেরাই বুঝতে পারেন যে কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। এরপর বিষয়টি স্পষ্ট হতেই শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যায় বরপক্ষ। এই ঘটনায় অবাক হয়ে ঐ বাড়ির মেয়েটিও। 

উলফা নামের ওই যুবতী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'বাগদানের জন্য আমি তখন মেক-আপ আর্টিস্টের কাজে সাজতে ব্যস্ত ছিলাম। তখন বরযাত্রীর ওই দলটি সেখানে আসে। আমি তাদের দেখতেও পাইনি। এদিকে, আমার পরিবার টাদের অভ্যর্থনা জানায়। উপহার আদান-প্রদানও হয়। তারপরই সবার ভুল ভাঙে। টারা জানায়, গুগল ম্যাপস ব্যবহার করায় এই ভুলটি হয়েছে।' 

পরবর্তীতে অবশ্য উলফার বাড়ির লোকজনই ওই বরযাত্রীদের সঠিক বাড়িতে পৌঁছাতে সাহায্য করে।