শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩

মেয়েরা বুকে ওড়না না দিয়ে গলায় দেয় কেন?

মেয়েদের ওড়না সরিয়ে বুক প্রদর্শন অনেকটা ছেলেদের মাসল দেখানোর মতো। চওড়া কাধ ছেলেদের ব্যক্তিত্ব+সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তুলে। তেমনি নিজের কাছেও ভালো লাগে। এবং যা আড়াল করা সম্ভব নয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই । তবে সাথে যোগ হয়েছে বুক। যা কাধ সমতুল্য এবং আরো কিছু বেশি।

মেয়েদের বুক অনেকাংশেই শিশ্ন বা যোনীর মতো আড়াল করার বিষয় নয়। বা সম্ভব নয়। মেয়েটি যতই হিজাব পড়ুক আর পর্দা করুক। তার কাধের প্রস্থ সে আড়াল করতে পারে না। ফলে ইহা ব্যক্তিত্ব+সৌন্দর্য্য। তেমনি বুকও।

যদিও বুক ছেলেদের উত্তেজিত করতে পারে। এক অর্থে ইহা সরাসরি গোপনাঙ্গ নহে। ইহা গোপন অঙ্গের মতো আড়াল করাও যায় না। আর মেয়েরা ওড়না পড়ে পরিপূর্ণভাবে একে আড়াল করে না বা করতেও চায় না। ব্যপারটাই আংশিক। নারীর বুক ও কাধ পুরুষের শিশ্নের মতো নয় যে প্যান্টের নীচে আন্ডারপ্যান্ট পড়ে একে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে।

আরেকটি বিষয় ছেলে মেয়ে উভয়ের বুক/কাধ বাহ্যিক ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলে যা যৌনাঙ্গ করে না। যার ফলে কেউ যদি বুককে গোপনাঙ্গের মতো আড়াল করতে চায় তবে ইহা ব্যর্থ চেষ্টা ও ধর্মীয় পাগলামি ছাড়া কিছুই না। কারন ফিজিক্স/পদার্থ বিজ্ঞান।

তাই মেয়েরা বুক আংশিক ঢাকতে পছন্দ করে। যখন কোন পুরুষের কামুক দৃষ্টি পড়ে তখন ওড়না টেনে এডজাস্ট করে। ছেলেরা আন্ডারওয়ার পড়ে যাতে পেনিসের উত্থান কোনভাবেই দৃশ্যমান না হয়। সে অর্থে বুক এতোটা গোপন অঙ্গ নয়। যদিও ধর্ম একে পুরোপুরি গোপন অঙ্গের তালিকায় ফেলেছে যা ভ্রান্ত।

মেয়েরা বুককে শিশ্ন বা যোনীর মতো লজ্জাজনক ভাবলে কখনোই স্বপ্রণোদিত হয়ে বুক প্রদর্শন করতো না।

কিন্তু মেয়েরা যেকোন মূল্যে কিছুটা হলেও বুক প্রদর্শন করে। ছেলেরা কখনো রাস্তাঘাটে শিশ্ন প্রদর্শন করে না। বিশ্বাস না হলে টিকটক ভিডিও দেখেন। শপিং কমপ্লেক্স বা মার্কেটে যান। দেখবেন মুসলিম দেশ ও ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেয়েরা স্বপ্রণোদিত হয়ে বুক প্রদর্শন করে চলছে। কেন তারা এমনটি করছে তারা নিজেরাও জানে না। এটাই বিবর্তন। এর কারন একমাত্র বিবর্তন( evolution)। দয়া করে বুককে শিশ্ন বা যোনীর মতো ভাবা ছেড়ে দিন।

ক)হালকা ক্লিভেজ প্রদর্শন। যদিও কম।

খ) ওড়না ঠিক মতো না পড়া কিংবা একদম না পড়া।

গ) ব্রা পড়ে বুককে রাউন্ড ও ফুল ব্রেস্ট দেখানোর চেষ্টা।

ঘ) টাইট জামা এমনভাবে পড়া। যাতে বুক সুডৌল দেখায়।

ঙ) ছোট বুককে আড়াল করতে বড় প্যাচানো ওড়না পড়া।

ইসলামি কালচার আগমনের পূর্বে আর কোন কালচারকে দেখিনি বুককে কখনো পুরোপুরি শিশ্নের/যোনীর মতো গোপনাঙ্গের পর্যায়ে ফেলতে।

ইন্দোনেশিয়া উপজাতি কালচার:

হিন্দু কালচার: ব্লাউজ পড়ে শাড়ি পড়ে। কিন্তু নাভি ঢাকে না।

বৌদ্ধ কালচার: ওড়নার প্রচলন নেই। মায়ানমার, থাইল্যান্ড কোথাও ওড়না ব্যবহৃত হয় না।

ইন্দোনেশিয়ার বালিসহ অধিকাংশ উপজাতি কালচার ও আদিবাসীদের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে বুঝা যায় মেয়েদের ওড়না পড়াতো দূরের কথা বুক ঢাকার সংস্কৃতি বেশি দিন আগের নয়।

বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩

নারীর শখ মিটেনা এক শাড়িতে আর পুরুষের শখ মিটেনা এক নারীত

কথায় বলে, ‘‘ নারীর শখ মিটেনা এক শাড়িতে আর পুরুষের শখ মিটেনা এক নারীতে ’’?

কিন্তু কেন এক নারীতে পুরুষের শখ মিটেনা সেটা কি জানেন?

স্ত্রীর উচিৎ স্বামীর জন্য ঘরে প্রতিদিন নব নব রূপে সেজে থাকা। স্বামীটি সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘরে ফিরে যখন দেখবে তার প্রিয়তমা স্ত্রী নব বধু রূপে তারই সন্মুখে দাঁড়িয়ে আছে !তখন স্বামীটি যারপরনায় খুশী হবে এবং স্ত্রীকে নব বধু রূপে আবিস্কার করে অভিভূত হবে,মুগ্ধ হবে! স্ত্রীকে আদর করে জড়িয়ে ধরবে,সোহাগে সোগাগে ভরিয়ে তুলবে। এমন অবস্থা সৃষ্টি করতে পারলে সংসারে অনাবিল সুখ,সমৃদ্ধি ও আনন্দের ঝর্ণা ধারা প্রবাহিত হবে। সুতরাং প্রতিটি সংসারে এ অবস্থা তৈরি হলে কখনও কোন পুরুষ পর নারীতে আসক্ত হবে না। ১০০০% নিশ্চয়তা দিতে পারি।

সুখের নীড়!

নারী দের যোনি স্রাব ( vaginal discharge ) সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য

 নারী দের যোনি স্রাব ( vaginal discharge ) সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য

প্রত্যেকটি নারীরই বয়ঃশন্ধির এক বা দু বছর আগে থেকে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা স্রাব নির্গত হতে পারে যা মেনোপজ এর পর বন্ধ হয়ে যায়। সারভিক্স এবং যোনির সেক্রেশন, পুরনো কোষ এবং স্বাভাবিক যোনির ব্যাকটেরিয়ার সমন্বয়েই তৈরি হয় এই স্রাব যা যোনিকে পিচ্ছিল রাখে এবং জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

মেয়েদের শরীরে এই যোনি শুধু জন্ম দিতেই তৈরি হয়নি, তার আরও অনেক গুরুত্ব আছে যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। আর সময় বিশেষে এই যোনি বা ভ্যাজাইনা (Vagina) থেকে যে তরল বেরিয়ে আসে, তাকেই যোনিস্রাব বা Vaginal Discharge বলা হয়। এই যোনিস্রাবের রং বা ঘনত্ব সময় বিশেষে বদলে যায়। শরীরের ভিতর কোনও অসুবিধা সৃষ্টি হলে এই যোনিস্রাবের মাধ্যমে অনেকসময় তা শনাক্ত করা যায়। কোন স্রাব স্বাভাবিক আর কোনটাই বা অস্বাভাবিক, সেটা বোঝা থাকলে অনেক জটিল রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।


যোনি স্রাব এর কারণ কি?

।।

স্বাভাবিক যোনি স্রাব মৃত ত্বক কোষ এবং ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে আপনার যোনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি একটি শ্লেষ্মা মত জমিন সঙ্গে সাদা. এটি গন্ধহীন এবং আপনার যোনিতে জ্বালা বা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে না।

আপনি যদি সাধারণত আপনার যোনিপথের থেকে বেশি তরল দেখেন এবং এটি আপনার যোনিতে চুলকানি বা জ্বলন্ত সংবেদন সৃষ্টি করে, তাহলে এটি অস্বাভাবিক যোনি স্রাবের লক্ষণ হতে পারে।

যোনিপথে স্রাবের কিছু কারণ নিম্নরূপ:

১. ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস একটি সাধারণ সংক্রমণ যা ঘটতে পারে যদি আপনি একটি নতুন সঙ্গীর সাথে যৌনভাবে সক্রিয় হন। BV একটি খুব দুর্গন্ধযুক্ত এবং জলযুক্ত যোনি স্রাব প্ররোচিত করে।যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি আপনাকে যৌন সংক্রামিত সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

২. গনোরিয়া এবং ক্ল্যামিডিয়ার মতো যৌন সংক্রামিত সংক্রমণ অস্বাভাবিক যোনি স্রাবকে প্ররোচিত করতে পারে। স্রাব সবুজ এবং হলুদ হবে।আপনি অন্যান্য উপসর্গগুলিও অনুভব করতে পারেন যেমন পেটে ব্যথা, মাসিকের সময় ভারী রক্তপাত, যৌন মিলনের পরে রক্তপাত এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বলন্ত।

৩. খামির সংক্রমণ সাধারণত ক্যান্ডিডা নামক একটি নির্দিষ্ট ধরণের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে সর্বদা উপস্থিত থাকে, তবে সংক্রমণের ক্ষেত্রে এটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। খামির সংক্রমণ সাধারণত একটি ঘন সাদা যোনি স্রাব তৈরি করে যা চুলকানি হতে পারে এবং যৌন মিলনের সময় ব্যথা হতে পারে।

৪. শরীরে ইস্ট্রোজেনিক হরমোনের কম পরিমাণের কারণে যোনি প্রাচীর পাতলা এবং শুকিয়ে যাওয়াকে ভ্যাজাইনাল অ্যাট্রোফি বলা হয়। এটি মেনোপজকালীন মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং যোনিপথে স্রাব এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে।এটি কখনও কখনও যোনি খালের শক্ত হয়ে যেতে পারে।

৫. ক্ল্যামাইডিয়ার মতো যৌনবাহিত সংক্রমণ প্রায়শই পেলভিক প্রদাহজনিত রোগের কারণ হয়। এটি ফ্যালোপিয়ান টিউব, জরায়ু, সার্ভিক্স এবং ডিম্বাশয় সহ একজন মহিলার প্রজনন অঙ্গকে সংক্রামিত করে। এই রোগটি ভারী যোনি স্রাব এবং নীচের পেটে ব্যথা প্ররোচিত করে।


যোনি স্রাব কতো ধরনের হয়?

।।

  • সাদা যোনি স্রাব

সাদা যোনি স্রাব সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং ইঙ্গিত করে যে আপনার যোনি এবং জরায়ু থেকে মৃত ত্বকের কোষ এবং ব্যাকটেরিয়া সরানো হচ্ছে।

  • ঘন সাদা যোনি স্রাব

যদি যোনি স্রাব সাদা তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ঘন হয় তবে এটি একটি খামির সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এটি যোনি এলাকার কাছাকাছি চুলকানি হতে পারে।

  • ধূসর বা হলুদ যোনি স্রাব

একটি অত্যন্ত খারাপ মাছের গন্ধ সহ ধূসর এবং হলুদ যোনি স্রাব একটি খামির সংক্রমণ নির্দেশ করে। এর অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে কিছু হল চুলকানি, জ্বালাপোড়া এবং যোনি বা ভালভা ফুলে যাওয়া।

  • হলুদ মেঘলা যোনি স্রাব

মেঘলা হলুদ যোনি স্রাব গনোরিয়ার লক্ষণ। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিই যাতে এটি পরীক্ষা করা যায়।

  • যোনিপথে হলুদ ও সবুজাভ স্রাব

আপনি যদি একটি হলুদ এবং সবুজাভ যোনি স্রাব পর্যবেক্ষণ করেন যা টেক্সচারেও ফেনাযুক্ত, তবে এটি ট্রাইকোমোনিয়াসিসের লক্ষণ হতে পারে। ট্রিচ নামেও উল্লেখ করা হয়, এটি একটি যৌনবাহিত রোগ।

  • বাদামী এবং লাল যোনি স্রাব

গাঢ় লাল এবং বাদামী যোনি স্রাব সাধারণত অনিয়মিত মাসিক চক্রের কারণে বা গর্ভাবস্থায় ঘটে।

  • গোলাপী যোনি স্রাব

গোলাপী যোনি স্রাব স্রাব হয় না কিন্তু গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের পরে জরায়ুর আস্তরণের স্রাব হয়। কখনও কখনও এটি ইমপ্লান্টেশন রক্তপাতকেও বোঝাতে পারে।


যোনি স্রাবের চিকিত্সা কি কি?

যোনি স্রাবের চিকিত্সা নির্ভর করবে অন্যান্য লক্ষণগুলির উপর যা আপনি এটির সাথে অনুভব করেন এবং এর রঙ এবং গঠন। আপনি যখন একজন ডাক্তারের কাছে যান, তখন তারা আপনাকে তাদের নমুনা সরবরাহ করতে বলতে পারে যা একটি মাইক্রোস্কোপের নীচে পর্যালোচনা করা হবে।

নিশ্চিত করুন যে আপনি ডাক্তারকে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করেছেন। তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে এমন কিছু সাধারণ প্রশ্ন হল:

আপনি কতবার যোনি স্রাব অনুভব করেন?

স্রাবের জমিন কি?

স্রাবের রং কি?

রং কি ঘন ঘন পরিবর্তন হয়?

আপনার যোনি স্রাব কোন গন্ধ আছে?

আপনি কি আপনার যোনি স্রাবের সাথে চুলকানি এবং জ্বালা অনুভব করেন?

অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষায় পেলভিক পরীক্ষা, প্যাপ স্মিয়ার এবং পিএইচ পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এটি ডাক্তারকে অবস্থাটি ঘনিষ্ঠভাবে বুঝতে এবং সেই অনুযায়ী চিকিত্সার পরামর্শ দেওয়ার অনুমতি দেবে। কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তাররা সার্ভিকাল ক্যান্সার পরীক্ষা করার জন্য আপনার সার্ভিক্স থেকে একটি স্ক্র্যাপ পরীক্ষা করে।

একবার কারণটি চিহ্নিত হয়ে গেলে, আপনাকে শর্তটি নিরাময়ের জন্য কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের পরামর্শ দেওয়া হবে। অবস্থা ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য আপনি কিছু হোম কেয়ার ব্যবস্থাও নিতে পারেন।

এখানে কিছু টিপস আপনি অনুসরণ করতে পারেন:

আপনার যোনিতে সাবান ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন কারণ এটি যোনি এলাকার pH ভারসাম্যকে বিরক্ত করে

যোনি এলাকার কাছাকাছি পারফিউম ব্যবহার করবেন না

সুগন্ধযুক্ত ট্যাম্পন এবং ডাচিং পণ্য এড়িয়ে চলুন

বেশিক্ষণ ভেজা অন্তর্বাস পরবেন না

দীর্ঘ সময় ধরে টাইট পোশাক পরবেন না; আপনার অন্তরঙ্গ এলাকা শ্বাস নিতে দিন

নিয়মিত চেক-আপের জন্য একজন ডাক্তারের কাছে যান, বিশেষ করে যদি আপনি যৌনভাবে সক্রিয় হন

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

মেয়েদের কেন প্যান্টি পরতে হয়?

 মেয়েদের কেন প্যান্টি পরতে হয়?

১। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যঃ মেয়েরা পেন্টি তাদের গোপন অঙ্গের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে।

০২। পশ্চাৎ ভাগের আকৃতি ঠিক রাখার জন্য ঃ মেয়েদের পিছনের অংশের আকার ঠিক ধরে রাখতে পেন্টি সাহায্য করে ।

৩। কোন প্রকার ময়লা বা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত না হয় সেজন্যঃ নারিদের গোপন অঙ্গ যেন কোন প্রকার ময়লা বা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত না হয় সেজন্যও মেয়েরা পেন্টি ইউজ করে। বাহ্যিক অনেক ময়লা জীবাণু থেকে পেন্টি মেয়েদের দূরে রাখে।

৪। পিরিয়ডের সময় প্যাড পড়ার জন্য পিরিয়ডের সময় প্যাড পড়া পেন্টি অনেক সহজ করে দেয়।

০৫। নিজের নিরাপত্তার জন্য। দুর্বল মুহূর্তে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পেন্টি কাজ করতে পারে।

পেন্টি পড়ার উপকারিতা পেনটি পরার উপকারিতা

০১। কম্ফোরট ফিল করতে পারবেন। চলাচলের সময় অস্বস্তি বোধ করবেন না।

০২। পিছনের আকার ঠিক ভাবে ধরে রাখতে পেন্টি ইউজ করুন উপকারিতা পাবেন।

মেয়েরা পেন্টি কেন ব্যবহার করে

০৩। যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলেও নিজের সম্মান কিছুটা হলেও রক্ষা পাবেন।

০৪। দুর্বল সময়ে নিরাপত্তা পেতে পেন্টি কিছুটা হলেও সাহায্য করে।

০৫। পিরিয়ড এর সময়, ময়লা জীবাণু থেকে রক্ষা এসব এর কথা তো উপরে একবার বললাম ই । সেগুলোই পেন্টি পড়ার উপকারিতা ।

কনডমের ইতিহাস

কনডমের ইতিহাস


প্রাচীন মিসরের সবচেয়ে বিখ্যাত রাজা তুতেনখামেন। তার সমাধিস্থল আবিষ্কারের পর এর ঐশ্বর্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক হাওয়ার্ড কার্টার। বলে উঠেছিলেন, “ওয়ান্ডারফুল থিংস!” সত্যিই এক বিস্ময়কর ব্যাপার বটে। ১৯২২ সালের ৪ নভেম্বর মিশরের অকালপ্রয়াত সম্রাটের সমাধিতে প্রবেশের পথ আচমকাই বেরিয়ে পড়ে এক শ্রমিকের হাতে। সেই আবিষ্কারের শতবর্ষ পূর্ণ হলো কিছু দিন আগে। যদিও তুতেনখামেনের সোনার শবাধার-সহ মমি আবিষ্কার হতে সময় গড়িয়ে যায় ১৯২৫ পর্যন্ত।

৩৫০০ বছর আগে প্রাচীন মিশরের কিশোর রাজা বা ফারাও ছিলেন তুতেনখামেন। পিতার মৃত্যুর পরে ৯ বছর বয়সেই সিংহাসনে বসেন। ১০ বছর রাজত্ব করার পরে হঠাৎই রহস্যময় কারণে মৃত্যু। অজানা কোনো কারণে বেশ তাড়াতাড়ি কিশোর ফারাওকে বিপুল ঐশ্বর্য-সহ সমাধিস্থ করা হয়। তুতেনখামেনের সমাধির প্রবেশপথ ঢাকা পড়ে গিয়েছিল অন্যান্য খননের ধ্বংসাবশেষে। তাই বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরও দীর্ঘ সময় কিছুতেই প্রকাশ্যে আসেনি সেই সমাধি।

ফারাওদের বৈভবের নিরিখে তুতানখামেনের সমাধিক্ষেত্র বেশ ছোটই ছিল। তার মৃত্যুর পর ৭০ দিনের মধ্যে বেশ তড়িঘড়ি করে তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। প্রাচীন মিশরীয় বিশ্বাস অনুসারে, ফারাও বা অন্য গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের ব্যবহৃত যাবতীয় সামগ্রী মৃতদেহের সঙ্গে রেখে দেওয়ার রীতি ছিল। তুতেনখামেনের সমাধিতে স্বর্ণপালঙ্ক, স্বর্ণসিংহাসন, সোনার শবাধারের ঐশ্বর্যে তামাম বিশ্ব হতচকিত হয়ে পড়ে। সোনা তো শুধু নয়! রুপো, মেহগনি কাঠ, হাতির দাঁত- কী ছিল না সমাধির বদ্ধ কক্ষে।

মমির সঙ্গেই পাওয়া গিয়েছিল একটি ছোট চামড়ার থলি, সঙ্গে কোমরে বেঁধে নেয়ার ফিতে। পরে বোঝা যায়, জিনিসটি আসলে আদি কন্ডোম। বিস্ময়ের কথাই বটে! কয়েক হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরীয়রাও কন্ডোমের ব্যবহার জানতেন! কন্ডোমের মধ্যে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল, সেটি স্বয়ং তুতেনখামেনেরই ব্যবহৃত। গবেষকরা এই সিদ্ধান্তেও পৌঁছন যে, কন্ডোমটি গরুর পাতলা চামড়া দিয়ে তৈরি, সেটি গর্ভনিরোধক সরঞ্জাম হিসাবেই মমির সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল, কোনো প্রাচীন রীতি পালনের সঙ্গে এর যোগসূত্র নেই। শুধু তাই নয়, তুতেনখামেনের লিঙ্গটি প্রায় ৯০ ডিগ্রি উত্থিত করে তাকে মমি করা হয়েছিল। মমি আবিষ্কারের কিছু পরেই লিঙ্গটি নিখোঁজ হয়, পরে জানা যায়, সেটি ভেঙে অন্যত্র রাখা হয়েছিল।

তুতেনখামেনের মমিতে পাওয়া এই কন্ডোম ইতিহাসের প্রাচীনতম আবিষ্কৃত কন্ডোম। উত্থিত লিঙ্গের সম্ভাব্য কারণ ধর্মাচরণের সঙ্গে যুক্ত। মিশরীয় সভ্যতার রীতি অনুসারে তুতেনখামেনকে দেবতা ওসিরিসের অবতার হিসেবে দেখার চেষ্টা ছিল। অন্য দিকে, প্রাচীন কালেই মিশরবাসী নানা রঙের কন্ডোম ব্যবহার শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক স্তরের লোকজনের জন্য নির্দিষ্ট বর্ণের কন্ডোমের চল ছিল।

কন্ডোমের প্রাচীন ইতিহাস মিশরের বাইরেও রয়েছে। কায়রো লাইব্রেরি এবং পুরনো গবেষণার তথ্য হাতড়ালে দেখা যায়, প্রাচীন গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের রাজা মিনোস এক সমস্যায় পড়েন। রাজার সঙ্গে সঙ্গমের পরেই আশ্চর্যজনক ভাবে মারা যাচ্ছিলেন রানিরা।

রাজার শুক্রাণুতে নাকি সাপ ও বিছে রয়েছে, এমন ধারণাও দানা বাঁধে।

এই সময় বুদ্ধিমতী রানি পাসিফি একটি উপায় বার করেন। শুয়োরের পাতলা চামড়া নিজের যৌনাঙ্গে লাগিয়ে রাজার সঙ্গে মিলিত হন। প্রাণে তো বাঁচেনই রানি, শেষে ৮টি সন্তানের জন্মও দেন।

যিশুর জন্মের ১৮০০ বছর আগে প্রাচীন মিশরে ‘কাহুন মেডিক্যাল প্যাপিরাস’ রচিত হয়েছিল। প্রাচীন মিশরীয়রাও সেই পুঁথি অনুসরণ করে কুমিরের মলের সঙ্গে অন্যান্য প্রাকৃতিক ঔষধি মিশিয়ে তৈরি করতেন গর্ভনিরোধক পদার্থ। এই পদার্থ মূলত নারীরা তাদের যৌনাঙ্গে ব্যবহার করতেন। কুমিরের মল অ্যাসিডিক, যা কিনা শুক্রাণুগুলোকে নিমেষে নিকেশ করত। বর্তমান গবেষণা অবশ্য জানাচ্ছে উল্টো কথা।

অ্যাসিডিক হলে সফল নিষেক হবার সম্ভাবনা কমে না, বরং বেড়ে যায়। তাই কুমিরের মলে কতগুলো শুক্রাণু বধ হতো, সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রাচীন ভারতীয়রা অবশ্য কুমিরের বদলে হাতির মল দিয়ে গর্ভ নিরোধনের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। রোমানরা প্রথমে কন্ডোম নিয়ে তেমন ভাবিত না হলেও, পরে তাদের চিন্তায় ফেলেছিল যৌন রোগ সিফিলিস। সিফিলিসের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে তারা প্রাণীর চামড়ার ব্যবহার শুরু করেন।

তাই মিশরীয়দের কিছু পরে রোমানরা প্রাণীদেহের (মূলত ছাগল ও ভেড়ার) পাতলা চামড়া দিয়ে কন্ডোম তৈরির একটা বন্দোবস্ত করেছিলেন। পিছিয়ে ছিলেন না চিনারাও। সিল্কের সঙ্গে বিশেষ তেল মিশিয়ে তারাও কন্ডোম তৈরি করে ফেলেন। জাপানিরা তো তত দিনে কাবুতা-গাতার ব্যবহার শিখেছে পুরুষ যৌনাঙ্গের মুখ ঢাকতে। মূলত কচ্ছপের খোল ব্যবহার করে কাবুতা-গাতা তৈরি হত।

নিউগিনির প্রাচীন বাসিন্দারা গর্ভনিরোধক হিসেবে বিশেষ কিছু নির্বাচিত উদ্ভিদের নির্যাস স্ত্রীদেহে ব্যবহার শুরু করেছিলেন। সে সময়ের প্রায় সব সভ্যতায় পুরুষেরা মিলনের ঠিক পূর্বে স্ত্রী যৌনাঙ্গে ছয় ইঞ্চি লম্বা বিশেষ পাতা দিয়ে প্রস্তুত ফানেল ব্যবহার করতেন, যার একমুখ খোলা অন্য প্রান্ত বন্ধ।

ষোড়শ শতকের ইতালীয় শরীরতত্ত্ববিদ গাব্রিয়েল ফালোপ্পিও পুরুষের যৌনাঙ্গে ভেড়া ও ছাগলের পাতলা চামড়ার টুপি পরিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, তাতে সিফিলিসের মতো মারাত্মক যৌন রোগ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পঞ্চদশ শতকে যখন যৌন রোগ সিফিলিস

আছড়ে পড়ে ফ্রান্সের সেনাদলে, তখন কন্ডোম ব্যবহার আবশ্যিক হয়ে পড়ে। সেই সময় থেকে প্রাণীদেহের পাতলা চামড়া দিয়ে কন্ডোম তৈরির বহুল ব্যবহার শুরু হয়। শুধু তাই নয়, মাছের নাড়িভুঁড়ি ব্যবহার করেও তৈরি হয়েছে কন্ডোম।

সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ডে বহুল ভাবে গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা হিসেবে কন্ডোমের প্রচলন শুরু হয়। সে সময় ইংল্যান্ডের জনসংখ্যাও আচমকা কমে যায়। তবে আমেরিকান রসায়নবিদ চার্লস গুডইয়ারের ভালোকানাইজড রবারের ব্যবহারিক প্রয়োগ বিশ্বকে চমকে দেয়। তিনি প্রথম রবারের সঙ্গে গন্ধক মিশিয়ে স্থিতিস্থাপক, নমনীয়, টেকসই আধুনিক কন্ডোমের ধারণা দেন। ১৮৬০ থেকে শুরু হয় আধুনিক কন্ডোমের সাম্রাজ্য বিস্তার।